ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন উত্তর

ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন উত্তর অনুশীলন করলে বিশেষভাবে উপকৃত হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন উত্তরঃ 

ক) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ 

১) বর্ষামঙ্গল (আষাঢ়/অগ্রহায়ণ/শ্রাবণ) মাসে অনুষ্ঠিত হয়। 

উঃ শ্রাবণ মাসে।

২) শান্তিনিকেতন (বীরভূম-বাঁকুড়া/পু(লিয়া) জেলায় অবস্থিত। 

উঃ বীরভূম।

৩) কবি (আত্রাই/পদ্মা/শিলাবতী নদীর উপর বোটে করে ভেসে চলেছেন। 

উঃ আত্রাই।

৪) পৃথিবীর মনের কথাটি কবি শুনতে পান (জলের উপর/নদীর উপর/ মাটির উপর)। 

উঃ নদীর উপর।

৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি পত্র সাহিত্যের উদাহরণ হল (শেষের কবিতা/গীতাঞ্জলি/ ছিন্ন পত্র)

উঃ ছিন্নপত্র।

 

খ) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

১) কবির মনে যখন গান জেগে এঠে তখন তার সুর কোথায় পৌঁছায়?

উঃ কবির মতে তার সুর গিয়ে পৌঁছায় দিনুর অর্থাৎ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে।

২) এখানে নববর্ষার কী অবস্থা হয়? 

উঃ এখানে নববর্ষা বাড়ির ছাদে ঠোক্কর খেতে খেতে খোঁড়া হয়ে পড়ে।

৩) এখানে বৈঠকখানায় কোন্ গানের সুর ঠিকমতো বাজে না? 

উঃ এখানকার বৈঠকখানায় নতুন বর্ষার গান ঠিকমতো বাজে না।

৪) দিনুবাবুকে কোথায় মানায় না? 

উঃ দিনুবাবুকে কলকাতায় মানায় না।

৫) কবি কী ভালোবাসেন বলে পত্রে লিখেছেন? 

উঃ কবি নদীকে ভারি ভালোবাসেন আর ভালোবাসেন আকাশকে।

৬) আকাশ কোথায় সাড়া পায় না? 

উঃ আকাশ পৃথিবীতে এই জলের উপর ছাড়া আর কোথাও নিজের সাড়া পায় না।

 

গ) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ 

১) দিনবাবু কে? তিনি কেন কলকাতায় এসেছিলেন?

উঃ দিনুবাবু অর্থাৎ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র ও দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র। তিনি দাঁত তোলাবার জন্য দু-তিন দিন কলকাতায় এসেছিলেন।

২) ‘কিন্তু হয়তো হয়ে উঠবে না’—কী হয়ে উঠবে না? আর কেনই বা হয়ে উঠবে না?

উঃ আত্রাই নদীতে বোটে করে যাওয়ার সময় কবির জল, স্থল ও ছায়ার শ্যামলতার সঙ্গে মিল করে একটি গান তৈরি করার ইচ্ছে হয়েছিল। সেটাই কবির হয়ে উঠবে না। কারণ কবির দুটি চোখ তখন বাইরের দিকে চেয়ে থাকতে চাইছিল। তাই কবির খাতায় চোখ রাখতে মন চায়নি। তাই গান রচনাও কবির পক্ষে সম্ভব ছিল না।

৩) ‘এই নদীর ওপর এসে মনে হচ্ছে’—কবির কী মনে হয়েছিল লেখো।

উঃ অনেকদিন বোলপুরের শুকনো ডাঙায় কাটিয়ে এই নদীর ওপর এসে কবির মনে হয়েছিল যেন সেখানে পৃথিবীর মনের কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। নদী ও আকাশ কবির খুবই প্রিয়। নদীতে আকাশের এই রঙে ও আলোছায়ার মিলন যেন আকাশের প্রতিধ্বনির মতন। তাই জলের ওপর ছাড়া বোধ হয় আকাশ পৃথিবীতে আর কোথাও নিজের সাড়া পায় না ।

৪) কবি কোন্ সময় কোথায় যাবেন ঠিক করেছিলেন? সেদিন কত তারিখ ছিল? 

উঃ কবি রাতের গাড়িতে কলকাতায় যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সেদিনটি ছিল ১৩২৯ সালের ২রা শ্রাবণ।

 

ঘ) তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

১) “কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে” –কবির অপছন্দের কারণ কী? 

উঃ কলকাতা শহর বড়ো ঘিঞ্জি। ইট, কাঠ, পাথরের জঙ্গল। তাই কবির মনে হয় শহরটা যেন তাকে এক মস্ত জন্তুর মত গিলে ফেলছে। 

২) “সে-গান কি কলকাতা শহরের হাটে জমবে” – কোন্ গানের কথা বলা হয়েছে? সে-গান কলকাতা শহরের হাটে জমবে না—কবির এমন ভাবনা কেন?

উঃ এখানে বর্ষামঙ্গল গানের কথা বলা হয়েছে। শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির দিনে বর্ষামঙ্গল গান হয়ে থাকে। সেই গান ফাঁকা মাঠে, ধানের খেতের সামনে দাঁড়িয়ে গাইতে বেশি ভালো লাগে। তাই কবির মনে হয়েছে সে-গান কলকাতা শহরের ভিড়ের মাঝে তেমনভাবে জমবে না।

৩) “তোমাদের ওখানে এতদিনে বোধহয় বর্ষা নেমেচে।”কার উদ্দেশ্যে কবি এ কথা লিখেছেন? ‘ওখানে’ বলতে কোন্ জায়গার কথা বলা হয়েছে?

উঃ লেডি রানু মুখার্জীর উদ্দেশ্যে একথা কবি লিখেছেন। ওখানে বলতে রানু মুখার্জীর বাড়ির কথা বলা হয়েছে। 

৪) “শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে” – তখন কবির মনে কেমন অনুভূতি হয়? 

উঃ শান্তিনিকেতনের মাঠে বৃষ্টি নামলে কবির মনে হয় যেন বৃষ্টির ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে। ঘাসে ঘাসে যেন পুলক জেগে ওঠে। গাছপালা কথা বলতে চাইছে মনে হয়। কবির তখন মনে গান জেগে ওঠে। 

৫) “আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেছে” – ‘আজ’ বলতে যে দিনটির কথা বলা হয়েছে তার সাল ও তারিখ – কত? ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোথায় পালাবে এবং কেন ?

উঃ ‘আজ’ বলতে যে দিনটির কথা বলা হয়েছে তার সাল ও তারিখ হল ২৯ আষাঢ়, ১৩২৯। সে বলতে এখানে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে পালাবেন ঠিক করেছেন। কারণ তিনি কলকাতা শহরে ঠিক মানাতে পারেন না।

৬) “সমস্তটার উপর বাদলের ছায়া” – কবির চোখ দিয়ে এই ‘সমস্তটার’ বর্ণনা দাও।

উঃ কবি নদীর ওপর বোটে ভেসে চলেছেন। তিনি দেখছেন যে পরিপূর্ণ ও খরস্রোতা আত্রাই নদী, তাতে শৈবাল ভেসে আসছে। পল্লীর আঙিনার কাছ পর্যন্ত জল উঠেছে। ঘন বাঁশের ঝাড়, আম, কাঁঠাল, তেঁতুল, কুল, শিমুল প্রভৃতি দুই ধারে সবুজ রঙের ছোঁয়া আর মাঝখান দিয়ে বর্ষার খোলা নদীটি গেরুয়া রঙের ধারা বহন করে ব্যস্ত হয়ে চলেছে। গাছগুলি নিবিড় হয়ে গ্রামগুলোকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে নদীর তীরের কাঁচা ধানের খেতে জল উঠেছে। সমস্ত চিত্রটির ওপর একটা বাদল দিনের সন্ধ্যার ছায়া ঘনিয়ে উঠেছে। 

৭) “কলকাতায় না-এলে আরও জমত” – কী জমত? কবির কলকাতায় আসার সঙ্গে তা না জমে ওঠার সম্পর্ক কী ?

উঃ কবির খাতায় আরো কিছু নতুন গান জমত। কবির গানের খাতায় য নতুন গানগুলি জমে উঠেছে তা আরো বেশি করে জমত যদি না কবিকে কলকাতায় আসতে হত। অনুরোধে পড়ে কবিকে কখনো নতুন গান গাইতে হয়েছে কিন্তু কবির মনে হয়। কলকাতার বৈঠকখানায় সেই গানের সুর ঠিকমতো হয় না।

৮) “খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়” – কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? খাতার দিকে চোখ রাখবার সময় কবির নেই কেন?

উঃ আত্রাই নদীর উপর দিয়ে কবির বোটে করে ভাসতে ভাসতে যাবার সময়ের কথা বলা হয়েছে। কবির দুই চোখ এখন বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতে চায়, প্রকৃতির রূপ দেখতে চায়। খাতার দিকে মুখ করে থাকতে চায় না। অনেকদিন কবি বোলপুরের শুকনো ডাঙায় কাটাবার পর নদীর বক্ষে ভ্রমণ করেছেন। এই নদীর উপর এসে তিনি যেন পৃথিবীর মনের কথাটি শুনতে পাচ্ছেন। করা হয়েছে।

৯) ‘আষাঢ় মাসের বর্ষাকে কলকাতা শহরে মানায় না’—কবির এ জাতীয় মন্তব্যের অর্থ কী?

উঃ কলকাতা জনাকীর্ণ স্থান। ফাঁকা মাঠে নতুন বর্ষার নৃত্য দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি সেই নাচ যখন কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন তা দেখতে অত্যন্ত খারাপ লাগে। তাই কবির মনে হয়েছে যে কলকাতায় আষাঢ় মাসের বর্ষাকে মানায় না।

১০) আত্রাই নদীটি কোথায়? সেই নদীতে বোটে যেতে যেতে কবি কবে নির্বাচিত পত্রটি লিখেছিলেন ? 

উঃ আত্রাই নদীটি বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সেই নদীতে বোটে চড়ে যেতে যেতে কবি ২ শ্রাবণ, ১৩২৯ সালে নির্বাচিত পত্রটি লিখেছেন ।

১১) নদীপাড়ের গ্রামগুলির ছবি কীভাবে কবির চোখে ধরা পড়েছে?

উঃ আত্রাই নদীর উপর বোটে করে ভ্রমণ করার সময় নদীপাড়ের গ্রামগুলির এক সুন্দর চিত্র কবির চোখে ধরা দিয়েছে। নদীপাড়ের গ্রামগুলির উঠোন অবধি জল উঠেছে। বাঁশ, কাঁঠাল, শিমুল গাছগুলি ঘন হয়ে গ্রামগুলিকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। নদীর তীরের কাঁচা ধানের খেতে জল উঠেছে। দুটি তীর ঘন সবুজ হয়ে রয়েছে।

১২) আকাশ আর নদীর প্রতি ভালোবাসা, সর্বোপরি বর্ষা প্রকৃতির প্রতি কবির প(পাত কীভাবে পত্রদুটিতে প্রতিফলিত হয়েছে?

উঃ নদীর উপর বোটেতে বসে কবির মনে হচ্ছে যেন তিনি পৃথিবীর মনের কথাটি শুনতে পাচ্ছেন। বর্ষার আকাশ তাঁর কাছে অত্যন্ত আপন। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে তা স্বীকার করেছেন।নদীকেও তিনি ভারি ভালোবাসেন। নদীর সাথে আকাশের মিলন যেমন রঙে রঙে আলোয় আর ছায়ার মতন। সর্বোপরি কবি তাঁর কবিতায় বর্ষাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। বর্ষাকে তিনি মনে করেছেন যেন এক নবীন যুবতী যার নৃত্য শান্তিনিকেতনের প্রান্তরে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু তা কলকাতায় জনাকীর্ণ স্থানে বড়োই বেমানান। নদীর উপর বসে বর্ষা উপভোগ করতে করতে তিনি গান লেখার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছেন। এইভাবে কবির রচনায় বর্ষার প্রতি পক্ষপাত পত্রদুটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।

ভানুসিংহের পত্রাবলি থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে

click here  

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

 

You cannot copy content of this page

Need Help?