মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর

মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য গল্পটি সম্পর্কে বিষদ ধারণা লাভে সমর্থ হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম কী ?

উঃ ১৯৪০ খ্রিঃ প্রকাশিত ‘পদাতিক’ কাব্যগ্রন্থ।  

২) তাঁর লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম লেখো। 

উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা একটি গদ্যগ্রন্থ হলো ‘ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন’।  

৩) ধান শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে ?

উঃ ধান শব্দটি ‘ধন’ শব্দ থেকে এসেছে।  

৪) ‘অগ্রাহয়ন’ বলতে কী বোঝায় ?

উঃ ‘অগ্রাহয়ন’ বলতে বোঝায় বছরের গোড়া। 

৫) এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসব এসবের মূলে কী রয়েছে ?

উঃ এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসব এসবের মূলে রয়েছে চাষবাস।   

৬) বসুধারা ব্রত কোন ঋতুতে হয় ?

উঃ বসুধারা ব্রত গ্রীষ্মের শেষের দিকে হয়।  

৭) মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কী কী নামে ডাকে ?

উঃ মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কালো মেঘা, ফুলতোলা মেঘা, ধুলোট মেঘা, তুলোট মেঘা, বার মেঘা, সাড়িয়া মেঘা, হাড়িয়া মেঘা, কুড়িয়া মেঘা, সিঁদুর মেঘা ইত্যাদি নামে ডাকে।  

৮) পদপরিবর্তনঃ

উঃ  

মফস্বল – মফস্বলীয় 

বৎসর – বাৎসরিক 

খর – খরতা 

ব্রত – ব্রতী 

বিস্তর – বিস্তার 

পর্বত -পার্বত্য 

ঝড় – ঝোড়ো 

৯) গঠনগতভাবে বাক্যের প্রকারভেদঃ  

ক) গ্রামের যাত্রীরা নেমে নেমে যাবে মাঝরাস্তায়।

উঃ সরল বাক্য

খ) যেখানে ঘাসের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, হঠাৎ চোখে পড়বে সেখানে যেন কে সবুজ জাজিম পেতে রেখেছে

উঃ জটিল বাক্য 

গ) আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে।

উঃ সরল বাক্য 

ঘ) খড় কিংবা টিনের চাল।

উঃ যৌগিক বাক্য 

১০) শব্দবিভক্তি ও অনুসর্গঃ 

ক) কেউ এসেছিল দোকানের জন্য মাল তুলতে। 

উঃ বিভক্তি – এর (দোকানের ), অনুসর্গ- জন্য  

খ) বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ডুবে যায়। 

উঃ বিভক্তি -র (বৃষ্টির ) 

গ) সন্ধে নাগাদ উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয়। 

উঃ বিভক্তি -শুন্য (উলু ), অনুসর্গ -দিয়ে।  

ঘ) ছেলেরা হই হই করে ছোটে আমবাগানে। 

উঃ বিভক্তি -শুন্য (হইহই ), অনুসর্গ – করে  

১১) সমার্থক শব্দঃ 

অম্বর – আকাশ 

ধরা – পৃথিবী 

মৃত্তিকা – মাটি 

প্রান্তর – সীমানা 

তটিনী – নদী 

১২) সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের অর্থ ও বাক্যরচনাঃ 

ধোয়া – পরিস্কার (ঠাকুরঘর ধোয়ার পরে পূজা দেবে) 

ধোঁয়া – ধূম (সন্ধায় ঠাকুরঘরে ধূপের ধোঁয়া দেবে)  

জলে – জল বিশেষ (সাঁতার না জানলে নদীর জলে নামা উচিৎ নয়) 

জ্বলে – জ্বলন্ত (শুকনো পাতায় আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলে) 

বাধা – বিপত্তি (গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজে গ্রামবাসী বাধা দেয় না) 

বাঁধা – বেঁধে রাখা (চোরটিকে হাত বাঁধা অবস্থায় আনা হলো) 

গায়ে – শরীরে (তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্নই নেই) 

গাঁয়ে – গ্রামবিশেষ (অজ পাড়াগাঁয়ে এসে সমস্যায় পড়লাম)  

ঝরে – ঝরে পড়া (শীতকালে পর্ণমোচী গাছের পাতা ঝরে) 

ঝড়ে – বাতাসের প্রবাহ (ঝড়ে গাছের সব পাতা পড়ে গেছে) 

১৩) শুদ্ধ বানান নির্ণয়ঃ 

উঃ মুহূর্ত, অগ্রহায়ণ, বিলক্ষণ, মরীচিকা  

১৪) শব্দকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনাঃ 

বেলা – (সময়) – শীতকালে বেলা করে স্নান করা উচিৎ নয়। 

বেলা – (কূল ) – বেলাভূমিতে সে ঝিনুক কুড়িয়ে বেড়ায়। 

ডাল – (গাছের শাখা বিশেষ )- আদিম মানুষ গাছের ডালকে হাতিয়ার রূপে ব্যবহার করতো। 

ডাল – (খাদ্যশস্য )- ডালে অনেক প্রোটিন পাওয়া যায়। 

সারা – (সমগ্র )- দূর্গাপূজায় কলকাতার মানুষ সারা রাত ঠাকুর দেখে। 

সারা – (শেষ ) আমার সব কাজ সারা হয়ে গেছে। 

চাল – (খাদ্যশস্য )- চাল থেকে ভাত হয়। 

চাল – (পরিকল্পনা )- তোমার চাল আমি বেশ বুঝতে পারছি। 

১৪) টীকাঃ 

মরীচিকাঃ

মরুভূমিতে আলোর পূর্ণ প্রতিফলনে সূর্যরশ্মি এমনভাবে বেঁকে যায়, যেন মনে হয় সেই অংশে জল আছে। 

বসুধারাঃ

বৈশাখের শেষে প্রচন্ড উত্তাপ থেকে পৃথিবীকে ঠান্ডা ও শান্ত করার জন্য এই ব্রত গ্রাম ঘরে পালিত হয়।

ব্রতঃ

গ্রাম বাংলার নারীরা সংসারের মঙ্গল কামনায় উপোস করলে তাকে ব্রত বলে। 

মেঘরানীর কুলোঃ

গ্রীষ্মের পর বর্ষা এলেও উপযুক্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কুলো ও জলের ঘট নিয়ে মেয়েরা মেঘকে ডাকে, এরই নাম মেঘরানীর ব্রত। 

ভাদুলিঃ

গ্রাম বাংলার অন্যতম একটি ব্রত হল ভাদুলি, বর্ষার শেষে মেয়েরা আল্পনা দিয়ে পাহাড়, নদী, বাঘ, সমুদ্র  এঁকে এই ব্রত পালন করে।

১৫) বাস-ডিপোয় অপেক্ষামান যাত্রীদের ছবি কীভাবে পাঠ্যাংশে ধরা পড়েছে ? 

উঃ বাস যাত্রীরা বিভিন্ন কাজে শহরে এসে কাজ সেরে ফেরার পথে বাস ডিপোয় অপেক্ষা করছে। বাস ছাড়তে দেরি হওয়ায় কেউ কেউ সামনেই চায়ের দোকানে বেঞ্চির ওপর বসে ড্রাইভারের চা খাওয়া দেখছে। যাত্রীরা কাছে পিঠে ঘুরঘুর করছে। গরমের সময় গায়ে হাওয়া লাগায়, শীতের সময় রোদ পোহায়। 

১৬) ‘গ্রামের সঙ্গে শহরের যে এখনও নাড়ির টান’- এই নাড়ির টানের প্রসঙ্গ রচনাংশে কীভাবে এসেছে ?

উঃ আলোচ্য অংশে নাড়ির টান শব্দের অর্থ আন্তরিক সম্পর্ক। কাজের প্রয়োজনে গ্রামের সহজ সরল মানুষেরা শহরে আসেন। আবার ফসল ওঠার সময় হলে, তারা স্বচ্ছলতার কারণে ফসল বিক্রি করতে, কেনাকাটা করতে, ডাক্তার দেখাতে, সিনেমা দেখতে শহরে আসেন এইভাবেই গ্রামের সাথে শহরের নাড়ির টান গড়ে ওঠে। 

১৭) ‘ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি’- বৃষ্টির সময়ে ধান ক্ষেতের ছবিটি কেমন ? অন্য যে যে সময়ে ধান চাষ হয়ে থাকে তা লেখো। 

উঃ বৃষ্টির সময় ধান ক্ষেতের ছবিটি সম্পূর্ণ আলাদা জলভরা জমিতে ধান রোয়ার পর বড় হলে তা যেন ছন্দে দুলতে থাকে। সবুজের সমারোহ দেখলে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়। বর্ষাকালে ধানের ফলনও ভালো হয়, বর্ষায় সমস্ত স্থানে জল ও সবুজে ভরে ওঠে। 

এছাড়াও গরম কালে ও অগ্রহায়ণ মাসে ধান চাষ হয়ে থাকে। 

১৮) ‘আগে বছর আরম্ভ হতো অগ্রহায়ণে’- এর সম্ভাব্য কারণ কী ?

উঃ ‘অগ্র’ শব্দটির অর্থ ‘আগে’ এবং ‘হায়ণ’ শব্দের অর্থ বছর। অর্থাৎ বছরের গোড়া, আগে অগ্রহায়ন মাস দিয়েই বছর শুরু হত বলে এইরূপ নামকরণ হয়েছে বলে মনে হয়। 

১৯) ‘এদেশের যত পালা – পার্বণ, উৎসব – আনন্দ সব কিছুরই মূলে রয়েছে চাষবাস’- বাংলার উৎসব খাদ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাস কতটা জড়িয়ে আছে বলে তোমার মনে হয়। 

উঃ বাংলার একটি প্রবাদ হল ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। এই প্রতিটি পার্বণই আমাদের আনন্দ দেয়। এই অনুষ্ঠান গুলির সঙ্গে জড়িত আছে চাষবাস। যেমন- কৃষির উন্নতিতে ভাদুলি, বসুধারা, মেঘরানীর কুলো, নবান্ন ইত্যাদি সবই ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। 

২০) ‘শহর ছাড়ালেই দুপাশে দেখা যাবে’- শহরের চিত্রটি কেমন তা ছাড়িয়ে গেলে কোন দৃশ্য দেখা যাবে ?

উঃ শহরের বাস ডিপোয় বাস দাঁড়িয়ে, কনডাক্টর ও ক্লিনার বাসের মাথায় মাল তুলছে। সবাই কাজ সেরে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদগ্রীব। বাস ছাড়ার অপেক্ষায় রত বাস যাত্রীরা। শহর ছাড়িয়ে গেলেই দুপাশে দেখা যাবে মাথার ওপর দরাজ আকাশ। বাস রাস্তার দুধারে বট, পাকুড়, শাল, সেগুনের গাছ, তার ডালে দৃষ্টি আটকে যায় মাঝে মাঝে। 

২১) ‘এই রাস্তার ওপরই এক ভারি মজার দৃশ্য দেখা যায়’- মজার দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় লেখো ?

উঃ ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে লেখক যে মজার দৃশ্যটির কথা বলেছেন তা হল- রাস্তা দিয়ে বাসে করে যাবার সময় মনে হয় দূরে যেন জল চিকচিক করছে। আর সেই জলে উলটো হয়ে পড়ছে দুপাশের গাছের ছায়া। কাছে যাও, কোথাও জল, কোথাও ছায়া, ঠিক মরুভূমির মরীচিকার মতো।  

২২) ‘ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য’- এই দৃশ্যে কোন ঋতুর ছবি ফুটে উঠেছে ? সেই ঋতু সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। 

উঃ ধান কাটার পর শুকনো মাঠের মধ্যে দিয়ে গ্রীষ্মের রূপটি ধরা পরে। 

গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড তাপে ও অনাবৃষ্টিতে নদীনালা, মাঠঘাট, সব শুকিয়ে যায়। জলের অভাবে জমি ফেটে যায়। আকাশে সূর্যের ঝলকানিতে তাকানো যায় না। বাইরে বেশিক্ষন থাকা যায় না। মানুষজন অপেক্ষা করে বৃষ্টির। এই সময় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি হয়, একে কালবৈশাখী বলে। এতে সাধারণত ক্ষয় ক্ষতি হলেও প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পাওয়া যায়। টগর, চাঁপা, জুঁই প্রভৃতি ফল ও আম, জাম, লিচুর চাষ হয়। 

মরশুমের দিনে গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?