CLASS SIX HEALTH & PHYSICAL EDUCATION FINAL MODEL ACTIVITY TASK
ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা ফাইনাল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ক) বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে রাইট চিহ্ন দাওঃ (যে কোনো ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও):
১) সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায়- কুইনাইন
২) জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক?- শান্তি ও পবিত্রতা
৩) প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়- ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
৪) কখন ‘স্প্লিট’ ব্যবহার করা হয়- অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
৫) সু – অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রধানত কী গুণাবলি থাকা দরকার- দৃঢ় মানসিক প্রত্যয়
৬) একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ জল পান করতে হবে- ২.৫ – ৩ লিটার
৭) স্বাস্থ্য কী?- (৪) পরিপূর্ণ জীবনের উপযোগী শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার সমন্বয়
৮) মাস্ক ব্যবহারের সুফল কী? – শ্বাসপ্রশ্বাস ও ড্রপলেটের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না
৯) করোনা __________ রোগ।
উত্তরঃ ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক রোগ
১০) দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চার সময় কী মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ?
উত্তরঃ না
১১) কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হতে পারে?
উত্তরঃ ভিটামিন A
১২) পরোপকার ও সমাজসেবামূলক কাজ করা।
উত্তরঃ সু-অভ্যাস
১৩) খাবার থালাবাসন মাজার জন্য কোন ধরনের জল ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ বিশুদ্ধ জল
১৪) মানবদেহে জলের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তরঃ সবকয়টি ক্ষেত্রে
খ) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
(১) ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝে নীল রঙের ২৪টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে।
(২) জাতীয় শোকপ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে তারপর দন্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামাতে হবে৷
(৩) আহত ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস–প্রশ্বাস চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷
(৪) বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকা আবশ্যক।
(৫) স্বাস্থ্য অমূল্য সম্পদ।
(৬) মধুমেহ অসংক্রামক ব্যাধি।
(৭) বিশুদ্ধ বায়ু বর্ণ ও গন্ধ হীন হবে।
(৮) কলেরা একপ্রকার সংক্রামক রোগ।
(৯) রোগ সংক্রামিত হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
(১০) অসংক্রামক রোগ জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে।
(১১) মানুষ যখন কোনো কিছু শেখে তা বারবার পুনরাবৃত্তি করে বা করার চেষ্টা করে, একেই বলে অভ্যাস।
গ) সারণির মধ্যে সমতাবিধান করোঃ
ক) সবুজ রঙ- সুজলা সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক
খ) অচৈতন্য ব্যক্তি- দ্রুত জ্ঞান ফেরাতে হবে
গ) অশোকচক্র- অবাধ অগ্রগতীর প্রতীক
ঘ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত- ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা
ঙ) স্বল্প রক্তপাত হচ্ছে- ক্ষতস্থান আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে
চ) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে- দ্রুত স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে
ঘ) নীচের ফাঁকা ছকটি পূরণ করঃ
চোখঃ
(i)পরিষ্কার ঠাণ্ডা জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা উচিত।
(ii)ভিটামিন A ও D যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
(i) টিভি, মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষন থাকা উচিত না।
(ii)কম বা বেশি আলোয় পড়াশোনা করা উচিত না
ত্বকঃ
(i)নিয়মিত ঠাণ্ডা জলে স্নান করা উচিত।
(ii)জীবানুমুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
(i)অস্বাস্থ্যকর কাপড়ের পোশাক পরা উচিত নয়।
(ii)কেমিক্যালযুক্ত সাবান ও প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত না।
দাঁতঃ
(i)প্রতিদিন সকালে উঠে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত মাজতে হবে।
(ii)দাতের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
(i)পান, তামাক খাওয়া কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।
(ii)দাঁতে কাঠি বা টুথপিক দিয়ে অতিরিক্ত খোঁচান উচিত নয়।
ঙ) নীচের যোগাসনের ভঙ্গিগুলি শনাক্ত করে ছবির নীচে ফাঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখোঃ
প্রথমটি- চক্রাসন
দ্বিতীয়টি- নৌকাসন
(চ) নিজের মতো করে লেখোঃ
(১) সু-অভ্যাস গঠনের নিয়মগুলি লেখো।
উত্তরঃ
সু-অভ্যাস গঠনের নিয়মঃ
সু-অভ্যাস গঠনের বিবিধ নিয়মগুলি নিম্নে আলোচিত হল-
ক) দীর্ঘ মানসিক প্রত্যয়ঃ
সু – অভ্যাস গঠন করতে হলে দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় দরকার। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ শুরু করলে যে কোনো সু- অভ্যাস গঠন করা যায়। প্রতিদিন যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গঠন করতে চাও, তবে যতই ঘুম পাক ভোরে উঠতেই হবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে হবে।
খ) সুদ্দেশ্যঃ
অভ্যাস গঠনের জন্য যেন সদুদ্দেশ্য থাকে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই সু-অভ্যাস গড়ে ওঠে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, তুমি বন্ধুদের সঙ্গে লড়াই করার উদ্দেশ্য নিয়ে যদি নিয়মিত ব্যায়াম করো, তবে তা সু- অভ্যাস বলে গণ্য হবে না।
গ) শারীরিক ও মানসিক তৎপরতাঃ
সু- অভ্যাস গঠন করতে হলে শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা দরকার। সময় নষ্ট না করে সাথে সাথে দ্রুততার সঙ্গে কাজে নেমে পড়তে হবে। যদি মনে করো ফুলের চাষ করবে, তবে তাড়াতাড়ি হাতের কাছে যতটুকু জমি আছে তা কাজে লাগিয়ে ফুলের গাছ পুঁতে দাও, বসে থাকলে চলবে না।
ঘ) নিয়মিত অভ্যাসঃ
সু- অভ্যাস গঠন করতে হলে কাজটা বারবার বা নিয়মিত করতে হবে। একদিন করে বসে থাকলে, সেটি সু-অভ্যাস হবে না। ব্যায়াম বা শরীরচর্চার অভ্যাস করতে হলে, তা নিয়মিত বা রোজ অনুশীলন করতে হবে।
(২) অসংক্রামক রোগের কারণগুলি তালিকাভুক্ত করো।
উত্তরঃ অসংক্রামক রোগের বিবিধ কারণগুলি নিম্নে উল্লিখিত হল-
ক) জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে।
খ) অসংযমী জীবনযাপন করলে।
গ) অপুষ্টিজনিত কারণে।
ঘ) ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে।
ঙ) যথোপযুক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক সঞ্চালনের অভাবে।
চ) অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে।
ছ) প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মধ্যম মাত্রার শরীর চর্চা না করা।
জ) ভেজাল রং দেওয়া, রাসায়নিক পদার্থ মেশানো খাবার খাওয়া।
(৩) নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ আমাদের কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে?
উত্তরঃ নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ আমাদের যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেগুলি নিমরূপ-
ক) প্রত্যেককে করোনা প্রতিরোধক টিকা নিতে হবে।
খ) ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতেই হবে।
গ) অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকতে হবে।
ঘ) জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ঙ) ঘনঘন সাবান-জল দিয়ে হাত ধুতে হবে।
চ) জ্বর কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খেতে হবে।
ছ) হাঁচি-কাশির সময় রুমাল দিয়ে বা কনুই দিযে নাক-মুখ ঢাকতে হবে।
জ) সংবাদপত্র, দূরদর্শন ও সামাজ মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সবাইকে করােনা ভাইরাসের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জানতে হবে।
নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে।