তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে

তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি থেকে স্বর্ণপর্ণী গল্পের ‘তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে’ উক্তিটির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে’ প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষায় বিশেষভাবে উপকৃত হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবেঃ
১) তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে এটা আমি চাইনি, চাইনি, চাইনি।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এখানে কোন্ মহৌষধের কথা বলা হয়েছে লেখো। তিনি কী করেছিলেন?
উৎসঃ
‘সত্যজিৎ রায়’ রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু লন্ডনের জীবতত্ত্ববিদ জেরেমি সন্ডার্স এই কথা বলেছেন।
মহৌষধের পরিচয়ঃ 
এখানে ‘মহৌষধ’ বলতে স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা থেকে প্রোফেসর শকুর তে তৈরি ‘মিরাকিউরল বড়ি’র কথা বলে হয়েছে। 
প্রসঙ্গঃ 
প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডন থেকে নরবার্ট স্টাইনারের পিতা হাইনরিখ স্টাইনারকে সুস্থ করার জন্য বার্লিনে যাওয়ার আগে সন্ডার্স গোপনে তাঁর মিরাকিউরলের বড়ির শিশি থেকে বড়িগুলি বের করে সেখানে ঘুমের বড়ি রেখে দেন।
বক্তার ভূমিকাঃ 
সন্ডার্সের আশঙ্কা ছিল জার্মানিতে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু নাৎসিবাহিনীর খপ্পরে পড়তে পারেন। তাঁর আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে নাৎসিদের একজন নেতা হের্ গোয়রিং জোর করে মিরাকিউরল বড়ি আদায় করতে চেষ্টা করেন। পরে বাধ্য হয়ে শঙ্কুর শর্তে রাজি হওয়ায় শঙ্কু হের্ গোয়রিং ও তাঁর অনুচর এরিক ফ্লোমকে চারটে করে বড়ি দেন।
তাঁরা সেই বড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে প্রোফেসর সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। লন্ডনে ফেরার পর তিনি সন্ডার্সের কাছে জানতে পারেন যে ওই শিশিতে মিরাকিউরলের বড়ি ছিল না, ছিল ঘুমের ওষুধ। সন্ডার্সের এই বুদ্ধিদীপ্ত কাজে প্রোফেসর শঙ্কু শুধু যে নাৎসিদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছিলেন, তাই-ই নয়, মিরাকিউরলের মতো মহৌষধকে কতকগুলো হীন মানুষের উপকারে লেগে কলঙ্কিত হতেও হয়নি।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ  sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?