রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয়

রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয়

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য রাধারাণী গল্প থেকে ‘রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয়’ প্রশ্নের উত্তরটি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয়’ প্রশ্নের উত্তর সমাধানের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা লাভ করবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

১) রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয় দাও। ৫ 

উৎসঃ 

সাহিত্যসম্রাট ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ রচিত ‘রাধারাণী’ উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদ ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে আমরা তৎকালীন সমাজজীবনের যে বাস্তব চিত্রের পরিচয় লাভ করি তা নিম্নরূপ- 

বাল্যবিবাহ প্রথাঃ 

রাধারাণীর বয়স এগারো বছরও পূর্ণ হয় নি। অথচ তার মা তার বিয়ে দিতে না পারায় সবিশেষ চিন্তিত। এখানে আছে বাল্যবিবাহের সেই বিষময় দাপট, যেখানে আট বছরের মেয়েকে গৌরী বলে এবং গৌরীদান পুণ্যকর্ম ভাবা হয়।

জ্ঞাতিবিবাদঃ

জ্ঞাতিবিরোধ সব যুগে সত্য। রাধারাণীর জ্ঞাতি মোকদ্দমা জিতে দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দখল করেছে। তাদের পথে বার করে দিয়েছে। অসহায় বিধবা আর নাবালিকা কন্যাকে নিরাশ্রয় করতে তাদের দ্বিধা হয়নি।

অসাধু ব্যবসায়ীঃ

পদ্মলোচন সাহা চার টাকার কাপড় আট টাকা সাড়ে বারো আনায় বেচে। আবার তার ওপরেও দু-আনা মুনাফা নেয়। ব্যবসা ছাড়া কিছুই সে বোঝে না। 

দয়ালুতাঃ

জ্ঞাতির নির্দয়তা, ব্যবসায়ীর অসাধুতার পাশাপাশি দয়ালুতার নিদর্শনও ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাজজীবনে ছিল। রুক্মিণীকুমার অবাঞ্ছিতভাবে রাধারাণীকে সাহায্য করেছেন। হাতে ধরে ঘরে তাকে পৌঁছে দিয়েছেন। এমনকি তিনি বনফুলের মালার বদলে টাকা দিয়েছেন। পদ্মলোচন সাহার থেকে কাপড় কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর পরিশেষে নিজের নাম লেখা নোট দিয়েছেন। 

এইরূপে আমরা পাঠ্যাংশের ক্ষুদ্র পরিসরে তৎকালীন সমাজজীবনের সবিশেষ পরিচয় লাভ করতে পারি।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?