কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন ও উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বিষয় থেকে কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন ও উত্তর অনুশীলনের মাধ্যমে কুতুব মিনারের কথা গল্পটি আরো ভালো করে তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন ও উত্তরঃ

১) কোন সম্রাট ‘অশোক স্তম্ভ’-কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন ?

উঃ ফিরোজ তুঘলক ‘ অশোক স্তম্ভ ’ কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন।

২) কুতুব মিনার নামটি কার নামানুসারে রাখা হয়েছে এবং কেন ?

উঃ কুতুবুদ্দিন আইবকের নামে কুতুব মিনার নামকরণ করা হয়। কারণ উনি এই মিনারটি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন।

৩) কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর কে মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন ?

উঃ আলাউদ্দিন খিলজি কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন।

৪) মিনারেট বা মিনারিকা কী ? মিনারের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায় ?

উঃ মসজিদ, সমাধি কিংবা অন্য কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে যে মিনার কখনো থাকে, কখনো থাকে না, তার নাম মিনারেট বা মিনারিকা।

মিনারের সঙ্গে মিনারিকার পার্থক্য হল মিনার আপন মহিমায় নিজস্ব ক্ষমতায় স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়ায়। কিন্তু মিনারিকা কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে থাকে ।

৫) আহমদাবাদ শহরটি কোন রাজার নামানুসারে হয়েছে ? এই শহরটি কোন রাজ্যের রাজধানী ?

উঃ এ রাজা আহমেদের নাম অনুসারে শহরটির নাম হয়েছে।

আহমদাবাদ গুজরাতের রাজধানী।

৬) টীকা লেখোঃ

কানিংহামঃ

কানিংহাম ছিলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক। তিনি নানাবিধ ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কুতুবমিনার নিয়ে ঐতিহাসিক ভাবনা।

ফার্গুসনঃ

ফার্গুসনও একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ। ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে তিনি যাবতীয় ঐতিহাসিক গবেষণা ও নানা প্রমাণের চেষ্টা করেন আজীবন।

সৈয়দ আহমেদঃ

সৈয়দ আহমেদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক। স্থাপত্যবিদ্যায় তাঁর জ্ঞান সংশয়াতীত। ইনি মুঘল স্থাপত্য বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়েছেন।

৭) ‘কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার’ এই উদ্ধৃতিটির আলোকে মিনারটির পাঁচটি বিশিষ্টতা উল্লেখ করো।

উঃ কুতুব মিনারের পাঁচটি বিশিষ্টতা নিমরূপ-

(i) কুতুব পাঁচতলার মিনার

(ii) কুতুব মিনারের প্রথম তলাতে আছে ‘বাঁশি’ ও ‘কোণে’-র পর পর সাজানো নকশা

(iii) কুতুব মিনারের দ্বিতীয় তলা সাজানো আছে শুধু বাঁশি দিয়ে

(iv) কুতুব মিনারে কতকগুলি ব্যালকনি আছে

(v) কুতুব মিনারের গায়ে সারি সারি লতা-পাতা, ফুলের মালা এবং চক্রের নকশার যাবতীয় কারুকার্য আছে।

৮) মিনারটির গঠনে হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারাটি কীভাবে ধরা পড়েছে তা লেখো।

উঃ কুতুব মিনারের গায়ে বাঁশি ও কোণের উপর দিয়ে সমস্ত মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতা-পাতা, ফুলের মালা, চক্রের নকশা। এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এক সারি অন্তর অন্তর আরবি লেখার সারি। এভাবে সমগ্র শিল্পকর্মে হিন্দু ও মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারা ধরা পড়ে।

৯) কুতুব মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক আর কোন্ কোন্ স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন ?

উঃ কুতুব মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক তাজমহল, দিল্লির সেক্রেটারিয়েট, রাজভবন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রভৃতি স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন।

১০) আলাউদ্দিন খিলজি চেষ্টা করেও কুতুব মিনারের চেয়ে মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি কেন ?

উঃ আলাউদ্দিন কুতুবের দ্বিগুণ উচ্চতার মিনার গড়তে চেষ্টা করেন। কিন্তু ইমারত মাত্রেই অপটিমাম সাইজ- যার চেয়ে ইমারত বড়ো হলে খারাপ দেখায়, ছোটো হলেও খারাপ দেখায়। শেষ পর্যন্ত ইমারত গড়ে ওঠেনি। তার আগেই আলাউদ্দিন খিলজি মারা যান।