১) বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখোঃ
১.১) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো- গ) উপগ্রহ — নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত
১.২) নিরক্ষরেখার সমান্তরালে উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা হলো – (খ) কর্কটক্রান্তি রেখা।
১.৩) যে রাজ্যটির উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত সেটা হল – ঘ) পশ্চিমবঙ্গ।
১.৪) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তর আছে- (খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
১.৫) আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো- (গ) মস
১.৬) ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো – (গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম
১.৭) উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মাঝে অবস্থিত মহাসাগরটি হল- (খ) আটলান্টিক মহাসাগর
১.৮) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি- (ক) উষ্ণ- আর্দ্র
১.৯) ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হল- (গ) নর্মদা
২) শূণ্যস্থান পূরণ করোঃ
২.১) সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন প্রকৃতির হয়।
২.২) নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে ক্রান্তীয় পাতাঝরা উদ্ভিদ বলে।
২.৩) সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা পরিযায়ী পাখি নামে পরিচিত।
৩) বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখোঃ
৩.১) গোলাকার পৃথিবী দ্রুত গতিতে আবর্তন করায় এটি মাঝ বরাবর স্ফীত।
উত্তর:ঠিক।
৩.২) ০° ও ১৮০° দ্রাঘিমারেখা প্রকৃতপক্ষে একটিই রেখা ।
উত্তর:ঠিক ।
৩.৩) সূর্যের দৈনিক আপাত গতির মূল কারণ পৃথিবীর আবর্তন।
উত্তর:ঠিক।
৪) স্তম্ভ মেলাওঃ
৪.১) আর্দ্রতা- হাইগ্রোমিটার
৪.২) ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ- গডউইন অস্টিন
৪.৩) অখন্ড স্থলভাগ- প্যানজিয়া
৫) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
৫.১) তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক লেখাে।
উত্তরঃকোন তারা কতটা উত্তপ্ত তা তার রঙ দেখে বােঝা যায়। ছােট লাল তারার উষ্ণতা সবথেকে কম । আকাশে এরকম তারার সংখ্যা সবথেকে বেশি। মাঝারি হলুদ তারার উষ্ণতা আর একটু বেশী। বিরাট নীল তারার উষ্ণতা প্রচন্ড বেশি এবং উজ্জ্বল আর প্রকাণ্ড সাদা তারার উষ্ণতা এবং উজ্জ্বলতা দুটোই সবথেকে বেশি।
৫.২) দিগন্তরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃদিগন্ত বা দিকচক্রবাল বলতে সাধারণ দৃষ্টিতে পৃথিবী ও আকাশের সীমারেখাটিকে বোঝায়। অধিকাংশ স্থানে প্রকৃত দিগন্তরেখাটি গাছপালা, বাড়িঘর ইত্যাদির দ্বারা দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকে যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে গাছপালা ইত্যাদির দ্বারা চিহ্নিত পৃথিবী ও আকাশের দৃশ্যমান ভেদরেখাটিকে বলা হয় “দৃশ্যমান দিগন্ত”।
কোনো নির্দিষ্ট একটি অবস্থান থেকে আমাদের দৃষ্টিসীমার মধ্যে যে স্থানে আকাশ এবং ভূপৃষ্ঠ সংযোগের দরুণ যে বৃত্তচাপীয় কাল্পনিক আপেক্ষিক সীমারেখা সৃষ্টি হয় তাকে দিগন্তরেখা বলে।
৫.৩) বারিমন্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃপৃথিবীর সৃষ্টির বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরের অংশটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রবল বৃষ্টির জলের পৃথিবীর নিচের অংশ ভরাট হয়ে সাগর, মহাসাগর তৈরি হয়। পৃথিবীর এই বিশাল ভান্ডার কে বারিমন্ডল বলে। এইভাবে পৃথিবীতে বারিমন্ডলের সৃষ্টি হয়।
৫.৪) বিকিরণ পদ্ধতিতে কীভাবে বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হয়?
বিকিরণ পদ্ধতি (Radiation):
যে পদ্ধতিতে কোনো মাধ্যম ছাড়াই বা মাধ্যম থাকলেও তাকে উত্তপ্ত না করে তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে চলে যায়, সেই পদ্ধতিকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে। বায়ুমণ্ডল সূর্যকিরণের দ্বারা সরাসরিভাবে উত্তপ্ত হয় না । সুর্য থেকে আলোর তরঙ্গ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। সূর্য থেকে আগত বিকিরিত তাপশক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়লেও বায়ুমণ্ডলকে প্রথমে উত্তপ্ত না করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। ভূপৃষ্ঠ সেই তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আলোক চৌম্বকীয় তরঙ্গরূপে সেই তাপের বিকিরণ শুরু হয় ও ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
৬) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৬.১) পৃথিবীর কাল্পনিক অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করছে তার একটি চিহ্নিত চিত্র আঁকো।
উত্তরঃ
৬.২) পলিমাটির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
পলি মৃত্তিকাঃ
ভারতের বিশাল সমভূমি অঞ্চলে এই মৃত্তিকা দেখা যায় ।সাধারণভাবে এই মৃত্তিকা নদী সঞ্চিত । তবে উপকূল অংশে সমুদ্র বাহিত পলি সঞ্চিত হয়েও এই মৃত্তিকা সৃষ্টি করে থাকে । পাললিক মৃত্তিকা ভারতে প্রায় অর্ধেক ভূভাগ বিস্তৃত রয়েছে ।এই মৃত্তিকাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা নদীর প্লাবন ভূমিতে নবীন পলি দ্বারা গঠিত (1)খাদার মৃত্তিকা ও নদীর দূরবর্তী উচ্চভূমিতে প্রাচীন পলি গঠিত মৃত্তিকা (2) ভাঙ্গর মৃত্তিকা ।
পাললিক মুক্তিকায় বৈশিষ্ট্যঃ
(১) অবস্থানের তারতম্য অনুসারে এক-একটি অঞ্চলের পলিমাটির রং এক-এক রকমের।
(২) যে পলিমাটিতে বালি বেশি সে মাটি হালকা ও যে মাটিতে পলির ভাগ বেশি সে মাটি ভারী।
(৩) পলিমাটিতে জৈব পদার্থ, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় পলিমাটি অতি উর্বর।
৬.৩) বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে?
উত্তরঃদক্ষিনমেরুতে অবস্থিত বরফে ঢাকা অন্টার্টিকা মহাদেশের আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ সারা পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সারা পৃথিবীর ভবিষ্যত নির্ভর করে অন্টার্টিকা মহাদেশের ওপর। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ক্রমাগত উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন একটু একটু করে বরফ গলে আয়তন কমে যাচ্ছে মহাদেশটির। এর ফলে পেঙ্গুইন, ক্রিল, সিল সবার সংখ্যা কমছে এবং নষ্ট হচ্ছে অন্টার্টিকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
৭) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৭.১) হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃহিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণী দেখা যায়। একেবারে উত্তরে হিমাদ্রি, তার দক্ষিণে হিমাচল ও একেবারে দক্ষিণে শিবালিক।
হিমাদ্রিঃ
এই অংশের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। পর্বতশৃঙ্গগুলোতে সারা বছর বরফ জমে থাকে। এই অংশের মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। মাকালু, ধবলগিরি, অন্নপূর্ণা শৃঙ্গগুলো হিমালয়ের এই অংশে অবস্থিত।
হিমাচলঃ
হিমাদ্রির দক্ষিণে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পীরপাঞ্জাল আর হিমাচল প্রদেশের ধওলাধর পর্বতশ্রেণি এই অংশে দেখা যায়। হিমাদ্রি হিমালয় ও পিরপাঞ্জলের মাঝে রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা।
শিবালিকঃ
হিমাচলের দক্ষিণে অবস্থিত। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকাকে দুন বলে। শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশের ঘন অরণ্যাবৃত অঞ্চল হল তরাই। ভারতের পূর্ব সীমানা বরাবর রয়েছে পাটকাই-বুম আর নাগা পর্বত।
৭.২) বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃবায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়ার অন্যতম নিয়ন্ত্রক। বায়ু পৃথিবীর উপর চাপ দেয়। কোনো অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেড়ে গেলে সেখানে উচ্চচাপ আর বায়ুর চাপ কমে গেলে সেখানে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। বায়ু সব জায়গায় চাপ সমান রাখার জন্য উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ কোনো অঞ্চলের বাতাসের চাপ খুব কমে গেলে, বাতাস ভীষণ গতিতে আশেপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। তখন ওই অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, অশান্ত আবহাওয়া তৈরি হয়। আর উচ্চচাপ অঞ্চলে পরিষ্কার আকাশ, শান্ত আবহাওয়া দেখা যায়।
৭.৩) অরণ্য সংরক্ষণ করা কেন প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো ?
উত্তরঃঅরণ্য আমাদের বন্ধু। প্রত্যেক দেশে ৩৩% বনভূমি থাকা প্রয়োজন । দুর্ভাগ্যবসত নির্বিচারে গাছকটার জন্য পৃথিবীতে বনভূমি ধীরে ধীরে কমে আসছে। বণভূমির গুরুপ্ত মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। তাই বনভূমি রক্ষা করার জন্য ধীরে ধীরে মানুষ এগিয়ে আসছে। ২১ মার্চ ‘বিশ্ব অরণ্য দিবস’ হিসবে পালন করা হয়।
আমার মনে হয় যেসব কারণে অরণ্য সংরক্ষণ করা দরকার সেগুলি হলো-
১) বর্তমানে শিল্প কারখানার যুগে কার্বনের উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে, যার ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে। এই কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ কমাতে হলে বেশি প[রিমানে গাছ লাগতে হবে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং আমাদের শ্বাসের উপযোগী অক্সিজেন ত্যাগ করে।
২) অরণ্য বৃষ্টিপাত ঘটতে সাহায্য করে।
৩) অরণ্য বন্যা, খরা নিয়ন্ত্রণ করে, ও ভূমিক্ষয় রোধ করে।
৪) অরণ্য বাস্ততন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৫) অরণ্য বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল।
৬) বন থেকে নানা রকম অর্থকরী উপাদান পাওয়া যায়। যেমন মোম, মধু , গদ, রজন ও আঠা ইত্যাদি পাওয়া যায়।