একুশের কবিতা প্রশ্নের উত্তর

একুশের কবিতা প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তম শ্রেণি বাংলা ‘একুশের কবিতা প্রশ্নের উত্তর’ প্রদান করা হলো। এই ‘একুশের কবিতা প্রশ্নের উত্তর’ ভালো করে তৈরি করলে শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় বিশেষভাবে উপকৃত হবে।  

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

একুশের কবিতা প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) এই কবিতায় কিছু চন্দ্রবিন্দু-যুক্ত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। ‘কাঁপলো’ এবং ‘দাঁড়িয়েছেন’। প্রসঙ্গত দুটি শব্দই ক্রিয়া। চন্দ্রবিন্দু দিয়ে শুরু এমন পাঁচটি অন্য ক্রিয়া ব্যবহার করে পাঁচটি বাক্য লেখাে। একটি করে দেওয়া হল, হাঁটা।

উঃ

হাঁটা- হাঁটতে হাঁটতে সে ক্লান্ত হয়ে গেলো। 

বাঁচাল- ডাক্তার অনেক কষ্ট করে শিশুটির প্রাণ বাঁচাল। 

কাঁদল- পড়া করে না আসায় শিক্ষকের ভয়ে শিক্ষার্থীটি কাঁদল। 

ঝাঁপাল- তাকে দেখে পোষা কুকুরটি কোলে ঝাঁপালো। 

খোঁচাল- বন্ধুকে রাগিয়ে দেবার জন্য সে তাকে খোঁচাল। 

২) ‘রব’ শব্দটিকে একবার বিশেষ্য এবং একবার ক্রিয়া হিসেবে দুটি আলাদা বাক্যে ব্যবহার করে দেখাও।

উঃ

রব (বিশেষ্য)- পক্ষীরালয়ে অনেক পাখির রব শোনা যায়। 

রব (ক্রিয়া)- আমি রব হৃদয়ের মাঝে। 

৩) প্রত্যয় নির্ণয় করােঃ 

উঃ

কথকতা- কথক + তা 

মুর্শিদি- মুর্শিদ+ ই

মুখর- মুখ + র 

পােহাইল- পােহা +ইল

ভাটিয়ালি- ভাটিয়াল+ ই 

৪) ‘পাখি সব করে রব’- উদ্ধৃতাংশটি কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ? কবিতাটি তাঁর লেখা কোন্ বইতে রয়েছে?

উঃ উদ্ধৃতাংশটি ‘মদনমােহন তর্কালঙ্কার’-এর ‘প্রভাতবর্ণন’ কবিতার অংশ।

কবিতাটি মদনমােহন তর্কালঙ্কারের ‘শিশুশিক্ষা’ বই থেকে গৃহীত হয়েছে। বইটির তিন খণ্ডের প্রথম ভাগে এই কবিতাটি রয়েছে।

৫) ‘পাখি সব করে রব’ পঙক্তিটি পাঠের সুরকে মন্ত্রের মতাে’বলা হয়েছে কেন?

উঃ ‘পাখি সব করে রব’ পঙক্তিটি পাঠের সময় মনের মধ্যে মন্ত্রপাঠের মতােই স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাই একে মন্ত্রের মতাে বলা হয়েছে।  

৬) এই সুরকে কেন স্মৃতির মধুভাণ্ডার বলা হয়েছে? তা কবির মনে কোন্ স্মৃতি জাগিয়ে তােলে ?

উঃ এই সুরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কবির শৈশবে পাঠশালায় কবিতাটি পড়ার স্মৃতি, যা সবসময়েই কবির কাছে মধুর এবং অমলিন। তাই একে স্মৃতির মধুভাণ্ডার বলা হয়েছে।

এই শৈশব স্মৃতি কবির মনে বাংলার এক সুন্দর ছবি ফুটিয়ে তােলে। তার মনে পড়ে যায় বাংলার দেশ-মাঠবননদী, অজস্র লােকগানের কথা। এ সবের মধ্য দিয়েই কবির মনে বাংলামায়ের মুখ মধুর এক স্মৃতি হয়ে জেগে ওঠে।

৭) ‘সেই আমার দেশ-মাঠবননদী’- দুই বঙ্গ মিলিয়ে তিনটি অরণ্য ও পাঁচটি নদীর নাম লেখাে। 

উঃ দুই বাংলা মিলিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ও গােরুমারা অরণ্য এবং বাংলাদেশের ভােলা ও মধুমতি। পাঁচটি নদী হল পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা, দামােদর, তিস্তা ও বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা। 

৮) টীকা লেখােঃ 

উঃ

জারিঃ

এটি বাংলার একধরনের মুসলমানি পল্লিসংগীত। ফারসি শব্দ যারী’ থেকে এর উৎপত্তি। জারিগানের অর্থ হল শােকসংগীত। কারবালার প্রান্তরে হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হােসেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের শােচনীয় মৃত্যুকে উপলক্ষ্য করে জারিগান রচিত হয়।

সারিঃ

প্রধানত বাংলাদেশের মাঝি-মাল্লাদের বিশেষ ধরনের গান। অন্যান্য শ্রমজীবীরাও কাজের সময় মূলত কষ্ট কমানাের জন্য এই গান করেন। মােগল বাদশাহদের সময় এই গানের প্রসার ঘটে। সারিগানের মূল গায়ককে বলা হয় বয়াতি। মূলত পূর্ববঙ্গেই এই গানের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়।

ভাটিয়ালিঃ

এটি মাঝি-মাল্লাদের বিশেষ ধরনের গানের সুর। সুর অর্থেই ভাটিয়ালি কথাটি ব্যবহৃত হয়।

মুর্শিদিঃ

মুসলমান সাধু ও মহাপুরুষদের পির বলা হয়। মুর্শিদি এই পিরের গান।

বিন্নিধানঃ

এক ধরনের আউশ ধান। নীচু জলাজমিতে বিশেষত পূর্ববঙ্গে এর চাষ হয়। এই ধানের খই খুব ভালাে হয়। কথকতা রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থের পাঠ ও ব্যাখ্যা করার ধরনকে বলা হয় কথকতা। এই কথকতার কাজটি যিনি করেন, তাঁকে বলা হয়, কথক’বা কথকঠাকুর।

রূপকথাঃ

ছেলেভুলানাে কাল্পনিক কাহিনিকে বলা হয় রূপকথা। এই কাহিনিতে রাক্ষস রাক্ষসী, ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী প্রভৃতি কাল্পনিক চরিত্র থাকে। আর থাকে রাজকুমারী এবং অবশ্যই রাজকুমার। তবে এরা কেউই বাস্তব চরিত্র নয়, সবাই কাল্পনিক। 

৯) তােমার জানা দুটি পৃথক লােকসংগীতের ধারার নাম লেখাে।

উঃ পাঠ্যাংশে উদ্ধৃত লােকসংগীতের ধারাগুলি ছাড়া পৃথক দুটি ধারার লােকসংগীত হল বাউল গান ও টুসু গান।

১০) ‘ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে লিখে নিলাে সব’- ‘সব’ বলতে এখানে কী কী বােঝানাে হয়েছে?

উঃ ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে একুশের ভাষা-আন্দোলনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় লিখে নিল। মাঠ-ঘাট-বাট-হাট-বন সর্বত্র জেগে ওঠা মানুষের তীব্র অসন্তোষ এবং প্রতিবাদ, পূর্ব-পাকিস্তানের সেনাদের গুলিতে বিপ্লবী তরুণদের মৃত্যু- ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের সেইসব কাহিনি ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে একে একে লিখে নিল।

১১) ‘তাই তাে সহস্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর’- ‘সহস্র পাখি’ কাদের বলা হয়েছে?

উঃ উর্দুকে পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে একসময় বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা বাংলা ভাষার মর্যাদাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিল। এরপর দেশে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে এল। হাজার হাজার মানুষ আবার আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠল। এই মানুষদেরই কবি ‘সহস্র পাখি’ বলে চিত্রিত করেছেন।

ব্যাখ্যা করোঃ
১) ‘কয়েকটি পাখি………… পড়ে গেল মাটিতে’

উৎসঃ

উদ্ধৃতাংশটি কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’-র ‘একুশের কবিতা’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ

মাতৃভাষা বাংলার জন্য ভাষা শহিদদের স্মরণ করে কবি এই উক্তি করেছেন।

তাৎপর্যঃ

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের একুশে ফেব্রুয়ারি খান সেনাদের গুলিতে যে পাঁচজন তাজা তরুণ প্রাণ হারায়, তাদের কবি ‘পাখি’ বলেছেন। তারাই ঝরে গেছে অকালে ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিয়ে। 

২) ‘সেই শোকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলো আকাশে’

উৎসঃ

উদ্ধৃতাংশটি কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’-র ‘একুশের কবিতা’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ

মাতৃভাষা বাংলার জন্য যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, তাদের কথা উল্লেখ করতে গিয়েই কবি এ কথা বলেছেন।

তাৎপর্যঃ

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে পাঁচজন তাজা তরুণ প্রাণ ঝরে পড়ে ঢাকার রাজপথে। কেঁপে ওঠে মাঠ-ঘাট-বাট-হাট-বন-মন। সমস্ত দেশ জুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। গণ-আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। এই গণ-আন্দোলনকেই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। 

৩) ‘কথায় কথায় কথকতা কতো রূপকথা’

উৎসঃ

উদ্ধৃতাংশটি কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’-র ‘একুশের কবিতা’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ

যে মা বাংলা ভাষায় কথা বলতে ভালোবাসেন, তিনি কথায় কথায় কথকতা করেন এবং রূপকথা বলেন ।

তাৎপর্যঃ

আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা। আমাদের মা বাংলা ভাষাতেই আমাদের কথকতা রূপকথা আর ছড়া শোনান। মায়ের ভাষা আমাদের মাতৃভাষা ।

৪) ‘তাই তো আজ দ্যাখো এ মিছিলে এসে দাঁড়িয়েছেন আমার মা’   

উৎসঃ

উদ্ধৃতাংশটি কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’-র ‘একুশের কবিতা’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ

মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য সবার সঙ্গে মাও এসে দাঁড়িয়েছেন। কারণ তিনিও বাংলা ভাষায় কথা বলেন।

তাৎপর্যঃ

মাতৃভাষা মায়ের মুখের ভাষা। মুখের ভাষা প্রতিষ্ঠিত না হলে কোনো দেশের জাগরণ সম্ভব নয়। তাই মিছিলে মা এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে। 

আট – দশটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১) এই কবিতায় ‘পাখি’ শব্দের ব্যবহার কতখানি সার্থক হয়েছে তা কবিতার বিভিন্ন পত্তি উদ্ধৃত করে আলোচনা করো ।

উৎসঃ

কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’ ‘একুশের কবিতা’ কবিতাটির রচয়িতা। 

পাখি শব্দ ব্যবহারের সার্থকতাঃ

প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিতে ‘পাখি’ শব্দটিকে কবি রূপক হিসেবেই ব্যবহার করেছেন। পাখির প্রথম কলকাকলিতে রাত শেষ হয়। দেশের কিশোর তরুণ জেগে উঠলে শেষ হয় অন্যায়ের রাত। ভাষা – আন্দোলনে এরকমই তরতাজা যুবকরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল।

তাই কবি লিখেছেন –

‘কয়েকটি পাখির গান শেষ না হতেই তারা ঝরে গেলো’

কিন্তু ইতিহাস তা লিখে নিয়েছিল। তাই সারা বিশ্ব পরবর্তীকালেও মাতৃভাষা ও তার সম্মান নিয়ে মুখরিত হয়েছে। তাই কবি লিখেছেন-

‘সহস্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর’

২) ‘একুশের কবিতা’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উৎসঃ

কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’ ‘একুশের কবিতা’ কবিতাটির রচয়িতা। 

নামকরণের সার্থকতা বিচারঃ 

বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি আশরাফ সিদ্দিকীর ‘একুশের কবিতা’-র মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অত্যুজ্জ্বল ইতিহাসকথা। অধুনা বাংলাদেশের মাতৃভাষাপ্রেমী ভাষা আন্দোলনকারীদের প্রিয় ২১ ফেব্রুয়ারির ইতিকথা। আশ্চর্য সংযমে কবি সারা কবিতার কোথাও একটিবারের জন্য ‘একুশে’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি, অথচ সমগ্র কবিতাটির অঙ্গে তিনি শৈল্পিক দক্ষতায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।

পাঠ্য কবিতাটির মধ্যে ধরা আছে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ইতিহাস, যার মূলে রয়েছে মাতৃভাষার মর্যাদা ও ঐতিহ্যরক্ষার আত্মিক প্রচেষ্টা। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে দ্বিখণ্ডিত ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর পূর্ববঙ্গের অর্থাৎ পূর্ব – পাকিস্তানের বাংলা ভাষার উপর উর্দুকে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। আন্দোলনের জোয়ার বয়ে যায় পূর্ববঙ্গে। মিছিলের উপর সেনাদের গুলিবর্ষণে পাঁচ মাতৃভাষাপ্রেমিক তরুণের মৃত্যু হলে উত্তাল হয়ে ওঠে পূর্ববঙ্গের মানুষ। মাতৃভাষাকেন্দ্রিক এই গণ -আন্দোলনের সূচনা হয় ২১ ফেব্রুয়ারিতে। 

এই আন্দোলনে বিজয়ী হন আন্দোলনকারীরা, জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের; জয় হয় বাংলা ভাষার। এই আন্দোলন, এই মরণপণ লড়াই, এই বিজয়ের স্মরণেই ‘একুশের কবিতা’। স্বভাবতই কবিতায় একুশে শব্দটির অস্তিত্ব ধরা না পড়লেও নামকরণে কবি একুশে শব্দটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রয়োগ করেছেন।

আর তাই বলা যায় আলোচ্য কবিতাটির নামকরণ সার্থকতা অর্জন করেছে। 

৩) ‘শুধু মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার প্রকাশ নয়, এই কবিতায় রয়েছে আবহমানের ও অমরতার প্রতি বিশ্বাস’- পাঠ্য কবিতাটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি আলোচনা করো।

উৎসঃ

কবি ‘আশরাফ সিদ্দিকী’ ‘একুশের কবিতা’ কবিতাটির রচয়িতা। 

মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের মতো। এর মাধ্যমেই মানুষের আত্মপ্রকাশ ও আত্মবিকাশ। তাই কোনো মানুষই মাতৃভাষার অপমান সহ্য করতে পারে না। কবিও মাতৃভাষামুখিন, তাঁরও আত্মপ্রকাশ বা আত্মবিকাশ মাতৃভাষাকে অবলম্বন করেই। তাই ‘একুশের কবিতা’য় তিনি মাতৃভাষার প্রতি কেবল অসীম শ্রদ্ধাই প্রকাশ করেননি, এই ভাষার প্রতি তাঁর গভীর দায়বদ্ধতা ও এর আবহমানতা বা অমরতার প্রতি তাঁর বিশ্বাসও কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে। কবি মনে করেন ভাষার একটা নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। এই কবিতায় সেই ঐতিহ্যেরই স্মারক করে তিনি এনেছেন মাতৃভাষার সুধামাখানো কথকতা – রূপকথার আশ্চর্য উন্মাদনাকে। ভাষার স্পর্শ গায়ে মেখে জীবন্ত হয়ে ওঠা জারি – সারি – ভাটিয়ালি – মুর্শিদি ইত্যাদি লোকগীতির দীর্ঘ প্রবহমানতাকে তিনি প্রাণের মূল্যে যাচিত করেন। বাংলার সুমিষ্ট উৎকৃষ্ট খইয়ের বিন্নিধান তাঁর কাছে মূল্য পায় স্বর্গীয়ভাবে সমৃদ্ধ হয়ে। শিশুকালে পাঠশালায় দুলে দুলে পড়া বাল্য – কবিতাকে তিনি অন্যান্য বঙ্গভাষী মানুষের মতো ভুলতে পারেন না। মিছিলে এসে দাঁড়ানো মায়ের অমোঘ উপস্থিতি ও কবির মনে অমরতার ঐতিহ্যগত প্রকাশ ঘটায়।

একুশের কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

sikkhalaya click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
100% Free SEO Tools - Tool Kits PRO

You cannot copy content of this page

Need Help?