হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর

হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটির সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভে সমর্থ হবে।   

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) কোন সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ? 

উঃ কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ‘কল্লোল’ সাহিত্যগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।  

উঃ তার লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল ‘মরুমায়া’ এবং ‘মরুশিখা’। 

৩) সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ দিয়ে বাক্যরচনাঃ 

দীপ– (প্রদীপ) সন্ধ্যাবেলা দীপ জ্বালানো হয়। 

দ্বীপ– (জলবেষ্টিত ভূখণ্ড) কাকদ্বীপে সঙ্গাসাগর মেলা য়। 

বাধা – (বিপদ) ভালো কাজে অনেক সময় বাধার সম্মুখীন হতে হয়।  

বাঁধা– (বেঁধে রাখা) পাগল কুকুরটি বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। 

দর – (দাম) দর করে সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। 

দড় – (দক্ষ) দড় মানুষেরা তাদের কর্মের প্রতি যত্নশীল হন। 

নিত্য– (দৈনিক) তিনি আমাদের বাড়িতে নিত্যই আসেন।  

নৃতা– (নাচ) সে নৃত্যে পারদর্শী। 

শাখ – (ডালপালা) শাখে পাখীরা বসে আছে। 

শাঁখ – (শঙ্খ) সন্ধ্যায় শাঁখ বাজানো হয়। 

৪) গদ্যরূপঃ 

সহিয়া– সহ্য করে

সেথা – সেখানে

সহি – সহ্য করি

তবে – তাহলে

মুদিল– বন্ধ করলো 

৫) কতকগুলি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে ?

উঃ সাধারণত দশ-বারোটা গ্রামের পর একটা হাট চোখে পড়ে। 

৬) হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না কেন ?

উঃ ফাঁকা মাঠের মাঝখানে হাট বসে। দিনের শেষে সন্ধ্যায় সকলে নিজ নিজ গৃহে ফিরে যায়। তাই হাট নির্জনে একা পড়ে থাকে। তাই সেখানে প্রদীপ জ্বলে না।  

৭) কার ডাকে রাত্রি নেমে আসে ?

উঃ হাটের মধ্যে একক কাকের ডাক রাত্রির আগমনবার্তা ঘোষণা করে। 

৮) ওপারের লোক কেন এপারেতে আসে ?

উঃ বিক্রেতারা তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এপারে পসরা নামায়। সেই সামগ্রী কেনার জন্য ওপারের লোক এপারে আসে। 

৯) ‘হিসাব নাহিরে- এল আর গেল কত ক্রেতা বিক্রেতা’- কোনো হিসাব নেই কেন ?

উঃ দিনেরবেলা হাট চলাকালীন অসংখ্য মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে হাটে আসে। সেখানে মানুষের আনাগোনার হিসাব রাখার মতো লোক কেউ থাকে না। সেজন্যই কবি বলেছেন হাটে মানুষের আনাগোনার কোনো হিসাব নেই। 

১০) ‘বাজে বায়ু আমি বিদ্রূপ বাঁশি’- কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?

উঃ দিনের শেষে সন্ধ্যায় হাট ভেঙে যায়। সবাই যে যার মতো নিজ নিজ গৃহে ফিরে যায়। হাট নির্জনে একাই থাকে। হাটের দরজা সর্বদা সকলের জন্য উন্মুক্ত। প্রবহমান বাতাসহীন বাঁশের ছিদ্রপথ দিয়ে প্রবেশ করে বাঁশির মতো শিসের আওয়াজ করে। কবির কল্পনায় মনে হয়েছে প্রকৃতি হাটের নির্জনতাকে ব্যঙ্গ করছে শিসধ্বনির মাধ্যমে। 

১১) ‘উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলা’- কোন প্রসঙ্গে কবি আলোচ্য পঙ্ক্তিটি লিখেছেন ?তিনি এখানে কোন্ ‘খেলা’র কথা বলেছেন ? ‘চিরকাল’ চলে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উঃ হাট কবিতায় কবি এই পৃথিবীকে একটি নাট্যমঞ বলে কল্পনা করেছেন। পৃথিবী রূপ রঙ্গমঞ্চে আমরা জন্মাই আবার মৃত্যুবরণ করি। সুতরাং মানবজীবনের জন্মমৃত্যুর উল্লেখ করে কবি চিরকাল একই খেলার কথা বলেছেন।

কবি এখানে খেলা বলতে মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন, মানুষের জন্মকে আসা এবং মৃত্যুকে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে একথা বলা হয়েছে। চিরকাল চলার অর্থ হল জীবনের গতিময়তা যা নিরবচ্ছিন্নভাবে সর্বদা চলতে থাকে। পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয় তখন থেকেই মানুষের জন্ম এবং মৃত্যু ঘটে চলেছে। এটি একটা চলমান ধারা যা সনাতন, বিরামহীন। কবি এই জন্মমৃত্যুর নিরবচ্ছিন্ন প্রবহমানতাকে চিরকাল চলার কথা বলেছেন।

হাট কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?