Class 9 History Model Activity Task February 2022
নবম শ্রেণি ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য Class 9 History Model Activity Task February 2022 / নবম শ্রেণি ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২ -এর উত্তর শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাতায় প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখবে এবং বিদ্যালয়ের নির্দেশানুসারে নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের বিদ্যালয়ে লেখাগুলো জমা করবে।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশিকা
১। প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে।
২। প্রয়োজনে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি করার আগে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত অধ্যায়গুলি পাঠ্যপুস্তক থেকে একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।
৩। বিদ্যালয় খুললে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
৪। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষকদের সহায়তা নিতে পারো।
৫। প্রয়োজনে বিদ্যালয় শিক্ষক মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবর্তন করে ফোন, Sms ইমেইল ইত্যাদি মাধ্যমে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠাতে পারেন।
৬। ঘরে বসে খাতায় উত্তর তৈরি করো।
ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না।
General Guidelines about Model Activity Task
1. The Model Activity Task has been designed on the basis of the syllabus of the First Summative Evaluation.
2. If necessary, you may go through the chapters of text books marked for the First Summative Evaluation before doing the activity tasks.
3. The activity tasks have to be submitted to the respective subject teachers after schools reopen.
4. The school teachers may be consulted, when required.
5. The teachers may modify the Model Activity Task, if they feel the need for it, and send the new one to the students of their respective schools through SMS, e-mail or over the phone.
6. Stay at home and prepare your answers for the tasks provided.
Students will complete these tasks on the subject-specific exercise books at home and submit it to the respective subject teachers after schools reopen. Under no circumstances should the students venture out of their home.
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২
১) ‘সত্য’ বা ‘মিথ্যা’ নির্ণয় করোঃ ৩*১=৩
ক) নেপোলিয়ন ফ্রান্সে ‘কনসুলেট’ শাসনের অবসান ঘটান।
উত্তরঃ মিথ্যা
খ) নেপোলিয়নের আইন সংহিতায় ২২৮৭টি বিধি বা ধারা ছিল।
উত্তরঃ সত্য
গ) জার্মানিতে সিস-অ্যালপাইন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
উত্তরঃ মিথ্যা
ঘ) ইতালির ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে নেপোলিয়ন ‘রাইন রাষ্ট্রসংঘ’ গঠন করেন।
উত্তরঃ মিথ্যা
নবম শ্রেণি বাংলা MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
২) স্তম্ভ মেলাওঃ ১*8=8
উত্তরঃ
ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ- ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ
ফনটেনব্ল্যু চুক্তি- ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ
নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান- ১৮১২ খ্রিস্টাব্দ
ওয়াটারলুর যুদ্ধ- ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ
নবম শ্রেণি বাংলা বিষয়ে সহায়তা পেতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
৩) দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ২*২= ৪
ক) লিপজিগের যুদ্ধ কেন ‘জাতিসমূহের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত?
উত্তরঃ নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী শাসক নেপোলিয়নের বাহিনী রুশ অভিযানে বিপর্যস্ত হলে ইউরোপের জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রগুলি উৎসাহিত হয়। তারা চতুর্দিক থেকে একযোগে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ইউরোপের ১৩টি জাতি নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে লাইপজিগে জাতিসমূহের যুদ্ধে অংশ নেয়। এই যুদ্ধে পরাজয় নেপোলিয়নের পতনকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে। ইউরোপের ১৩ টি জাতি লাইপজিগের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলে এটি জাতিসমূহের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
খ) শতদিবসের রাজত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে ফ্রান্সে গোলযোগের পরিস্থিতিতে নেপোলিয়ন এলবা দ্বীপের নির্বাসন থেকে পালিয়ে ১৮১৫খ্রিঃ মার্চ মাসে ফ্রান্সে ফিরে আসেন। সাধারণ মানুষ তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানালে, রাজা অষ্টাদশ লুই সিংহাসন ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি ১৮১৫খ্রিঃ ২০ মার্চ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত মোট ১০০ দিন রাজত্ব করেন। এই ঘটনা শতদিবসের রাজত্ব নামে পরিচিত।
নবম শ্রেণি ভূগোল MCQ মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
৪) সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ৪*২= ৮
ক) মহাদেশীয় ব্যবস্থা নেপোলিয়নের পতনের জন্য কতখানি দায়ী?
উত্তরঃ
নেপোলিয়নের পতনে মহাদেশীয় ব্যবস্থার প্রভাবঃ
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ জারি করে ইংল্যান্ডের অর্থনীতি ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যা তার পতনের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। নিম্নে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করা হলো-
ফ্রান্সের অর্থনৈতিক ক্ষতিঃ
ইংল্যান্ডের অর্ডার্স ইন-কাউন্সিল নামে নৌপ্রতিরোধের ফলে ফ্রান্সের সামুদ্রিক বাণিজ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ফ্রান্সে শ্রমিক ছাঁটাই, বেকার সমস্যা প্রভৃতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
উপকূল দখলঃ
নেপোলিয়নর জোর করে মহাদেশীয় অবরোধ প্রথা কার্যকর করতে গিয়ে ইউরোপের উপকূল অঞ্চলের প্রায় ২ হাজার মাইল অঞ্চল দখল করে নেন। এ ছাড়াও বহু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ দেশ তিনি দখল করে নিলে বিভিন্ন দেশে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়।
ব্যয়ভারঃ
মহাদেশীয় ব্যবস্থা কার্যকর করতে গিয়ে নেপোলিয়ন যে সকল ভূখণ্ড দখল করেন, সেখানে প্রত্যক্ষ দখলদারি চালাতে গিয়ে বিপুল সম্পদ ব্যয় হয়।
রাশিয়ায় বিপর্যয়ঃ
রাশিয়া মহাদেশীয় ব্যবস্থা মানতে অস্বীকার করায় নেপোলিয়ন ১৮১২খ্রিঃ রাশিয়া আক্রমণ করেন। কিন্তু রাশিয়ায় তার গ্র্যান্ড আর্মি চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় এবং তার অধিকাংশ সৈন্য মারা যায়।
মূল্যায়নঃ
ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক শক্তি ধ্বংস করতে গিয়ে নেপোলিয়ন চতুর্দিকে অসংখ্য শত্রু তৈরি করে ফেলেন এবং শেষপর্যন্ত শত্রুদের কাঁটার জালে তিনি নিজেই বিদ্ধ হয়ে পড়েন। তাই বলা যায় যে, নেপোলিয়নের পতনের অন্যতম কারণ ছিল মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা।
নবম শ্রেণি ইতিহাস বিষয়ে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
খ) ফরাসি বিপ্লবের আদর্শগুলির সঙ্গে নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যিক কার্যকলাপের সম্পর্ক আলোচনা করো।
উত্তরঃ নেপোলিয়ন ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের শাসনক্ষমতা দখল করেন এবং ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেন।
নেপোলিয়ন তাঁর রাজত্বকালে বিপ্লবের সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। নিম্নে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করা হলো-
দৈব অধিকারতত্ত্বের বিলোপঃ
বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের বুরবোঁ রাজারা নিজেদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করতেন। নেপোলিয়ন ক্ষমতালাভের পর ফরাসি রাজতন্ত্রের ঐশ্বরিক বা দৈব অধিকারতত্ত্বের বিলোপ ঘটান।
সাম্য প্রতিষ্ঠাঃ
বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে বৈষম্যমূলক শ্রেণিবিভক্ত সমাজব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন ফ্রান্সে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। নেপোলিয়ন তার কোড নেপোলিয়নের দ্বারা সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন।
সামন্ততান্ত্রিক আদর্শের বিলোপঃ
বিপ্লবের আগে বুরবোঁ রাজতন্ত্র ফ্রান্সে যেসকল সামন্ততান্ত্রিক রীতিনীতি ও করের প্রচলন করেছিল, বিপ্লবের মাধ্যমে সেগুলি বিলুপ্ত করা হয়। নেপোলিয়ন শাসন ক্ষমতা দখল করেও সামন্ততান্ত্রিক রীতিনীতি ও করগুলি ফ্রান্সে ফিরিয়ে আনেননি।
বিপ্লবী আদর্শের প্রসারঃ
নেপোলিয়ন ফ্রান্সের বাইরে বিভিন্ন দেশে বিপ্লবী আদর্শের প্রসার ঘটান। তাঁর সৈন্যবাহিনী জার্মানি, ইটালিসহ ইউরাপের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানারে ফলস্বরূপ সেসব স্থানে পুরাতনতন্ত্র ধ্বংস হয়।
মূল্যায়নঃ
নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লব প্রসূত বিভিন্ন আদর্শ বাস্তবায়িত করায় ঐতিহাসিক ফিশার তাঁকে বিপ্লবের সন্তান বলে অভিহিত করেছেন। লেফেভর, সোরেল, ম্যাসন প্রমুখও মনে করেন যে, নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের ধারক, বাহক ও মূর্ত প্রতীক।
