প্রবন্ধ রচনাঃ সত্যজিৎ রায়

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ‘প্রবন্ধ রচনাঃ সত্যজিৎ রায়’ প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই প্রবন্ধ রচনাটি তৈরি করতে পারো।   

পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে। 

 

প্রবন্ধ রচনাঃ সত্যজিৎ রায়

ভূমিকা:

পৃথিবী যে সকল অনন্য প্রতিভা ভারতবর্ষের মাটিতে জন্ম গ্রহণ করে এই মহান ভূমিকে ধন্য করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন শ্রী সত্যজিৎ রায়। বাংলা তথা ভারতবর্ষের এই মহান সন্তানটিকে কোন একটি অভিধায় অভিহিত করা যায় না। একই আধারে এই মানুষটি ছিলেন বহু গুণের সমাহার। ছেলেবেলা থেকেই তার মধ্যে লুকিয়ে ছিল অনন্ত সম্ভাবনা, পরবর্তীতে যা বিকশিত হয়েছিল দানবীয় প্রতিভার দ্বারা।

অদ্ভুত সৃজনশীল এই মানুষটি নিজের অসীম চিন্তন ক্ষমতার দ্বারা যে সকল সৃষ্টি পৃথিবীকে উপহার দিয়ে গিয়েছেন তার সবগুলি এককথায় অনবদ্য। সত্যজিৎ রায় একাধারে চিত্রনাট্যকার চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক তথা আলোকচিত্রশিল্পী। জীবনে তিনি যা কিছুই করেছেন সেই সব গুণেরই পূর্ণ সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে।

 

পরিবারের ইতিহাস:

সত্যজিৎ রায়ের জীবনের দিকে আলোকপাত করার পূর্বে তার পরিবার সম্পর্কে দু-এক কথা না বলে নিলে তার জীবন সম্পর্কে আলোচনার বৃত্তটি সম্পূর্ণ হয় না। তাকে নিয়ে আধুনিক গবেষণার ফলে তার পূর্ব পুরুষেরা রায় ১০ প্রজন্ম অতীত পর্যন্ত বর্তমানে খুঁজে বার করা সম্ভব হয়েছে।

যতদূর জানা যায় রায় পরিবারের আদি পুরুষ শ্রী রামসুন্দর দেব নিজেদের আদি বাসস্থান নদীয়া থেকে ভাগ্যান্বেষণে পূর্ববঙ্গে গমন করেন এবং যশোদলের এক জমিদার পরিবারে তার বিবাহ হয়। পরবর্তীকালে তার বংশধরেরা যশোদল ছেড়ে গিয়ে মসূয়া গ্রামে বসবাস শুরু করেন।

এই গ্রামেই জন্ম হয় রায় পরিবারের প্রথম উজ্জ্বল নক্ষত্র সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর। সত্যজিতের মতন উপেন্দ্রকিশোর একজন বহুমুখী প্রতিভা ছিলেন। সত্যজিতের পিতা সুকুমার রায়ের জন্মও এই গ্রামে।

 

জন্ম ও ছেলেবেলা:

গ্রাম থেকেই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুত্র সুকুমারকে নিয়ে কলকাতা শহরে চলে আসেন। সুকুমার রায়ের কর্মভূমিও এই কলকাতা শহর। ১৯২১ সালের ২ই মে পিতা সুকুমার রায় এবং মা সুপ্রভা দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন শ্রী সত্যজিৎ রায়। তিনি ছিলেন তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান।

মাত্র তিন বছর বয়সেই পিতা সুকুমার রায়ের জীবনাবসান ঘটে। ছেলেবেলা থেকেই বাড়ির সাংস্কৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় অবগত ছিলেন। চারুকলার প্রতি আগ্রহ তার অল্প বয়স থেকেই গড়ে উঠেছিল। ছেলেবেলা থেকেই পিতা ও ঠাকুরদার বিভিন্ন লেখা, শখের ফটোগ্রাফি ইত্যাদি নিয়ে তিনি চর্চা শুরু করেন।

 

শিক্ষাজীবন:

সত্যজিৎ রায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল কলকাতার একটি সাধারণ স্থানীয় সরকারি বিদ্যালয়ে। ছেলেবেলা থেকেই চারুকলার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা থাকলেও তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীকালে ১৯৪০ সাল নাগাদ মাতা সুপ্রভা দেবীর বিশেষ অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্য শিল্প সম্পর্কে অধ্যায়নের উদ্দেশ্যে তিনি পড়তে যান।

এইখান থেকে প্রাচ্য শিল্পের প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে বিশেষত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু এবং বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের থেকে জ্ঞানলাভ করে সত্যজিৎ রায় সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। যদিও ১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ অসমাপ্ত রেখেই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন।  

 

কর্মজীবন:

প্রথাগত গণ্ডির বাইরে নিজের মূল কর্মজীবন কাটালেও সত্যজিৎ রায় এই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি কর্পোরেট সংস্থায় চাকরির মাধ্যমে। শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি নিজের কর্মজীবনের সূচনা লগ্নে প্রথম যোগ দেন একটি ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থার জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার পদে। ভিসুয়াল ডিজাইন বা চিত্রসজ্জার প্রতি অল্প বয়স থেকেই তারা আগ্রহ ছিল। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সিগনেট প্রেসের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এইখানেই সত্যজিৎ রায় প্রথম পেশাদারী ঢঙে বিভিন্ন ছবি আঁকার কাজ শুরু করেন।

 

চিত্রশিল্পী রূপে সত্যজিৎ:

শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করবার আগে পেশাদারী চিত্রশিল্পী রূপে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন। পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে সিগনেট প্রেসের হয়ে প্রথম তিনি ছবি আঁকার কাজ করেন। এসময় সত্যজিৎ মুক্তমনে ও শৈল্পিক স্বাধীনতায় মূলত সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত বইগুলির প্রচ্ছদ আঁকার কাজ করতেন।

এইসকল প্রচ্ছদের মধ্যে জিম করবেটের ম্যানইটার্স অফ কুমায়ুন এবং জহরলাল নেহেরুর দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া বইদুটির প্রচ্ছদ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রচ্ছদ ছাড়াও সত্যজিৎ রায় বইয়ের ভেতরকার বিভিন্ন ছবিও অংকন করতেন। পরবর্তীকালে নিজের লেখা বিভিন্ন বই এবং উপন্যাসের ক্ষেত্রেও তিনি এই রীতি বজায় রেখেছিলেন।

এক্ষেত্রে তার বিখ্যাত কালজয়ী কল্পবিজ্ঞান চরিত্রকে নিয়ে লেখা শঙ্কু সংকলনের ভেতরকার চিত্রগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া সত্যজিৎ সৃষ্ট বাঙালির কালজয়ী গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার জন্য আঁকা চিত্রগুলি বিশেষ মর্যাদার দাবি রাখে। এছাড়া তিনি যখন চলচ্চিত্র বানাতেন, তখন সেইসব চলচ্চিত্রের পোস্টারগুলিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি নিজেই ডিজাইন করতেন।

 

চিত্রপরিচালনার প্রতি আগ্রহ:

ভারতবর্ষ তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে সত্যজিৎ রায় যে পরিচয়টিতে সুপরিচিত তাহলো চিত্রপরিচালক। অল্প বয়স থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি সত্যজিৎ রায়ের বিশেষ আগ্রহ জন্মেছিল। ১৯৪৭ সালে কয়েকজন বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয়ে তিনি তৈরি করেন কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি।

এই সংগঠনটি তার সদস্যদের পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন উচ্চমানের চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ করে দিত। তাছাড়া বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাজে লন্ডনে কর্মরত থাকাকালীন সত্যজিৎ রায়ের বহু চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ হয়েছিল। এগুলির মধ্যে ইতালির ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে ছবিটি তার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এরপর ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হয় সত্যজিৎ রায়ের চিত্র পরিচালনার জীবন।

 

চিত্রপরিচালক জীবন:

সত্যজিৎ রায়ের প্রথম পথের পাঁচালীর দৃশ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ হতে পুঁজির অভাবে প্রায় তিন বছর লেগে যায়। তবে ১৯৫৫ সালে এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তার দেশে এবং বিদেশে অকুণ্ঠ প্রশংসা ও পুরস্কার লাভ করে। এরপর চিত্র পরিচালক সত্যজিৎকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পথের পাঁচালী সিরিজের আরো দুটি ছবি সত্যজিৎ রায় বানিয়েছিলেন। একত্রে এই তিনটি ছবিকে অপু ট্রিলজি নামে অভিহিত করা হয়।

তার চিত্র পরিচালনা জীবনে একাধিক ওঠাপড়া এসেছে, এসেছে ভাঙ্গা-গড়া। তিনি তাঁর ছবিতে বিভিন্ন নতুন ঘরানার ছোঁয়া নিয়ে এসেছেন। সত্যজিৎ রায় তার জীবনে মোট ৪৪টির নতুন ছবি পরিচালনা করেছেন। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘দেবী’, ‘চারুলতা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘নায়ক’, ‘আগন্তুক’ ইত্যাদি। এছাড়া চিত্রপরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ এবং ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবি দুটির কথাও অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়।

হীরক রাজার দেশে ছবিতে পরিচালক সত্যজিৎ-এর রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। সর্বোপরি নিজের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদাকে নিয়ে নির্মিত দুটি ছবিও এক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি ভাষায় সত্যজিৎ রায় ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ নামে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন।

প্রচলিত চিত্রপরিচালনা ছাড়াও সত্যজিৎ রায় তার জীবনে বেশকিছু তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছেন। এগুলির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতা সুকুমার রায়কে নিয়ে তৈরি করা তথ্য চিত্রগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তার জীবনের শেষ নির্দেশিত কাজটি হল পিকু নামের একটি তথ্যচিত্র।

 

সঙ্গীতজ্ঞ সত্যজিৎ: 

একজন গীতিকার হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের অবদানের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। কোন প্রথাগত সংগীত শিক্ষা না থাকলেও তার সংগীত বোধ ছিল অভূতপূর্ব। নিজের সকল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ তিনি নিজেই করতেন। ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তিনি যে অভিনব ঘরানার প্রচলন ঘটান তা ভারতীয় চিত্র পরিচালনার জগতে এক প্রকার আলোড়ন ফেলে দেয়।

রবিশঙ্করের মতন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীরাও সত্যজিৎ রায়ের তৈরি সঙ্গীত নিয়ে কাজ করেছেন। তার তৈরি হীরক রাজার দেশে ছবিতে ব্যবহৃত গানগুলি তার নিজেরই লেখা। এই গানগুলির ভাষা, সুর এবং আবেদন এতই অভূতপূর্ব যে এগুলি নিয়ে আধুনিক সঙ্গীত জগতেও বিশেষ চর্চা হয়ে থাকে।

sikkhalaya

সাহিত্যিক সত্যজিৎ:

চিত্র ও সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি সত্যজিৎ রায় ছিলেন বাংলা ভাষার একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। সহজ ভাষায় তথ্যসমৃদ্ধ তার অপূর্ব লেখনী বাঙালি পাঠককে আজও আপ্লুত করে। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা সারাবাংলা শ্রেষ্ঠ সাহিত্য গোয়েন্দার শিরোপা অর্জন করে নিয়েছে। ফেলুদাকে নায়ক করে তিনি মোট ৩৫টি গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এছাড়া বাংলা ভাষায় সম্ভবত তিনি প্রথম প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রকে সৃষ্টি করে অদ্ভুত সব কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী রচনা করেন। এগুলি ছাড়াও বহু ছোটগল্প এবং বড়গল্প তিনি লিখে গিয়েছেন।

 

প্রাপ্ত সম্মান এবং পুরস্কারসমূহ: 

নিজের অসামান্য সব কীর্তির জন্য সত্যজিৎ রায় তাঁর জীবনে লাভ করেছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের সরকারের তরফ থেকে তাকে প্রদান করা হয় ‘লেজিও দ্য অনার’ পুরস্কার।

১৯৮৫ সালে ভারতে তিনি লাভ করেন সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘দাদাসাহেব ফালকে’। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে সত্যজিৎ রায় কে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অনারারি অস্কার অ্যাওয়ার্ড দ্বারা ভূষিত করা হয়। ওই একই বছরে ভারত সরকারও তাকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ দ্বারা সম্মানিত করেন। সেই বছরই তার মৃত্যুর পর তাকে মরণোত্তর ‘আকিরা কুরোসাওয়া’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। 

 

ব্যক্তিগত জীবন:

দানবীয় প্রতিভা সম্পন্ন বাংলার মহান এই ব্যক্তিত্বটির ব্যক্তিগত জীবন ছিল আর পাঁচটা সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির মতোই ছাপোষা। তিনি আর পাঁচজন বাঙালির মতোই বই পড়তে ও আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন। তার পছন্দের পোশাক ছিল ফতুয়া ও পাজামা। ১৯৪৯ সালে দুরসম্পর্কের বোন ও দীর্ঘদিনের বান্ধবী বিজয়া দাসের সাথে সত্যজিৎ রায়ের বিবাহ হয়। চার বছর পর এই দম্পতির কোলে জন্ম হয় পুত্র শ্রী সন্দীপ রায়ের, যিনি বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক।

 

উপসংহারঃ  

বাংলার গর্ব এবং কৃতি সন্তান সত্যজিৎ রায়ের জীবনাবসান ঘটে ১৯৯২ সালে। তিনি তার জীবনের নানা কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নানা পরিচালক স্বীকার করে নিয়েছেন তাদের চলচ্চিত্র পরিচালনায় সত্যজিৎ রায়ের বিশেষ প্রভাব রয়েছে।

তার কর্মভূমি বাংলাতেও গৌতম ঘোষ, অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষের মতন পরিচালকেরা তাদের চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ রায়ের বিশেষ প্রভাবের কথা বার বার উল্লেখ করেছেন। তার মৃত্যুর পর ভারত সরকার ১৯৯৫ সালে চলচ্চিত্রবিষয়ক গবেষণার জন্য সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। বাংলা তথা ভারতবর্ষের এই মহান প্রতিভা তার জীবনের অমূল্য সব সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসীর হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকে যাবেন।

 

পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা ও PDF নোটের জন্য নিম্নের লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ 

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
100% Free SEO Tools - Tool Kits PRO

You cannot copy content of this page

Need Help?