বহুরূপী দশম শ্রেণি বাংলা – থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তরগুলির সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
নিম্নে বহুরূপী গল্পের সামগ্রিক আলোচনা প্রদান করা হলো। এই ভিডিওটি প্লে করে শিক্ষার্থীরা বহুরূপী গল্প সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভে সমর্থ হবে।
বহুরূপী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোটপ্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘বহুরূপী’ গল্পের লেখক হলেন- সুবােধ ঘােষ
২) “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা ________ আছে।”- নাটকীয় বৈচিত্র্য
৩) হরিদা পেশায় ছিলেন একজন- বহুরূপী
৪) “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”- ‘ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’টি হল- সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে
৫) ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল- চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে
৬) “বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বা বেশ বিরক্ত হয় কেউ আবার বেশ বিস্মিত।”- কারণ- হরিদার পাগলের সাজ
৭) জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসী সারা বছর যা খেতেন- একটি হরিতকী
বহুরূপী গল্প থেকে আরো MCQ প্রশ্নের উত্তর সমাধানের জন্য এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করো
বহুরূপী গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) বহুরূপী গল্প অবলম্বনে হরিদার চরিত্রটি আলোচনা করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।সমগ্র গল্প বিশ্লেষণ করে তার চরিত্রের যেসকল বৈশিষ্টগুলি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় তা ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-
বন্ধুবৎসলতাঃ
সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ হরিদা তার শত দরিদ্রতার মাঝেও অসমবয়সিদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করেছেন।তাদের সাথে জমে উঠেছে তার চায়ের আসর।
সরল জীবনযাপনঃ
হরিদা ছিলেন অনাড়ম্বর জীবনযাপনে বিশ্বাসী।শহরের সরু গলির ভেতর ছোট্ট একটি ঘরে তিনি সাধারণ ভাবেই দিন অতিবাহিত করতেন। তার কথায়,“বড়ো মানুষের কান্ডের খবর আমি কি করে শুনবো?”
বহুরূপী জীবনঃ
হরিদার জীবন ছিল নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ।বহুরূপীকে তিনি পেশা ও নেশায় পরিণত করেছিলেন। বাউল,কাবুলিওয়ালা,কাপালিক,পাগল,বাইজি তথা বিরাগী সাজের নৈপুণ্য ও অভিনয় দক্ষতায় তিনি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
শিল্পীমনষ্কতাঃ
ঘড়ি ধরে চলা বাঁধা জীবনযাপনে অনিছুক হরিদার পেশা বহুরূপী হলেও তিনি কিন্তু প্রত্যহ সেই কাজ করতেন না।আর এখানেই তার প্রয়োজনকে জয় করে তার শিল্পীসত্ত্বা।
আদর্শবোধঃ
“শিল্প শিল্পের জন্য”-এই উপলব্ধিকে অবলম্বন করে তিনি নিষ্ঠা ও সততার দ্বারা বিরাগী ছদ্মবেশটির প্রতি তার আদর্শবোধ বজায় রেখেছেন।শিল্পই তার জীবনের ধ্রুব সত্য।
এইরূপে হরিদা চরিত্রটি তার বিবিধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলীর দ্বারা আমাদের সকলের প্রিয় চরিত্র হয়ে উঠেছে।
জগদীশবাবুর বাড়ি হরিদা বিরাগী সেজে যাওয়ার পর যে ঘটনা ঘটেছিল, তা বর্ণনা করো।
“তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়”।- ‘বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
“অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না”- হরিদা কী ভুল করেছিলেন? অদৃষ্ট ক্ষমা না করার পরিণাম কী?
“আমি বিরাগী, রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই”- বক্তা কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তার চরিত্র যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
“এই শহরের জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বহুরূপী হরিদা”- হরিদার সৃষ্ট দুটি চমৎকার ঘটনার বিবরণ দাও।
“হরিদার জীবনে সত্যই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে”- হরিদা কে? তাঁর কর্মকান্ডের মধ্যে যে নাটকীয় বৈচিত্র ধরা পড়েছে তা গল্প অবলম্বনে লেখো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট নিয়মিত লাভ করতে শিক্ষার্থীরা নিম্নের ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করো।
