
বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার থেকে এখানে বিবিধ নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট লিংকে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভাষা অংশের একটি বিভাগ হলো বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় তোমাদের ভাষা থেকে MCQ, SAQ ও ৫ নম্বরের বড়ো প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে বাংলা বিষয়ে ভালো ফলাফল করতে এই অংশটি খুব ভালো করে তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এখানে বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তাদের উত্তর প্রদান করা হলো।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) সারা পৃথিবীতে ভাষার সংখ্যা প্রায়– তিন হাজার
২) ভাষাবিদ শুলৎস হলেন– জার্মানির অধিবাসী
৩) ভাষাবিদ ক্যারদ্যুও ছিলেন– ফরাসি ভাষাবিদ
৪) উইলিয়াম জোন্স্ কলকাতার রয়্যাল সোসাইটির অধিবেশনে ভাষা বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন– ১৭৮৬ খ্রিঃ
৫) পৃথিবীর ভাষাকে বর্গীকরণ করা হয়– ছয়রকম পদ্ধতিতে
৬) একই বংশজাত ভাষাগুলিকে বলা হয়– সমগোত্রজ ভাষা
৭) পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাই যে–কটি ভাষা পরিবারের বর্গীভূত হয়েছে– ২৫–২৬টি
৮) যে ভাষাকে শ্রেণিভুক্ত করা সম্ভব হয় নি, তাকে বলে– অগোষ্ঠীভূত ভাষা
৯) পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাবংশগুলির মধ্যে অন্যতম হল– ইন্দো–ইউরোপীয় ভাষাবংশ
১০) ইন্দো–ইউরোপীয় শাখাটি– দুটি শাখায় বিভক্ত
১১) ইন্দো–ইউরোপীয় ভাষাভাষী মূল আর্যজাতি মূলত ছড়িয়ে পড়েছিল– ভারতবর্ষে
১২) ইন্দো–ইউরোপীয় ভাষার একটি প্রাচীন শাখা হল– ইন্দো–ইরানীয়
১৩) ইন্দো–ইউরোপীয় বংশের যে শাখাটি ভারতে প্রবেশ করে– ভারতীয় আর্য
১৪) ক্রিট দ্বীপে প্রাপ্ত গ্রিক ভাষার নিদর্শনটি– ১৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের
১৫) ‘ইলিয়াড’ ও ‘ওডিসি’ রচিত– গ্রিক ভাষায়
১৬) ইতালীয় শাখার প্রধান ভাষা– ল্যাটিন
১৭) কেলতিক ভাষাগুলির মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে সম্মৃদ্ধ ভাষা– আইরিশ
১৮) ইরানীয় শাখার প্রাচীনতম নিদর্শন– জেন্দ আবেস্তা
১৯) বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট রচিত– হিব্রু ভাষায়
২০) সাইবেরিয়ার মেরু অঞ্চলের ভাষা– সাময়েদ
২১) মায়া ও আজতেক সভ্যতা ছিল– উত্তর আমেরিকার
২২) ‘পিজিন ইংলিশের’ উদ্ভব ঘটেছে– ব্যবসায়ীক কারণে
২৩) ‘পিজিন’ দীর্ঘস্থায়ী হলে জন্ম নেয়– ক্রেওল
২৪) পিজিন ইংলিশের ‘পিজিন’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘বিজনেস’ শব্দের– চিনীয় উচ্চারণ থেকে
২৫) ‘ভোলাপুক’ নামক কৃত্রিম ভাষাটি তৈরি করেন– যোহান মার্টিন শ্লেইয়ার
২৬) প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভাষা বা কৃত্রিম আন্তর্জাতিক ভাষা হল– এস্পেরেন্তো
২৭) কৃত্রিম আন্তর্জাতিক ভাষার কথা প্রথম চিন্তা করেছিলেন– দেকার্ত
২৮) আন্তর্জাতিক ভাব্বিনিময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়– এস্পেরেন্তো ভাষা
২৯) এস্পেরেন্তো ভাষার ব্যাকরণের মোট নিয়ম– ১৬ টি
৩০) এস্পেরেন্তো ভাষার শব্দ সংখ্যা– ৬০০০ এর বেশি
৩১) এস্পেরেন্তো ভাষা মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়– এক হাজার মানুষের
৩২) এস্পেরেন্তো ভাষায় বর্তমানে কথা বলেন– কুড়ি লক্ষ মানুষ
৩৩) অঙ্গসঞ্চালনের মাধ্যমে ব্যবহৃত ভাষার নাম– প্যারা ল্যাঙ্গুয়েজ
৩৪) সাংকেতিক ভাষা বা Sign Language এর উদ্ভব ঘটে– ১৭৭৫ খ্রিঃ
……. শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে কিছু দিন অন্তর অন্তর এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের আপডেটগুলি পেতে নিয়মিত ফলো করো শিক্ষালয় ওয়েবসাইটটিকে।
বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের পরিচয় দাও।
উঃ পৃথিবীর বিবিধ ভাষাবংশগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ। আনুমানিক ৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে দক্ষিণ রাশিয়ার উরাল পর্বতের পাদদেশে এই ভাষাপরিবারের আদি ভাষার জন্ম।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মূল ভাষা বা আদি ভাষার কোনো প্রত্নলিপি বা গ্রন্থ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি বলে এখনও এই ভাষাবংশের আদি রূপ সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ধারনা লাভ করা সম্ভবপর হয় নি। বিবিধ প্রাচীন ভাষা, যেমন বৈদিক, আবেস্তীয়, গ্রিক, লাতিন, প্রাচীন পারসিক প্রভৃতি ভাষাগুলির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মূল ভাষা সম্পর্কে অনুমান নির্ভর ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
আনুমানিক ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ইন্দো-ইউরোপীয় জাতি আর্যরা উরাল পর্বতের পাদদেশ থেকে এশিয়া ও ইউরোপের বিবিধ অঞ্চলে ছড়িয়ে পরেছিল। এর ফলস্বরূপ মূল আর্যভাষা থেকে দশটি প্রাচীন ভাষাশাখার জন্ম হয়। এই ভাষাশাখাগুলি নিম্মরূপ-
১) ইন্দো-ইরানীয়
২) বাল্তো-স্লাভিক
৩) আলবানীয়
৪) আর্মেনীয়
৫) গ্রীক
৬) ইতালিক
৭) কেল্তিক
৮) জার্মানিক
৯) তোখারীয়
১০) হিত্তীয়
এরমধ্যে প্রথম চারটি ভাষাশাখা কেন্তুম বর্গের ও শেষ ছয়টি ভাষাশাখা সতম্ বর্গের ভাষাশাখা।
বিশ্বের ভাষা ও পরিবার থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোটপ্রশ্নের (MCQ) উত্তর।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে