বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য বহুরূপী গল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তর :
১) ‘গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা’- হরিদা কে ছিলেন? কোন গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
হরিদার পরিচয়ঃ
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা ছিলেন একজন পেশাদার বহুরূপী।
হরিদার গম্ভীর হবার কারণঃ
লেখক সহ অন্য বন্ধুরা হরিদাকে জানিয়েছিলেন যে, সাতদিন ধরে এক সন্ন্যাসী এসে জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন। খুব উঁচুদরের সন্ন্যাসী, হিমালয়ের গুহাতে থাকেন। সারাবছর শুধু একটি হরীতকী খেয়ে থাকেন। সন্ন্যাসীর বয়স হাজার বছরের বেশি বলে মনে করা হয়। সন্ন্যাসী কাউকেই পদধূলি দেন না। তবে, জগদীশবায়ু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ে ধরলে বাধ্য হয়ে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দেন। এই নতুন খড়ম পরার ফাঁকেই জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন। আর এই গল্প শুনেই হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন।
২) ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’- এখানে ‘দুর্লভ জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে দুর্লভ বলা হয়েছে কেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
‘দুর্লভ জিনিস’-এর পরিচয়ঃ
উল্লিখিত অংশে ‘দুর্লভ জিনিস’ বলতে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলোকে বোঝানো হয়েছে।
‘দুর্লভ’ বলার কারণঃ
জগদীশবাবুর বাড়িতে সাতদিন ধরে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব উঁচু দরের। কারণ তিনি হিমালয়ের গুহাতে থাকতেন এবং সারাবছরে শুধু একটি হরিতকী খেতেন। অনেকের মতে সন্ন্যাসীর বয়স হাজার বছরের বেশি। তাই এই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়াকে দুর্লভ বলা হয়েছে।
৩) ‘ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল’ – কোথায় হল্লা বেজে উঠেছিল? ‘আতঙ্কের হল্লা’ বেজে ওঠার কারণ কী?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার স্থানঃ
একদিন দুপুরবেলা চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে আতক্ষের হল্লা বেজে উঠেছিল।
আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণঃ
একদিন দুপুরবেলাতে চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হঠাৎ’ই এক উন্মাদ পাগলের আবির্ভাব ঘটে। সেই বন্ধপাগলের মুখ থেকে লালা ঝরে পড়ছিল। তার চোখ দু’টো ছিল কটকটে লাল। আর কোমরে ছেঁড়া কম্বল ও গলায় ঝুলছিল টিনের কৌটার একট মালা। সেই বদ্ধপাগলটা আবার এক থান ইট হাতে তুলে নিয়ে বাসের উপরে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। এরফলে বাসের যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠায় ‘আতঙ্কের হল্লা’ বেজে উঠেছিল।
৪) ‘এবার মারি তো হাতি, লুঠি তো ভাঙার’- বক্তা কে? তিনি কোন উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা।
মন্তব্যের উদ্দেশ্যঃ
বহুরূপী সেজে হরিদা যে উপার্জন করতেন তা ছিল অত্যন্ত সামান্য। আর তাই যখন জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর খাতির-যত্নের কথা শোনেন, তখন সিদ্ধান্ত নেন সেখানেই বহুরূপী সেজে গিয়ে মোটা কিছু আদায় করে নেবেন। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েও তার উপার্জন হয় সামান্যই। সেইজন্য কাঙালের মতো বকশিশ নেওয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে একেবারে এমন উপার্জন করবেন যাতে তার সারাবছর চলে যায়- এই উদ্দেশ্যেই তিনি প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
৫) ‘তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়’- বক্তা কে? ‘ঢং’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কীসে ঢং নষ্ট হয়ে যাবে?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।
ঢং-এর স্বরূপঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে ‘ঢং’ বলতে বহুরূপী সেজে হরিদা যে অভিনয় করতেন তাকেই বোঝানো হয়েছে।
ঢং নষ্ট হবার কারণঃ
হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত হন বেশ কিছু উপার্জনের আশা নিয়ে। হরিদাকে প্রকৃত বিরাগী মনে করে জগদীশবাবু তাকে আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। হরিদা আতিথ্য প্রত্যাখ্যান করলে জগদীশবাবু হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা প্রণামি দিতে চান। এই অর্থ গ্রহণ করলে হরিদার বহুরুপী পেশা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই তিনি প্রকৃত সন্ন্যাসীর মতো এই অর্থ প্রত্যাখ্যান করেন।
৬) ‘আজ তোমাদের একটা জবর খেলা দেখাব’- কথাটি কে, কাকে বলেছিলেন? বক্তা কোন জবর খেলা দেখিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
হরিদা কথাগুলি কথক ও তার বন্ধুদের উদ্দেশে বলেছিলেন।
বক্তার দেখানো জবর খেলাঃ
হরিদা একটা সাদা উত্তরীয় কাধে, ছোটো বহরের একটি থান পরে, একটি ঝোলা নিয়ে রীতিমতো বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যান। জগদীশবাবু হরিদার চেহারা দেখে ও কথাবার্তা শুনে মুগ্ধ হন। হরিদাকে তিনি আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন এবং তীর্থ ভ্রমণের জন্য প্রণামি হিসাবে একশো এক টাকা দিতে চান। কিন্তু হরিদা খাঁটি সন্ন্যাসীর মতো অর্থ প্রত্যাখ্যান করে বেরিয়ে আসেন। এরকম ছদ্মবেশ ধারণ করেই হরিদা জবর খেলা দেখিয়েছিলেন।
৭) ‘এটা আমার প্রাণের অনুরোধ’- অনুরোধটি কী ছিল? এই অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় কী উত্তর শোনা গিয়েছিল?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
অনুরোধের পরিচয়ঃ
ধর্মভীরু জগদীশবাবু এই ‘প্রাণের অনুরোধ’টি করেছিলেন। তার সেই ‘প্রাণের অনুরোধ’টি ছিল বিরাগীজি যেন তাঁর কাছে কয়েকটা দিন থাকেন।
অনুরোধের প্রতিক্রিয়াঃ
এই অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় বিরাগীজি বলেন যে, বাইরে খোলা আকাশ ও ধরিত্রীর মাটিতে স্থান থাকতে তিনি কেন জগদীশবাবুর মতো একজন বিষয়ীর দালানবাড়ির ঘরে আশ্রয় নেবেন!
৮) ‘তবে কিছু উপদেশ দিয়ে যান’- বক্তা কে? তিনি কী উপদেশ দিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত অংশটির বক্তা হলেন গল্পের অন্যতম চরিত্র জগদীশবাবু।
প্রদান করা উপদেশঃ
বিরাগী তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে, ধন-জন-যৌবন কিছুই নয়। ওসব হলো সুন্দর সুন্দর এক-একটি বঞ্চনা। মন-প্রাণের সব আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুধু সেই একজনের আপন হতে চেষ্টা করতে হবে যাকে পেলে এই সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য পাওয়া হয়ে যায়।
বহুরূপী গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
বহুরূপী গল্পের আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে