কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নবম শ্রেণি বাংলাঃ চিঠি থেকে ‘কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু’-এই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নটি আসন্ন পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অন্যান্য অধ্যায়গুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে। 

নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে। 

 

১) “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু”- স্বামী বিবেকানন্দ মিস্‌ নোবেলকে ভারতে আসার আগে ভারতবর্ষের কোন্‌ কোন্‌ সমস্যার কথা বলেছেন?  ৫

উৎসঃ

   ১৮৯৭ খ্রিঃ জুলাই মাসে বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে যে দুটি পত্র লিখেছিলেন, তার মধ্যে ২৯ শে জুলাই লেখা ৩৭১ নং পত্রটিই আমাদের পাঠ্য “চিঠি” নামে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা এই প্রশ্নোক্ত উক্তিটির উৎস।

 

সমস্যার বর্ণনাঃ

   পরাধীন দেশের দুর্দশামুক্তির অভিপ্রায়ে, নারীজাতির উন্নতিকল্পে স্বামী বিবেকানন্দ মিস্‌ নোবেলকে ভারতবর্ষে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তার পাশাপাশি তাকে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতনও করেছেন।

   স্বামীজি মিস্‌ নোবেলকে জানিয়েছেন যে, তিনি ভারতবর্ষে এসে নিজেকে অর্ধ-উলঙ্গ অসংখ্য নরনারী পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখতে পাবেন। আর ভারতবাসীরা যে ইংরেজদের অনেকাংশেই এড়িয়ে চলেন তার পরিচয় প্রদান করতে গিয়ে তিনি পত্রে লিখেছেন- “ভয়েই হোক বা ঘৃণাতেই হোক- তারা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে এবং তারাও এদের খুব ঘৃণা করে।” তাই স্বামী বিবেকানন্দ মিস্‌ নোবেলকে সচেতন করে বলেছেন তার প্রতিটি পদক্ষেপকে ভারতবাসী সন্দেহের চোখে দেখবে।

   ইউরোপের সাথে ভারতবর্ষের জলবায়ুগত পার্থক্য পরিলক্ষণ করে গ্রীষ্মপ্রধান ভারতবর্ষ ও শহরের বাইরে ইউরোপীয় সুখ-স্বাছন্দ্যের অভাব সম্পর্কেও তিনি মিস্‌ নোবেলকে বারংবার সাবধান করেছেন- “এদেশের প্রায় সব জায়গার শীতই তোমাদের গ্রীষ্মের মতো; আর দক্ষিণাঞ্চলে তো সর্বদাই আগুনের হলকা চলছে।”

   স্বামী বিবেকানন্দ মিস্‌ নোবেলকে তার পত্রের মধ্য দিয়ে উল্লিখিত এই সকল সমস্যাগুলির প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

চিঠি- পাঠ্যাংশ থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ 

You cannot copy content of this page