দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা বাংলা চলচ্চিত্রের কথা

“বাংলা চলচ্চিত্রের কথা “থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলোঃ-

১) উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনকে নায়ক-নায়িকা জুটি হিসেবে প্রথম দেখা যায় যে চলচ্চিত্রে- সাড়ে চুয়াত্তর

২) উত্তম-সুচিত্রা জুটি হিসেবে কাজ করেছেন যে কটি চলচ্চিত্রে- ৩০ টি

৩) ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল- ১৯৪৪ খ্রিঃ

৪) সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবিটির নাম- পথের পাঁচালী

৫) ‘পথের পাঁচালী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল- ১৯৫৫ খ্রিঃ ২৬ শে আগষ্ট

৬) ‘আগন্তুক’ ছবির পরিচালক হলেন- সত্যজিৎ রায়

৭) ঋত্বিক ঘটকের প্রথম ছবি- নাগরিক

৮) ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি তৈরি করেছেন- ঋত্বিক ঘটক

৯) মৃণাল সেনের প্রথম ছবি – রাতভোর

১০) ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিটির পরিচালক- তপন সিংহ

১১) ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিতে কাবুলিওয়ালার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন- ছবি বিশ্বাস

১২) প্রথম রঙিন বাংলা ছবি হল- পথে হল দেরি

১৩) ‘অপুর সংসার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শর্মিলা ঠাকুর

১৪) ‘সত্যজিতের নায়ক’ নামে পরিচিত- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

১৫) ফেলুদার চরিত্রে প্রথম রূপদান করেছিলেন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

১৬) ‘নষ্টনীড়’ অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় তৈরি করেন- চারুলতা

১৭) সত্যজিৎ রায় নির্মিত ছবির সংখ্যা হল- ৩৬ টি

১৮) সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবিতে নায়ক ছিলেন- উত্তম কুমার

১৯) উত্তম কুমারের আসল নাম- অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়

২০) ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ নির্মিত হয়- ১৯৭৪ খ্রিঃ

২১) ‘ভুবন সোম’ ছবির পরিচালক- মৃণাল সেন

২২) ‘দাদার কীর্তি’ ছায়াছবির পরিচালক- তরুণ মজুমদার

২৩) সত্যজিৎ রায় মোট তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন- ৫টি

২৪) ‘দ্য ইনার আই’ তথ্যচিত্রটি যার উপরে নির্মিত- বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যা

২৫) চলচ্চিত্রের জন্ম হয়- প্যারিসের গ্র্যান্ড কাফেতে ১৮৯৫ খ্রিঃ

২৬) ‘রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি’ তৈরি হয়েছিল- ১৮৯৮ খ্রিঃ

২৭) ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ ছবিটি তৈরি করেছিলেন- দাদাসাহেব ফালকে

২৮) ভারতে প্রদর্শিত প্রথম সবাক ছবিটি হল- মেলোডি অব লাভ

২৯) প্রথম বাংলা সবাক সিনেমা হল- জামাইষষ্ঠী

৩০) উদ্‌বাস্তু সমস্যা নিয়ে তৈরি নিমাই ঘোষের ছবিটি হল- ছিন্নমূল

৩১) ‘দো বিঘা জমিন’ সিনেমাটির নির্দেশক ছিলেন- বিমল রায়

৩২) ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ী’ ছবিটির পরিচালক হলেন- সত্যজিৎ রায়

৩৩) প্রথম বাংলা রঙিন ছবিটির নাম হল- পথে হল দেরী

৩৪) ‘সফেদ হাতি’ ও ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’ ছবিদুটির পরিচালক হলেন- তপন সিংহ

 ৩৫) ভারতীয় সিনেমার পথিকৃৎ রূপে চিহ্নিত হন- হীরালাল সেন

৩৬) প্রথম ভারতীয় সবাক সিনেমা হল- আলম আরা

৩৭) ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ ছবির পরিচালক হলেন- তপন সিংহ

৩৮) ‘বালিকা বধূ’ সিনেমার পরিচালক হলেন- তরুণ মজুমদার

৩৯) ভারতীয় তথ্যচিত্রে প্রথম তথ্যচিত্রকার হলেন- হীরালাল সেন

৪০) ‘Rabindranath Tagore’ তথ্যচিত্রের নির্মাতা হলেন- সত্যজিৎ রায়

বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ

১) বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মৃনাল সেনের অবদান আলোচনা কর।  ৫

উঃ বাংলা চলচ্চিত্রের মহাকাশে মৃণাল সেন হলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। চলচ্চিত্র পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা, তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ছিল তার স্বচ্ছন্দ পদচারণা।

চলচ্চিত্রে অবদানঃ

১৯৫৫ সালে ‘রাতভোর’ ছবির মাধ্যমে তাঁর বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভাব ঘটেছিল। তবে এই সিনেমা জনপ্রিয়তা লাভে ব্যর্থ হয়। প্রথম ছবিতে সাফল্য না পেলেও, ১৯৫৮ খ্রিঃ মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

তাঁর “বাইশে শ্রাবণ”, “ভুবন সোম”, “ইন্টারভিউ”, “ক্যালকাটা ৭১”,  “পদাতিক”, “একদিন প্রতিদিন”, “খারিজ”, “আকালের সন্ধানে” প্রভৃতি ছবিগুলি তাঁকে বিশেষ খ্যাতি প্রদান করেছে।

তাঁর অন্যান্য ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-  “আকাশ কুসুম”, “মৃগয়া”, “চালচিত্র”, “খন্ডহর”, “অন্তরীন”। তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্র হলো “আমার ভুবন”, যা ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল। বাংলা ছাড়াও তিনি উড়িয়া, তেলেগু এবং হিন্দি ভাষাতেও চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন।

তাঁর এই সকল চলচ্চিত্রে তিনি মধ্যবিত্ত মমনের দ্বন্দ্ব ও জটিলতাকে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সিনেমায় মানবিক ও সামাজিক সম্পর্কগুলিকে তিনি সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করেছেন।

সন্মান ও পুরস্কারঃ

তাঁর ছবির পাশাপাশি তিনিও দেশে বিদেশে বিবিধ পুরষ্কারে সন্মানিত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে তিনি “পদ্মভূষণ” সন্মান, ২০০৫ সালে “দাদাসাহেব ফালকে” পুরস্কার, রাশিয়ার “অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ” ও ফ্রান্সের “কমান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স” প্রভৃতি বিশেষ সন্মান প্রাপ্ত হয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ 

বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোট প্রশ্নের উত্তর আলোচনা।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মৃনাল সেনের অবদান আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

 

You cannot copy content of this page

Need Help?