পাগলা গণেশ সপ্তম শ্রেণি
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বিষয়ের অন্তর্গত ‘পাগলা গণেশ সপ্তম শ্রেণি’ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘পাগলা গণেশ সপ্তম শ্রেণি’ দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
পাগলা গণেশ সপ্তম শ্রেণিঃ
উৎসঃ
কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি অবলম্বন করে আধুনিক যুগের বিশিষ্ট লেখক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” এক গল্পগ্রন্থ রচনা করেছেন, যার নাম “পাগলা গণেশ”। আর আমাদের পাঠ্য “পাগলা গণেশ” গল্পটি তাঁর এই গল্পগ্রন্থের একটি প্রধান গল্প।
বিষয়সংক্ষেপঃ
এই গল্পে ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে। ৩৫৮৯ সালে বিজ্ঞান নির্ভর এক কল্পিত পৃথিবীর কথা গল্পকার আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এক বিশেষ ধরণের মলম আবিষ্কৃত হওয়ায় মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাধাকে অতিক্রম করে তাদের সাম্রাজ্য সুদূর এভারেষ্ট পর্যন্ত বিস্তার করেছে। এমনকি অন্যান্য নক্ষত্রপুঞ্জেও মানুষ তাদের কৌতুহলী দৃষ্টি নিয়ে ছুটে গিয়েছে। পৃথিবীতে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হওয়ার ফলে আর কেউ মারা যাচ্ছে না। সবাই বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছে। নাচ, গান, কবিতা প্রভৃতি সকল সুকুমার মনোবৃত্তি মানুষ হারিয়ে ফেলে বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় যেনো যন্ত্রমানব হয়ে উঠেছে।
ঠিক এইরূপ পরিস্থিতিতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গণেশ হিমালয়ের কোলে বসে সাংস্কৃতিক চর্চায় মেতে ওঠেন। তিনি কবিতা লিখে বাতাসে ভাসিয়ে দিতে থাকেন, আনন্দের গান করে, ছবি এঁকে সকলের মনে হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলিকে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে চান। তার এই প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে আকৃষ্ট হন তারই এক প্রাক্তন ছাত্র, যিনি বর্তমানে একজন পুলিশ। তিনি গণেশের কথায় উদবুদ্ধ হয়ে প্রথমে তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। তারাও গণেশের কথায় প্রবলভাবে আকর্ষিত হয়ে ওঠেন। এরপরে তিনি তাঁর অন্যান্য পুলিশ বন্ধুদের আনতে শুরু করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আসেন। তিনি গণেশকে জানান যে, গণেশের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পৃথিবী জুড়ে সবাই আবার গান গাইছে, কবিতা লিখছে, ছবি আঁকছে। আর তখন গণেশ বুঝতে পারেন যে, পৃথিবীটা হয়তো যান্ত্রিক হয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
পাগলা গণেশ গল্পের প্রশ্নের উত্তরঃ
১) সঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ
১.১) পাগলা গণেশ একটি কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক গল্প।
১.২) ‘অবজার্ভেটরি’-র বাংলা প্রতিশব্দ নিরীক্ষণাগার।
১.৩) সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিল।
১.৪) গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল ৩৪৩৯ সালে।
পাগলা গণেশ গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর সমাধান করতে এই লেখাটিতে ক্লিক/টাচ করো
২) সংক্ষেপে উত্তর দাওঃ
২.১) “সালটা ৩৫৮৯”- এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
গল্পে উল্লিখিত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহঃ
কল্পবিজ্ঞানের উপর আধারিত গল্পে গল্পকার জানিয়েছেন যে, ৩৫৮৯ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কৃত হবে। এরফলে বিবিধ প্রকার উড়ানযন্ত্র আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। ৩৪৩৯ সালের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় টনি আবিষ্কার করে ফেলায় মানুষ অমর হয়ে উঠবে। সূর্যের আরো দুটি গ্রহ মানুষ আবিষ্কার করে সিদ্ধান্ত নেবে যে, সূর্যের আর কোনো গ্রহ নেই। হিমালয়ের শৃঙ্গের পাশাপাশি মানুষ চা৬দ, মঙ্গল, শুক্র গ্রহেও তাদের ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে সক্ষম হবে। এমনকি মানুষ অন্যান্য নক্ষত্রপুঞ্জের উদ্দেশ্যেও যাত্রা করবে।
২.২) “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না”- ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে সত্যিই তোমার ‘অনাবশ্যক’ বলে মনে হয় কি?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
অনাবশ্যক ভাবাবেগের পরিচয়ঃ
উদ্ধৃত অংশে অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে বিবিধ সাংস্কৃতিক মননশীলতা, যেমন- কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, সিনেমা, গান, নাটক প্রভৃতির চর্চা করার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আমার মতামতঃ
বিজ্ঞানকে অধিক প্রাধান্য দিয়ে যখন মানুষ যান্ত্রিক হয়ে ওঠে তখন তার কাছে আবেগের কোনো মূল্য থাকে না। আলোচ্য গল্পেও আমরা তার প্রতিফলন লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যে, আবেগ হারিয়ে ফেললে মানুষ তার প্রকৃত অস্তিত্বকেই হারিয়ে ফেলবে। মানবিকতাকে বাঁচিয়ে রাখতে তাই আমাদের অন্তরের আবেগকে কখনোই মুছে ফেললে চলবে না। কবিতা, গান, নাটক, সিনেমা, ছবি আঁকার মধ্যে দিয়েই মানুষের সুকুমার মনোবৃত্তিগুলি প্রকাশিত হয়। আর তাই এগুলি চর্চা করা কখনোই অনাবশ্যক নয়।
২.৩) “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”- মানুষের মন থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিসমূহঃ
আলোচ্য গল্প থেকে আমরা জানতে পারি যে, ৩৫৮৯ সালে বিজ্ঞানকে অধিক গুরুত্ব দিতে গিয়ে মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে সৌন্দর্য, দয়া, মায়া, প্রেম, ভালোবাসা, করুণা প্রভৃতি সকল মানবীয় অনুভূতিসমূহ।
২.৪) “ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে”- ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ‘ব্যতিক্রম’ হয়ে উঠেছিলেন?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
ব্যতিক্রমী মানুষঃ
উদ্ধৃত অংশে ব্যতিক্রমী মানুষ বলে গল্পের কেন্দ্রীয় বা প্রধান চরিত্র গণেশকে বোঝানো হয়েছে।
তার ব্যতিক্রম হয়ে ওঠার স্বরূপঃ
৩৪৩৯ সালে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হবার পর থেকে অন্য সকল মানুষের মতোই গণেশও অমর হয়ে উঠেছেন। বিজ্ঞানসর্বস্ব মানুষ তাদের জীবন থেকে প্রেম, ভালোবাসা, মায়া, মমতা প্রভৃতি গুণাবলীগুলিকে অনাবশ্যক বলে মনে করে দূর করে দিয়ে যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে।
ঠিক এইরুপ পরিস্থিতিতে গণেশ তার একক প্রচেষ্টায় পৃথিবীকে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। বিজ্ঞান নির্ভর সভ্যতা থেকে অনেক দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায় অবস্থান করে গণেশ কবিতা লিখতে থাকেন, ছবি আঁকতে শুরু করেন। এমনকি তিনি নিজের আনন্দেই গান করতে শুরু করেন। এভাবেই হারিয়ে যেতে বসা সুকুমার মনোবৃত্তিগুলিকে পুনরায় মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেবার প্রচেষ্টার শুভ সূচনা করেছিলেন। আর তাই প্রশ্নোক্ত অংশে তাকে ব্যতিক্রমী বলে সম্বোধিত করা হয়েছে।
২.৫) “ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”- কার উদ্দেশ্যে কারা এ কথা বলেছিল? কোন্ কাজকে তারা ‘বিকট শব্দ’ মনে করেছিল?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
মন্তব্যের বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি ‘পাগলা গণেশের’ প্রতি দুজন পাখাওয়ালা লোক করেছিল।
বিকট শব্দের পরিচয়ঃ
পাগলা গণেশ পৃথিবীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে হিমালয়ের গিরিগুহায় বসে ছবি আঁকতে ও গান করতে শুরু করে। সেই সময় দুজন লোক আকাশযানে করে লাসা থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার সময় গণেশের গান দ্বারা আকর্ষিত হয়ে তার কাছে নেমে আসেন। কিন্তু সুদীর্ঘকাল গান না শোনার ফলে তারা গণেশের গানের কোনো অর্থই বুঝতে সক্ষম হয় না। ফলত তারা সেই গান শুনে বিরক্ত হয়ে ওঠে। সেই গানকে তাদের বিকট শব্দ বলেই মনে হয়।
২.৬) “গনেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে”- গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
গণেশ যাদের মুখশ্রী ভুলে গেছেঃ
গল্প ঘটনা অনুসারে জানা যায় যে, গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিলো। গণেশ তাদের মুখশ্রী সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিল বলে প্রশ্নোক্ত অংশে জানানো হয়েছে।
তাঁর ভুলে যাবার কারণঃ
মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হওয়ায় মানুষ অমর হয়ে উঠেছে। তার ফলে একদা কৃতী বিজ্ঞানী গণেশ আজ সব পরিত্যাগ করে যখন হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে তখন সে তার তিন ছেলে ও এক মেয়েকে সুদীর্ঘকাল ধরে না দেখার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মুখশ্রী ভুলে গিয়েছে। অর্থাৎ দীর্ঘকাল অদর্শনই তার এই বিস্মৃতির কারণ।
২.৭) “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল”- কে কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সন্মান জানানোর কারণটি কী?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত কথাগুলি বলেছে গল্পে বর্ণিত একজন পুলিশম্যান।
বক্তব্যঃ
সেই পুলিশম্যানটি গণেশকে সসন্মানে অভিবাদন জানিয়ে তার পাহাড়ময় কাগজ ছড়িয়ে দেবার কারণ জানতে চেয়েছিল। সে আরো জানতে চেয়েছিল যে, সেটি গণেশের কোনো নতুন গবেষণা কিনা।
সন্মান জানানোর কারণঃ
অনেক দিন আগে যখন গণেশ কলকাতায় সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন, তখন সেই পুলিশম্যান তার ছাত্র ছিলো। তাই যখন সে পিপে নিয়ে গণেশের সামনে নেমে আসে তখন তাকে চিনতে পেরে সন্মান জানিয়ে তাকে ‘স্যার’ বলে অভিবাদন জানায়।
২.৮) “আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি”- বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল কি?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তার প্রয়াসঃ
বক্তা অর্থাৎ গণেশ গান গেয়ে, ছবি এঁকে, কবিতা লিখে পৃথিবীকে বাঁচানোর প্রয়াস করছিলেন।
প্রয়াসের ফলাফলঃ
গণেশের সেই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল বলেই গল্পের শেষাংশে আমরা জানতে পারি। তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল পুলিশম্যানের মা ও স্ত্রী, সেই পুলিশম্যানও তার অন্যান্য সহকর্মীদের তার কাছে নিয়ে আসেন। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশকে জানান যে, সমগ্র পৃথিবীবাসী গণেশের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গান করছে, ছবি আঁকছে ও কবিতা লিখছে। তাই বলা যায়, তার প্রয়াস সার্থক হয়ে উঠেছিল।
২.৯) “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”- একানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে ‘লোকটা’ বলতে গণেশের প্রাক্তন ছাত্র পুলিশম্যানকে বোঝানো হয়েছে।
বক্তার মন্তব্যঃ
গণেশের কবিতা পড়ে সেই পুলিশম্যান অসহায়ভাবে বলেছিলেন যে, তিনি কিছুই বুঝতে পারেন নি।
অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণঃ
সেই পুলিশম্যান যখন পড়াশোনা করতেন তখন তাদের কবিতা পড়ানো হতো না; তাদের শুধুমাত্র বিজ্ঞানচর্চা করতে হতো। তাই গণেশের লেখা কবিতার কোনো অর্থই তিনি উপলব্ধি করতে পারেন নি। আর তাই তিনি অসহায়ভাবে মাথা নেড়েছিলেন।
২.১০) “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল”- এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী?
উৎসঃ
বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
তিনজনের পরিচয়ঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে তিনজন বলতে গণেশের প্রাক্তন ছাত্র পুলিশম্যান, তার মা ও স্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে।
তাদের মুগ্ধতার কারণঃ
পুলিশম্যানের মা ও স্ত্রীকে দেখে আনন্দিত গণেশ তাদের কবিতা শোনান, গান গেয়ে শোনান এবং ছবিও এঁকে দেখান। গণেশের এই সকল সুকুমার মনোবৃত্তি তাদের হৃদয় আকর্ষণ করে। তারা গণেশের কবিতা ও গান শুনে এবং ছবি দেখে খুব আনন্দিত হন। এরফলে তারা গণেশের সম্মুখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে থাকেন।
৪) অর্থ অপরিবর্তিত রেখে শব্দের পরিবর্তনঃ
অনাবশ্যক= অপ্রয়োজনীয়
ঠাট্টা বিদ্রুপ= রঙ্গরসিকতা
দুনিয়াটা= জতৎটা
বিমান= উড়োজাহাজ
ডেরায়= আস্তানায়
সসম্ভ্রমে= সসন্মানে
মকসো= অভ্যাস
নির্জন= জনহীন
বিটকেল= বিকট
৫) এককথায় প্রকাশঃ
মহান যে সচিব= মহাসচিব
প্রতিরোধ করে যে= প্রতিরোধকারী
গতিবেগ আছে যার= গতিশীল
মৃত্যুকে জয় করেছে যে= মৃত্যুঞ্জয়
অন্ত নেই যার= অনন্ত
৬) সন্ধি বিচ্ছেদঃ
মাধ্যাকর্ষণ= মাধ্য+আকর্ষণ
আবিষ্কার= আবিঃ+কার
মৃত্যুঞ্জয়= মৃত্যুম+জয়
অনাবশ্যক= অন্+আবশ্যক
গবেষণা= গো+এষণা
অন্তরীক্ষ= অন্তঃ+ঈক্ষ
গণেশ= গণ+ঈশ
হিমালয়= হিম+আলয়
নির্জন= নিঃ+জন
গবেষণাগার= গো+এষণা+আগার
পরীক্ষা= পরি+ঈক্ষা
৭) সমার্থক শব্দঃ
কৃত্রিম= মেকি, জাল, নকল
পৃথিবী= বিশ্ব, জগৎ, অবনী
আন্দোলন= প্রতিবাদ, আলোড়ন, বিক্ষোভ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ