Class Ten Final Model Activity Task 2021

FINAL MODEL ACTIVITY TASK

BENGALI

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: 

১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল –

ক) রাজা ও রানি

খ) অ্যাকসিডেন্ট

গ) প্রথম দিন

ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা

উতরঃ গ) প্রথম দিন

১.২ পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির অনুবাদক –

ক) শঙ্খ ঘোষ

খ) নবারুণ ভট্টাচার্য

গ) উৎপলকুমার বসু

ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরঃ খ) নবারুণ ভট্টাচার্য

১.৩ ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে –

ক) মানসী

খ) চিত্রা

গ) পত্রপুট

ঘ) নৈবেদ্য 

উত্তরঃ গ) পত্রপুট

১.৪ ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’ কথাটি বলতেন –

ক) ওয়াটারম্যান

খ) লর্ড কার্জন

গ) উইলিয়াম জোন্স

ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস

উত্তরঃ খ) লর্ড কার্জন

১.৫ যে কাব্য গ্রন্থটি শঙ্ক ঘোষের লেখা নয় –

ক) দিন ও রাত্রি

খ) দিনগুলি রাতগুলি

গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ

ঘ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে

উত্তরঃ ক) দিন ও রাত্রি

Sikkhalaya

২. কম-বেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো:

২.১ ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’ – কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির অর্থ হল সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।

২.২ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?

উত্তরঃ বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”-এর মতে অশুভ ধ্বনিতে ঘোষিত হয় দিনের অন্তিমকাল। 

২.৩ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?

উত্তরঃ হিমানী শব্দের অর্থ হলো বরফের বাঁধ। এখানে কবি প্রতি পদক্ষেপে বিপদের কথা বলেছেন।

২.৪ ‘মাভৈঃ মাভৈঃ’’ এমন উচ্চারণের কারণ কী? 

উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” তাঁর “প্রয়োল্লাস” কবিতায় “মাভৈঃ মাভৈঃ” বলে অভয়বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রলয় আসছে দেখে ভয় পেলে চলবে না। কারণ, প্রলয়ের এই ধ্বংসাত্মক রূপের আড়ালেই আছে নবসৃষ্টির বীজ। মহানিশার শেষে নতুন সূর্য উঠবে, যা ভারতের ভাগ্যাকাশে মুক্তির প্রতীক রূপে দেখা দেবে।

২.৫ ‘… দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল,’ – বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল?

উত্তরঃ উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়”-এর “পথের দাবী” রচনাংশ থেকে গৃহীত অংশে এনাঞ্জাং থেকে দুজন বন্ধুর আসার কথা ছিল। 

subscribe to sikkhalaya

৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

৩.১ “তোরা সব জয়ধ্বনি কর”- কার জয়ধ্বনি করতে এই আহ্বান? কেন তার ‘জয়ধ্বনি’ করতে হবে? 

উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম”-এর লেখা “অগ্নিবীনা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “প্রলয়োল্লাস” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে। 

     আলোচ্য উক্তিটিতে কবি সাধারণ দেশবাসীকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন। তিনি কল্পনা করেছেন, কালবৈশাখীরূপী তরুণের দল সমাজ থেকে অন্যায়, অবচার ও বৈষম্য দূর করতে অচিরেই আবির্ভূত হবে। সমস্ত পাপাচার সমাজ থেকে মুছে যাবে, ধুয়ে যাবে যাবতীয় অসুন্দর। তাই ‘নূতনের কেতন’ ওড়ানো ‘কালবোশেখির ঝড়’ আসন্ন দেখে তাকে যথাযথভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য সকলকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

৩.২ ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা।’ – হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী’ গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে?

উৎসঃ

      বিশিষ্ট গল্পকার “সুবােধ ঘােষ” রচিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

হরিদার পরিচয়ঃ

      গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা। তিনি পেশাগতভাবে বহুরূপী বৃত্তি অবলম্বন করতেন।  

হরিদার দারিদ্রের পরিচয়ঃ

       হরিদা একজন অতি সামান্য দরিদ্র বহুরূপী। সমগ্র গল্প জুড়েই আমরা তার দরিদ্রতার একাধিক নিদর্শন দেখতে পাই যা ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-  

ক) শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরের একটি ছােট্ট ঘরই তার সম্বল।

খ) বাড়িতে আগত বন্ধুদের চা খাওয়ানাের মতাে সামর্থ্যও তার নেই।

গ) বহুরূপী সেজে তিনি যেটুকু বকশিশ পান বা উপার্জন করেন তা দিয়ে তার সব সময় অন্নের সংস্থান হয় না। অনেক সময় তাই তার ভাতের হাড়িতে ভাতের বদলে শুধু জল ফোটে। 

class ten bengali notes

৪. কমবেশি ১২৫ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও।

৪.১ “’মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ,ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প।’ – উদ্ধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।  

উৎসঃ

    বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

বক্তাঃ

   উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার প্রিয় পত্নী লুৎফা।

উক্তির আলোকে ঘসেটি বেগম চরিত্রঃ  

   নাট্যাংশের অন্যতম সহায়ক চরিত্র হলেন ঘসেটি বেগম। ননাব আলিবর্দি খানের জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহেরুন্নিসা ওরফে ঘসেটি বেগম হলেন সিরাজদ্দৌলার মাসি। তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আমরা অবগত হই, সেগুলি নিম্নরূপ-

প্রতিহিংসাপরায়ণাঃ

   সিরাজদ্দৌলা ঘসেটি বেগমকে গৃহবন্দি করে রাখায় তিনি সিরাজের প্রতি হয়ে উঠেছিলেন প্রতিহিংসাপরায়ণা। তাই ঘসেটি বেগমের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই, “আমার রাজ্য নাই, তাই আমার কাছে রাজনীতিও নাই-আছে শুধু প্রতিহিংসা।”

দেশদ্রোহীঃ

   ঘসেটির ইচ্ছানুসারে তার স্বামী বা পালিত পুত্র বাংলার শাসন ক্ষমতা অর্জনে অসমর্থ হলে তিনি স্বদেশের বিরুদ্ধাচারণ করে ইংরেজদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘসেটি বেগম বাংলার সর্বনাশ ডেকে আনতেও কুন্ঠিত হন নি।

অমানবিকঃ

   ঘসেটি বেগমের চরিত্রে নারীসুলভ সুকুমার মনোবৃত্তির পরিবর্তে প্রকাশ পেয়েছে কর্কশ নির্মমতা। তার কথা বলতে গিয়ে লুৎফা তাই যথার্থই বলেছে, “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প!” 

স্বার্থান্বেষীঃ

   সিরাজদ্দৌলা তাকে মায়ের সন্মান প্রদান করলেও তিনি তাকে সন্তানতুল্য বলে মনে করতে পারেন নি। শুধুমাত্র নিজ-স্বার্থকেই তিনি বড়ো করে দেখেছেন। সিরাজের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সদা ব্যস্ত ছিলেন।

   অতএব আলোচনার পরিশেষে বলা যায়, ঘসেটি বেগম চরিত্রটি তার স্বার্থপরতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতার মধ্য দিয়ে নাট্যাংশে এক ব্যতিক্রমী চরিত্র হয়ে উঠেছে।   

bengali mcq mock test

৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ): 

৫.১ ‘দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা ‘আফ্রিকা’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।

উৎসঃ

   বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “পত্রপুট” কাব্যগ্রন্থের ১৬ সংখ্যক কবিতা “আফ্রিকা”-য় আমরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দ্বারা আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দেবার নির্মম বর্ণনা লাভ করি।   

চিরচিহ্নের পরিচয়ঃ

   সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকার ওপর যে অমানবিক অত্যাচার করেছে তা কবি মনকে গভীরভাবে আলোড়িত করেছে। তথাকথিত সভ্য মানুষদের অসভ্য আচরণে নিষ্পেষিত হয়েছে আফ্রিকার সহজ সরল মানুষেরা। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকার সাধারণ মানুষদের পদানত করে তাদের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা ঘটায়।

   ঔপনিবেশিক শাসনের নির্মম অত্যাচারে আফ্রিকা যেন মানহারা মানবীতে পরিণত হয়েছে বলে কবি মনে করেছেন। তাদের বর্বর আচরণে মনুষ্যত্ব ও মূল্যবোধের অপমৃত্যু ঘটেছে। তারা আফ্রিকার সম্পদকে লুন্ঠন করে, আফ্রিকাবাসীদের ক্রিতদাসে পরিণত করে তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে চরিতার্থ করতে প্রয়াসী হয়েছে-

                     “এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে

নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে”

   আফ্রিকার এই অপমানকে কবি সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানবতাবাদী মানুষের অপমান বলেই মনে করেছেন। তাই বিশ্বকবি মনে করেছেন, সামাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকার বুকে যে অমানবিক অত্যাচার করেছে তা যেন আফ্রিকার ইতিহাসে চিরতরে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে। 

bengali mock test

৫.২ ‘বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে।’ – বক্তা কে? কোন্‌ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে একথা বলেছে?

উৎসঃ

   উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাস থেকে গৃহীত “পথের দাবী” রচনাংশ থেকে উদ্ধৃত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

বক্তাঃ 

   প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা রচনাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর।

প্রসঙ্গঃ 

     ‘পোলিটিকাল সাসপেক্ট’ সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেফতার করতে গিয়ে ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রকে নিয়ে মহা হুঁশিয়ার পুলিশের দলকে নির্বোধ ও আহাম্মক হতে দেখার কথা যখন অপূর্ব বর্ণনা করছিল, তখন রামদাস জানতে চায় “তারা কি আপনাদের বাংলাদেশের পুলিশ?” উত্তরে অপূর্ব সম্মতি প্রদান করে বলে, তার লজ্জা হয় এই ভেবে যে, পুলিশের বড়োকর্তা তার আত্মীয় এবং পিতৃবন্ধু। তার বাবাই একদিন নিমাইবাবুর চাকরি করে দিয়েছিলেন। 

     অপূর্বর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার রামদাস অসতর্কতায় বলে ফেলে যে,  একদিন এর জন্যই হয়তো অপূর্বকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এই কথা বলে সে  অপ্রতিভ হয়ে নিশ্চুপ হয়ে যায়। অপূর্ব তার অর্থ বুঝতে পেরে বলে, পুলিশকর্তা তার শুভাকাঙ্ক্ষী বা আত্মীয় হলেও তিনি দেশের চাইতে আপন নন, বরং যাঁকে ধরবার জন্য তারা উদ্‌গ্রীব, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে অপূর্ব অনেক বেশি আপনজন বলে মনে করে। এ কথার প্রসঙ্গেই রামদাস আলোচ্য উক্তিটি করেছিল। 

    ইংরেজ সরকার রাজবিদ্রোহীদের প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ করত। সেই কারণেই বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে ধরার জন্য সুদূর বাংলা মুলুক থেকে বর্মায় তারা পুলিশের বিশেষ দল পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া ট্রেনযাত্রার সময় রাতভর পুলিশের নজরদারি ইত্যাদির মধ্যদিয়ে বোঝা যায়, ইংরেজ সরকার রাজ বিদ্রোহীদের দমন করতে কতটা তৎপর ছিল।

     বিপ্লবীদের গ্রেফতারের পর নানা ধরনের অত্যাচার ও দমননীতি প্রয়োগ করা হয় তা সমস্ত ভারতীয়ের মতো রামদাসও জানত। তাই অপূর্বর মুখে দেশভক্তির সোচ্চার ঘোষণায় সে তাকে বন্ধু হিসেবে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিল।

৬. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ): 

৬.১ “’ক্ষিদ্দা, এবার আমরা কী খাবো?”- উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।

উৎসঃ

   খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে সার্থক উপন্যাসের স্রষ্টা “মতি নন্দী” রচিত “কোনি” উপন্যাসে আমরা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাঁতারু কনকচাঁপা পাল বা কোনির দারিদ্র ও বঞ্চনাকে জয় করে সাফল্যের শীর্ষস্থানে আরোহণের সংগ্রামী কাহিনির পরিচয় লাভ করি।

দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইঃ

   আজন্ম দারিদ্রকে সঙ্গী করে বড়ো হয়ে ওঠা কোনির কাছে সফল সাঁতারু হয়ে ওঠার পথে সব থেকে বড়ো প্রতিবন্ধকতা ছিল তার দারিদ্র। সাত ভাই-বোন ও মায়ের খাদ্য সংস্থানের জন্য তার দাদা কমল পালকে সাঁতার ছেড়ে কাজে যোগ দিতে হয়েছে। তাদের ছোট ভাইকেও সংসারের আর্থিক বোঝা বহন করতে চায়ের দোকানে পনেরো টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি কোনিকেও তার দাদা ষাট টাকা মাইনের বিনিময়ে সুতো কারখানায় কাজে লাগিয়ে দেবে বলে মনস্থির করে ফেলেছিল।

   পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী কমল পালের যক্ষ্মায় আকস্মিক মৃত্যুর ফলে সংসারের হাল ধরতে কোনিকে তার সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষীতিশ সিংহের স্ত্রী লীলাবতীর ‘প্রজাপতি’ নামক দর্জির দোকানে মাসিক চল্লিশ টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হয় এবং তার মাও ছিট কাপর সেলাইয়ের কাজ করতে বাধ্য হন।

বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইঃ

   কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের সাথে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের হরিচরণ, ধীরেন ঘোষ, বদু চাটুজ্জে প্রমুখের দ্বন্দ্বের কারণে তাকেও বারংবার  বিবিধ ষড়যন্তের ও বৈষম্যের শিকার হতে হয় এবং তাকে জুপিটার সুইমিং ক্লাবে স্থান প্রদান করা হয় না। পরবর্তীতে ক্ষিতীশ তাকে অ্যাপেলো ক্লাবে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে অমিয়া ও বেলার মতো অভিজ্ঞ সাঁতারুদের ক্ষোভ ও ঈর্ষার মুখে পরতে হয়। তাকে অপমান করে অমিয়া বলে, “কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা আমার পা ধোয়া জল খাবে।”

   চক্রান্ত করে কোনিকে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় প্রবেশাধিকার প্রদান করা হয় নি। ষ্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় কোনিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। এমনকি সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যেতে সম্মতি প্রদান করা হয় নি। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাসের চাপে তাকে বাংলা দলের সাথে নিয়ে যাওয়া হলেও জলে নামার সুযোগ প্রদান করা হয় নি। এমনকি সেখানে অমিয়া, হিয়া প্রমুখের কাছে তাকে বিনা অপরাধে অপমানিতও হতে হয়েছিল।

বঞ্চনাকে জয়ঃ

   কোনি তার অদম্য জেদ ও অধ্যবসায়কে সঙ্গী করে অবশেষে দেশের সেরা সাঁতারু রমা যোশিকে পরাজিত করে বাংলা দলকে দেশের সেরার শিরোপা অর্জনে সাহায্য করে তার জীবনের সকল দারিদ্র ও বঞ্চনার যোগ্য জবাব প্রদান করেছে। 

geography mock test

৭. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও: 

৭.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার –

(ক) বিশেষ্য পদ

(খ) বিশেষণ পদ

(গ) সর্বনাম পদ

(ঘ) অব্যয় পদ

উত্তরঃ (ঘ) অব্যয় পদ

৭.২ ‘বিভক্তি কখনোই লুপ্ত হয় না –

(ক) কর্মকারকে

(খ) করণ কারকে

(গ) সম্বন্ধ পদে

(ঘ) কর্তৃকারকে

উত্তরঃ (ক) কর্মকারকে

৭.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো –

(ক) হইতে

(খ) কর্তৃক

(গ) জন্য

(ঘ) গুলি

উত্তরঃ (ঘ) গুলি

৮. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করোঃ

ভোজ্যবস্তু = ভোজ্যের বস্তু – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

পোশাক-পরিচ্ছদ = পাশোক ও পরিচ্ছদ – দ্বন্দ্ব সমাস

সন্ধ্যাহ্নিক = সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্নিক – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

geography mock test

৯. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করোঃ 

লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট-দলের।

ভারতীয় ক্রিকেটের এক সোনালি দিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ২২শে আগষ্ট, লন্ডনঃ লর্ডস টেস্টে ঐতিহাসিক জয়লাভ করলো ভারতীয় দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পঞ্চম দিন এক অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নিলো বিরাট বাহিনী। মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরার ৮৯ রানের পার্টনারশিপ সফরকারী দলকে মজবুত ভিত প্রদান করেছিলো। অর্ধশত রানের এক লড়াকু ইনিংস উপহার দেন মহম্মদ শামি৷  

ইংল্যান্ডের ২৭ রানের লিড বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ২৭২ রানের এক ফাইটিং টার্গেট প্রদান করে রবি শাস্ত্রীর দল। তবে ঘরের মাঠে  রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে। জো রুট ও জস্‌ বাটলার কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ১২০ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৬১ রানের সুবিশাল জয় ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিনের সমাপ্তি ঘটায়।   

১০. বঙ্গানুবাদ করোঃ 

Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.

উত্তরঃ  বাড়ি হ’ল প্রথম স্কুল যেখানে শিশু তার প্রথম পাঠ শেখে। সে দেখে, শুনে এবং শিখতে শুরু করে বাড়িতেই। বাড়িই তার চরিত্র গঠন করে। একটি ভাল বাড়িতে সৎ এবং স্বাস্থ্যবান মানুষ তৈরি হয়। 

sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?