ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১

FINAL ACTIVITY TASK HISTORY

ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 

 

১) সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ 

১.১) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে __________ (এশিয়াতে/পূর্ব আফ্রিকাতে/ আমেরিকাতে)।

উত্তরঃ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে পূর্ব আফ্রিকাতে

১.২) মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন __________ (জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ/চার্লস ম্যাসন/দয়ারাম সাহানি)।

উত্তরঃ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ

১.৩) হরপ্পা সভ্যতা __________ যুগের সভ্যতা (প্রাক-ইতিহাস/প্রায়-ইতিহাস/ঐতিহাসিক)।

উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতা প্রাক-ইতিহাস যুগের সভ্যতা।

২) ক-স্তম্ভ ও খ-স্তম্ভ মেলাওঃ 

উত্তরঃ 

ক-স্তম্ভ

খ-স্তম্ভ

বন্দর-নগর

লোথাল

বৃহৎ স্নানাগার

মহেনজোদাড়ো

উঁচু এলাকা

সিটাডেল

Sikkhalaya

৩) বেমানান শব্দটি বেছে লেখোঃ 

৩.১) সংহিতা, মহাকাব্য, আরণ্যক, উপনিষদ

উত্তরঃ মহাকাব্য

৩.২) ব্রহ্মচার্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, ব্রাহ্মন

উত্তরঃ ব্রাহ্মন

৩.৩) বিদথ, সভা, সমিতি, রত্নিন

উত্তরঃ রত্নিন

৪) সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করোঃ 

৪.১ দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল অস্মক।

উত্তরঃ সত্য

৪.২ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে বৌদ্ধ হয়ে যান।

উত্তরঃ মিথ্যা

৪.৩ বিনয়পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা।

উত্তরঃ মিথ্যা 

৫) দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাওঃ 

৫.১ মেহেরগড় সভ্যতায় কোন্‌ কোন্‌ কৃষি পণ্য উৎপাদিত হত?

উত্তরঃ মেহেরগড় সভ্যতা কৃষিকাজে উন্নত ছিলো। সেখানে কৃষিপন্ন হিসেবে গম ও যব উৎপাদিত হত। 

৫.২)  উপমহাদেশের পুরোনো গুহা-বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম লেখো।

উত্তরঃ উপমহাদেশের পুরোনো গুহা-বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম – 

(১) ভীমবেটকাঃ ভারতের মধ্য প্রদেশে।

(২) অজন্তাঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে।

৫.৩) বেদের আরেক নাম শ্রুতি কেন?

উত্তরঃ  বৈদিক সাহিত্য মূলত শুনে শুনে মনে রাখতে হত। তাই বেদের আরেক নাম শ্রুতি। 

৫.৪) জনপদ কী?

উত্তরঃ সাধারণ মানুষের যেখানে পা পরতো তাকেই জনপদ বলা হতো। অর্থাৎ  জনগণ যেখানে বাস করত তাকে বলা হতো জনপদ। আমরা ভারতে ষোড়শ মহাজনপদের কাশি, কোশল, মগধ প্রভৃতি জনপদের নাম জানতে পারি। 

class six final model activity task 2021 bengali

৬) চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাওঃ 

৬.১) মেগালিথ কী 

উত্তরঃ মেগালিথ হচ্ছে একপ্রকার প্রাচীন পাথর যা কোন স্থাপত্য বা মিনার তৈরী করতে এককভাবে বা অনেকগুলো নিয়ে ব্যবহৃত হয়। আর মেগালিথিক মানেই হচ্ছে এই বিশেষ প্রাচীন পাথরের তৈরী কোন স্থাপনা যা মর্টার বা কনক্রিটের ব্যবহার ছাড়াই তৈরী করা হয়েছে এবং অতি অবশ্যই যা প্রাগৈতিহাসিক বলে অভিহিত করা যায়। পরবর্তীতে নির্মিত স্থাপনাগুলোকে অবশ্য মনোলিথিক বলে অভিহিত করা যায়।

৬.২) জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কি?

উত্তরঃ জাতকের মূল চরিত্র বা অতীতের বোধিসত্ত্বই বর্তমানের বুদ্ধ। অতীত জীবনের সাথে বর্তমান জীবনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় যাকে সমবধান বা সমাধান বলা হয়। জাতকের উপদেশ ও নীতি শিক্ষা মানুষকে মৈত্রী পরায়ণ, দয়াবান, সৎ ও আদর্শবান হতে শেখায়।

৬.৩) টীকা লেখো : অর্থশাস্ত্র

উত্তরঃ   

অর্থশাস্ত্রঃ

       চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে রচিত কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি অর্থনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গ্রন্থ কেউ কেউ মনে করেন, কৌটিল্য একটি ছদ্মনাম। কেউ মনে করেন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী চাণক্যই অর্থশাস্ত্রের রচয়িতা কৌটিল্য। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে মহীশূরের পণ্ডিত ড. শ্যাম শাস্ত্রী এই গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন। গ্রন্থটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তবে, মোট পনেরোটি ভাগে বিভক্ত এই গ্রন্থটির ছয় হাজার শ্লোক থেকে মৌর্য যুগের যে বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা যায় সেগুলি নিম্নরূপ- 

(i) রাজ্যশাসন পদ্ধতি

(ii) রাজস্বনীতি

(iii) দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন

(iv) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা

(v) গুপ্তচর বিভাগ

(vi) পৌর প্রশাসন

(vii) নারীর অধিকার

(viii) বিবাহবিচ্ছেদ

(ix) বিধবাবিবাহ

(x) গণিকা বৃত্তান্ত প্রভৃতি। 

     অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি এককথায় সমকালের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার দর্পণ।

 

৬.৪) মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন?

উত্তরঃ কারণ এই গুপ্তচররা বাদশাহকে সমস্ত কিছু সম্পর্কে অবহিত করেছিল, এমনকি সেই রাজ্যের মিনিট বিশদ যা রাজ্যকে যথাযথ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সহায়তা করেছিল। গুপ্তচরদের এলোমেলোভাবে বাছাই করা হয়নি, পরিবর্তে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছিল।

৬.৫) টীকা লেখোঃ হর্ষচরিত

উত্তরঃ  

হর্ষচরিতঃ

       বানভট্ট হর্ষবর্ধনকে নিয়ে হর্ষচরিত কাব্য লেখেন। এটি আদতে একটি প্রশস্তি কাব্য। অর্থাৎ এই কাব্যে হর্ষের কেবল গুনোগান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুষ্যভৃতি দের রাজত্ব ও তার ইতিহাস আলোচনা করেছেন বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের গুনোগান করতে গিয়ে তার বিরোধীদের ছোট করেছেন বানভট্ট । যেমন রাজা শশাঙ্ককে অনেকভাবে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। হর্ষবর্ধনের বোন রাজ্যশ্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হর্ষচরিত শেষ হয়েছে। হর্ষচরিত আসলে হর্ষবর্ধনের আংশিক জীবনী। তবে শুধু গুনগান এর জন্য এটিকে নিরপেক্ষ বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।

bengali mock test

৭)  ৮-১০টি বাক্যে উত্তর দাওঃ 

৭.১) তুমি কি মনে করো, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন?

উত্তরঃ আমার মনে হয় আগুনের ব্যবহার ইতিহাসে একটি জরুরি পরিবর্তন। আগুনের ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। আদিম মানুষের সভ্যতা গড়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আগুনের ব্যবহার করতে শেখা। আগুনের ব্যবহার শেখার ফলে-  

(১) মানুষ কাঁচা খাবার খাওয়ার পরিবর্তে আগুনে পুড়িয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস শুরু করেছিল।

২) আগুনের ব্যবহার জানার পর মানুষ প্রচন্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন জ্বালিয়ে রাখতো।

(৩) বিভিন্ন জন্তুর আক্রমনের হাঁত থেকে বাঁচার জন্য মানুষ আগুনের ব্যবহার করতো।

       তাই আমি মনে করি আগুনের ব্যবহার মানব ইতিহাসে এক জুরুরি পরিবর্তন।

bengali mock test

৭.২) বৈদিক যুগের ব্যবসা বাণিজ্য কেমন ছিল?

উত্তরঃ বৈদিক যুগের কৃষি অর্থনীতির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আদি বৈদিক যুগে কৃষিজ উৎপাদন ছিল না।  সেই সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচলন খুব একটা বেশি ছিল না। সরাসরি সমুদ্র বাণিজ্যের কোন উল্লেখ ঋকবেদে পাওয়া যায় না। 

    তবে পরবর্তী যুগে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আর কৃষিজ উন্নতির  সাথে সাথে বৈদিক যুগের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই সময়ের ইতিহাস থেকে আমরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সমদ্রযাত্রার উল্লেখ পেয়ে থাকি।  

online quiz

৭.৩) নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল?

উত্তরঃ  খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নাগাদ ভারতীয় | উপমহাদেশে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি বদলাতে শুরু করে। নতুন নতুন নগর গড়ে ওঠে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই ধনী ছিল। যজ্ঞে পশু বলি দেওয়া কৃষকদের পক্ষে ছিল ক্ষতিকর। আগে বর্ণ ভাগ ছিল কাজের ভিত্তিতে, পরে তা জন্মগত ও ধর্মের বহুলতা আচার সর্বস্বতা একসময় বৈদিক ধর্ম থেকে সাধারণ মানুষকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল। সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ, সুদে টাকা খাটানো নিন্দনীয় প্রভৃতি বিষয় শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়েছিল। তাই তারা নতুন ধর্মের দিকে ঝুঁকতে আরম্ভ করেছিল। বৈশ্যদের পাশাপাশি ক্ষত্রিয়রাও নতুন ধর্মের দিকে ঝুকে ছিল যা হবে সহজ-সরল।

      মানুষের চাহিদার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল দুটি নতুন ধর্ম। যথা- জৈন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্ম। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের যাগযজ্ঞের বিরোধিতা করে পশুবলি নিষিদ্ধ করে বেদের বিরোধিতা করে ধর্ম সম্পর্কে এক নতুন পথের সন্ধান দেয় এই ধর্ম দুটি।  এই সব ধর্মের প্রচার করার জন্য নতুন নতুন অনেক কথা ধর্মপ্রচারকেরা বলেছিলেন, যা সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। আর এই নতুন ধর্মমতগুলিই নব্য ধর্ম নামে পরিচিত হয়েছিল।

sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?