পিতামাতার প্রতি কর্তব্য প্রবন্ধ

পিতামাতার প্রতি কর্তব্য প্রবন্ধ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত প্রবন্ধ রচনা প্রদান করা হবে। আজকে আমরা আলোচনা করবো পিতামাতার প্রতি কর্তব্য প্রবন্ধ প্রবন্ধ রচনাটি সম্পর্কে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

পিতামাতার প্রতি কর্তব্য প্রবন্ধঃ 

ভূমিকাঃ

সন্তানের কাছে পিতামাতার স্থান অনেক উঁচুতে। সংস্কৃতিতে বহুল প্রচলিত একটা উক্তি আছে- ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।’ হাদিস শরীফে বলা হয়েছে- ‘জননীর পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’। পৃথিবীর সব ধর্মে বা নীতি শাস্ত্রে পিতামাতার স্তুতি ও মহত্ত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মাতাপিতার তুল্য গুরুজন আর কেউ নেই। তাদের সন্তুষ্টি বিধান করা প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য।

পিতামাতার স্থানঃ

সন্তানের কাছে স্রষ্টার পরেই পিতামাতার আসন। মা অতি কষ্টে দশ মাস সন্তানকে নিজ গর্ভে ধারণ করেন। ভূমিষ্ঠ হবার পরও মায়ের কোলই হয়ে ওঠে সন্তানের বড় আশ্রয়স্থল। শত বিপদে-আপদেও বাবা-মা অতি যত্নে সন্তানকে লালন-পালন করেন। রোগে, শোকে, বিপদে আগলে রাখেন প্রিয় সন্তানকে। তাদের থাকা-খাওয়া, লেখাপড়া, পোশাক, চিকিৎসা ইত্যাদি সব দায়িত্বই মাথায় তুলে নেন বাবা-মা। সন্তানের মঙ্গল কামনায় অনেকেই জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন। সম্রাট বাবর পুত্র হুমায়ুনের জীবন রক্ষার জন্য নিজ জীবন উৎসর্গের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বর্তমান যুগে খুবই বিরল ঘটনা। এমন পিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

পিতামাতার প্রতি কর্তব্যঃ

সন্তান যতই বড় হোক না কেন পিতামাতার কাছে সে ছেলেবেলার ছোট্ট সন্তান মাত্র। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা যখন অসুস্থ কিংবা অচল হয়ে পড়েন তখন সন্তানের উচিত বাবা-মার যথার্থ যত্ন ও সেবা করা। পৃথিবীর ইতিহাসে যাঁরা দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন তারা সবাই পিতামাতার ভক্ত ছিলেন। হাজী মোহাম্মদ মহসিন, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্দুল কাদের জিলানি, আলেকজাণ্ডার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তির নমুনা আজও চির অমলিন হয়ে আছে।

উপসংহারঃ

পিতামাতার প্রতি আনুগত্য সন্তানের চরিত্রকে মহীয়ান করে তোলে। যে পিতামাতার কারণে সন্তান পৃথিবীর রূপ, রস, সৌন্দর্য উপভোগ করছে, তার চেয়ে আপনজন আর কেউ হতে পারে না। যে কারণে একজন আদর্শ সন্তান হিসেবে পিতামাতার আদেশ-নির্দেশ পালন করা একান্ত কর্তব্য। এছাড়া, তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি কটূ ও কর্কশ ব্যবহার পরিহার করা উচিত। আজকের সন্তান ভবিষ্যতে একদিন পিতা-মাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন – এই সত্যটি সবসময় মনে রাখা দরকার।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?