শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধ থেকে ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন’- এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এই ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন’ প্রশ্নের উত্তরটি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
১) ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন।’- শব্দের ত্রিবিধ কথাগুলি আলোচনা করো।
উৎসঃ
প্রাবন্ধিক ‘রাজশেখর বসু’ রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
শব্দের ত্রিবিধ কথার তাৎপর্যঃ
মানবশরীরের শোভাবর্ধনকারী গহনাকে অলংকার বলে। সাহিত্যের অঙ্গ হিসেবে শব্দ ও অর্থের শোভাবর্ধনকারী বিষয়গুলিকে অলংকার বলে। ভারতীয় আলংকারিকদের মতে শব্দের শক্তিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা। নিম্নে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
অভিধাঃ
‘অভিধা’ শব্দের অর্থ নাম বা সংজ্ঞা এবং এটি শব্দের প্রথম শক্তি, যার সাহায্যে শব্দের মুখ্য অর্থের জ্ঞান হয়। এককথায় শব্দের অভিধানিক অর্থ হল ‘অভিধা’। যেমন, ‘অরণ্য’ শব্দের অর্থ বন, জঙ্গল ইত্যাদি।
লক্ষণাঃ
শব্দের দ্বিতীয় শক্তি ‘লক্ষণা’ ব্যবহৃত হয় যখন শব্দের মূল অর্থ বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন। যেমন, ‘দেশের লজ্জা’ বলতে ‘দেশ’ অর্থাৎ ভারত, চিন, জাপানের লজ্জা নয়, সেখানকার জনগণের অর্থাৎ দেশবাসীর লজ্জা বোঝায়।
ব্যঞ্জনাঃ
‘অভিধা’ বা ‘লক্ষণার’ দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব পরিস্ফুট না হয়, তখন অর্থ বোঝানোর জন্য ‘ব্যঞ্জনা’ প্রযুক্ত হয়। যেমন, ‘অরণ্যে রোদন’ শব্দটির অর্থ ‘বনে কান্না’ নয়; ব্যঞ্জনার্থে শব্দটির অর্থ হল ‘নিষ্ফল খেদ’।
প্রাবন্ধিকের মতে, শব্দ ও পরিভাষা বিষয়ের আলোচনায় আলংকারিকদের ত্রিবিধ অর্থ প্রকাশনা সূত্রের কথা মাথায় রাখতে হবে। ‘অভিধা’, ‘লক্ষণা’ ও ‘ব্যঞ্জনা’ বিষয়ে অস্পষ্ট ধারণার কারণে বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই অলংকারের পরিবর্তে পরিভাষার প্রয়োগ যুক্তিযুক্ত।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ