নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য গল্পটি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারবে। এছাড়াও এই নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের দ্বারা দশম শ্রেণির মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্যও তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তরঃ
নদীর বিদ্রোহ MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) নদীর বিদ্রোহ’ গল্পটির লেখক হলেন- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
২) যে সময়ের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রওনা করিয়ে দিয়েছিল নদেরচাঁদ- চারটা পঁয়তাল্লিশের
৩) রেলস্টেশন থেকে যত মাইল দূরে ছিল নদীর ব্রিজ- এক মাইল
৪) যতদিন ধরে অবিরত বৃষ্টি চলছে- পাঁচদিন
৫) নদেরচাঁদের যতদিন নদীকে দেখা হয়ে ওঠেনি- পাঁচদিন
৬) “ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল”- নদেরচাঁদ
৭) দু-দিকে মাঠ-ঘাটের যে অবস্থা হয়েছিল- জলে ডুবে গিয়েছিল
৮) যেখানকার উঁচু বাঁধ ধরে নদেরচাঁদ হাঁটছিল- রেলের
৯) যত বছর বয়সে নদীর জন্য নদেরচাঁদের মায়া একটু বেশি স্বাভাবিক- ত্রিশ বছর
১০) নদেরচাঁদের জন্ম- নদীর ধারে
১১) নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল- ক্ষীণস্রোতা নির্জীব
১২) নদেরচাঁদ প্রায় কেঁদে ফেলেছিল কারণ- তার প্রিয় নদীটি শুকিয়ে যাচ্ছিল বলে
১৩) যেখানে এসে নদেরচাঁদ নদীর দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল- ব্রিজের কাছাকাছি এসে
১৪) “নদেরচাদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল।”- কারণ- ইচ্ছে করলেই হাত বাড়িয়ে জল স্পর্শ করতে পারবে বলে
১৫) নদেরচাঁদ পকেট থেকে যা বের করে নদীর জলে ফেলছিল- চিঠির পাতা
১৬) নদেরচাঁদ যাকে চিঠি লিখেছিল- স্ত্রীকে
১৭) নদেরচাঁদ বউকে যত পাতার চিঠি লিখেছিল- পাঁচ পাতার
১৮) অন্ধকারে অতি সাবধানে লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে নদেরচাঁদ ফিরে চলল- স্টেশনের দিকে
১৯) যে ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষে মেরে দেয়- ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
২০) ‘এতকাল নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে’- গর্ব অনুভবের কারণ- নতুন রং করা ব্রিজ
২১) নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল- ট্রেনের তলায়
২২) নদীকে বন্দি বলার কারণ- মানুষ বাঁধ ও ব্রিজ তৈরি করে তার গতি রুদ্ধ করেছে বলে
২৩) যে ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষে দিয়েছিল- ৭ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
২৪) নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারের চাকরি করছে- চার বছর
২৫) নদেরচাঁদের চার বছরের চেনা নদীর মূর্তিকে আরও বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত মনে হওয়ার কারণ- সে একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবছিল
২৬) ব্রিজের ধারকস্তম্ভের উপাদানগুলি হল- ইট, সুরকি ও সিমেন্ট
২৭) নদেরচাঁদ রোজ নদীকে দেখে- ব্রিজের ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে
২৮) নদীর স্রোত ফেনিল আবর্ত রচনা করে- ধারকস্তম্ভে বাঁধা পাওয়ায়
২৯) নদেরচাঁদ পকেট থেকে যা বের করে স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিল- পুরোনো চিঠি
৩০) ‘জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল’- উন্মত্ততার জন্য
৩১) বউকে পাঁচ পাতার চিঠি লিখতে নদেরচঁদের সময় লেগেছিল- দু’দিন
৩২) বউকে নদেরচাঁদ যে চিঠি লিখেছিল তার পৃষ্ঠাসংখ্যা- পাঁচ
৩৩) নদেরচাঁদের বউকে লেখা চিঠির বিষয়বস্তু ছিল- বিরহবেদনাপূর্ণ
৩৪) এত উঁচুতে জল উঠে এসেছে যে মনে হয় ইচ্ছা করলেই বুঝি- হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করা যায়
৩৫) নদেরচাঁদের ভারি আমোদ বোধ হইতে লাগিল- নদীর স্ফীতরূপ দেখে
৩৬) যত ঘণ্টা বিশ্রাম করে মেঘের যেন নতুন শক্তি সঞ্চিত হয়েছে- তিনেক
৩৭) বৃষ্টি পড়েছিল- মুশলধারায়
৩৮) ‘নদেরচাঁদ বসিয়া বসিয়া ভিজিতে লাগিল, উঠিল না’- কারণ- সে নদীর শব্দ শুনছিল
৩৯) ‘নদেরচাঁদের মন হইতে ছেলেমানুষি আমোদ মিলাইয়া গেল’- কারণ- তার মনে ভয় উপস্থিত হল
৪০) ‘এই ভীষণ-মধুর শব্দ’ বলতে এককথায় যা বোঝানো যেতে পারে- ভয়ংকর-সুন্দর
৪১) ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো একটা বেদনাবোধ হল নদেরচাঁদের, কারণ- সেই শব্দ তাকে নৈসর্গিক নিস্তব্ধতা থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছিল
৪২) ‘বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের’- ভয়ের কারণ ছিল- নদীর প্রতিহিংসা
৪৩) নদেরচাঁদের উন্মত্ত নদীর কয়েক হাত উঁচুতে বসে থাকা উচিত হয়নি মনে হল, কারণ- সে নদীর প্রতিহিংসার শিকার হতে পারত
৪৪) নদীর বিদ্রোহের কারণ ছিল- বন্দিদশা থেকে মুক্তি
৪৫) ‘পারিলেও মানুষ মানুষ কি তাকে তাকে রেহাই দিবে ?’- যার কথা বলা হয়েছে- নদী
৪৬) স্টেশন থেকে নদীর উপরকার ব্রিজের দূরত্ব হল- এক মাইল
৪৭) যখন বৃষ্টি থামল তখন- বিকেল
৪৮) নদেরচাঁদ নদীকে দেখেনি- পাঁচ দিন
৪৯) নদেরচাঁদের ঔৎসুক্য ছিল- ছেলেমানুষের মতো
৫০) নদেরচাঁদ বাঁচবে না- নদীকে না দেখলে
৫১) দু’দিকে জলে ডুবে গিয়েছিল- মাঠঘাট
৫২) নদেরচাঁদ কল্পনা করার চেষ্টা করতে লাগল- নদীর বর্ষণপুষ্ট মূর্তি
৫৩) নদেরচাঁদ ছিল একজন- স্টেশনমাস্টার
৫৪) নদেরচাঁদের বয়স হল- ত্রিশ বছর
৫৫) নদীর জন্য নদেরচাঁদের মায়াকে অস্বাভাবিক বলার কারণ হল- প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই স্বভাব প্রায় দেখা যায় না
৫৬) যে বছরে নদীর ক্ষীণ স্রোতধারা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল সেই বছরটি ছিল- অনাবৃষ্টির বছর
৫৭) দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগতে ভুগতে পরমারীয়া মরে যাওয়ার উপক্রম করলে মানুষ কাঁদে- তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়তায়
৫৮) নদীর প্রতি নিজের পাগলামিতে নদেরচাঁদের- আনন্দ হয়
৫৯) নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত হিসেবে নদেরচাঁদ যে কারণ দেখায়- নদীর ধারে তার জন্ম
৬০) দেশের ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটিকে নদেরচাঁদ যার মতো মমতা করত- অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতো
৬১) নদেরচাঁদের সঙ্গে নদীর যে সম্পর্ক ছিল তাকে বলা হয়- সখ্য
৬২) ‘নদীর চাঞ্চল্য ছিল ____ প্রকাশ’- পরিপূর্ণতার আনন্দের
৬৩) নদীর জল ছিল- পঙ্কিল
৬৪) এতক্ষণ নদেরচাঁদ যে নদীর কথা ভাবছিল তা- সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা
৬৫) নদেরচাঁদ যাকে ডেকে বলল ‘আমি চললাম হে’, সে হল তার- নতুন সহকারী
উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলো কতোটা তৈরি হয়েছে তা যাচাই করতে নিম্নের MCQ TEST -টি প্রদান করো
নদীর বিদ্রোহ SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘কিন্তু সে চাঞ্চল্য যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দের প্রকাশ।’— কোন পরিপূর্ণতার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ নদীর পরিপূর্ণতা তার জলরাশির উচ্ছলতায় । নদেরচাদ বর্ষার জলে পুষ্ট নদীর যে চাঞ্চল্য লক্ষ করেছিল , সেই পরিপূর্ণতার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে ।
২) ‘আজ যেন সেই নদী খেপিয়ে গিয়াছে’- কোন নদীর কথা বলা হয়েছে ?
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাদের কর্মস্থল থেকে মাইলখানেক দুরে তার প্রিয় নদীটি অবস্থিত ছিল । এখানে সেই নদীটির কথা বলা হয়েছে ।
৩) ‘নদেরচাদ একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবিতেছিল’ — কোন্ নদীর কথা বলা হয়েছে ?
উঃ নদেরচাঁদ তার কর্মস্থলের অনতিদূরে চার বছর ধরে একটি ক্ষীণস্রোতা নদীকে দেখে আসছে । টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে সেই নদী ফুলেফেঁপে উঠলেও দাঁড়িয়ে সে সেই ক্ষীণস্রোতা নদীটির কথাই ভাবছিল ।
৪) ‘তার চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল।’— তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ নদেরচাদের কর্মক্ষেত্রের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে সে প্রতিদিন দেখত । পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে সে নদীর জল ফুলেফেঁপে ভয়ংকর রূপ ধারণ করলে চার বছরের চেনা নদীটিকে নদেরচাদের অচেনা লাগে ।
৫) ‘সে প্রতিদিন নদীকে দেখে’ – ‘সে’ কে ? সে কোন্ নদীকে কেন দেখে?
উঃ ‘সে’ হল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ। নদেরচাঁদ তার কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরের নদীটিকে প্রতিদিন দেখত। কারণ এমনই এক নদীর ধারে তার শৈশব কেটেছিল ।
৬) ‘আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল’ – কে, কোথায় প্রশ্ন গিয়ে বসল?
উঃ স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের তার কাজের অবসরে কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরে নদীর উপরকার ব্রিজের মাঝামাঝি ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে এসে বসল।
৭) ‘ধারকস্তত্ত্বের শেষপ্রান্তে বসিয়া সে প্রতিদিন নদীকে দেখে’- তার প্রতিদিন নদীকে দেখার কারণ কী ?
উঃ নদেরচাদের নদীর সঙ্গে সখ্য ছোটোবেলার, তার গ্রামে থাকাকালীন । কর্মস্থলে এসেও সে তা ভুলতে পারেনি । তাই নদীকে সে প্রতিদিন না দেখে থাকতে পারত না ।
৮) ‘মনে হয় ইচ্ছা করিলে’- কোন ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ বৃষ্টি শেষে নদীর ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাদ নদীকে দেখছিল। নদীর জলরাশি মাঝেমধ্যে ফুলেফেঁপে উঠছিল। সেই ফুলেফেঁপে ওঠা জলরাশিকে স্পর্শ করার ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে।
৯) ‘এত উঁচুতে জল উঠিয়া আসয়িাছে যে’ – জল উঁচুতে উঠে এসেছে কেন ?
উঃ ক্ষীণস্রোতা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ধারকস্তম্ভগুলিতে বর্ষার সময় নদীর স্রোত বাধা পায় এবং ফেনিল আবর্ত রচনা করে। তাই জল উঁচুতে উঠে আসে।
১০) ‘নদেরচাদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল’ – নদেরচাঁদের আমোদ বোধ হওয়ার কারণ কী ?
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাঁদ বারবার স্তম্ভের গায়ে আঘাত খেয়ে বর্ষণপুষ্ট নদীর ফুলে ওঠা জল ছুঁতে চেষ্টা করছিল। এতেই সে আমোদিত হয়ে উঠেছিল।
১১) ‘সে স্রোতের মধ্যে ছুড়িয়া দিল’ — ‘সে’ কে ? সে স্রোতের মধ্যে কী ছুড়ে দিল ?
উঃ ‘সে’ হল ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ। চিরপরিচিত ক্ষীণকায় নদীকে বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখে উৎফুল্ল নদেরচাঁদ পুরোনো চিঠি সেই উন্মত্ত স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল ।
১২) ‘চোখের পলকে কোথায় যে অদৃশ্য হইয়া গেল চিঠিখানি’ – কোন চিঠির কথা বলা হয়েছে ?
উঃ বর্ষণপুষ্ট জলে ক্ষীণস্রোতা নদীর উন্মত্ততা লক্ষ্য করে নদেরচাদ তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা যে চিঠিটি স্রোতের মধ্যে ফেলে দেয় এখানে সেই চিঠির কথাই বলা হয়েছে।
১৩) ‘উন্মত্ততার জন্যই জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল’ — এই উম্মত্ততার পরিচয় দাও ।
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরচাঁদ শীর্ণকায় যে নদীকে দেখে অভ্যস্ত ছিল, তা বর্ষণপুষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত উম্মত্ত জলপ্রবাহের আবর্ত রচনা করায়, সেই জলরাশিকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল।
১৪) ‘চিঠি পকেটেই ছিল’ – কোন চিঠির কথা বলা হয়েছে ?
উঃ বর্ষার সঙ্গে বিরহের সুর মিলিয়ে বাড়ি থেকে বহুদুরে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ তার বউকে পাঁচ পাতার যে চিঠিটি লিখেছিল সেই চিঠির কথাই বলা হয়েছে।
১৫) ‘লোভটা সে সামলাইতে পারিল না’ — কোন লোভের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ এখানে ‘লোভ’ বলতে উন্মত্ত নদীর সঙ্গে নদেরচাদের খেলার লোভের কথা বলা হয়েছে। সেই লোভের বশবর্তী হয়ে নদেরচাঁদ স্ত্রীকে লেখা চিঠির পাতাগুলো একের পর এক নদীতে ছুড়ে ফেলেছিল।
১৬) ‘নদেরচাদের মন হইতে ছেলেমানুষি আমোদ মিলাইয়া গেল’ — নদেরচাদের মন থেকে আমোদ মিলিয়ে গেল কেন ?
উঃ ব্রিজের ধারকস্তম্ভের ওপর বসে উত্তাল নদী থেকে উঠে আসা শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির শব্দ মিশে তৈরি হওয়া শব্দ শুনতে শুনতে নদেরচাদের মন থেকে ছেলেমানুষি আমোদ মিলিয়ে গিয়েছিল ।
১৭) ‘তারপর সে অতিকষ্টে উঠিয়া দাঁড়াইল’— ‘তারপর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উঃ নদী আর বৃষ্টির শব্দ মিলেমিশে নদেরচাঁদকে আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল। এমন সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে সশব্দে একটা ট্রেন চলে যায়। উদ্ধৃতাংশে ‘ তারপর ‘ বলতে এর পরকেই বুঝিয়েছে।
১৮) ‘বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের’- নদের চাঁদ ভয় পেল কেন ?
উঃ বর্ষার জলে উদ্বৃত্ত নদীর রোষে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা রূপ দেখে দিশেহারা নদেরচাদের ভয় হয়েছিল নদীর আর্তনাদি জলরাশি যেন গোটা ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
১৯) ‘তাহার উচিত হয় নাই’ – তার কী করা উচিত হয়নি?
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদের চাঁদের ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর আর্তনাদি জলরাশির কয়েক হাত উঁচুতে ধারকস্তম্ভের ওপর এমন নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকা উচিত হয়নি ।
২০) ‘আমি চললাম হে’ – কে, কাকে এ কথা বলেছে ?
উঃ কথাসাহিত্যিক ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রওনা করিয়ে তার সহকারীকে কর্তব্যভার বোঝানোর সময় তাকে এ কথা বলেছে।
২১) ‘পাঁচ দিন নদীকে দেখা হয় নাই’- এই উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের যে আন্তরিক আকুতি ফুটে উঠেছে , তার পরিচয় দাও ।
উঃ নদেরচাদের ছোটো থেকেই নদীর প্রতি বড়ো টান। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জন্য সে নদীর কাছে যেতে পারেনি। তাই বৃষ্টি থামতেই নদীকে দেখার জন্য সে উৎসুক হয়ে উঠল।
২২) ‘নদের চাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল’— ‘ছেলেমানুষের মতো’ বলার কারণ কী?
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির কারণে নদীকে দেখতে না পেয়ে নদেরচাঁদের মধ্যে যে আকুলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা সাধারণত কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে দেখা যায় না। এই আগ্রহ বা ঔৎসুক্যবোধকেই ‘ছেলেমানুষের মতো’ বলা হয়েছে।
২৩) ‘কিছুক্ষণ নদীকে না দেখিলে সে বাঁচিবে না’- একথা বলার কারণ কী ?
উঃ একথার মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের সঙ্গে নদীর গভীর বন্ধুত্বকে বোঝানো হয়েছে । একটানা পাঁচ দিন বৃষ্টির পরে নদীকে দেখার জন্য তার মধ্যেকার আকুলতাকে প্রকাশ করা হয়েছে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে।
২৪) ‘কেবল বয়সের জন্য নয়’- বয়স ছাড়া আর কোন কোন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ?
উঃ নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার। মেল, প্যাসেঞ্জার, মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা তার কাজ। যন্ত্রের গতি নির্ধারণ যার কাজ, তার এতটা আবেগপ্রবণ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। তাই প্রশ্নোক্ত ভাবনাটি তার মনে উদয় হয়েছে।
২৫) ‘নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে’- কোন পাগলামির কথা বলা হয়েছে?
উঃ নদেরচাঁদের নদী সম্পর্কে একটা শিশুসুলভ উন্মাদনা ছিল। নদীর সামান্য অদর্শনে সে অধৈর্য হত। অন্যের কাছে এটা পাগলামি মনে হলেও, সে নিজে এই পাগলামিতে আনন্দ পেত।
২৬) নদীকে ভালোবাসার পিছনে নদেরচাদের কী কৈফিয়ত ছিল ?
উঃ নদেরচাদের নদীর প্রতি আকর্ষণ শিশুসুলভ পাগলামি হলেও এর পিছনে তার একটি নিজস্ব যুক্তি ছিল। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নদীর ধারেই। তাই তার নদীর প্রতি এই ভালোবাসা আবাল্য বলে সে মনে করেছে।
২৭) ‘সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল’- তার কেঁদে ফেলার কারণ কী ?
উঃ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাদের ছোটোবেলা থেকেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির সঙ্গে ভারি বন্ধুত্ব। একবার অনাবৃষ্টিতে নদীর জলস্রোত প্রায় শুকিয়ে যেতে বসায় সে কেঁদে ফেলেছিল।
২৮) ‘অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল’- কাকে, কেন ‘অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়া’ বলা হয়েছে ?
উঃ নদেরচাঁদ যে নদীর ধারে জন্মেছে, বড়ো হয়েছে, যাকে ভালোবেসেছে, সেই নদীটি বর্ষণপুষ্ট নদীর মতো বড়ো ছিল না। ক্ষীণস্রোতা নদীটি নদেরচাঁদের কাছে ছিল অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ার মতো।
২৯) ‘চিরদিন নদীকে সে ভালোবাসিয়াছে’- নদীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত ?
উঃ ত্রিশ বছর বয়সি নদেরচাদের নদীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা অস্বাভাবিক হলেও নদেরচাঁদ প্রকৃতিপ্রেমী ও আবেগপ্রবণ । তাই সংবেদনশীল শিল্পী চরিত্রদের মতোই সে নদীকে ভালোবেসেছে ।
৩০) ‘নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল’- নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়ে গেল?
উঃ পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পরে নদীর ধারে গিয়ে আপাত শান্ত নদীর উন্মত্ত রূপ দেখে নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল ।
৩১) ‘নদীর পঙ্কিল জলস্রোতে সে চাঞ্চল্য দেখিয়া গিয়াছে’- এই চাঞ্চল্যের স্বরূপ কী ছিল ?
উঃ নদেরচাঁদ বর্ষণপুষ্ট নদীর পঙ্কিল জলস্রোতের চাঞ্চল্য দেখেই বুঝেছিল সারাবছরের ক্ষীণস্রোতা নদীটির বর্ষার জলে পরিপূর্ণতার কাহিনি যেন তার চাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছিল।
নদীর বিদ্রোহ গল্পের সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘ট্রেনটিকে রওনা করাইয়া দিয়া’- কোন ট্রেনটির কথা বলা হয়েছে ? ট্রেনটিকে রওনা করানোর পর কী ঘটল ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যে ট্রেনের কথা বলা হয়েছেঃ
উদ্ধৃত অংশে চারটে পঁয়তাল্লিশ মিনিটের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির কথা বলা হয়েছে।
পরবর্তী ঘটনাঃ
ট্রেন রওনা হওয়ার পরবর্তী ঘটনা ট্রেনটিকে রওনা করানোর পর স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ তার নতুন সহকারীকে নিজের প্রস্থান করার কথা জানায়। তারপর আর হয়তো বৃষ্টি হবে না, এই অনুমান ব্যক্ত করে সহকারীর সমর্থন প্রত্যাশা করে। সহকারীও সহমত ব্যক্ত করলে সে নদীর দিকে রওনা হয়ে যায়।
২) ‘নদীকে এভাবে ভালোবাসিবার একটা কৈফিয়ত নদেরচাদ দিতে পারে।’- কৈফিয়তটি কী ? কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল কেন ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যে কৈফিয়ৎ দেওয়া হয়েছেঃ
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই নদীকে ঘিরে। তার দেশের যে শীর্ণকায় ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে কৈফিয়তটি বা সে বড়ো ভালোবাসত। সেইজন্য কর্মক্ষেত্রের নদীসহ যে কোনো নদীর প্রতিই তার অস্বাভাবিক মায়া ছিল। নদীকে এমন পাগলের মতো ভালোবাসার জন্য সে এমন কৈফিয়তই দিয়েছিল।
কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজনঃ
রেল নিয়ন্ত্রণের মতো দায়িত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত একজন প্রাপ্তবয়স্কের নদীকে নিয়ে এমন পাগলামো সকলে স্বাভাবিকভাবে নেবে না তাই নদেরচাদ নিজেই কৈফিয়ত দিয়েছিল ।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যে ব্রিজের কথা বলা হয়েছেঃ
উদ্ধৃত অংশে নদেরচাঁদ যে স্টেশনের ব্রিজের স্টেশনমাস্টার, সেখান থেকে এক মাইল দূরে নদীর ওপরে নতুন তৈরি ব্রিজটির কথা বলা হয়েছে।
ব্রিজের দিকে হাঁটার কারণঃ
নদেরচাঁদ ছিল প্রকৃতিপ্রেমিক। বিশেষত নদীর প্রতি তার ছিল অপরিসীম আকর্ষণ। সে প্রায় রোজই নদীর পাশে বসে সময় কাটায়। বিগত পাঁচদিন ধরে মুশলধারায় বৃষ্টির জন্য সে নদীকে দেখতে যেতে পারেনি। তাই কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টি থামতেই সে নদীকে দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
৪) ‘ব্রিজের কাছাকাছি আসিয়া প্রথমবার নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল’- কোন ব্রিজের কথা বলা হয়েছে ? সেখানে এসে নদেরচাঁদ কী দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যে ব্রিজের কথা বলা হয়েছেঃ
নদেরচাঁদ যে অখ্যাত স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ছিল সেখান থেকে মাইলখানেক দূরে নদীর ওপর যে নতুন ব্রিজটি তৈরি হয়েছিল এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
স্তম্ভিত হবার কারণঃ
একটানা পাঁচদিন বৃষ্টির পর নদেরচাঁদ নদীটিকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। কয়েক দিন আগে সে নদীর পঙ্কিল জলের যে উল্লাস ও চঞ্চলতা দেখে গিয়েছিল আজ অতিবৃষ্টির পর তা যেন পরিণত হয়ে ভয়ংকরভাবে ফুঁসছে।
৫) ‘নদেরচাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল’- ‘ছেলেমানুষের মতো’ বলার কারণ কী ? নদেরচাঁদের ঔৎসুক্য হয়েছিল কেন ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
‘ছেলেমানুষের মতো’ বলার কারণঃ
ছেলেমানুষদের অল্পতেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। নদেরচাঁদও একটানা পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণের ফলে নদীকে দেখতে না পেয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ে। বয়সের তুলনায় তার এই অধৈর্যকে লেখক ছেলেমানুষির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
নদেরচাঁদের ঔৎসুক্যের কারণঃ
শৈশব থেকেই নদীর সঙ্গে নদেরচাঁদের সখ্য। তাঁর কর্মস্থলের কাছাকাছি নদীটিকে সে প্রতিদিন দেখতে যেত। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে যেতে না পারায় নদীটির চেহারা কেমন হয়েছে তা দেখার জন্য সে উৎসুক হয়েছিল।
৭) ‘কিছুক্ষণ নদীকে না দেখিলে সে বাঁচিবে না’- কার না বাঁচার কথা বলা হয়েছে ? নদীকে না দেখলে সে বাঁচবে না কেন ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে নদীকে না দেখতে পেলে নদেরচাঁদের না বাঁচার কথা বলা হয়েছে।
তার না বাঁচার কারণঃ
নদেরচাঁদ জন্ম থেকেই নদীর পাশে বড়ো হয়েছে। নদী তার জীবনে শ্বাসপ্রশ্বাসের মতোই মূল্যবান। নদীকে ছেড়ে সে কখনও থাকেনি। এমনকি, বরাতজোরে তার কর্মক্ষেত্রে সে নদীকে পাশে পেয়েছে। তাই নদীর প্রতি তার আকর্ষণ যেন পাগলামিতে পরিণত হয়েছে। এই কারণে নদীকে না দেখলে সে বাঁচবে না।
৮) ‘তার চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল’- চার বছরের চেনা’ বলার কারণ কী ? আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি অপরিচিত মনে হল কেন ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
‘চার বছরের চেনা’ বলার কারণঃ
চার বছর হল নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এই অঞ্চলে এসেছে। তাই নদীটির তার চার বছরের চেনা।
আরো বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত মনে হবার কারণঃ
নদেরচাঁদ তার কর্মস্থলের অনতিদূরে অবস্থিত বর্ষার জলে পৃষ্ট নদীটিতে পাঁচদিন আগে পঙ্কিল জলস্রোতে যে চাঞ্চল্য দেখে গিয়েছিল তাতে ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দ। কিন্তু পাঁচদিন আরও বেশি অপরিচিত অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পর সে চেনা নদীর রূপই প্রত্যক্ষ করবে ভেবেছিল, কিন্তু নদেরচাঁদ দেখল নদী আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত হয়ে উঠেছে।
৯) ‘আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল’- সে কোথায় গিয়ে বসল ? তার সেখানে বসার কারণ কী ছিল ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
সে যেখানে গিয়ে বসেছিলঃ
নদেরচাঁদ যে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ছিল, তার এক মাইল দূরে নদীর ওপরে একটি নতুন রং করা ব্রিজ ছিল। সেই ব্রিজের মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্ট গাঁথা ধারকস্তঙের কিনারায় বসে সে রোজ নদীকে দেখত। সেদিনও নদেরচাঁদ সেইখানেই গিয়ে বসল।
তার সেখানে বসবার কারণঃ
ব্রিজের ধারকস্তম্ভের কিনারায় বসে নদীকে দেখলে নদীবক্ষের ওপর থেকে নদীর বিস্তারসহ সামগ্রিক রূপটাই দর্শকের চোখে ধরা পড়ে। তাই নদেরচাঁদ সেখানে বসত।
১০) ‘কিন্তু সে চাঞ্চলা যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনলের প্রকাশ’- কোন চাঞ্চল্যের কথা বলা হয়েছে ? ‘পরিপূর্ণতার আনন্দ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
চাঞ্চল্যের পরিচয়ঃ
পাঁচদিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হওয়ার আগে নদেরচাঁদ তার প্রিয় নদীটিকে বর্ষার জলে পরিপুষ্ট আর পাঁচটা সাধারণ নদীর মতো পরিপূর্ণতার আনন্দে চঞ্চল হয়ে উঠতে দেখেছিল। এখানে সেই চাঞ্চল্যের কথা বলা হয়েছে।
‘পরিপূর্ণতার আনন্দ’ অর্থঃ
সারাবছরই নদীগুলি জলাভাবে অপুষ্ট থাকে। তাদের মধ্যেকার পূর্ণতার আনন্দ যেন অধরা থাকে। কিন্তু বর্ষার নব জলধারায় পুষ্ট হয়ে তাদের মধ্যে আসে পরিপূর্ণতার আনন্দ। তাদের প্রবাহে আসে উল্লাস, চলায় আসে ছন্দ, এসব কিছুকেই পরিপূর্ণতার আনন্দ বলা হয়েছে।
১১) ‘নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে’- কার কথা বলা হয়েছে ? তার ‘পাগলামি’টি কি ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
এখানে গল্পের প্রধান চরিত্র নদেরচাঁদ-এর কথা বলা হয়েছে।
তার পাগলামির পরিচয়ঃ
নদীমাতৃক বাংলাদেশে বড় হয়ে ওঠা নদেরচাঁদের কাছে, নদী একটি ভালোবাসার বিষয়। ‘নদীর ধারে তাঁর জন্ম হয়েছে, নদীর ধারে সে মানুষ হয়েছে, চিরদিন নদীকে সে ভালোবেসেছে’; নদীকে না দেখে সে থাকতে পারে না। নদেরচাঁদের এখন ত্রিশ বছর বয়স, সে একটি রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার। কিন্তু এখনও সে তাঁর ষ্টেশনের কাছের নদীর সাক্ষাৎ পাবার জন্য উৎসুক হয়ে থাকে। নদীর প্রতি এই অস্বাভাবিক টানকে নদেরচাঁদের পাগলামি বলে মনে হয়, কিন্তু মনের অভ্যন্তরে নদেরচাঁদ এই ছেলেমানুষি থেকে আনন্দ অনুভব করে।
১২) ‘এই নদীর মতো এত বড়ো ছিল না’- কোন নদীর কথা বলা হয়েছে ? সেই নদী কেমন ছিল ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যে নদীর কথা বলা হয়েছেঃ
এখানে গল্পের প্রধান চরিত্র নদেরচাঁদের যে গ্রামে বড় হয়ে উঠেছিল, সেই গ্রামের ছোট নদীর কথা বলা হয়েছে।
নদীর পরিচয়ঃ
নদেরচাঁদের গ্রামের নদীটি ছিল অপেক্ষাকৃত ছোট। কিন্তু কিশোর অবস্থায় নদেরচাঁদের ঐ নদীকে ছোট বলে মনে হত না, তাঁর ‘দেশের সেই ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটি, অসুস্থ দুর্বল আত্মিয়ার মতোই’ নদেরচাঁদের ভালোবাসা – মমতা পেয়েছিল। পরে বড় হয়ে একবার যখন নদেরচাঁদ নদীটিকে ক্ষীণ- স্রোত অবস্থায় দেখেছিল, তখন পরমাত্মীয় মারা গেলে যেরকম দুঃখ হয়, সেপ্রকার দুঃখ পেয়েছিল। বলা যায় দেশের নদীর সাথে নদেরচাঁদের একপ্রকার আত্মিক সম্পর্ক হয়েছিল।
১৩) ‘নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল’- উদ্ধৃতাংশটিতে কার কথা হয়েছে ? তার আমোদ হওয়ার কারণ কী ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
উদ্ধৃতাংশটিতে গল্পের প্রধান চরিত্র নদেরচাঁদের কথা বলা হয়েছে।
তার আমোদ হবার কারণঃ
ষ্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ নদী ভালোবাসে, সে প্রতিদিন বিকালে তাঁর ষ্টেশনের পাশের নদীটিকে দেখতে যায়। পাঁচদিন টানা বৃষ্টির ফলে সঙ্কীর্ণ, ক্ষীণস্রোতা নদীর চেহারা হয়েছে ভয়ংকর। ব্রিজের মাঝে বসা নদেরচাঁদের মনে হয় ক্ষিপ্র নদী যেন ব্রিজের ধারক স্থম্ভগুলোতে বাধা পেয়ে ‘ফেনিল আবর্ত’ সৃষ্টি করছে। নদীর জল এতটা উঁচুতে উঠে এসেছে যে যেন মনে হয় হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে। নদীর এই রূপ অবস্থা দেখে নদেরচাঁদের ভারি ‘আমোদ’ হয়।
১৪) ‘বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের’- নদেরচাঁদের ভয়ের কারণ কী ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
নদেরচাঁদের ভয়ের কারণঃ
গল্পের প্রধান চরিত্র নদীপ্রেমী নদেরচাঁদ প্রতিদিন বিকালে নদীর সাথে দেখা করে। পাঁচদিন টানা বৃষ্টির ফলে তাঁর পরিচিত সঙ্কীর্ণ, দুর্বল নদী পরিবর্তিত হয়েছে স্রোতস্বিনী তেজি নদীতে। নদীর এই ভয়ংকর রূপে মোহিত হয়ে রেলব্রিজের মাঝে বসে থাকে। মাঝে বৃষ্টি আসে, কিন্তু প্রকৃতি প্রেমে আচ্ছন্ন নদেরচাঁদ বসে থাকে, এমনকি সেও এও ভুলে যায় যে তাঁর থেকে মাত্র একটু নিচ দিয়েই ভয়ালবেগে বয়ে চলেছে নদী। ক্রমে দিনের আলো নিভে যায়, বৃষ্টির বেগ বৃদ্ধি পায়, আচমকা রেলের শব্দে সম্বিৎ ফিরে পায় সে। প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখে বিপদের আশঙ্কায় নদেরচাঁদের ভয় হয়।
১৫) ‘নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে’- কে বুঝতে পেরেছে ? নদীর বিদ্রোহ বলতে সে কী বোঝাতে চেয়েছে ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
এখানে গল্পের প্রধান চরিত্র নদেরচাঁদের কথা বলা হয়েছে।
নদীর বিদ্রোহ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ
এই ছোটগল্পে লেখক শ্রী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নদীকে প্রকৃতি অর্থে ব্যবহার করেছেন। প্রকৃতি স্বাধীন, সে কোন গণ্ডিতে বাঁধা পড়তে চায় না। গল্পে থেকে আমরা জানতে পারি যে, সঙ্কীর্ণ, ক্ষীণস্রোতা নদী মানুষের সভ্যতার বেড়া অর্থাৎ ব্রিজে বাঁধা পড়েছে। পাঁচদিন টানা বৃষ্টির ফলে নদী তার স্বাভাবিক চরিত্র ফিরে পেয়েছে, সে তখন স্রোতস্বিনী, তেজস্বিনী। নদীর এই রূপকেই গল্পের চরিত্র নদেরচাঁদ নদীর বিদ্রোহ বলে মনে করেছে।
১৬) ‘পারিলেও মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?’- কাকে রেহাই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ? এই জিজ্ঞাসার গভীরতর অর্থটি পরিস্ফুট করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” গল্পটি আমাদের পাঠ্য রূপে নির্বাচিত হয়েছে।
যাকে রেহাই দেওয়ার কথা বলা হয়েছেঃ
এখানে নদীকে রেহাই দেবার কথা বলা হয়েছে।
অন্তর্নিহিত অর্থঃ
নদেরচাঁদ নদী ভালোবাসে। নদীকে দেখেই সে বড় হয়ে উঠেছে তাই একটি ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার পদে কর্মরত হয়েও নদীর প্রতি তাঁর ভালোবাসার পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘ পাঁচদিন টানা বৃষ্টির পর নদেরচাঁদ নদী দর্শনে গিয়ে তাঁর প্রিয় নদীকে চিনতে পারে না। সংকীর্ণ নদী বৃষ্টিধারায় পুষ্ট হয়ে শক্তিশালী নদীতে পরিণত হয়েছে, সে যেন কোন বাঁধ মানতে চায় না। তাঁর সমস্ত শক্তি দিয়ে আধুনিকতার প্রতীক ব্রিজকে ভেঙে দিতে চায়। মানব সৃষ্ট আধুনিকতার বেড়া জালে বন্দী থাকতে নারাজ প্রকৃতি রূপী নদীর রুদ্ররূপ দেখে নদেরচাঁদের মনে হয় নদী যেন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। কিন্তু নদেরচাঁদের মনে হয়, নদীর এই বিদ্রোহ মানুষের কাছে গুরুত্ব পাবে কি? সম্ভবত না, প্রকৃতির বাঁধ ভাঙা শক্তির কাছে সাময়িক প্রতিহত হলেও, মানুষ কিছু সময় পর আবার বাঁধ দেবে, পুনরায় গড়ে তুলবে ব্রিজ। অর্থাৎ বিদ্রোহ স্থিমিত হলে নদীকে আবার মানুষের বশ মানতেই হবে। গল্পে নদেরচাঁদের ভাবনায় এই ক্ষেদ উঠে এসেছে।
দশম শ্রেণি বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে।”- কার, কোন্ পাগলামির কথা এখানে বলা হয়েছে? কীভাবে সে পাগলামিতে আনন্দ উপভোগ করে লেখো। ২+৩
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “সরীসৃপ” গ্রন্থের নয় সংখ্যক গল্প “নদীর বিদ্রোহ” থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
পাগলামির পরিচয়ঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে নদীপ্রেমিক স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের পাগলামির কথা বলা হয়েছে। নদী-অন্তপ্রাণ নদেরচাঁদ নদীর সাথে এক অবিচ্ছেদ্য আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। স্টেশনমাস্টারের মতো এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দ্বায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও একদিনও নদীকে না দেখে থাকা নদেরচাঁদের পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। পাঁচদিন অবিরাম বর্ষণের পরবর্তিতে নদীর উত্তাল রূপ কল্পনাকারী নদেরচাঁদের নদীর কাছে ছুটে যাওয়ার ঘটনাকেই প্রশ্নোক্ত অংশে ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আনন্দ উপভোগের পরিচয়ঃ
বর্ষণমুখর উন্মত্ত নদীস্রোত দেখে নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে যায়- “জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল।” নদীর ভয়াল রূপে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখে – “নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল।” আর তখনই সে শিশুসুলভ ঔৎসুক্য দেখিয়ে তার পকেট থেকে দুই দিনের প্রচেষ্টায় তার স্ত্রীকে লেখা পাঁচ পৃষ্ঠাব্যাপী পত্রটি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে চঞ্চল নদীস্রোতে ভাসিয়ে দেয়। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সে তার সমগ্র সত্ত্বা দিয়ে নদীকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।
এইভাবেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ তার আত্মার আত্মীয় নদীর খরস্রোতা রূপ দেখে আনন্দ উপভোগ করে।
দশম শ্রেণি বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্প থেকে আরো কিছু বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক কে? তাঁর চরিত্র আলোচনা করো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
“নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”-অংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো।
দশম শ্রেণি বাংলা নোটঃ
- জ্ঞানচক্ষু
- অসুখী একজন
- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
- আফ্রিকা
- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
- বহুরুপী
- সিরাজদ্দৌলা
- অভিষেক
- পথের দাবী
- প্রলয়োল্লাস
- সিন্ধুতীরে
- অদল বদল
- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান
- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান
- নদীর বিদ্রোহ
- কোনি
- বাংলা ব্যাকরণ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ