ভারতবর্ষ
– সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
ক) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ
১) “যবন নিধনে অবতীর্ণ হও মা!”- একথা বলেছিল ( ক ) ভট্টাচার্যমশাই ( খ ) গাঁয়ের দারােগা ( গ ) নিবারণ বাগদি ( ঘ ) গাঁয়ের পুলিশ
২) “বুড়িমা! তুমি মরনি!” বক্তা হলাে— ( ক ) চৌকিদার ( খ ) গাঁয়ের দারােগা ( গ ) নিবারণ বাগদি ( ঘ ) গাঁয়ের পুলিশ
৩) ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী সােমবারের পউষে বাদল কতদিন চলে? ( ক ) সাত দিন ( খ ) পাঁচ দিন ( গ ) তিন দিন ( ঘ ) এক দিন
৪) “তােমাদের কত্তাবাবা টাটু”– কাদের উদ্দেশে এই কথা বলেছিল? ( ক ) মুসলমানদের ( খ ) হিন্দুদের ( গ ) যুবকদের ( ঘ ) দেশের
৫) “মাথার ওপর আর কোনাে শালা নেই রে— কেউ নেই”— কথাটি বলেছিল ( ক ) গ্রামের কোনাে যুবক চাষি ( খ ) গ্রামের মােড়লেরা ( গ ) গ্রামের এক গণমান্য চাষি ( ঘ ) এক ভবঘুরে
৬) থুথ্থুরে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানো— (ক) তুলোর কম্বল (খ) ছেড়া কাপড় (গ) নোংরা চাদর (ঘ) দামি শাল
৭) “জোর কথা কাটাকাটি চলে” – চায়ের দোকানে এর ফলে কী হয়? (ক) চা বিক্রি বাড়ে (খ) ঝগড়া হয় (গ) সময় কাটে (ঘ) বিরক্তি লাগে
৮) “হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল।” দৃশ্যটি হলো- (ক) হিন্দুরা বুড়ির মৃতদেহ নিয়ে আসছে (খ) হেঁটে হেঁটে বুড়ি এদিকেই আসছে (গ) বুড়ি মারা গেছে বলে সকলে কাদছে (ঘ) মুসলমান পাড়ার লোকেরা বুড়ির মৃতদেহ নিয়ে আসছে
৯) ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী সোমবারের পউষে বাদল কতদিন চলে? (ক) সাত দিন (খ) পাঁচ দিন (গ) তিন দিন (ঘ) এক দিন
১০) বুড়িকে নদীতে ফেলে দিতে কে বলেছিল?- (ক) চৌকিদার (খ) জগা (গ) ভটচাযমশাই (ঘ) মোল্লা
১১) “চোখের মাথা খেয়েছিস মিনষেরা”- কার উক্তি?- (ক) মোল্লার (খ)ভট্টাচার্যমশায়ের (গ) বুড়ির (ঘ) নাপিতের
১২) “তোমাদের কত্তাবাবা টাট্ট”– কাদের উদ্দেশে এই কথা বলেছিল?- (ক) মুসলমানদের (খ) হিন্দুদের (গ) যুবকদের (ঘ) দেশের
১৩) “আমি স্বকর্ণে শুনেছি, বুড়ি লা ইলাহা বলেছে।” কথাটি বলেছিল– (ক) করিম ফরাজি (খ) মোল্লা সাহেব (গ) ফজলু শেখ (ঘ) মৌলবি সাহেব
১৪) এ বারের বাদলা কী বারে লেগেছিল?- (ক) সোমবারে (খ) মঙ্গলবারে (গ) বুধবারে (ঘ) শনিবারে
১৫) “পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে, সেখানেই গড়ে উঠেছে”– (ক) একটি মিষ্টির দোকান (খ) একটি ছোট্ট বাজার (গ) একটি শনিমন্দির (ঘ) একটি চায়ের দোকান
১৬) “তোর শতগুষ্টি মরুক”- উক্তিটি কার?- (ক) জগার (খ) মোল্লার (গ) নকড়ির (ঘ) বুড়ির
১৭) “এক সময় দাগি ডাকাত ছিল”– কে একসময় দাগি ডাকাত ছিল?- (ক) ফজলু শেখ (খ) নিবারণ বাগদি (গ) করিম ফরাজি (ঘ) নকড়ি নাপিত
১৮) বুড়িকে ‘হরিবোল’ বলতে স্পষ্ট শুনেছে– (ক) নিবারণ বাগদি (খ) নকড়ি নাপিত (গ) ভটচামশাই (ঘ) ফজলু শেখ
১৯) “আমি স্বকর্ণে শুনেছি, বুড়ি লা ইলাহা বলেছে”- কথাটি বলেছিল- ( ক ) করিম ফরাজি ( খ ) মােল্লা সাহেব ( গ ) ফজলু শেখ ( ঘ ) মৌলবি সাহেব
খ) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১) ‘সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল”— কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল?
উঃ থুরথুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি ওই দুর্যোগে কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে চায়ের দোকানে আসতে পারে , সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।
২) নাপিত নকড়ি বুড়িকে কী বলতে শুনেছিল?
উঃ নাপিত নকড়ি বুড়িকে হরিবােল হরিবােল বলতে শুনেছিল।
৩) চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উঃ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা রােদ ঝলমল একটা দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
৪) “বােঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে”- বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?
উঃ গাছের মােটা শিকড়ে বসে শিকড়ের পিছনে গাছের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতা বুড়ির আছে ।
৫) “তর্কাতর্কি, উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল”- কী বিষয়ে, কাদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা ও হল্লা চলছিল?
উঃ সমাজসচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে একটি চেতনাহীন বৃদ্ধা হিন্দু না মুসলমান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলছিল।
৬) “হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল”- অদ্ভুত দৃশ্যটি কী?
উঃ সকালে যে বুড়ির মৃতদেহ গ্রামের যুবকরা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে এসেছিল, বিকেলে মাঠ পেরিয়ে মুসলমানরা সেই দেহকেই চ্যাংদোলায় বহন করে আনছে।
৭) বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে বলা হয় কী?
উঃ বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তাকে ফাপি বলা হয়।
৮) পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরনো বচনটি কী?
উঃ পউষে বাদলা সম্পর্কে ‘ডাকপুরুষ’-এর পুরনো বচন হলো- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন দিন।
৯) “নিবারণ বাগদি রাগী লোক”– নিবারণ বাগদি আগে কী করত?
উঃ নিবারণ বাগদি একসময় দাগি ডাকাত ছিল, ডাকাতি করত।
১০) “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল”—কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল?
উঃ থুরথুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি ওই দুর্যোগে কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে চায়ের দোকানে আসতে পারে, সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।
১১) নাপিত নকড়ি বুড়িকে কী বলতে শুনেছিল?
উঃ নাপিত নকড়ি বুড়িকে ‘হরিবোল হরিবোল’ বলতে শুনেছিল।
১২) চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উঃ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা রোদ ঝলমল একটা দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
১৩) “তর্কাতর্কি, উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল”- কী বিষয়ে, কাদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা ও হল্লা চলছিল?
উঃ সমাজসচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে একটি চেতনাহীন বৃদ্ধা হিন্দু না মুসলমান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলছিল।
১৪) “হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল”— অদ্ভুত দৃশ্যটি কী?
উঃ সকালে যে বুড়ির মৃতদেহ গ্রামের যুবকরা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে এসেছিল, বিকেলে মাঠ পেরিয়ে মুসলমানরা সেই দেহকেই চ্যাংদোলায় বহন করে আনছে।
১৫) “বোঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে”- বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?
উঃ গাছের মোটা শিকড়ে বসে শিকড়ের পিছনে গাছের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতা বুড়ির আছে।
১৬) “নিবারণ বাগদি রাগী লােক”— নিবারণ বাগদি আগে কী করত?
উঃ নিবারণ বাগদি একসময় দাগি ডাকাত ছিল , ডাকাতি করত।
১) ‘ভারতবর্ষ’ গল্প অবলম্বনে অকালদুর্যোগের পরিচয় দাও।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট্য লেখক “সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ” রচিত “শ্রেষ্ঠ্য ৫০টি গল্প” সংকলন থেকে আমাদের পাঠ্য “ভারতবর্ষ” গল্পটি গৃহীত হয়েছে।
দুর্যোগের বর্ণনাঃ
গল্পের প্রথমাংশেই লেখক রাঢ় বাংলার অকাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিচয় প্রদান করেছেন। পৌষমাসে নামহীন এক রাঢ়বাংলার গ্রাম্য বাজারে হঠাৎই কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে আসতে শুরু করে উত্তরের বিশাল মাঠ থেকে। এরপর ছাইরঙের মেঘ আকাশ ঢেকে ফেলে এবং শুরু হয় বর্ষণ। লেখকের কথায়, “রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালো। বৃষ্টিতে তা হল ধারালো।”
পৌষমাসের এই বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে ‘পৌষে বাদলা’। আবার ছোটলোকেরা তাকে ‘ডাওর’ নামে অভিহিত করে থাকে। কিন্তু পৌষের বৃষ্টির সাথে প্রবল বায়ুপ্রবাহ যুক্ত হয়ে আবহাওয়াকে করে তুলেছিল আরো সংকটজনক, যাকে তারা ‘ফাঁপি’ বলে থাকে।
মাঠের ধান তাদের তখনো ঘরে তোলা হয় নি বলে সেই প্রাকৃতিক অকাল দুর্যোগে সকল গ্রামীন চাষীদের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় আমরা আশঙ্কিত হতে দেখি। তাই চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে তারা প্রতীক্ষারত ছিল একটা রোদ ঝলমলে দিনের। তাদের এই দুরাবস্থার জন্য তারা তাদের ঈশ্বর বা আল্লারকেই দোষারোপ করছিল।
বিখ্যাত জ্ঞানী পুরুষ ডাক তার বচনে বলেছিলেন, “শণিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন – বাকি সব দিন দিন।” তবে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলেও তা কবে শেষ হয়েছিল তার হিসেব সেই অকালের দুর্যোগে কেউ রাখে নি।
এইরূপেই আমরা ভারতবর্ষ গল্পে অকাল দুর্যোগ এবং তাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের পরিস্থিতির পরিচয় লাভ করি।
‘দেখতে-দেখতে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে”- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উত্তেজনার কারণ ব্যাখ্যা করো।
‘যা, যা, পালাঃ। বলে সে নড়বড় করে রাস্তা ধরে চলতে থাকল।”- পাঠ্য গল্প অবলম্বনে থুত্থুড়ে বুড়ির চরিত্র বিশ্লেষণ করো। এ প্রসঙ্গে গল্পকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য বর্ণনা করো।
ভারতবর্ষ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
‘শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল”- পাঠ্য ‘ভারতবর্ষ’ গল্প অবলম্বনে দৃশ্যটির অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে