করণকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ব্যাকরণ থেকে নিয়মিত বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত পোষ্টে আমরা আলোচনা করেছিলাম কর্মকারক ও তার বিবিধ শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে। আজকে আমরা আলোচনা করবো করণ কারক ও তার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে।
করণকারকঃ
কর্তা যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ বলে। করণ বাচক পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের যে সম্পর্ক তাকেই করণ কারক বলে।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার করণকারকের সংজ্ঞাসহ উদাহরণ দেওয়া হল-
(ক) উপলক্ষণ বা লক্ষণাত্মক করণঃ
যে করণ বাচক পদটি কোনো লক্ষণ বা চিহ্ন হিসেবে প্রযুক্ত হয় তাকে লক্ষণাত্মক করণ বলে।
যেমনঃ
১. কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত।
২. চোখে মানুষের মন বোঝা যায়।
৩. পোশাকে ভদ্রলোক চেনা যায়।
(খ) কালাত্মক করণঃ
কাল বা সময়ের সঙ্গে বাক্যের ক্রিয়াপদের করণ সম্পর্ক স্থাপিত হলে উক্ত করণ বাচক পদকে কালাত্মক করণ বলা হয়।
যেমনঃ
১. সরকারি অফিসে আঠারো মাসে বছর হয়।
২. সাত দিনে এক সপ্তাহ হয়।
৩. তিরিশ দিনে এক মাস হয়।
(গ) হেতুবাচক করণঃ
করণ বাচক পদটি যদি ক্রিয়াপদের কারণ বা হেতু হিসেবে প্রতিপন্ন হয় তবে তাকে হেতুবাচক বা হেত্বর্থক করণ বলে।
যেমনঃ
১. লোকটা ঋণে জর্জরিত।
২. দাদু শোকে শয্যাশায়ী হয়ে গেছে।
৩. আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম।
(ঘ) যন্ত্রাত্মক করণঃ
করণ বাচক পদটি যদি হয় ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, তবে উক্ত করণকে যন্ত্রাত্মক করণ বলা হয়।
যেমনঃ
১. এই কলমে লেখা যায়না।
২. তুমি চশমা দিয়ে দেখো।
৩. ছেলেটি লাঠি দিয়ে গরু-মোষ তাড়াচ্ছে।
(ঙ) সমধাতুজ করণঃ
যদি কোনো বাক্যের করণ বাচক পদ এবং ক্রিয়াপদ একই ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হয় তখন তাকে সমধাতুজ করণ বলে।
যেমনঃ
১. যে বাঁধনে বেঁধেছ।
২. লেখনি দিয়ে লেখা হয়।
৩. লোকটি কাটারি দিয়ে এক বোঝা কাঠ কাটল।
কারক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার লিঙ্কসমূহঃ
২) বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য
৪) কর্তৃকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ