ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা
ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে এখানে বিবিধ নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট লিংকে টাচ/ক্লিক করে ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভাষা অংশের একটি বিভাগ হলো বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় তোমাদের ভাষা থেকে MCQ, SAQ ও ৫ নম্বরের বড়ো প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে বাংলা বিষয়ে ভালো ফলাফল করতে এই অংশটি খুব ভালো করে তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এখানে বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তাদের উত্তর প্রদান করা হলো।
ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা গুরুত্বপূর্ণ কিছু MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ভারতের ভাষাগুলিকে ভাগ করা হয়- চারটি ভাষাবংশে
২) ‘Linguistic Survey of India 1903-1928’ এর মূল সম্পাদক ছিলেন- জর্জ গ্রিয়ার্সন
৩) ‘ভাষা সমীক্ষা’ অনুসারে ভারতে প্রচলিত ভাষার সংখ্যা- ১৭৯টি
৪) ভারতে উপভাষা প্রচলিত রয়েছে- ৫৪৪টি
৫) ১৯৬১ খ্রিঃ সমীক্ষা অনুসারে ভারতে মাতৃভাষা রয়েছে- ১৬৫২টি
৬) ভারতে অবর্গীভূত ভাষার সংখ্যা- ৫৩০টি
৭) ভারতীয় জনসমূহের প্রাচীনতম স্তর হল- নেগ্রিটো
৮) ভারতে অস্ট্রিক ভাষাবংশের ভাষা রয়েছে- ৬৫টি
৯) ভারতের প্রাচীনতম ভাষাগোষ্ঠী হল- অস্ট্রিক
১০) প্রত্ন-অস্ট্রালদের ভাষা ছিল- অস্ট্রিক
১১) অস্ট্রিক ভাষাবংশ বিভক্ত- দুটি ভাষা বংশে
১২) মেলানেশীয় ভাষাগোষ্ঠী দেখা যায়- ফিজিদ্বীপে
১৩) অস্ট্রো-এশিয়াটিকের অন্তর্ভুক্ত সাঁওতালি ভাষা যে ধারার অন্তর্গত- পশ্চিমা
১৪) অস্ট্রো-এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারাটিতে ভাষা আছে- প্রায় ৫৮টি
১৫) সাঁওতালি ভাষার লিপির নাম- অলচিকি
১৬) অলচিকি লিপির উদ্ভাবক হলেন- রঘুনাথ মুর্মু
১৭) মুন্ডারি এনসাইক্লোপিডিয়া বিভক্ত- ১৩টি খন্ডে
১৮) মন্-খমের মধ্যে ভাষা রয়েছে- ৭টি
১৯) দ্রাবিড় ভাষাবংশ ভাষাভাষীর দিক দিয়ে- দ্বিতীয় বৃহত্তম
২০) হরপ্পা ও মহেন-জো-দারো অবস্থিত ভারতের- উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে
২১) দ্রাবিড় ভাষাবংশের প্রধান ভাষা- তামিল
২২) দ্রাবিড় ভাষাবংশের অপর একটি ভাষা- তেলেগু
২৩) সিন্ধু সভ্যতা আসলে- দ্রাবিড় সভ্যতার দান
২৪) ওরাঁও ভাষা ব্যবহার করা হয়- বিহার, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশের সীমান্তে
২৫) মধ্যদেশীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত ভাষার সংখ্যা- প্রায় ৭টি
২৬) গোন্দ জনজাতীর ভাষা হল- গোন্ডী
২৭) তামিল ভাষায় ব্যবহৃত ব্যঞ্জনবর্ণ ও স্বরবর্ণের সংখ্যা- ১৮টি ও ১২টি
২৮) দ্রাবিড় ভাষার লিপির উদ্ভব ঘটেছে- ব্রাহ্মী লিপি থেকে
২৯) কর্ণাটক রাজ্যের প্রধান ভাষা- কন্নড়
৩০) প্রাচীনতম দ্রাবিড়ীয় শিলালিপি লেখা হয়েছিল- কন্নড় লিপিতে
৩১) তেলেগু ভাষা প্রধানত প্রচলিত- অন্ধ্রপ্রদেশে
৩২) তেলেগু ভাষার বৈচিত্র আঞ্চলিকভেদে- চার প্রকারের
৩৩) দ্রাবিড় ভাষাবংশের মধ্যে ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত- তেলেগু
৩৪) মঙ্গলয়েডরা ভারতে প্রবেশ করেন- আর্যদের পূর্বে
৩৫) মঙ্গলয়েডরা কথা বলতো- ভোটচিনা ভাষায়
৩৬) ভোট-বর্মি ভাষা প্রচলিত ভারতের- হিমালয় অঞ্চলে
৩৭) ‘লুঙ্গি’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে- বর্মি ভাষা থেকে
৩৮) ভারতীয় আর্য ভাষা এসেছে যে ভাষাগোষ্ঠী থেকে- ইন্দো-ইউরোপীয়
৩৯) প্রচীন ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল- ঋকবেদ
৪০) ‘অষ্টাধ্যায়ী’ ব্যাকরণ গ্রন্থটি লিখেছিলেন- পাণিনি
৪১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার অপর নাম- বৈদিক ভাষা
৪২) প্রাকৃত ভাষার মূল উপাদান আছে- বৈদিক সংস্কৃত ভাষাতে
৪৩) প্রাকৃত ভাষা বা মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়সীমা- ৬০০খ্রিঃ পূঃথেকে ৯০০ খ্রিঃ
৪৪) মধ্যভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন দেখা যায়- অশোকের শিলালিপিতে
৪৫) গৌতম বুদ্ধ ছিলেন- মগধের লোক
৪৬) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার ব্যাপ্তি- দেড় হাজার বছর
৪৭) মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে জন্ম হয়- মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ঠ
৪৮) নব্যভারতীয় আর্য ভাষার বিস্তার- ৯০০খ্রিঃ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত
৪৯) সিন্ধি ভাষা ভারতে- কচ্ছ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল
৫০) গ্রন্থসাহিব গ্রন্থটি লেখা হয়েছে- পাঞ্জাবি ভাষার গুরমুখী লিপিতে
৫১) নেপালি ভাষার উদ্ভব ঘটেছে- শৌরসেনী প্রাঋত-অপভ্রংশ থেকে
৫২) বাংলা ভাষার উদ্ভব- মাগধী অপভ্রংশ থেকে
৫৩) বাংলা ভাষার জন্ম হয়- আনুমানিক ৯০০খ্রিঃ
৫৪) প্রাচীন বাংলার সময়সীমা হল- ৯০০ থেকে ১৩৫০ খ্রিঃ
৫৫) আদি-মধ্য বাংলার সময়সীমা হল- ১৩৫০ খ্রিঃ থেকে ১৫০০ খ্রিঃ
৫৬) মধ্য বাংলার সময়সীমা হল- ১৩৫০ খ্রিঃ থেকে ১৭৬০ খ্রিঃ
৫৭) প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হল- চর্যাপদ
৫৮) আদি-মধ্য বাংলার নিদর্শন হল- শ্রীকৃষ্ণকীর্তণ
৫৯) অন্ত-মধ্য বাংলার নিদর্শন হল- মঙ্গলকাব্য
৬০) সংস্কৃত বাংলা ভাষার ‘অতি অতি অতি অতি অতিবৃদ্ধ পিতামহী’ কথাটি বলেছেন- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
……. শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে কিছু দিন অন্তর অন্তর এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের আপডেটগুলি পেতে নিয়মিত ফলো করো শিক্ষালয় ওয়েবসাইটটিকে।
ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) দ্রাবিড় ভাষাবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫
উঃ প্রত্ন-অস্ত্রালদের পরবর্তীকালে যে ভূমধ্যসাগরীয় জনগোষ্ঠী ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল তারা দ্রাবিড় ভাষাবংশের অন্তর্গত। ভারতবর্ষে প্রচলিত ভাষাবংশগুলির মধ্যে দ্রাবিড় ভাষাবংশ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। আর্যরা ভারতে এসে দ্রাবিড় ভাষাবংশের মানুষদের উত্তরভারত থেকে বিতাড়িত করলে তারা বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ অংশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তাই দাক্ষিণাত্যের অন্যতম প্রধান ভাষাবংশ হল দ্রাবিড় ভাষাবংশ।
এই ভাষাবংশের অন্তর্গত শাখাগুলি হল-
ক) দক্ষিণী;
খ) উত্তরা;
গ) মধ্যদেশীয়;
ঘ) বিচ্ছিন্ন।
নিম্নে এই শাখাগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
ক) দক্ষিণীঃ
দক্ষিণ ভারতে অধিক প্রচলিত তামিল, তেলেগু, মালায়ালম্, কন্নড় প্রভৃতি ভাষাগুলি এই দক্ষিণী শাখার অন্তর্গত। এছাড়াও নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চলের টোডা ও কোটা, মহীশুরের টুলু ভাষাও এই শাখার নিদর্শন।
খ) উত্তরাঃ
দ্রাবিড় ভাষাবংশের উত্তরা শাখার অন্তর্গত ভাষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশে প্রচলিত ওরাওঁ ভাষা এবং বাংলা ও ঝাড়খন্ডের রাজমহল পাহাড় সংলগ্ন মালপাহাড়ি ভাষা।
গ) মধ্যদেশীয়ঃ
গোদ জনজাতির ব্যবহৃত ভাষা গোণ্ডী দ্রাবিড় ভাষাবংশের মধ্যদেশীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও ওড়িশায় প্রচলিত কুই, কোন্দ, খোন্দ ভাষাও এই শাখার নিদর্শন।
ঘ) বিচ্ছিন্নঃ
বর্তমান পাকিস্থানের অন্তর্ভুক্ত বেলুচিস্থানের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত ব্রাহুই ভাষা দ্রাবিড় ভাষাবংশের অন্তর্গত।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন দ্রাবিড় ভাষাবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা লাভ করতে পারি।
ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোটপ্রশ্নের (MCQ) উত্তর।
ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর।
মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার কালসীমা উল্লেখ করে৷ এই স্তরের ভাষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও৷
“ভারত চার ভাষাবংশের দেশ”–এই চার ভাষাবংশের পরিচয় দাও।
অস্ট্রিক ভাষাবংশের যে কোন একটি ভাষার নাম লেখো। এই ভাষাবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
সংস্কৃত ভাষাকে কি বাংলা ভাষার জননী বলা যায়?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ