হারিয়ে যাওয়া কালি কলম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১) ‘সবাই এখানে লেখক। কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই।’ – এমন উক্তির কারণ কী?

উত্তর- কারণ লেখকদের অফিসে লেখালেখির কাজটা হত কম্পিউটারে।

২) ‘বাংলায় একটা কথা চালু ছিল’ – কথাটি কী?

উত্তর- কথাটি হল, ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি।’

৩) ‘বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন’- কী শিখিয়েছিলেন?

উত্তর- বড়রা শিখিয়েছিলেন যে, কলম শুধু সুঁচলো হলে চলবে না, কালি যাতে একসঙ্গে গড়িয়ে না পড়ে তার জন্য মুখটা চিরে দেওয়া প্রয়োজন।

৪) ‘পুকুরে তা ফেলে দিয়ে আসতাম।’ – কেন তা পুকুরে ফেলা হত?

উত্তর- ছোটোবেলায় লেখক বাড়ি ফেরার পথে হোমটাস্কের কলাপাতা পুকুরে ফেলে দিয়ে আসতেন। কারণ, গোরুতে তা খেয়ে নিলে অমঙ্গল হবে।

৫) ‘প্রাচীনেরা বলতেন’ – কী বলতেন?

উত্তর- প্রাচীনেরা বলতেন- “তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা/ ছাগদুগ্ধে করি মেলা/ লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি/ ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।”

৬) ‘তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি,’ – কী নিয়ে প্রথম লেখালেখি?

উত্তর- বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতা নিয়ে লেখকদের প্রথম লেখালেখি।

৭) ‘আমি যদি বাঙালি না হয়ে হতাম প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান’- তাহলে তিনি কী করতেন?

উত্তর- লেখক যদি বাঙালি না হয়ে প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান হতেন, তবে হয়তো তিনি নীল নদের তীর থেকে একটা নল-খাগড়া ভেঙে নিয়ে এসে সেটিকে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন।

৮) লেখক স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হলে কী করতেন?

উত্তর- লেখক স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হলে লেখনি হিসাবে ব্যবহার করতেন একটি ব্রোঞ্জের শলাকা, যার পোশাকি নাম স্টাইলাস।

৯) লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি লেখা দেখে কী বলতেন?

উত্তর- লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি লেখা দেখে বলতেন ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’।

১০) ‘একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন’ – কী লিখেছিলেন?

উত্তর- বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন যে কলকাতার চৌরঙ্গীর পথে গিজগিজ করছে ফেরিওয়ালা যাদের এক-তৃতীয়াংশের পেশা কলম বিক্রি।

১১) ‘কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ – কাদের কাছে?

উত্তর- পকেটমারদের কাছে কলম আজ অস্পৃশ্য।

১২) ‘আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে’- কেন?

উত্তর- তিনি অর্থাৎ লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কালির সন্ধানে ছুটলেন কারণ তার চুক্তিপত্র লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তার কালির দোয়াত উপুড় হয়ে গিয়ে সব কালি পড়ে গিয়েছিল।

১৩) আদিতে ফাউন্টেন পেনের কী নাম ছিল?

উত্তর- আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।

১৪) কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য কী করা হত?

উত্তর- কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য প্লাটিনাম, সোনা ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো।

১৫) ‘সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমত ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান।’ – এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তর- আগেকার দিনে লেখার জন্য অনেকগুলি উপকরণ সঙ্গে নিয়ে বসতে হত। লেখার পত্র, কলম, দোয়াতভর্তি কালি এবং লেখা শুকানোর বালি বা ব্লটিং পেপার। এজন্য এমন মন্তব্য করা হয়েছে।

১৬) বিভিন্নরকম দোয়াতের নাম উল্লেখ করো।

উত্তর- বিভিন্ন রকম দোয়াতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কাচের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার সিংয়ের, সোনার দোয়াত ইত্যাদি।

১৭) গ্রামে দু’একটা পাশ দিতে পারলে বুড়ো-বুড়িরা কী বলে আশীর্বাদ করতেন?

উত্তর- গ্রামে দু’একটা পাশ দিতে পারলে বুড়ো-বুড়িরা এই বলে আশীর্বাদ করতেন- ‘বেঁচে থাকো বাবা, তোমার সোনার দোয়াত কলম হোক’।

১৮) ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’- অর্থ লেখো।

উত্তর- এর অর্থ হল- সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।

১৯) অষ্টাদশ শতকে চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক কী কী পেতেন?

উত্তর- নগদ সাত টাকা, কিছু কাপড় আর মিঠাই।

২০) টাইপ-রাইটারে লিখেছেন এমন দু’জন লেখকের নাম উল্লেখ করো।

উত্তর- সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং অন্নদাশঙ্কর রায়।

২১) মনে মনে ফরাসি কবির মতো লেখক কী বলেছিলেন?

উত্তর- মনে মনে ফরাসি কবির মতো লেখক বলেছিলেন, “তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসী, আমি ভীরু। তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তাই হোক। ধরে নাও আমি মৃত।”

২২) নিবের কলম কীভাবে ঘাতকের ভূমিকা নিয়েছিল?

উত্তর- স্বনামধন্য বাঙালি লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের কলম অসাবধানতাবশত বুকে ফুটে গিয়েছিল এবং সেই আঘাতের ফলেই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

২৩) ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির দাম কত?

উত্তর- ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির দাম আড়াই হাজার পাউন্ড।

২৪) ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উল্লেখিত যেকোনো দুটি প্রবাদ লেখো।

উত্তর- ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি’ এবং ‘কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত’।

২৫) ‘ছেলেবেলায় একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলাম’- সেই দারোগাবাবুর বিশেষত্ব কী ছিল?

উত্তর- সেই দারোগাবাবুর কলম ছিল পায়ের মোজায় গোঁজা।

২৬) দার্শনিক কোথায় কলম গুঁজে রাখেন?

উত্তর- দার্শনিক কানে কলম গুঁজে রাখেন।

২৭) পালকের কলমের ইংরেজি নাম কী?

উত্তর- পালকের কলমের ইংরেজি নাম কুইল।

২৮) কোন সাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন?

উত্তর- সত্যজিৎ রায় শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

২৯) ফাউন্টেন পেনের কোন অনুষঙ্গের নামে যুদ্ধের গন্ধ পাওয়া যায়?

উত্তর- ব্যারেল, কার্টিজ ইত্যাদি শব্দে।

৩০) উনিশ শতকে বারো আনায় কত অক্ষর লেখানো যেত?

উত্তর- উনিশ শতকে বারো আনায় বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত।

 

গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নঃ

১) “কথায় বলে—কালি কলম মন, লেখে তিনজন।”— উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৫ 

২) “আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।” লেখকরা কীভাবে কালি তৈরি করতেন তা প্রবন্ধ অনুসরণে লেখো। ৫ 

৩) “বলতে গেলে তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।”- শৈশবের কোন্ বর্ণনা লেখক দিয়েছেন? ৫ 

৪) “ভাবি, আমি যদি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মতাম।” — কোন প্রসঙ্গে লেখকের এই ভাবনা? জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে তিনি কী করতেন? ২+৩ 

৫) “পালকের কলম তো দূরস্থান, দোয়াত কলমই বা আজ কোথায়।”— পালকের কলম সম্পর্কে লেখক কী জানিয়েছেন? দোয়াত কলম প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন? ১+৪ 

৬) “কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।”–কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য? কলম সম্পর্কে লেখক কেন এরূপ বলেছেন? ২+৩ 

৭) ওয়াটারম্যান কীভাবে কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন? ৫ 

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

৮) “আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।”— লেখক কোথায় ফাউন্টেন কিনতে গিয়েছিলেন? তাঁর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল? ১+৪ 

৯) ‘আশ্চর্য সবই আজ অবলপ্তির পথে।”— লেখকের আশ্চর্য। হওয়ার কারণ বুঝিয়ে দাও। ৫ 

১০) “কিন্তু সে ছবি কতখানি যন্ত্রের, আর কতখানি শিল্পীর?”- ‘সে ছবি’বলতে লেখক কোন্ ছবির কথা বলেছেন? যন্ত্রের ছবি আর শিল্পীর ছবির মধ্যে পার্থক্য কী? ১+৪ 

১১) “মনে মনে সেই ফরাসি কবির মতো বলেছি”—লেখক ফরাসি কবির মতো কী বলেছেন? তার সেকথা বলার কারণ কী? ২+৩ 

১২) “কম্পিউটার তাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে যেন প্রতিজ্ঞা করেছে।” কম্পিউটার কাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে? এই উক্তির মধ্যে লেখকের কোন মনোভাব প্রকাশিত ? ১+৪  

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

 

You cannot copy content of this page

Need Help?