An Astrologer’s Day- R.K Narayan বঙ্গানুবাদ ।। একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টার

An Astrologer’s Day- R.K Narayan বঙ্গানুবাদ ।। একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টার

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য An Astrologer’s Day- R.K Narayan বঙ্গানুবাদ ।। একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টার প্রদান করা হলো। একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার দিতে চলা শিক্ষার্থীরা এই An Astrologer’s Day- R.K Narayan বঙ্গানুবাদ ।। একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টার আলোচনার মধ্য দিয়ে পাঠ্য রচনাটি ভালো করে বুঝতে পারবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে তোমাদের জন্য An Astrologer’s Day- R.K Narayan গল্পের গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি প্রদান করা হয়েছে, যার লিঙ্ক শিক্ষার্থীদের জন্য এই আলোচনাটির শেষে প্রদান করা হয়েছে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

An Astrologer’s Day- R.K Narayan বঙ্গানুবাদ ।। একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টারঃ 

Punctually at midday he opened his bag and spread out his professional equipment, which consisted of a dozen cowrie shells, a square piece of cloth with obscure mystic charts on it, a notebook and a bundle of palmyra writing. His forehead was resplendent with sacred ash and vermilion, and his eyes sparkled with a sharp abnormal gleam which was really an outcome of a continual searching look for customers, but which his simple clients took to be a prophetic light and felt comforted. 

একদম ভরদুপুরে তিনি রোজকার মতো তাঁর ব্যাগটা খোলেন এবং পেশাগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে বসেন, যার মধ্যে থাকে এক ডজন কড়ি, এক টুকরো চারকোণা কাগজের উপর অস্পষ্ট রহস্যময় চার্ট, একটা নোটবই আর একগুচ্ছ হস্তরেখা সম্পর্কিত লেখা। পবিত্র ভস্ম ও সিঁদুরের ছোঁয়ায় তাঁর কপালটা ঝকঝকে লাগছিল। তাঁর চোখগুলো এক অস্বাভাবিক দ্যুতিতে চকচক করছিল যা আসলে ছিল খরিদ্দার অনুসন্ধানের ফল। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটাকে ঈশ্বরপ্রদত্ত আলো বলে মনে করত ও সন্তুষ্ট হত।

The power of his eyes was considerably enhanced by their position placed as they were between the painted forehead and the dark whiskers which streamed down his cheeks: even a halfwit’s eyes would sparkle in such a setting. To crown the effect he wound a saffron colored turban around his head. This color scheme never failed.

চোখগুলো অবস্থানগত সুবিধার জন্য আরো জ্বলজ্বল করছিল—অঙ্কিত কপাল ও কালো গোঁফ যা তাঁর গাল বেয়ে নেমে এসেছিল তাঁর মাঝখানে হাওয়ায়। এতে বোকাসোকা লোকদের চোখ একেবারে ধাঁধিয়ে যেত। ব্যাপারটাকে আরও জোরদার করার জন্য তিনি মাথায় জাফরান রঙের পাগড়ি বাঁধেন। রং নিয়ে তাঁর এই খেলা কখনও ব্যর্থ হয় না।

People were attracted to him as bees are attracted to cosmos or dahlia stalks. He sat under the boughs of a spreading tamarind tree which flanked a path running through the Town Hall Park. It was a remarkable place in many ways: a surging crowd was always moving up and down this narrow road morning till night. A variety of trades and occupations was represented all along its way: medicine sellers, sellers of stolen hard ware and junk, magicians and, above all, an auctioneer of cheap cloth, who created enough din all day to attract the whole town. Next to him in vociferousness came a vendor of fried groundnuts, who gave his ware a fancy name each day, calling it Bombay Ice Cream one day, and on the next Delhi Almond, and on the third Raja’s Delicacy, and so on and so forth, and people flocked to him. A considerable portion of this crowd dallied before the astrologer too. The astrologer transacted his business by the light of a flare which crackled and smoked up above the groundnut heap nearby. 

কসমস অথবা ডালিয়া ফুলের কাছে যেভাবে মৌমাছিরা ঘুরপাক খায় সেভাবেই মানুষ তাঁর কাছে ভিড় করত। টাউন হল পার্কের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তাটা গেছে সেখানে তেঁতুল গাছের তলায় তিনি বসেন। বিভিন্ন কারণে এটা মনে রাখার মতো একটা জায়গা—সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওখানে লোকের ভিড় লেগেই থাকত। ওই সরু রাস্তা ধরে লোকে যাতায়াত করে। পুরো রাস্তাটা জুড়ে অনেক ধরনের ব্যাবসার পসরা বসে: ওষুধ বিক্রেতা, চুরি করা হার্ডওয়্যার ও ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রের দোকানদার, জাদুকর এবং সর্বোপরি একজন সস্তার জামাকাপড় বিক্রেতা যিনি সারাদিন চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য। তাঁর ঠিক পরেই বসেন একজন ভাজা বাদাম বিক্রেতা। তিনি তাঁর জিনিসের প্রত্যেকদিন এক একটা মজার নাম দেন। একদিন ‘বোম্বে আইসক্রিম’ নাম দেন তো পরেরদিন ‘দিল্লির বাদাম’, তার পরের দিন ‘রাজার পছন্দের খাবার’, এইভাবে চলতে থাকে। বেশকিছু লোকজন জ্যোতিষীর কাছেও ভিড় জমাতে থাকে। বাদামের স্তূপ এর ফাঁক দিয়ে ধোঁয়া পেরিয়ে যে আলোটুকু এসে পড়ে তাতেই তিনি তাঁর ব্যাবসা চালিয়ে নেন।

Half the enchantment of the place was due to the fact that it did not have the benefit of municipal lighting. The place was lit up by shop lights. One or two had hissing gaslights, some had naked flares stuck on poles, some were lit up by old cycle lamps and one or two, like the astrologer’s, managed without lights of their own. It was a bewildering criss cross of light rays and moving shadows. This suited the astrologer very well, for the simple reason that he had not in the least intended to be an astrologer when he began life; and he knew no more of what was going to happen to others than he knew what was going to happen to himself next minute. He was as much a stranger to the stars as were his innocent customers. Yet he said things which pleased and astonished everyone: that was more a matter of study, practice and shrewd guesswork. All the same, it was as much an honest man’s labor as any other, and he deserved the wages he carried home at the end of a day. 

এই জায়গাটার আকর্ষণের অন্যতম কারণ হল এখানে শহর কর্তৃপক্ষের কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। জায়গাটা আলোকিত হয়ে থাকে দোকানগুলোর আলোতেই। দু-একটা হিসহিস শব্দ করা গ্যাসের আলো, কারো খুটির সাথে বাঁধা মশাল, কারোর পুরোনো সাইকেল বাতি আর কারো কারো জ্যোতিষীর মতো নিজস্ব কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এখান সেখানে ছিল এক আলো-আঁধারির অদ্ভুতুড়ে খেলা। জ্যোতিষীর কাজের বেশ উপযুক্ত জায়গা ছিল এটা। জীবনের শুরুতে তিনি মোটেও জ্যোতিষী হতে চাননি। নিজের জীবনে পরমুহূর্তে কী ঘটতে চলেছে তার থেকেও তিনি অন্যের জীবনে ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা খুবই কম জানতেন। তার নিরীহ ক্রেতারা যেমন নক্ষত্র বিষয়ে অজ্ঞ ছিল, সেও তেমনই অজ্ঞ ছিল। তবুও তিনি এমন কিছু বলতেন যাতে প্রত্যেকে খুশি ও অবাক হত। এইসবকিছুই ছিল মূলত পর্যবেক্ষণ, অনুশীলন ও অনুমানভিত্তিক। তাই এই কাজটাও অন্য কাজগুলোর মতো সৎ পরিশ্রমের ফল। দিনের শেষে তিনি যা মজুরি নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি তার উপযুক্ত।

He had left his village without any previous thought or plan. If he had continued there he would have carried on the work of his forefathers namely, tilling the land, living, marrying and ripening in his cornfield and ancestral home. But that was not to be. He had to leave home without telling anyone, and he could not rest till he left it behind a couple of hundred miles. To a villager it is a great deal, as if an ocean flowed between.

কোনোরকম ভাবনাচিন্তা বা পরিকল্পনা ছাড়াই তিনি তাঁর গ্রাম ছেড়েছিল। যদি তিনি সেখানেই থেকে যেতেন তবে তাঁকে তাঁর পূর্বসূরিদের মতো কাজই করতে হত। চাষবাস করে, শস্যখেতে ফসল ফলিয়ে বিয়েটিয়ে করে পৈতৃকবাড়িতেই থাকতে থাকতে বুড়ো হয়ে যেতেন। কিন্তু তা হল না । কাউকে কিছু না জানিয়েই তাঁকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল এবং দুশো মাইল পার না করে তিনি থামতে পারেননি। একজন গ্রামের মানুষের কাছে এটা একটা কঠিন ব্যাপার—দুই সাগরের মাঝে বাস করার মতো।

He had a working analysis of mankind’s troubles: marriage, money and the tangles of human ties. Long practice had sharpened his perception. Within five minutes he understood what was wrong. He charged three pice per question and never opened his mouth till the other had spoken for at least ten minutes, which provided him enough stuff for a dozen answers and advices. When he told the person before him, gazing at his palm, “In many ways you are not getting the fullest results for your efforts,” nine out of ten were disposed to agree with him. Or he questioned: “Is there any woman in your family, maybe even a distant relative, who is not well disposed towards you?” Or he gave an analysis of character: “Most of your troubles are due to your nature. How can you be otherwise with Saturn where he is? You have an impetuous nature and a rough exterior.” This endeared him to their hearts immediately, for even the mildest of us loves to think that he has a forbidding exterior.

মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর একটা নিজস্ব ভাবনা আছে: বিয়ে, টাকাপয়সা এবং মানবসম্পর্ক নিয়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। দীর্ঘ অনুশীলন তাঁর অনুভূতিকে তীব্র করেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনি ধরে ফেলতে পারেন গলদটা কোথায়। প্রত্যেকটা প্রশ্নের জন্য তিনি তিন পয়সা নেন এবং অপরজন অন্তত দশমিনিট কথা বলে নেওয়ার পরেই তিনি মুখ খোলেন। এর থেকেই তিনি ডজনখানেক প্রশ্নের উত্তর ও উপদেশ দেওয়ার মতো তথ্য পেয়ে যান। যখন তিনি তাঁর সামনের মানুষটার হাতের তেলোর দিকে তাকিয়ে বলেন, “অনেকক্ষেত্রেই আপনি আপনার পরিশ্রমের পুরো ফল পাচ্ছেন না।” দশজনের মধ্যে নয় জনই সহমত প্রকাশ করেন। আবার কখনও তিনি প্রশ্ন করেন, “এমন কোনো স্ত্রীলোক আছেন কি, যিনি দূর-সম্পর্কের আত্মীয়াও হতে পারেন, যিনি আপনার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না?” বা তিনি এভাবে ব্যাখ্যা করেন (বলেন) যে: “আপনার যত সমস্যা আপনার প্রকৃতির জন্য। যে অবস্থায় আছেন, শনির সাথে অন্যথা হওয়ার জো নেই। আপনার মধ্যে একটা প্ররোচনা •উদ্রেককারী ভাব এবং উগ্রভাব আছে।” এর ফলে তিনি খুব সহজেই তাদের মন জয় করে নিতেন, কারণ আমাদের মধ্যে সবথেকে নরম স্বভাবের (মনের ) মানুষটাও ভাবতে ভালোবাসে যে তাঁর চেহারায় একটা উগ্রভাব আছে।

The nuts-vendor blew out his flare and rose to go home. This was a signal for the astrologer to bundle up too, since it left him in darkness except for a little shaft of green light which strayed in from somewhere and touched the ground before him. He picked up his cowrie shells and paraphernalia and was putting them back into his bag when the green shaft of light was blotted out; he looked up and saw a man standing before him. He sensed a possible client and said: “You look so careworn. It will do you good to sit down for a while and chat with me.” The other grumbled some vague reply. The astrologer pressed his invitation; whereupon the other thrust his palm under his nose, saying: “You call yourself an astrologer?” The astrologer felt challenged and said, tilting the other’s palm towards the green shaft of light: “Yours is a nature…” “Oh, stop that,” the other said. “Tell me something worthwhile….”

বাদাম-বিক্রেতা তাঁর বাতি নিভিয়ে দিয়েছেন এবং বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এটা জ্যোতিষীর জন্যও একটা সংকেত। বাদাম-বিক্রেতা চলে গেলে জায়গাটা প্রায় অন্ধকার হয়ে যাবে কারণ ওই দোকান থেকে একটু আলোর ঝলক এসে জায়গাটিকে আলোকিত করে। তিনি তাঁর কড়ি এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলো তুলে তাঁর ব্যাগে রাখতে যাওয়ার মুহূর্তে আলোর ঝলকটা মুছে গেল। উপরদিকে তাকাতেই দেখতে পেলেন একজন মানুষকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। তিনি ধরে নিলেন মানুষটি তার একজন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট (খরিদ্দার) এবং বললেন, “আপনাকে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত লাগছে। কিছুক্ষণ একটু বসলে এবং আমার সঙ্গে কথা বললে ভালো লাগবে আপনার।” তিনি (সামনের মানুষটি) অস্পষ্টভাবে কিছু বিড়বিড় করতে লাগলেন। জ্যোতিষী বারবার অনুরোধ করলে এবং অন্যজন নাকের সামনে হাতটা এগিয়ে দিয়ে বলল, “আপনি নিজেকে একজন জ্যোতিষী বলে মনে করেন?” জ্যোতিষী চাপে পড়ে যান এবং হাতের তালু আলোর দিকে কাত করে বলেন, “আপনার প্রকৃতিটা অন্যজন বলেন, “থামুন তো! পারলে কাজের কিছু বলুন।”

Our friend felt piqued. “I charge only three pice per question, and what you get ought to be good enough for your money….” At this the other withdrew his arm, took out an anna and flung it out to him, saying, “I have some questions to ask. If I prove you are bluffing, you must return that anna to me with interest.”

জ্যোতিষী কিছুটা বিরক্ত হলেন। বললেন, প্রতিটা প্রশ্নের জন্য আমি মাত্র তিন পয়সা নিই এবং আপনি যা পাবেন তা আপনার পয়সার তুলনায় অনেক বেশি। এটা শুনে তিনি হাতটা সরিয়ে নিলেন, এক আনা বার করলেন এবং তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, “আমার কিছু প্রশ্ন আছে। যদি আমি প্রমাণ করতে পারি যে আমাকে ধাপ্পা দিচ্ছেন, তাহলে আমাকে সুদসহ ওই আনা ফেরত দিতে হবে।”

“If you find my answers satisfactory, will you give me five rupees?”

“যদি আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হন, তাহলে কি আমাকে পাঁচ টাকা দেবেন?”

“No.”

“না।”

 “Or will you give me eight annas?” 

“অথবা আমাকে আট আনা দেবেন?”

“All right, provided you give me twice as much if you are wrong,” said the stranger. This pact was accepted after a little further argument. The astrologer sent up a prayer to heaven as the other lit a cheroot.” The astrologer caught a glimpse of his face by the matchlight. There was a pause as cars hooted on the road, jutka” drivers swore at their horses and the babble of the crowd agitated the semi-darkness of the park. The other sat down, sucking his cheroot, puffing out, sat there ruthlessly. The astrologer felt very uncomfortable. “Here, take your anna back. I am not used to such challenges. It is late for me today….” He made preparations to bundle up. The other held his wrist and said, “You can’t get out of it now. You dragged me in while I was passing.” The astrologer shivered in his grip; and his voice shook and became faint. “Leave me today. I will speak to you tomorrow.” The other thrust his palm in his face and said, “Challenge is challenge. Go on.” The astrologer proceeded with his throat drying up. “There is a woman…”

“ঠিক আছে, আপনি ভুল প্রমাণিত হলে দ্বিগুণ ফেরত দিতে হবে।” লোকটা বলেন। খানিক কথাবার্তার পর এই চুক্তি গৃহীত হল। জ্যোতিষী দেবতার কাছে প্রার্থনা জানালেন তখনই লোকটি চুরুট ধরালেন। দেশলাই এর আলোয় জ্যোতিষী লোকটির মুখ এক ঝলকের জন্য দেখতে পেলেন। মনোযোগে একটু ছেদ পড়ল গাড়ির হুইসেলের আওয়াজে। গাড়োয়ান ঘোড়ার উদ্দেশ্যে চেঁচামেচি করছে এবং পার্কের আলো আঁধারির মধ্যে থেকে ভেসে আসছে মানুষের কথাবার্তার আওয়াজ। লোকটি বসলেন, চুরুটে টান দিলেন, তারপর ধোঁয়া ছাড়লেন এবং বেশ কঠোর হয়ে বসলেন। জ্যোতিষী বেশ অস্বস্তি বোধ করলেন। “এই যে, আপনার পয়সা ফেরত নিন। এই ধরনের

চ্যালেঞ্জে আমি অভ্যস্ত নই। আজ যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছে …

এই বলে তিনি উঠে পড়ার প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। লোকটা তাঁর হাত ধরে বললেন, “এখন আপনি যেতে পারবেন না। যখন আমি চলে যাচ্ছিলাম আপনি টেনে এনেছেন।” তার মুঠোর মধ্যে কেঁপে উঠলেন জ্যোতিষী। তাঁর গলা কেঁপে গেল, স্বর নীচু হল। “আজকে আমাকে ছেড়ে দিন। আগামীকাল কথা বলব। লোকটা তার মুখে হাতটা দিয়ে বলল, “চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ ৷ কাজ চালিয়ে যান। জ্যোতিষী শুকনো গলায় কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। “একজন মহিলা আছেন…”

“Stop,” said the other. “I don’t want all that. Shall I succeed in my present search or not? Answer this and go. Otherwise I will not let you go till you disgorge” all your coins.” The astrologer muttered a few incantations and replied, “All right. I will

what speak. But will you give me a rupee if I say is convincing? Otherwise I will not open my mouth, and you may do what

you like.” After a good deal of haggling the other agreed. The astrologer said, “You were left for dead. Am I right?”

লোকটা বলল, “থামুন। ওইসব আমি জানতে চাই না। আমি আমার বর্তমান অনুসন্ধানে সফল হব কি না? এর উত্তর দিন এবং যান। অন্যথায় আপনার সমস্ত টাকাপয়সা না নিয়ে ছাড়ছি না।” জ্যোতিষী কিছু মন্ত্রোচ্চারণ করে নিল এবং বলল, “ঠিক আছে। বলব। কিন্তু আমি যা বলব যদি বিশ্বাসযোগ্য হয় তবে কি আমাকে এক টাকা দেবেন? নতুবা আমি মুখ খুলব না। আপনি যা খুশি করতে পারেন।” অনেক দরাদরির পর তিনি সম্মত হলেন। জ্যোতিষী বললেন, “আপনাকে মৃত ভেবে চলে গিয়েছিল। ( ঠিক বলছি কি?) তাই না ? ”

“Ah, tell me more.”

“একদম। আরও কিছু বলুন।”

“A knife has passed through you once?”

said the astrologer. 

“একটা ছুরি আপনাকে বিদ্ধ করেছিল একবার?” জ্যোতিষী জানতে চাইলেন।

“Good fellow!” He bared his chest to show the scar. “What else?” “And then you were pushed into a well nearby in the field. You were left for dead.” 

“ঠিক।” বুকটা খুলে দাগটা দেখালেন। “তারপর?”

“মাঠের মধ্যে একটা কুয়োয় আপনাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আপনাকে মৃত ভেবে ফেলে রাখা হয়েছিল।”

“I should have been dead if some passerby had not chanced to peep into the well,” exclaimed the other, overwhelmed by enthusiasm. “When shall I get at him?” he asked, clenching his fist. 

লোকটা অভিভূত। প্রবল উৎসাহে বলতে লাগলেন “একজন পথচারী কুয়োয় উঁকি না মারলে ওখানেই মরে পড়ে থাকতাম।” হাত মুঠো করে বেশ জোরের সঙ্গে জানতে চাইলেন, “কখন তাকে পেতে পারি?” 

“In the next world,” answered the astrologer. “He died four months ago in a far-off town. You will never see any more of him.” The other groaned on hearing it. The astrologer proceeded. 

জ্যোতিষী উত্তর দেন, “পরপারে। দূরের এক শহরে চারমাস আগে সে মারা গেছে। তার সঙ্গে দেখা হবে না।” লোকটা এটা শুনে গোঙাতে

লাগলেন। জ্যোতিষী তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন।

“Guru Nayak” 

“গুরু নায়েক….”

“You know my name!” the other said, taken aback.”

লোকটা অবাক হয়ে বললেন, “আপনি আমার নাম জানেন !

“As I know all other things. Guru Nayak, listen carefully to what I have to say. Your village is two days’ journey due north of this town. Take the next train and be gone. I see once again great danger to your life if you go from home.” He took and out a pinch of sacred ash and held it out to him. “Rub it on your forehead and go home. Never travel southward again, you will live to be a hundred.” 

“একইভাবে আমি সবকিছুই জানি। গুরু নায়েক, আমি যা বলছি মন দিয়ে শুনুন। আপনার গ্রাম ও শহর থেকে উত্তরে দুই দিনের পথ। পরের ট্রেন ধরে চলে যান। আমি আবারও আপনার বিপদ দেখতে পাচ্ছি বাড়ি থেকে বেরোলেই।” তিনি এক চিমটে ছাই নিলেন এবং তাঁর সামনে ধরলেন।

“কপালে এটা লাগিয়ে নিন এবং বাড়ি চলে যান। আর কখনও দক্ষিণমুখো হবেন না, তাহলে আপনি শতবর্ষ বাঁচবেন। ”

“Why should I leave home again?” the other said reflectively.” “I was only going away now and then to look for him and to choke out his life if I met him.” He shook his head regretfully. “He has escaped my hands. I hope at least he died as he deserved.” “Yes,” said the astrologer. “He was crushed under a lorry.” The other looked gratified to hear it. 

লোকটি বেশ ভাবুকের মতো বললেন, “আমি আবার বাড়ি থেকে বের হব কেন?” “আমি এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াচ্ছিলাম শুধুমাত্র তার খোঁজে এবং যদি আমি তার দেখা পেতাম শ্বাসরোধ করে মারতাম।” দুঃখের সাথে তিনি তাঁর মাথা নাড়তে লাগলেন। “সে আমার হাত থেকে পালিয়েছে। আমি চাই সে যেন অন্ততঃপক্ষে তার উপযুক্ত মৃত্যু পায়।” জ্যোতিষী বললেন, “হ্যা, সে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে।” এটা শুনে লোকটাকে বেশ সন্তুষ্ট দেখাল।

The place was deserted by the time the astrologer picked up his articles and put them into his bag. The green shaft was also gone, leaving the place in darkness and silence. The stranger had gone off into the night, after giving the astrologer a handful of coins. 

এর মধ্যে জায়গাটা ফাঁকা হয়ে গেছে। জ্যোতিষী তাঁর জিনিসপত্র তুলে ব্যাগে ভরে ফেলেছেন। সবুজ আলোর ঝলকানিও চলে গেছে। জায়গাটা নিঃস্তব্ধ ও অন্ধকার হয়ে গেছে। জ্যোতিষীকে একমুঠো পয়সা দিয়ে লোকটা অন্ধকারে বিলীন হয়ে গেছেন (চলে গেছেন)।

It was nearly midnight when the astrologer reached home. His wife was waiting for him at the door and demanded an explanation. He flung the coins at her and said, “Count them. One man gave all that.” 

জ্যোতিষীর বাড়ি পৌঁছাতে মাঝরাত হয়ে গেল। তার স্ত্রী দরজায় দাঁড়িয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর কাছে তাঁর দেরীর কারণ জানতে চাইলেন। জ্যোতিষী তাঁর দিকে পয়সাগুলো ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, “গোনো । একজন লোকই এগুলো দিয়েছেন।”

“Twelve and a half annas,” she said, counting. She was overjoyed. “I can buy some jaggery’s and coconut tomorrow. The child has been asking for sweets for so many days now. I will prepare some nice stuff for her.”

তাঁর স্ত্রী গুনতে গুনতেই বললেন, “সাড়ে বারো আনা।” ভীষণ আনন্দিত তিনি। বললেন, “আগামীকাল কিছুটা গুড় আর নারকেল কিনবো। কতদিন হল মেয়েটা একটু মিষ্টি খেতে চাইছে। ওর জন্য কালকে আমি একটা দারুণ জিনিস বানাবো।

“The swine has cheated me! He prom- ised me a rupee,” said the astrologer. She looked up at him. “You look worried. What is wrong?” 

“ওই শুয়োরটা আমাকে ঠকিয়েছে। “এক টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,” জ্যোতিষী জানালেন। তাঁর স্ত্রী তাঁর দিকে তাকালেন। বললেন, “তোমাকে খুবই উদবিগ্ন দেখাচ্ছে। কিছু হয়েছে?”

“Nothing.”

“না।”

After dinner, sitting on the pyol, he told her, “Do you know a great load is gone from me today? I thought I had the blood of a man on my hands all these years. That was the reason why I ran away from home, settled here and married you. He is alive.

রাতে খাবার পরে একটা নীচু বেঞ্চে বসে জ্যোতিষী তাঁর স্ত্রীকে বললেন, “তুমি কি জানো আজকে আমার মাথা থেকে একটা বড়ো বোঝা নেমে গেল ? আমি এতদিন ধরে ভাবতাম আমি একটা মানুষের রক্ত হাতে নিয়ে ঘুরছি। ওই কারণেই আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এতদূরে এসে বাস করছি এবং তোমাকে বিয়ে করেছি। সে এখনো বেঁচে আছে।”

” She gasped, “You tried to kill!” 

তাঁর স্ত্রী হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, “তুমি একজনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলে!” 

“Yes, in our village, when I was a silly youngster. We drank, gambled and quarreled badly one day. Why think of it now? Time to sleep,” he said, yawning, and stretched himself on the pyol.

নীচু বেঞ্চে শরীরটা টানটান করে হাই তুলতে তুলতে জ্যোতিষী বললেন, “হ্যাঁ। আমি তখন একজন বোকা যুবক। আমরা মদ খেয়ে ও জুয়া খেলে একদিন ভীষণ ঝগড়া করেছিলাম—এখন আর ওসব ভেবে কী হবে? চলো ঘুমাই।”

An Astrologer’s Day- R.K Narayan গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class-eleven-english-note-new-syllabus

একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

class-eleven-bengali-semester-1

একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class-eleven-pol-science-first-semester-question-answers

একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class-eleven-education-first-semester-question-answers

একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

class-eleven-history-first-semester-question-answers

একাদশ শ্রেণি ভূগোল প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

class-eleven-geography-first-semester-question-answers

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সব বিষয়ের সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?