পরিবেশ ও মানবজীবন প্রবন্ধ রচনা

পরিবেশ ও মানবজীবন প্রবন্ধ রচনা

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ ও মানবজীবন প্রবন্ধ রচনা প্রবন্ধ রচনাটি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রবন্ধ রচনা প্রবন্ধ রচনাটি পাঠ করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

পরিবেশ ও মানবজীবন প্রবন্ধ রচনা : 

ভূমিকা:

জন্মলগ্ন থেকেই পরিবেশের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্রতা। পরিবেশ থেকেই মানুষ পায় বেঁচে থাকার রসদ। পরিবেশের মধ্যে রয়েছে শাসন, জীবন বৃদ্ধির প্রতিকূলতা। পরিবেশের প্রভাব মানুষের অন্তর জগতেও পড়ে। আর তারই জন্য মানুষ সহনশীলতা, নম্রতা শেখে। সব মিলিয়ে পরিবেশ মানুষের জীবনে মায়ের মতো।

পরিবেশ ও প্রতিবেশ:

মানুষ যে পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে তার বাহ্যিক রূপ একরকম, আবার আন্তর রূপ অন্য একরকম। বাহ্যিক রূপে রয়েছে আকাশ-বাতাস, সমুদ্র-পর্বত, নদী-অরণ্য, শ্যামল সুষমামণ্ডিত শস্যক্ষেত্র বা কোথাও ঊষর মরুভূমি। আবার অপরদিকে রয়েছে পরিবার, সম্প্রদায়, কৃষ্টি-ঐতিহ্য- সংস্কৃতি। মা যেমন শিশুকে বাঁচতে সাহায্য করে প্রতিবেশ বা পরিবেশ তেমনি শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দেহ ও মন দুই-এর পূর্ণতাতেই মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

পরিবেশ – প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যে :

পরিবেশ ও মানুষ এক গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু প্রতীচ্যে অর্থাৎ, পশ্চিমি দেশগুলিতে এ ধারণায় ঐক্যমত্য ছিল না। ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেছেন, ‘Let Nature be your teacher’ । এ কথা ঠিকই মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকে শেখে। তাই প্রকৃতি মানুষের শিক্ষক। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন জীবন ও শিক্ষা এক তন্ত্রীতে বাঁধতে হবে। তাই তিনি শান্তিনিকেতনের বুকে গড়ে তুলেছিলেন মানুষের জন্য আদর্শ শিক্ষাকেন্দ্র।

শিক্ষার পরিবেশ প্রাধান্য ও স্বরূপ :

আমরা যদি প্রাচীন ভারতবর্ষের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখি মুনিরা তপোবন কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলেছিলেন শিশুদের জন্য। কর্ম ও প্রকৃতিকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন, কিন্তু মানুষ তো একাকি বাঁচতে পারে না; প্রয়োজন সমাজ। তাই শিক্ষাধারায় এল সামাজিক পরিবেশ। পারিপার্শ্বিককে নিয়েই মানুষকে চলতে হবে। নিজেকে নিয়ে ভাবার সঙ্গে সঙ্গে অপরের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাতে জাগবে মনুষ্যত্ববোধ, সহমর্মিতাবোধ ও আনুগত্য।

পরিবেশ ও জীবন :

সমাজে নানান পরিবেশ, তাই মানুষের জীবনও ভিন্ন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত। আবার সমাজ-ব্যবস্থায় দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে; রয়েছে তেমনই বর্ণগত; সম্প্রদায়গত ভিন্নতা। আজও ভারতবর্ষে নিরক্ষর মানুষের জন্য সর্বশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। দরিদ্র মানুষ পায় না শিক্ষার সুযোগ। এর ফল বড়োই বেদনাদায়ক। সুস্থ সুন্দর পরিবেশ না পেয়ে মানুষের জীবন বিপথগামী। সামাজিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে, সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা। মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতার ভাব কাটাতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় পরিশীলিত করে তুলতে হবে শিশু কিশোরদের। ব্যবহার, আচরণ, শ্রদ্ধাভাব জাগ্রত রেখে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। তবেই জীবন সুন্দর হবে।

উপসংহার :

আমাদের শিশুদের যোগ্য করে তুলতে হলে তাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে ভালো করে অবহিত করাতে হবে। বড়োদের দায়িত্ব অনেক। উদ্দেশ্যপূরণে সৎভাবনা ও সৎকর্ম প্রয়োজন। শিশুর পরিবেশ যেমন হবে, শিশুর জীবনও তেমন হবে।  

এমনই আরো প্রবন্ধ রচনা দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের এই পেজে নিয়মিত প্রবন্ধ রচনা প্রদান করা হয়। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?