Class Six Model Activity Task Bengali
January, 2022
ষষ্ঠ শ্রেণি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
জানুয়ারি, ২০২২
করোনা পরিস্থিতিতে যখন দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ তখন শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা গ্রহণ অব্যাহত রাখতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে নতুনভাবে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে তাদের জন্য মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলি খাতায় লিখে তাদের বিদ্যালয়ের নির্দেশানুসারে নিজস্ব বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলির সমাধানের সুবিধার্থে সহায়তা প্রদান করা হলো।
১) ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ ১*৩=৩
১.১) খোলের মধ্যে বোঝাই করা রয়েছে- ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
১.২) নদীর ধারে রয়েছে- গ) একটি বড়ো নৌকো
১.৩) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি কাব্যগ্রন্থ হলো- ক) নীল নির্জন
২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ১*৩=৩
২.১) ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ হল দ্বিপ্রহরে বা মধ্যাহ্নে।
২.২) ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে কী দেখছে?
উত্তরঃ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে দেখেছে যে আকাশটাকে ছুঁয়ে মেঘগুলো ভেসে চলেছে।
২.৩) ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’ টি কী দিয়ে প্রস্তুত?
উত্তরঃ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’-টি নরম ঘাস দিয়ে প্রস্তুত।
শিক্ষালয়ের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করো News Letter অংশে
৩) নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ ৩*৩=৯
৩.১) ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘অশ্বত্থ’ গাছটিকে ‘পথিকজনের ছাতা’ বলা হয়েছে কেন?
উৎসঃ
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলে অভিহিত করেছেন।
মন্তব্যের কারণঃ
ছাতা আমাদের রোদ-জল থেকে রক্ষা করে। পথিকজন যখন দীর্ঘ ক্লান্তিকর পথ অতিক্রম করে অবসন্ন অবস্থায় গাছের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন তাদের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কবিতায় বর্ণিত অশ্বত্থ গাছটি তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে পথিকদের জন্য প্রাকৃতিক ছাতার ভূমিকা পালন করেছে। তাই কবি তার অনবদ্য কবিত্বগুণে যথার্থ উপমায় অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলে অভিহিত করেছেন।
৩.২) ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় নদীর ধারের চিত্রটি কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?
উৎসঃ
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” নদীর ধারের এক অপরূপ রূপচিত্র অঙ্কন করেছেন।
নদীর ধারের চিত্রঃ
নদীর ধারে নির্জন দুপুরের বাতাস আছড়ে পরেছে। কবি প্রত্যক্ষ করেছেন যে, নদীর ধারে কাদের বড়ো নৌকাটি বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। আর সেই নৌকার খোলের মধ্যে বোঝাই করা রয়েছে শুকনো খরের আঁটি। দুরের পথে পারি দিতেই যেনো সেই নৌকাটি অপেক্ষা করছে বলে কবির মনে হয়েছে। আর জনহীন পরিবেশে বাতাস সাদা মিহিন ধূলো উড়িয়ে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
৩.৩) ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন / ঘুমোচ্ছে এইখানে’- কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন?
উৎসঃ
কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “ভরদুপুরে” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
কবির ভাবনাঃ
কবি নির্জন দুপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনে করেছেন, যেন বিশ্বভুবন মানুষের সাথেই আঁচল পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কবির ভাবনার কারণঃ
দুপুরবেলার নির্জন প্রাকৃতিক দৃশ্য কবিকে মুগ্ধ করেছে। আলস্য ও নির্জনতার সাগরে যেন কবির মন ডুব দিয়েছে। তাঁর মনে হয়েছে শুধু মানুষ নয়, সমগ্র বিশ্বভুবন যেন এই অলস দুপুরে আঁচল পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
শিক্ষালয়ের শিক্ষাজগতে স্বাগত
৪) নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ ৫
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার যে অলস দুপুরের ছবি ফুঁটে উঠেছে তার পরিচয় দাও।
উৎসঃ
কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “ভরদুপুরে” কবিতায় অলস দুপুরের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
অলস দুপুরের চিত্রঃ
নির্জন দুপুরে ক্লান্ত পথিকের ছাতার মতো ছায়া প্রদান করে চলেছে অশ্বত্থ গাছটি। দূরে মাঠে রাখালের আনা গরুগুলি চরে বেড়াচ্ছে। আর রাখাল বালক যেন গাছের ছায়ার নীচে ঘাসের গালিচায় শুয়ে শুয়ে আকাশের বুকে ভেসে চলা মেঘেদের দেখছে। জনশূন্য নদীর ধারে খোলের মধ্যে শুকনো খড় নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বড়ো নৌকাটি। আর মৃদু-মন্দ বাতাসে উড়ছে মিহি সাদা ধুলো। এই অলস দুপুরে সকলে নিজের গৃহে ঘুমিয়ে রয়েছে। আর কবির মনে হয়েছে তাদের সাথে যেন বিশ্বপ্রকৃতিও আঁচল পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
গ্রামবাংলার অলস দুপুরের এই ছবিই কবি তাঁর এই কবিতায় তুলে ধরেছেন।
সকল শ্রেণির অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২ দেখতে ক্লিক/টাচ করো নিম্নের ছবিতে
শিক্ষার্থীরা নিম্নে প্রদান করা লিংকগুলি থেকে তাদের নির্দিষ্ট শ্রেণির বিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা, নোট, ভিডিও, প্রশ্নসম্ভার, মক টেষ্ট প্রভৃতি সকল প্রকার শিক্ষামূলক সুবিধাগুলি গ্রহণ করতে পারবে।