নদেরচাঁদ চরিত্র

নদেরচাঁদ চরিত্র

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নদেরচাঁদ চরিত্র আলোচনা করা হলো। এই নদেরচাঁদ চরিত্র  আলোচনাটি শিক্ষার্থীদের এই গল্পে নদেরচাঁদের ভূমিকা বুঝতে সহায়ক হয়ে উঠবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

নদেরচাঁদ চরিত্রঃ

১) নদীর বিদ্রোহ গল্প অবলম্বনে নদেরচাঁদ চরিত্র আলোচনা করো। ৫  

উৎসঃ

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ রচিত ‘নদীর বিদ্রোহ’ ছোটোগল্পের নায়ক চরিত্র, ত্রিশ বছর বয়সি স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ। 

চরিত্র বিশ্লেষণঃ 

নদেরচাঁদের চরিত্রের যে দিকগুলি সকল পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেগুলি নিম্নরূপ- 

নদীপ্রেমঃ

নদেরচাদের চরিত্রের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য সে নদীপ্রেমিক। আপাতদৃষ্টিতে তার এই ভালোবাসা অস্বাভাবিক মনে হলেও নদীতীরে জন্ম এবং নদীর জলহাওয়ায় বেড়ে ওঠায় তার প্রাণপ্রবাহের সঙ্গে নদীপ্রবাহের সংযোগ ঘটেছে। আর তাই “নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে”। 

সংবেদনশীলঃ 

নদেরচাঁদ সংবেদনশীল। দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি নদেরচাদের কাছে অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ার মতো মমতা পায়। অনাবৃষ্টিতে ক্ষীণধারা সংবেদনশীলতা নির্জীব নদীটি দেখে পরমাত্মীয়ার বিয়োগ সম্ভাবনায় কষ্ট অনুভব করে নদেরচাঁদ- “বড়ো হইয়া একবার অনাবৃষ্টির বছরে নদীর ক্ষীণ স্রোতধারাও প্রায় শুকাইয়া যাইবার উপক্রম করিয়াছে দেখিয়া সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল; দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগিতে ভুগিতে পরমাত্মীয়া মরিয়া যাইবার উপক্রম করিলে মানুষ যেমন কাঁদে”। আবার নদীর ভাষা, নদীর সুর সে উপলব্ধি করতে পারে।

শিশুসুলভ উন্মাদনাঃ 

পাঁচ দিন অবিশ্রাম বর্ষণে নদীতীরে না যাওয়ায় নদেরচাঁদের জীবনের স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়। নদীর ব্রিজে তার প্রাত্যহিক বসার স্থান থেকে নদীস্রোতের বিকাশ দেখে তার শিশুসুলভ ঔৎসুক্য জাগে- “নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল”। এমনকি, উন্মত্ত নদীর স্রোত দেখতে পেয়ে আনন্দে নদেরচাঁদ নদীর সঙ্গে শিশুসুলভ খেলায় মেতে ওঠে। 

বাস্তববোধঃ 

নদেরচাঁদ বাস্তববোধসম্পন্ন। তাই সে প্রকৃতি ও যন্ত্রসভ্যতার সংঘাতকে উপলব্ধি করে। মানুষ সভ্যতার বিকাশে প্রকৃতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করলেও প্রকৃতি একদিন তার প্রতিশোধ নেবে। তাই- “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”। সে বুঝতে পারে সভ্যতার আগ্রাসনই মানুষের ধ্বংসের বাস্তববোধ কারণ।

ট্র্যাজিকতাঃ 

নদেরচাঁদ ট্র্যাজিক চরিত্র। তাই সে যদিও উপলব্ধি করে সভ্যতার বিকাশে প্রকৃতির স্বাভাবিকত্বকে নষ্ট করার ফল মানুষকে ভোগ করতে হবে, তবুও নিয়তির পরিহাসে যন্ত্রসভ্যতার প্রতীক ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জারের চাকায় তার ট্র্যাজিক মৃত্যু হয়। নদেরচাঁদের মৃত্যু যেন যন্ত্রসভ্যতার দ্বারা মানবসভ্যতার সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়ে যায়।

এইরূপে নদেরচাঁদ চরিত্রটি গল্পকে সার্থকতা প্রদন করে। 

নদীর বিদ্রোহ গল্পের MCQ, SAQ ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করো। 

sikkhalaya click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?