ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (পার্ট ৫)

ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (পার্ট ৫)

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

 

১) বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখোঃ

১.১) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তর আছে- (খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে

 

১.২) আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো- (গ) মস

 

১.৩) ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-  (গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম

 

 

২) শূন্যস্থান পুরণ করোঃ 

২.১) সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন প্রকৃতির হয়।

২.২) নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে পর্ণমোচী উদ্ভিদ বলে।

২.৩) সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা পরিযায়ী পাখি নামে পরিচিত।

 

 

৩) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ

৩.১) বারিমণ্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে? 

উত্তরঃ পৃথিবী সৃষ্টির বহুকোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরের অংশটা ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে। তখন বায়ুমন্ডলের জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির আকারে পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর নিম্নাংশগুলি ভরাট হয়ে সাগর, মহাসাগর সৃষ্টি করে। পৃথিবীর এই বিশাল জলভাণ্ডারকে বারিমণ্ডল বলে। এই ভাবে পৃথিবীতে বারিমণ্ডলের সৃষ্টি হয়।

 

৩.২) ভারতে শীতকাল কেন শুষ্ক প্রকৃতির হয়? 

উত্তরঃ শীতকালে ভারতে স্থলভাগের উপর দিয়ে শীতল শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। পর্বতের উপর দিয়ে প্রবাহিত এই বায়ু শীতল হয় এবং তা জলীয় বাষ্প মুক্ত হয়। এর ফলে সমগ্র ভারতে এই সময় বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে। এই কারণে ভারতে শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে থাকে। 

 

 

৪) বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহের সাথে আবহাওয়ার সুগভীর সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়, যা নিম্নে ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হলো-  

বায়ুর চাপঃ

     বায়ুর ওজন আছে বলে বায়ু পৃথিবীর ওপর চাপ প্রদান করে। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠে যতো ওপরে ওঠা যায় বায়ুর চাপ ততোই কমতে থাকে। বায়ুচাপ অতিরিক্ত কমে গিয়ে নিম্নচাপ হলে ঝড়-বৃষ্টি ও অশান্ত আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। আবার বায়ুচাপ বেড়ে গিয়ে উচ্চচাপ সৃষ্টি হলে পরিষ্কার আকাশ ও শান্ত আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়। 

বায়ুপ্রবাহঃ

      বায়ুর চাপ সর্বত্র সমান থাকার জন্য উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। হঠাৎ কোনো জায়গায় বায়ুর চাপ খুব কমে গেলে বায়ু প্রবল গতিতে পার্শ্ববর্তী উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। আর তখনই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। বায়ু প্রবাহের গতিবেগ বেশি হলে গাছপালা, ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে এবং মানুষ ও পশু-পাখির অনেক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। 

      সুতরাং, আলোচনার মাধ্যমে দেখা গেলো যে, বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কীরূপে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 

 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ 

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

 

You cannot copy content of this page

Need Help?