Class Six Final Model Activity Task 2021

FINAL ACTIVITY TASK

BENGALI

 

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘শুকনো খড়ের আঁটি’ রয়েছে –

(ক) অশ্বত্থ গাছের নীচে 

(খ) মাঠে

(গ) গোলাঘরে

(ঘ) নৌকোর খোলে

উত্তরঃ (ঘ) নৌকোর খোলে

১.২ ‘তাকে আসতে বসবে কাল।’ – আসতে বলা হয়েছে –

(ক) শংকর সেনাপতিকে

(খ) অভিমন্যু সেনাপতি

(গ) বিভীষণ দাশকে

(ঘ) পঞ্চানন অপেরার মালিককে

উত্তরঃ (খ) অভিমন্যু সেনাপতিকে 

১.৩ “আকাশে নয়ন তুলে” দাঁড়িয়ে রয়েছে –

(ক) বুনো পাহাড়

(খ) মরুভূমি

(গ) প্রভাত সূর্য

(ঘ) পাইন গাছ

উত্তরঃ (ঘ) পাইন গাছ

১.৪ “যেতে পারি কিন্তু কেন যাব” – কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা –

(ক) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

(খ) অরুণ মিত্র

(গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

(ঘ) অমিয় চক্রবর্তী

উত্তরঃ (গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

১.৫ পুর্ববঙ্গের মাহুতের ভাষায় ‘মাইল’ শব্দের অর্থ –

(ক) পিছনে যাও

(খ) সাবধান

(গ) বস

(ঘ) কাত হও

উত্তরঃ (খ) সাবধান

Sikkhalaya

২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

২.১ ‘ও তো পথিকজনের ছাতা’ – পথিকজনের ছাতা কোন্‌টি?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “ভরদুপুরে” কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। 

পথিক জনের ছাতা বলতে অশত্থ গাছটিকে বোঝানো হয়েছে। 

২.২ ‘এখানে বাতাসের ভিতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে।’ – কেন এমনটি হয়?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি লেখক “শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়” রচিত “শংকর সেনাপতি” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

     পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং বাতাসে তার ঢেউয়ের গুরু সব সময় উড়ে আসছে তাই এখানে বাতাসের ভিতর সব সময় ভিজিয়ে জলের ঝাপটা থাকে।

২.৩ ‘মন-ভালো-কার’ কবিতায় কবি রোদ্দুরকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তরঃ “মন ভালো করা” কবিতায় কবি “শক্তি চট্টোপাধ্যায়” রোদ্দুরকে মাছরাঙ্গা পাখির গায়ের রং এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.৪ ‘আমি কথা দিয়ে এসেছি’ – কথক কোন্‌ কথা দিয়ে এসেছেন?

উত্তরঃ কবি “অরুণ মিত্র” রচিত “ঘাসফড়িং” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

     কবি সবুজ ঘাস গুলোকে কথা দিয়ে এসেছেন যে তিনি আবার ভিজে ঘাসের উপর দিয়েই ফিরে আসবেন। 

২.৫ ‘ভাদুলি’ ব্রত কখন উদ্‌যাপিত হয়?

উত্তর – ভাদুলি ব্রত বর্ষাকালের শেষের দিকে মেয়েরা করে থাকে। বৃষ্টির পরে আত্মীয়- স্বজনদের সমুদ্রযাত্রা থেকে স্থলপথে নিজেদের বাসায় ফিরে আসার কামনায় তারা এই ব্রত করে। নদীর পাড়ে নানা আলপনা এঁকে, গান গেয়ে নদী মাতা কে জানায় তাদের প্রার্থনা।

২.৬ সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি কেমন?

উত্তর – কবি “যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” তাঁর “হাট” কবিতায় সন্ধ্যাবেলার বাস্তব চিত্রটুকু তুলে ধরেছেন। দূরের গ্রামগুলিতে প্রদীপ জ্বললেও হাট অন্ধকারে থেকে যায়। ক্লান্ত কাকের পাখনায় ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে। হাটের দোচালা দোকানগুলি যেন চোখ বুজে বিশ্রাম নেয়, শুধু শোনা যায় জীর্ণ বাঁশের বুকে বাতাসের ফুঁ তে ওঠা বিদ্রুপের সুর।

২.৭ কোন্ তিথিতে রাঢ় বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো-বন্দনা, অলক্ষ্মী বিদায়, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুটা প্রভৃতি। পালিত হয়?

উত্তর – কালীপূজা অর্থাৎ কার্তিকের অমাবস্যা তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো বন্দনা,অলক্ষী বিদায়, কাড়াখুটা, গরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয়। এই উৎসবের সময় সমস্ত ঘরদোর পরিষ্কার করে আলপনা দিয়ে সাজানো হতো। 

২.৮ কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা – কবি কার চলার কথা বলেছেন?

উত্তর – কবি “অমিয় চক্রবর্তী” তাঁর “পিপড়ে” কবিতায় ছোট ছোট পিঁপড়েদের চলার কথা বলেছেন। পিঁপড়ে গুলোর নিজেদের মধ্যে কথা না বলে, ব্যস্ত ভাবে সারি দিয়ে চলা-কবির মনে মুগ্ধতার সৃষ্টি করে। 

২.৯ ‘সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি – ‘ফাকি গল্পে গোপালবাবু কীভাবে তার বাড়ির ঠিকানা জানাতেন?

উত্তর – “ফাকি” গল্পে আমরা দেখতে পাই গোপালবাবুকে কেউ তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন-কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশের ফাড়ির পশ্চিমদিকে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ দেখবেন- সেইখানে আমাদের বাড়ি। এভাবেই আমগাছটি তাদের বাড়ির নিশানা বা ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছিল।

২.১০ ‘তুমি যে কাজের লোক ভাই। ওইটেই আসল। কে, কাকে, কখন একথা বলেছিল?

উত্তর – প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি ঘাসের পাতা- পিঁপড়ে কে বলেছিল। বৃষ্টি কমে এলে, পিঁপড়েটি তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঘাসের পাতাটিকে ধন্যবাদ জানালে সেই সময় ঘাসের পাতা কথাটি বলেছিল।

subscribe to sikkhalaya

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৩.১ ‘দাঁড়ায়ে রয়েছে পামগাছ মরুতটে।’ – কে এমন স্বপ্ন দেখে? কেন সে এমন স্বপ্ন দেখে?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি কবি “হাইনরিখ হাইনে” রচিত “পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি” কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।

     উত্তরে মগ্ন পাহাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাইন গাছ টিমর উঠে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছটির স্বপ্ন দেখে। 

     পাইন গাছ সারাবছর পাহাড়ের ঠান্ডা মেজাজে থাকে। সেখানে সব সময় বরফ ঢাকা থাকে। কিন্তু পাইন গাছের ইচ্ছে সে মরুভূমির উপরে দাঁড়িয়ে থাকবে। তাই সে এমন স্বপ্ন দেখে।

৩.২ ‘…তাই তারা স্বভাবতই নীরব।’ – কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা নীরব কেন?

উত্তরঃ লেখক “সুবিনয় রায়চৌধুরী” রচিত “পশু পাখির ভাষা” প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত অংশটি গ্রহণ করা  হয়েছে। 

     জঙ্গলের পশুরা সাধারণতঃ নীরব তাই তাদেরকে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

     ক্যাস্টিং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুর সঙ্গে থেকেছেন। খাঁচার এবং জঙ্গলের অর্থাৎ পোশাক এবং বুনো এই দুই অবস্থার জন্তুদের সঙ্গে তার আলাপ-পরিচয়ের নানা সুযোগ ঘটেছিল। পোষা জন্তু রানা কি জঙ্গলের পশুদের থেকে অনেক বেশি চেঁচামেচি করে। তাছাড়া জঙ্গলের পশু সর্বদায় প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয় তাই জঙ্গলের পশুরা স্বভাবতই নীরব থাকতে পছন্দ করে।

৩.৩ ‘এরা বাসা তৈরি করবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।’ – উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার কৌশলটি ‘কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি’ রচনাংশ অনুসরণে লেখো।

উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত অংশটি লেখক “গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য” রচিত “কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

     ডিম পাড়ার সময় হলেই এরা বাসা তৈরি করার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়। দুই-চার দিন ঘুরে ফিরে মন মত কোন স্থান দেখতে পেলেই তার আশেপাশে বারবার ঘুরে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখে। তারপর খানিক দূরে গিয়ে আবার ফিরে আসে এবং স্থানটিকে বারবার দেখে নেয়। দুই-তিনবার এরূপভাবে এদিক ওদিক করে অবশেষে কাদামাটির সন্ধানে বের হয়। 

৩.৪ “ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য” — ‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।

উত্তর-  আমাদের পাঠ্য “মরশুমের দিনে” গদ্যাংশ থেকে আমরা জানতে পারি যে, ধান কাটার পর মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায় চোখে পড়ে রুক্ষ মাটির শুকনো ও কঙ্কালসার চেহারা। আল গুলি বুকের পাঁজরের মত। রোদের দিকে তাকানো যায়না।গরুর গাড়ির চাকায়, মানুষের পায়ে মাটি ডেলা গুঁড়ো হয়ে রাস্তা হয়েছে আর সেই ধুলো ঘূর্ণিঝড় বা হাওয়ায় উড়ে এসে চোখে মুখে ভরে যায়। বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে যারা মাঠে যায় তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে।পুকুর খাল বিল নদী সব শুকিয়ে যায় কোথাও জল থাকে না। গাছে পাতা থাকেনা।আগুনের ঝলকায় শুধু চারিদিকে হাহাকার শোনা যায়।

৩.৫ দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র ‘হাট’ কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।

উত্তর – আমাদের পাঠ্য “হাট” অবিতায় আমরা দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের এক চিত্ররূপ লাভ করি। দিনের বেলা হাটে কোলাহল থাকে। চেনা অচেনা হাজার মানুষের ভিড় থাকে সেখানে। অনেক মানুষের পায়ের টুকরো টুকরো ছাপ পড়ে থাকে হাটের ধুলোতে। সবাই নিজের জিনিস গোছাতে ব্যস্ত। সামান্য অর্থের জন্য তাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পরিলক্ষিত হয়। হানাহানি করে কেউ লাভ করে, আবার কেউ পায় না।সারা দিন চেনা অচেনা মানুষের ভিড়ে কথার অন্ত থাকে না। রাত্রে ফাঁকা হাট নির্জন অবস্থায় পড়ে থাকে কেউ সন্ধা দেয় না, রাত্রে হাট নিস্তব্দ হয়ে পড়ে থাকে, দূরের বাড়িগুলোতে বাতি জ্বলে, কিন্তু হাটে শুধু অন্ধকার রাজত্ব করে। রাত্রে নেই দরকষাকষি নেই কেন বেঁচা। এই ভবের হাটে কত যে ক্রেতা আর বিক্রেতা এলো আর গেলো, তার কোনো হিসাব পাওয়া যায় না।  

৩.৬ মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তরঃ- “মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র” রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতার পরিচয় আমরা পাই। কালী পূজা বা কার্তিকের আমাবস্যা তিথিতে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা গৃহ মার্জনা ও অলংকার করে থাকেন। মূলত জমিতে আকার আশ্রিত বিভিন্ন বর্ণ সমাবেশে রচিত দেয়ালচিত্রে চাওরা রঙিন ফিতের মত সমন্তরাল রেখা ত্রিভুজ এবং চতুষ্কোণ বানিয়ে নকশা করা যায়। সাধারণত ঘরের চারিদিকে ঘিরে থাকা মুল বেদিটিকে তারা কালো রং করে তার সমান্তরালেই বিঘত থানের চওড়া গেরুয়ার একটি রেখা টেনে তার ওপর সামান ছাড় দিয়ে আরেকটি কালো রেখা টানা হয়। এর ওপর সাদা, আকাশি, গেরুয়া, হলুদে রঙের রেখা দিয়ে চতুষ্কোণ বা ত্রিভুজগুলি তৈরি হয়। সেগুলি পাশাপাশি বসে দেয়াল ভরিয়ে তোলে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এই অপরূপ শিল্প রোধের মাধ্যমে সাঁওতালি দেওয়াল চিত্রের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।

৩.৭ ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। আলোচনা করো।

উত্তরঃ- কবি “অমিয় চক্রবর্তী” রচিত “পিপড়ে” কবিতায় পিঁপড়ের মত এক ক্ষুদ্র প্রাণীর প্রতি কবির অকৃত্তিম ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে। কবির মতে সে যত ছোট প্রাণী হোক না কেন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার তার সমান অধিকার রয়েছে। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সকলে মিলে মিশে আনন্দে থাকার মধ্যেই কবি জীবনের পরম সার্থকতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

৩.৮ ‘ফাকি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।’— উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?

উত্তর – “ফাকি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ। উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য? উত্তর লেখক রাজকিশোর পট্টনায়ক এর লেখা ফাঁকি গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল একটি আম গাছ। গোপালের বাবার তৈরি একটি কলমি চারা থেকে ধীরে ধীরে গাছটি বড় হয়ে ওঠে এবং একসময় সেই গাছটি বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তার করেছিল। পাড়ার বিভিন্ন লোক এবং ছেলেরা সেই গাছের নিচে খেলাধুলা করা, বই পড়া, গল্প করা ইত্যাদি আরম্ভ করলো। এভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গোপালের বাড়ির নিশানায় পরিণত হয়। একদিন আষাঢ়ের ঝরে গাছটি মরে গেলে শুধু গোপালদের বাড়ির লোক নয় বরং পাড়ার সব লোক দুঃখ প্রকাশ করে। তারপর সবাই লক্ষ্য করে গাছটির একধার উই পোকা খেয়ে নিয়েছিল অথচ কারো নজরে পড়েনি, যদি পরতো তাহলে গাছটি এভাবে মরে যেত না। তাই গাছটিকে নিরীহ ও নিরপরাধ বলা সমর্থনযোগ্য।

৩.৯ “পৃথিবী সবারই হোক”— এই আশীৰ্বাণী ‘আশীর্বাদ’ গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?

উত্তরঃ- লেখক “দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের” লেখা “আশীর্বাদ” গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলো গাছের পাতা।

গল্প অনুযায়ী দিনশেষে পিঁপড়েকে মাটির নিচে আশ্রয় নিতে হয় বলে উপরে বলেছিল যে মাটি শুধু তাদের কিন্তু পাতা পিঁপড়েকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মাটি শুধু তার নয় মাটি সবার জন্যই।পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে এই পৃথিবীতে । জীবজগতের প্রতিটি প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পৃথিবীর আলো-বাতাস,জল,মাটি ভোগ করার অধিকার সবার সমান।

৩.১০ ‘…. এমন অভূতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবিনি’। – গল্পকথক কোন্ অবস্থায় পড়েছিলেন?

উত্তরঃ লেখক “শিবরাম চক্রবর্তী” রাঁচিতে হুডুর দিকে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে সাইকেলের টায়ার খারাপ হয়ে যাওয়ায় বাকি পাঁচ মাইল পথ অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে অন্ধকার সন্ধ্যায় ছােট্ট একটি বেবি অস্টিন গাড়ি দেখে তাড়াতাড়ি সেটাতে চেপে বসেন। গাড়িটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। লেখক গন্তব্যস্থল বলতে বলতে চমকে ওঠেন, কারণ ড্রাইভার এর জায়গায় কেউ ছিলো না! লেখক নিশ্চিত হন যে, তিনি ভূতের পাল্লায় পড়েছেন। শীতেও তার ঘাম দেখা গেল। লেখক এই অবস্থার কথাই বর্ণনা করেছেন তাঁর গল্পে। 

৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৪.১ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ রূপান্তরিত হয়ে ‘র’ হচ্ছে – এমন দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অহঃ + আহঃ = অহরহ

            নিঃ + আকার = নিরাকার

৪.২ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ লুপ্ত হয়ে আগের স্বরধ্বনিকে দীর্ঘ করেছে – এমন দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ চক্ষু + রত্ন = চক্ষূরত্ন

            স্বঃ + রাজ্য = স্বারাজ্য

৪.৩ উদাহরণ দাও – জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ, শব্দখন্ড বা শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ।

উত্তরঃ 

জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ – পিতামাতা

শব্দখন্ড বা শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ – ক্ষুদ্রতম

৪.৪ সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের পার্থক্য কোথায়?

উত্তরঃ সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের প্রধান পার্থক্যগুলি হল- 

প্রথমত, সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যা প্রকাশ করে  এবং পূরণবাচক শব্দ শুধুমাত্র সংখ্যাগত ক্রমিক অবস্থান প্রকাশ করে।

দ্বিতীয়ত, সংখ্যাবাচক শব্দগুলি হলো মূল শব্দ।  আর পূরনবাচক শব্দগুলি সংখ্যাবাচক শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

৪.৫ নিরঙ্কুশ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হবেঃ নিঃ+অঙ্কুশ 

bengali mcq mock test

৫ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

৫.১ শব্দজাত, অনুসর্গগুলিকে বাংলায় কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উত্তর – শব্দজাত অনুসর্গগুলি – নাম অনুসর্গ ও বিশেষ্য অনুসর্গ নামেও পরিচিত। এই অনুসর্গ গুলিকে বাংলায় তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। সেগুলি হল- 

(ক) সংস্কৃত বা তৎসম অনুসর্গ

উদাহরণঃ তোমার দ্বারা ইহা সম্ভব।

(খ) বিবর্তিত রুপান্তরিত বা তদ্ভব অনুসর্গ

উদাহরণঃ আগে, কাছে এই শব্দগুলি তদ্ভব অনুসর্গ।

(গ) বিদেশি অনুসর্গ

উদাহরণঃ আজ ভারত বনাম ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ম্যাচ রয়েছে।

৫.২ উপসর্গের আরেক নাম ‘আদ্যপ্রতায়’ কেন?

উত্তরঃ- আদ্য শব্দের অর্থ হলো– আদিতে বা প্রথমে। প্রত্যয় কথার অর্থ হল– মূল শব্দের সঙ্গে যে শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ তৈরি করে। মূল শব্দের আদিতে বা প্রথমে বসে যে প্রত্যয় শব্দটির অর্থ বদলে দেয় তাকে আদ্যপ্রত্যয় বলে। উপসর্গের কাজটিও সেই রকম। তাই উপসর্গের আরেক নাম আদ্যপ্রত্যয়।

৫.৩ ‘ধাতুবিভক্তি’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর – ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বলে। এই ধাতুর সঙ্গে বিভুক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গড়ে তুললে সেটিকেআমরা ধাতুবিভক্তি বলি।

যেমন : – ‘কর’ ধাতুর সঙ্গুে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়ে— ‘করে’ ধাতু বিভক্তির সৃষ্টি করেছে।

৫.৪ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও আশা / আসা, সর্গ / স্বর্গ

উত্তর – আশা শব্দের অর্থ:ভরসা, আকাক্ষা

            আসা শব্দের অর্থ:আগমন করা

            সর্গ শব্দের অর্থ: অধ্যায়, গ্রন্থের পরিচ্ছেদ

            স্বর্গ শব্দের অর্থ:দেবলোক

৫.৫ পদান্তর করো জগৎ, জটিল

উত্তর – জগৎ: জাগতিক

           জটিল:জটিলতা 

class six bengali notes

 

৬. অনধিক ১০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা করোঃ 

বাংলার উৎসব

ভূমিকাঃ  

মানব জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হল উৎসব। মানুষ শুধুমাত্র খেয়ে পড়ে বেঁচে সন্তুষ্ট হয় না সে অনেকের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিতে চায়, দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়ামি থেকে মুক্তি চায়, শ্রম ক্লান্ত জীবনে পেতে চায় সহজ অনাবিল আনন্দ। আর সেই জন্যই মানষ উৎসবে মেতে উঠে। উৎসব মানুষকে আনন্দ দেয় প্রসারিত করে তার অস্তিত্বকে। বাঙালি জীবনে সারা বছর ধরে অজস্র উৎসব লেগে থাকে। বিষয় অনুযায়ী বাংলা উৎসব গুলি মোটামুটি চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়-  ধর্মীয় উৎসব,  সামাজিক পারিবারিক উৎসব,  ঋতু উৎসব এবং জাতীয় উৎসব।

ধর্মীয় উৎসব:- 

নানান ধর্ম সম্প্রদায়ের বাস এই বাংলায়। সকল সম্প্রদায়ই আপন আপন ধর্মীয় উৎসবে মেতে ওঠে। হিন্দু বাঙালির প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। শরৎকালে দেবী দুর্গার আরাধনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিনের জন্য ধর্মমত নির্বিশেষে বাঙালি জীবন আনন্দ মুখর হয়ে ওঠে। দুর্গাপুজো ছাড়া কালী পুজো, সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মী পুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, মনসা পূজো, ধর্মপুর প্রভৃতিও বাংলার বিশিষ্ট ধর্মীয় উৎসব। এছাড়াও আরও নানা ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালিত হয় হিন্দু সমাজে। মহরম, ঈদ, সবেবরাত প্রভৃতি মুসলমান সম্প্রদায়ের উৎসব বাঙালি জীবনের সঙ্গে অচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত। বাঙালি খ্রিস্টানদের মধ্যেও রয়েছে বড়দিন, গুড ফ্রাইডে, ইস্টার স্যাটারডে প্রভৃতি উৎসব।

সামাজিক উৎসব:- 

মানুষ সামাজিক জীব। ব্যক্তিগত আনন্দ অনুষ্ঠান কে সে ভাগ করে নিতে চায় সমাজের আর পাঁচ জনের সঙ্গে। এই প্রবণতা থেকেই বাঙালি সমাজে নানা ধরনের সামাজিক উৎসব পালিত হয়ে থাকে। বাংলা সামাজিক উৎসব গুলির মধ্যে বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, উপনয়ন প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আরো কিছু উৎসব অনুষ্ঠান আছে যেগুলি মূলত পারিবারিক। 

যেমন জামাইষষ্ঠী, ভাতৃদ্বিতীয়া, বিশেষ কোন ব্রত উদযাপন প্রভৃতি। তবে এইসব পরিবারকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানগুলিও শেষ পর্যন্ত বাংলার সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়। এইসব সামাজিক পারিবারিক উৎসবের মধ্যে দিয়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং অনাত্মীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গেও একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খুব ভালো হয় সামাজিক বন্ধন।

ঋতু উৎসব:-

বঙ্গ প্রকৃতিতে ৬ টি ঋতুর আবির্ভাব বাঙালি জীবনে নিয়ে আসে বৈচিত্র। বাংলার মানুষ এই বৈচিত্র আরো বেশি করে অনুভব করে বিভিন্ন ঋতুতে অনুষ্ঠিত বর্ণময় উৎসবগুলোর মধ্যে দিয়ে। বাংলার ঋতু সব গুলির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো- নবান্ন, পৌষপার্বণ, মাঘোৎসব, দোলযাত্রা, নববর্ষৎসব প্রভৃতি। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ, বর্ষামঙ্গল, বসন্তৎসব প্রভৃতি ঋতু উৎসব বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উদযাপিত হয়। রবীন্দ্রনাথের ধারা অনুসরণ করে এই সমস্ত উৎসব আজ শান্তিনিকেতনের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

জাতীয় উৎসব:- 

শুধু ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক বা ঋতু-উৎসব নয়, বাংলার সমাজ জীবনে আর এক ধরনের উৎসব পালিত হয়, যাকে বলা যেতে পারে জাতীয় উৎসব। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুলজয়ন্তী, নেতাজিজয়ন্তী, উপলক্ষে প্রতিবছর বিভিন্ন স্থানে যেসব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, সেই অনুষ্ঠানগুলি প্রকৃতপক্ষে উৎসবের চেহারাই ধারণ করে।

উপসংহার:- 

বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। সেজন্য বাঙালি সমাজে বারো মাসে তেরো পার্বণ এর সমারোহ। তবে বাংলার উৎসব গুলিকে শুধুমাত্র সাময়িক আনন্দ উত্তেজনার উৎস মনে করলে ভুল করা হবে। এইসব উৎসব একের সঙ্গে অন্যকে মিলিয়ে দেওয়ার, নিজের সঙ্কীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার মাধ্যম। এইসব উৎসব আছে বলেই সমস্যা জটিল দুঃখজর্জর জীবনেও বেঁচে থাকার আশ্বাস পাওয়া যায়, এই সব উৎসবের মধ্যেই রয়ে গেছে বাঙালির প্রাণের পরিচয়। 

{উত্তরগুলি তৈরি করার সময় পাঠ্য বই ও বিবিধ সহায়ক গ্রন্থের সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে} 

geography mock test

You cannot copy content of this page

Need Help?