মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর

মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য গল্পটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) অনেকগুলি দেশ দাবি তুলেছে যে, (বৃষ্টিচুরি/মেঘচুরি/রোদচুরি) আইন করে বদলানো দরকার। 

উঃ মেঘচুরি। 

২) দেখতে পাচ্ছি ক’টা (রুপোলি/তামাটে/সোনালি) রঙের পাহাড়। 

উঃ সোনালি।  

৩) শেষ (লৌহযুগ/তাম্রযুগ/হিমযুগ) শেষ হয়েছিল তেরো হাজার বছর আগে। 

উঃ হিমযুগ। 

৪) মাত্র (পনেরো হাজার/দশ হাজার/কুড়ি হাজার) কিউবিক মাইল বৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীর অত মানুষ জীবজন্তু, গাছপালা সব বেঁচে আছে।

উঃ পনেরো হাজার। 

৫) ইতিহাসেও তো (বিজ্ঞান/অঙ্ক/ভুগোল) লাগে।  

উঃ অঙ্ক। 

৬) পুরন্দর চৌধুরিকে দেখতে কেমন ?

উঃ পুরন্দর চৌধুরি খুব ফরসা, গোল চাঁদের মতো মুখ এবং তার চোখের মণিদুটো নীল। তার বয়েস পঞ্চাশের কাছাকাছি। 

৭) লেক শ্রেভার কোন্ পাহাড়ের কাছে অবস্থিত ?

উঃ লেক শ্রেভার আলাস্কার মাউন্ট চেম্বারলিন পাহাড়ের কাছে অবস্থিত।  

৮) পুরন্দর চৌধুরি হিসেব করে কী দেখেছিলেন ?

উঃ পুরন্দর চৌধুরি হিসেব করে দেখেছিলেন যে শ্রেভার লেকের জল শুকোতে দশ হাজার বছর সময় লাগবে। 

৯) পুরন্দর মানে কী? পুরন্দর কী হতে চেয়েছিলেন ?

উঃ পুরন্দর হলো দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের এক নাম। বিজ্ঞানী পুরন্দর আকাশের দেবতা ইন্দ্র হতে চেয়েছিলেন। 

১০) সাহারায় অন্য দেশের মেঘ আনার দরকার নেই কেন ?

উঃ সমুদ্র থেকে খাল কেটে সাহারায় জল আনা হচ্ছে, তাই আর অন্য দেশের মেঘ আনার দরকার নেই।

১১) পুরন্দরের তৈরি অ্যালয়টি কোথায় কাজ করে না ?

উঃ পুরন্দরের তৈরি অ্যালয়টি বায়ুমণ্ডলের বাইরে কোনো কাজ করে না। 

১২) ‘মেঘচোর’-এর মতো তোমার পড়া দু-একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের নাম লেখো।

উঃ পাগলা গণেশ, নীল মানুষ।  

১৩) এই গল্পে ক-জন চরিত্র? তাদের নাম কী ?

উঃ এই গল্পে চারজন চরিত্র। তাদের নাম হল পুরন্দর, অসীমা, দিক্‌ বিজয় এবং কারপভ। 

১৪) ‘মেঘচোর’ কাকে বলা হয়েছে ? 

উঃ ‘মেঘচোর’ বলা হয়েছে গল্পটির প্রধান চরিত্র পুরন্দর চৌধুরিকে। 

১৫) পুরন্দরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উঃ পুরন্দর চৌধুরি নামকরা বৃষ্টিবিজ্ঞানী। অসামান্য প্রতিভাধর এবং অত্যন্ত অহংকারী। 

১৬) অসীমা সম্বন্ধে দু-একটি বাক্য লেখো। 

উঃ অসীমা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মেয়ে এবং দক্ষ অভিনেত্রী। ইতিহাস, ভূগোল এবং কম্পিউটারেও তার জ্ঞান আছে। 

১৭) পুরন্দর কী সাংঘাতিক কাণ্ড করেছেন ?

উঃ পুরন্দর অন্য দেশের মেঘ তাড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে একমাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টি ধঝরিয়েছেন।  

১৮) রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ কী দাবি তুলছে ? 

উঃ রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ মেঘ চুরি আইন বন্ধের দাবি তুলছে। 

১৯) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় ? 

উঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত। 

২০) মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার’— কেন মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার ? 

উঃ সারা বছর পৃথিবী থেকে পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। এর মধ্যে আশি হাজার কিউবিক মাইল সমুদ্র থেকে যায় আবার ততটাই বৃষ্টি হয়ে সমুদ্রে ফিরে আসে। আর মাত্র পনেরো হাজার কিউবিক মাইল বৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ, জীবজন্তু ও গাছপালা বেঁচে থাকে। কিন্তু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় জলের অভাব ঘটতে পারে, তাই মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার।

২১) আর একটা ছোট্ট ঘটনা বলি’–এটি কে কেন বলেছিলেন ? 

উঃ বিজ্ঞানী পুরন্দর অসীমাকে পৃথিবীর উত্তাপ বাড়লে বা কমলে কী হতে পারে তা বোঝাতে ঘটনাটি বলেছিলেন। পৃথিবীর উত্তাপ মাঝে মাঝে কমে-বাড়ে। দশ-পনেরো হাজার বছর পরে পরে। একবার পৃথিবীর উত্তাপ তিন থেকে চার ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং সেলসিয়াসের হিসেবে দুই পয়েন্ট দুই ডিগ্রি কমে গিয়েছিল। এতেই গোটা উত্তর আমেরিকা বরফে ঢেকে গিয়েছিল এবং কোথাও কোথাও এক হাজার ফিট উঁচু বরফ জমে গিয়েছিল। 

২২) ‘এই নাও ধার শোধ’—কীসের ধার? কীভাবে এই ধার শোধ করা হবে ঠিক হয়েছিল ? 

উঃ বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি সাইবেরিয়া থেকে মেঘ উড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। এই কারণে কারপভ নামের একজন বিজ্ঞানী বোস্টন শহরের আবহাওয়া বিষয়ের এক আলোচনা সভায় তাঁকে মেঘ-চোর বলে গালাগালি দেন। এই ঘটনাতে পুরন্দর চৌধুরি খুব অপমানিত বোধ করেন এবং মনে করেন সাইবেরিয়ার কাছে তার ধার রয়েছে। তাই পুরন্দর চৌধুরী ঠিক করেছিলেন যে মানুষের ক্ষতি করে নয় শ্রেভার লেকের জল থেকে মেঘ তৈরি করে সেটি সাইবেরিয়াতে পাঠিয়ে দিয়ে ধার শোধ করা হবে। 

২৩) পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল কেন ? 

উঃ কারপড়ের মেয়ে অসীমা কম্পিউটারের প্রোগ্রাম করে রেখে রকেটটিকে বায়ুমণ্ডলের বাইরে নিয়ে এসেছিল। রকেটটি বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে পৃথিবীর অনেক ওপরে চলে এসেছে শুনে পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল। 

২৪) জ্ঞান ফিরে পুরন্দর অবাক হয়েছিলেন কেন ? 

উঃ জ্ঞান ফিরে পুরন্দর বিদেশে একটি বাঙালি মেয়েকে তার সেবা করতে দেখে অবাক হয়েছিলেন।

২৫) দিগবিজয় কে ছিলেন ?

উঃ দিগবিজয় ছিলেন পুরন্দরের ভাই। যিনি পঁচিশ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন।  

২৬) গল্পের ঘটনা যখন ঘটছে তখন চরিত্রগুলো কোথায় ছিল ?

উঃ গল্পের ঘটনা যখন ঘটছে তখন চরিত্রগুলো রকেটে আলাস্কার আকাশে ছিল।  

২৭) ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন কী দেখা যাচ্ছিল ?

উঃ ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন বড়ো বড়ো এয়ারকন্ডিশনড বাড়ি দেখা যাচ্ছিল। 

২৮) কেন বলা হয়েছে অসীমা ‘ভূগোলও বেশ ভালো জানে ?

উঃ অসীমা মেরু অঞ্চলের পাহাড় এবং হ্রদকে নিখুঁতভাবে চিনতে পেরেছিল। তাই বলা হয়েছে অসীমা ভালো ভূগোল জানে।  

২৯) কে কোথা থেকে কোথায় মেঘ এনেছিল ?

উঃ পুরন্দর চৌধুরী সাইবেরিয়া থেকে সাহারায় মেঘ এনেছিল। 

৩০) তুষার যুগ কাকে বলে ?

উঃ বহু বছর আগে পৃথিবী তুষারে ঢেকে গিয়েছিল একে তুষার যুগ বলে। শেষ হিমযুগ সমাপ্ত হয়েছিল তেরো হাজার বছর আগে। 

৩১) পৃথিবী থেকে কত জল সারাবছর বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ? 

উঃ পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল পৃথিবী থেকে সারাবছর বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।

৩২) মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার কেন ? 

উঃ মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাই মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার। 

৩৩) আটলান্টিস কী ? 

উঃ গ্রিক পুরাণে বর্ণিত শহর। সেখানে ছিল এক লুপ্ত সভ্যতা। বলা হয় সেটি গ্রিক লেখকদের জল্পনা কল্পনা। 

৩৪) পুরন্দরের মতে আটলান্টিসের অবস্থান কোথায় ? 

উঃ পুরন্দরের মতে লেক শ্রেভারের নীচে আটলান্টিসের অবস্থান। 

৩৫) সাইবেরিয়া কোথায় ? 

উঃ সাইবেরিয়া রাশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। 

৩৬) অসীমা কেন পুরন্দরকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে ?  

উঃ যেসব দেশে বৃষ্টি কম তাদের কয়েক টুকরো মেঘ বিক্রির কথা পুরন্দর বলায় অসীমা তাকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে। 

৩৭) অ্যালয় কী ?

উঃ অ্যালয় হল পুরন্দরের তৈরি ধাতুসংকর। মার্কারির সঙ্গে আরও এগারোটি ধাতু মিশিয়ে পুরন্দর এই নতুন অ্যালয়টি তৈরি করেছিলেন। 

৩৮) পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে আছে এমন কোন ধাতুর নাম গল্পে পেলে ?

উঃ মার্কারি বা পারদ। 

৩৯) পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখা হয় কেন ?

উঃ বাতাসের জলকণার সংস্পর্শে এলে গোলকটি গরম হয়ে যায়, তাই সেটিকে এয়ারটাইট রাখা হয়। 

৪০) ‘প্রকৃতিকে ধ্বংস করা একটি অপরাধ’— কে, কাকে, কখন বলেছে ? 

উঃ অসীমা কথাটি পুরন্দরকে বলেছে। যখন পুরন্দর চৌধুরি আলাস্কার শ্রেভার লেকের জলকে মেঘে পরিণত করতে চাইছিল তখন অসীমা এই কথা বলেছিল। 

৪১) অসীমার প্রকৃত পরিচয় কী ?

উঃ অসীমা বিজ্ঞানী কারুপভের মেয়ে, তার মা ছিলেন বাঙালি মেয়ে। সে একজন ইতিহাসের ছাত্রী। আমেরিকার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে। কম্পিউটার সম্বন্ধেও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। 

৪২) ‘তাহলে আমরা গুঁড়ো হয়ে যাব’ -কে, কাকে, কেন বলেছে ?

উঃ অসীমা পুরন্দরকে বলেছে। কারণ তারা তখন বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাশূন্যে ছিল এবং পুরন্দর রকেটের জানালা খুললে তারা গুঁড়ো হয়ে যেত। 

৪৩) অসীমার বিশেষ আগ্রহ কোন্ বিষয়ে ?

উঃ অসীমার বিশেষ আগ্রহ কম্পিউটার বিষয়ে। 

৪৪) ‘পৃথিবীর জল যেমন আছে তেমনই থাকুক’– কে, কখন এই কথা বলেছে ? 

উঃ অসীমা পুরুন্দরের হাত থেকে গোলকটিকে মহাশূন্যে ফেলে দিয়ে বলেছিল ওটা মহাশূন্যেই থাক। 

৪৫) এই গল্পে কাকে কেন ‘মেঘচোর’ বলা হয়েছে ? তার মেঘ-চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে লেখো। 

উঃ এই গল্পে বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘচোর বলা হয়েছে। তিনি একদেশের মেঘ এনে অন্য দেশে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিলেন বলে এমন বলা হয়েছে। বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি একস্থানে উৎপন্ন মেঘকে বৈজ্ঞানিক কুশলতার সাহায্যে অন্য স্থানে নিয়ে যান। এই পদ্ধতি তিনিই পারেন। সেই স্থানে নিয়ে গিয়ে তিনি সেখানকার আকাশের উপর মেঘকে রেখে তার আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেন। জলীয়বাষ্প বেশি হয়ে গেলে মেঘ স্বভাবতই বৃষ্টির আকারে সেখানে ঝরে পড়ে। এইভাবে তিনি মেঘ চুরি করেন। 

৪৬) “বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অমিতবল, কিন্তু অযোগ্য মানুষের হাতে সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক ও প্রাণঘাতী’ – পঠিত গল্পটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।

উঃ বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী। আকাশের মেঘ যেন তাঁর বশীভূত। কিন্তু এই পুরন্দর চৌধুরি ক্ষমতাবলে অন্ধ হয়ে গিয়ে শ্রেভার লেককে শুকিয়ে দিয়ে মেঘে পরিণত করতে চান। তিনি বৃষ্টি দিয়ে সাইবেরিয়ার বরফ বাড়িয়ে দিতে চান। তিনি চান আকাশের সব মেঘকে একত্রিত করে তাঁর কাছে প্রার্থনা করা মানুষদের আবেদন অনুসারে এক এক জায়গায় বৃষ্টিপাত ঘটাতে। এই সকল কাজের ফল প্রকৃতির উপর যে কত বড়ো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন। তাই উক্তিটির সত্যতা এখানে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। 

৪৭) পুরন্দর চৌধুরির চরিত্রটি তোমার কেমন বলে মনে হয়েছে— বিশ্লেষণ করো। 

উঃ পুরন্দর চৌধুরি অসম্ভব প্রতিভাধর। সারা বিশ্ব বৃষ্টিবিজ্ঞানী রূপে তাঁকে এক ডাকে চেনে। তিনি নিজের ইচ্ছামতো মেঘ তৈরি করতে পারেন। নিজের ইচ্ছামতো মেঘকে কোনো দেশের উপর নিয়ে গিয়ে বৃষ্টি ঝরাতে পারেন। কিন্তু এই পুরন্দর চৌধুরি অত্যন্ত অহংকারী। তিনি অন্যান্য বিজ্ঞানীদের জব্দ করতে চান। তিনি চান মানুষ তাঁর কাছে হাত পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করুক। কোথায় কখন বৃষ্টি হবে তা তিনি ঠিক করতে চান। তিনি চান ভগবানের সমতুল্য স্থানটিই যেন তাঁর হয়। তাই তিনি আকাশের দেবতা ইন্দ্র হতে চান। কারণ ইন্দ্রের অপর নাম হল পুরন্দর।  

৪৮) গল্পটি অবলম্বনে অসীমা চরিত্রটি সম্বন্ধে তোমার মতামত জানাও। 

উঃ অসীমা সাতাশ বছরের একজন সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী মহিলা। সে বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছে। সে অত্যন্ত চালাক ও ঠান্ডা মাথার অধিকারী। ভূগোল বিষয়েও তার জ্ঞান আছে। অসাধারণ অভিনেত্রী পুরন্দরকে তাঁর উন্মাদ উদ্দেশ্য থেকে নিবৃত্ত করতে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পুরন্দরকে থামায়। এক কথায় অসীমা চরিত্রটি অনবদ্য। 

৪৯) এই গল্পে পুরন্দর এবং অসীমা আসলে দুটি পৃথক এবং পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞান চেতনার প্রতিনিধিত্ব করেছে। কে, কোন্ ধারণার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জানিয়ে তুমি এঁদের মধ্যে কাকে কেন সমর্থন করো বিশদে লেখো।

উঃ পুরন্দর প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেই শ্রেণির যারা মনে করে বিজ্ঞানের শক্তি দিয়ে তারা পৃথিবীতে যা খুশি করতে পারেন। অসীমা প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেই শ্রেণির যারা মনে করে বিজ্ঞান দিয়ে প্রকৃতির সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত। নয়তো বিপর্যয় অনিবার্য। আমি অসীমার দর্শনকে সমর্থন করি। কারণ প্রকৃতিকে তছনছ করে, তাকে বিপদগ্রস্ত করে কখনও পৃথিবীর উন্নতি সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে তাকে ফিরিয়ে আনা সহজ ব্যাপার নয়। তখন মহাবিপর্যয় শুরু হয়ে যেতে পারে। তার থেকে ভারসাম্য যাতে নষ্ট না-হয় তাই দেখা উচিত। 

৫০) গল্পটিতে যতগুলো স্থানের নাম আছে তার একটি তালিকা বানিয়ে প্রত্যেকটি স্থান সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো। 

উঃ 

সাহারাঃ

সাহারা হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উয়ু মরুভূমি। এটি আফ্রিকার গোটা উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৯,৪০০,০০০ বর্গকিমি। আলজিরিয়া মিশর, লিবিয়া, মালি, সুদান, তিউনিশিয়া সহ মোট বারোটি দেশ জুড়ে এই মরুভূমি অবস্থিত।

আলাস্কাঃ

আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম প্রদেশ। এর উত্তরে সুমেরু মহাসাগর, পূর্বে কানাডা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রশান্ত হাসাগর ।

সাইবেরিয়াঃ

রাশিয়ার উত্তর অংশ। এখানে সারাবছর তাপমাত্রা শূন্যের নীচে থাকে। পৃথিবীর শীতলতম স্থানগুলোর মধ্যে সাইবেরিয়া অন্যতম।

কলকাতাঃ

ভারতবর্ষের পূর্বে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তথা ভারতের সর্বাপেক্ষা জনঘনত্বযুক্ত শহর।

মেঘ চোর গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?