একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস

একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে “একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাসঃ 

১) ‘শিক্ষার সার্কাস’ রচনায় ‘সার্কাস’ কথাটির অর্থ কী?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ রচনায় ‘সার্কাস’ শব্দটির অর্থ হল একধরনের প্রহসনমূলক খেলা।

২) ‘সব শিক্ষা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ রচনায় সব শিক্ষা বলতে লেখাপড়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক শিক্ষা, কারিগরি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার কথাও বুঝিয়েছেন কবি।

৩) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় ব্যবহৃত ‘তুমি’ আর ‘আমি’ কে?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস রচনায় ‘তুমি’ অর্থাৎ কবির প্রতিযােগী এবং ‘আমি’ অর্থাৎ কবির নিজের কথা বলা হয়েছে।

৪) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় ‘যদি’ শব্দটি বারবার ব্যবহারের তাৎপর্য কী?

♣ আইয়াপ্পা পানিকর-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় যদি শব্দটির বারবার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার ক্ষেত্রে প্রচুর সংশয় প্রকাশ পেয়েছে।

৫) শিক্ষার সার্কাস কবিতায় ‘এক-দুই-তিন…চার’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় শিক্ষার এক-একটি শ্রেণি বােঝাতে ‘এক-দুই-তিন-চার’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কেবল সংখ্যা মাত্র।

৬) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় সব শ্রেণির শেষ কোথায়?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় সব শ্রেণির শেষ হয় প্রথাগত শিক্ষাপদ্ধতির শেষ গণ্ডিটি পেরিয়ে গেলে।

৭) ‘তবু পরের শ্রেণিতে’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় তবু পরের শ্রেণিতে বলতে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে কোনাে শিক্ষা, হয়তােবা বৃত্তিমূলক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।

৮) কবি বর্তমান শিক্ষা সম্পর্কে কী বলেছেন?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় কবি বর্তমান শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন যে, বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতি কেবল পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবার একটি মাধ্যম বা সিঁড়ি মাত্র।

৯) বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতির বিরােধিতা করেছেন এমন এক সাহিত্যিকের নাম লেখাে।

♣ বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতির বিরােধিতা করেছেন এমন একজন সাহিত্যিক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১০) বর্তমান শিক্ষায় জ্ঞানকে ধোঁকা বলা হয়েছে কেন?

♣ বর্তমান শিক্ষায় জ্ঞানকে ধোঁকা বলা হয়েছে কারণ বর্তমান প্রতিযােগিতার যুগে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানসঞ্চয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য না জেনেই নিছক ফাকি দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই জ্ঞান মানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ঘটাতে পারে না বলেই তা ধোঁকা।

১১) সব শ্রেণি শেষে কবি তবু পরের শ্রেণিতে যেতে চেয়েছেন কেন?

♣ আইয়াপ্পা পানিকর-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় সব শ্রেণি শেষে কবি তবু পরের শ্রেণিতে যেতে চেয়েছেন, কারণ প্রতিযােগিতায় জেতার জন্য তিনি আরও ডিগ্রি অর্জন করতে চেয়েছেন।

১২) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটি কী ধরনের কবিতা?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটি ব্যঙ্গাত্মক কবিতা।

১৩) পানিকর কোন্ ভাষার কবি? তার একটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখাে।

♣ আইয়াপ্পা পানিকর মালয়ালম্ ভাষার কবি। ‘মহারাজা কথাকাল’ তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থ।

১৪) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটি কোন্ ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত?

♣ ‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর ‘Days and Nights’ নামক ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটি।

১৫) ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতাটির অনুবাদকের নাম কী?

♣ ‘শিক্ষার সাকার্স’ কবিতাটির অনুবাদক উৎপলকুমার বসু।

১৬) ‘জ্ঞান কোথায় গেল?’- কবি জ্ঞানের প্রসঙ্গ এনেছেন কেন?

♣ প্রথাগত শিক্ষায় প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যায় না, এই প্রসঙ্গেই জ্ঞানের পরিণতির সন্ধান করেছেন কবি আইয়াপ্পা পানিকর। 

১৭) “আমরা পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই”- কীভাবে পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই?

‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় জানা যায় যে, শিক্ষা নামক ‘সার্কাস’-এর সাহায্যে আমরা পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই।

১৮) “তুমি যদি এই সবগুলাে শ্রেণি পাস করাে?”- এখানে সবগুলাে শ্রেণি বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় সবগুলাে শ্রেণি বলতে বিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি শ্রেণিগুলাের কথা বলা হয়েছে।

১৯) “সব শিক্ষা একটি সাকাস”- কবি কেন এমন মনে করেন?

‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় কবি বলেছেন, প্রথাগত শিক্ষা শুধু এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তরণকেই প্রাধান্য প্রদান করে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান দিতে পারে না! তাই শিক্ষাকে সার্কাস বলা হয়েছে।

২০) “তুমি যদি এই সবগুলাে শ্রেণি পাস করাে?”- এ প্রশ্নের উত্তর কী পাওয়া যায়?

‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় সব শ্রেণি পাস করে গেলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণ করা চলতেই থাকে।

২১) “যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়”- তাহলে কী হবে?

‘আইয়াপ্পা পানিকর’-এর লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতায় যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায় তাহলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণ চলতেই থাকবে।

 

একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস কবিতা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) শিক্ষার সার্কাস কবিতাটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলোচনা করো। ৫ 

উঃ শিক্ষা শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘শাস’ ধাতু থেকে। সাধারণভাবে বলা যায়, মানুষের আচরণের কাঙ্খিত ও ইতিবাচক পরিবর্তনই হলো শিক্ষা। ইংরেজি এডুকেশন শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ “এডুকেয়ার” থেকে, যার অর্থ ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বিকশিত করা। অর্থাৎ শিক্ষা প্রকৃয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গূণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয় এবং সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য সক্ষম করে গড়ে তোলা হয়।

সক্রেটিস বলেছিলেন, “শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।” শিক্ষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এরিস্টটল বলেছিলেন, “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা।” আবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরূপ বর্ণনা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, “শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না, বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।”

মালায়লম সাহিত্যের বিখ্যাত কবি “আইয়াপ্পা পানিকর” এর কবিতা সমগ্র “আইয়াপ্পা পানিকর কৃতিকাল” পরবর্তিতে “Days and Nights” নামে ইংরেজিতে অনুদিত হয়। আর এই কাব্যটির বাংলা অনুদাদ করেছেন “উৎপলকুমার বসু” তাঁর “দিন ও রাত্রি” কাব্যে। “শিক্ষার সার্কাস” কবিতাটি তাঁর এই কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” তাঁর “শিক্ষার হেরফের” প্রবন্ধে বলেছিলেন, “শিক্ষাকে আমরা বহন করিয়াই চলিলাম, বাহন করিতে পারিলাম না।” আর এই ভাবনার বশবর্তী হয়েই কবি “আইয়াপ্পা পানিকর” তাঁর এই কবিতায় প্রথাগত শিক্ষাকে সার্কাসের উপমায় উপমিত করেছেন। প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী কেবল এক শ্রেণি থেকে অপর শ্রেণিতে উত্তরণ ঘটায়। কবির কথায়-

“এক, দুই, তিন…. চার!”

বর্তমান ব্যবস্থায় শিক্ষা জ্ঞানের সঙ্গে সম্পুর্ণ সংযোহীন হয়ে উঠেছে। শ্রেণিগত উত্তরণ আর পরীক্ষার শৃঙ্খলে আবদ্ধ এই শিক্ষাব্যবস্থা যেন সার্কাসের সমার্থক! এই শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী কখনই স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠার সু্যোগ পায় না। তাই শিক্ষাকে ভ্রান্ত বলে উল্লেখ করে প্রকৃত জ্ঞানের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরতে কবি কবিতার শেষ দুটি চরণকে সার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন-

“জ্ঞান কোথায় গেল?

সে যেখানে গেছে, সেটা ধোঁকা!”

একাদশ শ্রেণি বাংলা শিক্ষার সার্কাস কবিতা থেকে আরো কিছু বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ

‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোটপ্রশ্নের উত্তর আলোচনা

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“আমি তবু পরের শ্রেণিতে যাব”- পঙ্‌ক্তিটির মধ্যে কবির ভাবনার যে প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“সব শিক্ষা একটি সার্কাস”- বক্তা কে? মন্তব্যটির তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“সে যেখানে গেছে সেটা ধোঁকা”- কোন্‌ প্রসঙ্গে কবি এই উক্তি করেছেন? ‘ধোঁকা’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে কবির কোন্‌ মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“এক, দুই, তিন…. চার”- উৎস নির্দেশ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শিক্ষার সার্কাস কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?