class nine bengali notes

নবম শ্রেণি বাংলা বিষয়ের অন্তর্গত “হিমালয় দর্শন” প্রবন্ধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়ে থাকে। নিয়মিত আপডেট লাভ করতে News Letter বিভাগে সাবস্ক্রাইব করো।

হিমালয় দর্শন- বেগম রোকেয়া

১) ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে পার্বত্যপথে লেখিকার রেলগাড়িতে যাত্রার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখো।   ৫

উৎসঃ

   নারীবাদী চেতনায় উদবুদ্ধ মহীয়সী রমণী “বেগম রোকেয়া” রচিত “কূপমণ্ডূকের হিমালয় দর্শন” নামক ভ্রমণকাহিনি, যা ১৩১১ বঙ্গাব্দে “মহিলা” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, থেকে আমাদের পাঠ্য “হিমালয় দর্শন” গদ্যাংশটি চয়ন করা হয়েছে।

 হিমালয় দর্শন থেকে গুরুত্বপূর্ণ নোট দেখতে ক্লিক করো 

লেখিকার রেলগাড়ি যাত্রার অভিজ্ঞতাঃ

   লেখিকার শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে হিমালয় রেল রোড থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ি করে পার্বত্যপথে রেল-যাত্রার যে অপরূপ বর্ণনা আমরা লাভ করি তা আমাদের মোহিত করে।

   আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে যাত্রাকালে লেখিকা সুউচ্চ পর্বতচূড়া, নিবিড় অরণ্য, সবুজ ঘেরা চায়ের বাগান দুচোখ ভোরে দর্শন করেছেন। হিমালয়ান রেলগাড়ির পরিচয় দিতে গিয়ে লেখিকা জানিয়েছেন, গাড়িগুলি এতোই ছোট যে, চলন্ত গাড়ি থেকেও ওঠানামা করা যায়।

   সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উচ্চে উঠেও লেখিকার মনে হয়েছে- “এখনও শীত বোধ হয় না, কিন্তু মেঘের ভেতর দিয়া চলিয়াছি।” নীচু  উপত্যকায় কুয়াশাকে লেখিকার নদী বলে মনে হয়েছে। পর্বতের বুকে চা-বাগানগুলি দেখে তাঁর অনুভূতি- “হরিদ্বর্ণ চায়ের ক্ষেত্রগুলি প্রাকৃতিক শোভা আরও শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে।” চা-বাগানের মধ্য দিয়ে মানুষের পায়ে চলা পথগুলিকে তিনি “ধরণীর সীমন্তের ন্যায়” বলে অভিহিত করেছেন।

   পার্বত্যপথে জল ভরার জন্য যখন তাদের রেলগাড়ি একটি জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়িয়েছে তখন লেখিকার হৃদয় তার সৌন্দর্যে বলে উঠেছে- “আমাদের মনোরথ পূর্ণ হইল।”

   এইরূপে আমরা লেখিকার অনবদ্য বর্ণনাগুণে তাঁর পার্বত্যপথে রেলযাত্রার চিত্রময় বর্ণনা লাভ করি।

 

নবম শ্রেণির অন্যান্য বাংলা নোটগুলি দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page