চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর

চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটির পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা কোথায় গিয়ে থেমে গেছে ?

উঃ ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা বৃষ্টিমুখর লাজুক এক গ্রামে এসে থেমে গেছে।

২) তালের সারি কোথায় রয়েছে ? 

উঃ জোড়া দিঘির পাড়ে তালের সারি রয়েছে। 

৩) কিষানপাড়া নীরব কেন ?

উঃ কিষানপাড়া পচা জল আর মশার রোগে মৃত তাই তারা নীরব হয়ে রয়েছে। 

৪) বর্ষায় কে বিদ্রোহ করে ? 

উঃ বর্ষায় গ্রামের পাশের মজা নদী বিদ্রোহ করে। 

৫) কে গোয়ালে ইশারা পাঠায় ? 

উঃ সবুজ ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়। 

৬) রাত্রিকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয় ? 

উঃ সাখা শাঁখ বাজিয়ে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয়। 

৭) কোথায় জনমত গড়ে ওঠে ? 

উঃ বুড়ো বটতলায় পরস্পরের জনমত গড়ে ওঠে।  

৮) ঠাকুমা কাকে, কখন গল্প শোনান ? 

উঃ ঠাকুমা নাতনিকে রাত্রি হলে গল্প শোনান। 

৯) কোন্ গল্প তিনি বলেন ? 

উঃ তিনি গতবারের আকালের গল্প বলেন। 

১০) সকালের আগমন কীভাবে ঘোষিত হয় ? 

উঃ পাখির গানে সকালের আগমন ঘোষিত হয়। 

১১) কবিতায় কোন্ কোন্ জীবিকার মানুষের কথা আছে ? 

উঃ কবিতায় চাষি, কামার, কুমোর, তাঁতি প্রভৃতি মানুষদের কথা আছে। 

১২) কোথায় ঘড়ির কাঁটা এসে থেমে গেছে ? 

উঃ বৃষ্টিমুখর এক লাজুক গাঁয়ে এসে ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে। 

১৩) এখানে কী নীরব ? 

উঃ এখানে নীরব অমর কিষাণপাড়া। 

১৪) রাত্রি এখানে কীভাবে স্বাগত ? 

উঃ রাত্রি এখানে সান্ধ্য শাঁখে স্বাগত । 

১৫) কৃষক-বধূরা কী করে ? 

উঃ কৃষক বধূরা ঢেঁকিকে পায়ে নাচায়। 

১৬) এখানে সকাল কীভাবে ঘোষিত হয় ? 

উঃ এখানে সকাল ঘোষিত হয় পাখির গানে।  

১৭) সন্ধ্যায় বুড়ো বটতলায় কী হয় ? 

উঃ বুড়ো বটতলায় সন্ধ্যায় সবাই জড়ো হয়ে যে যার মতামত জানায়। 

১৮) রাত্রি হলে কে কী শোনায় ? 

উঃ রাত্রি হলে ঠাকুমা দাওয়ার অন্ধকারে বসে নাতনিকে গল্প শোনায়।  

১৯) সারাটা দুপুর কোথায় কী ওঠে ? 

উঃ সারাটা দুপুর খেতের চাষির কানে একটানা আর বিচিত্র ধ্বনি ওঠে। 

২০) এই কবিতায় বাংলার পল্লি প্রকৃতির যে বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় সংক্ষেপে লেখো।

উঃ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে একটি বৃষ্টিমুখর লাজুর গ্রামের পল্লি প্রকৃতির চিত্র দেখা যায়। সেই গ্রামের পাশে আছে এক মজা নদী। দূরে রয়েছে বাঁশঝাড়। গ্রামের মাঝে জোড়া দিঘি পাশে তালের সারি। বর্ষায় চারিদিকে নতুন সবুজ ঘাস জন্মায়। সকালে পাখির ডাকে দিন ঘোষিত হয়। বছরে নানা সময় নতুন শস্যে চারিদিক ভরে ওঠে। সন্ধেবেলায় চাষিরা ঘরে ফেরে। রাত্রে ঠাকুমা নাতনিকে গল্প শোনান। সকাল হলেই সবাই যে যার কাজে যোগ দেয়। 

২১) কবিতাটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের যে ছবিটি পাও তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উঃ ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে দেখা যায় গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই সাদামাটা। সন্ধেবেলায় চাষিরা আলপথ বেয়ে ঘরে ফেরে। গ্রামের বউরা ঢেঁকিতে ধান ভানে। সন্ধে হলে ঠাকুমা নাতনিকে গত আকালে লোকে কীভাবে নানা দিকে চলে গিয়েছিল তার গল্প শোনান। গ্রামের বন্ধুরা সন্ধেবেলায় শাঁখ বাজায়, ঘরে ঘরে দীপ জ্বালায়। সকালে চাষিরা আবার চাষ করতে যায়। কুমোর, কামার, তাঁতিরা তাদের কাজে লেগে যায়। সারাটি দিন ধরে তাদের একটানা কাজ চলতে থাকে। 

২২) আকাল ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মানুষের সম্মিলিত শ্রম আর জীবনশক্তি কীভাবে বিজয়ী হয়েছে, কবিতাটি অবলম্বনে তা বুঝিয়ে দাও। 

উঃ চিরদিনের কবিতাটিতে কবি যে গ্রামটির বর্ণনা দিয়েছেন সে গ্রামটি একসময় দুর্ভিক্ষের গ্রাসে পড়েছিল। কবি বলেছেন দুর্ভিক্ষ ও আকালের পরেও মানুষ বেঁচে থাকে। এই গ্রামের লোক আজও কাজ করে। বছরের পর বছর অনেক যুদ্ধ করে হলেও তারা বেঁচে থাকে। এক আকালে কিছু লোক হারিয়ে যায়, তার জায়গায় আবার অন্য লোক আসে। কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রা থেমে থাকে না। এক আকালের হারিয়ে যাওয়া মানুষজনের গল্প পরের প্রজন্মের লোকেরা শোনে। এইভাবে যুগ যুগ ধরে মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকে। 

২৩) “কোনো বিশেষ সময়ের নয়, বরং আবহমানকালের বাংলাদেশ তার প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের যে জয়গান গেয়ে চলেছে, এই কবিতায় তারই প্রকাশ দেখতে পাই।” —উপরের উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। 

উঃ উদ্ধৃতিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের’ শীর্ষক কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে আবহমানকালের এক রূপচিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা দেখি যুগ যুগ ধরে মানুষ বেঁচে আছে। তাদের জীবনযাত্রা একই ভাবে চলেছে। বহু সাম্রাজ্য গড়েছে, ভেঙেছে, কিন্তু চাষির চাষ করা, কামার, কুমোরের কাজ করা থেমে যায়নি। তারা একইভাবে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের পল্লিগ্রাম শত আকালের ধাক্কা সামলে আজও অটুট আছে। তাই কবি বলেছেন, দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো থাকলেও এ গ্রামের মানুষ আজও কাজ করে। সেখানে জীবনের স্রোত সদা প্রবহমান। জীবনের জয়গান সদাই মুখর। 

২৪) ব্যখ্যা লেখোঃ 

ক) “এখানে বৃষ্টিমুখর……..ঘড়ির কাঁটা।”

উঃ কোনো কোনো স্থানে সময় স্থির হয়ে যায়। ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত গ্রামটি যেন শান্ত ও নীরব। ব্যস্ত সময় যেন এখানে থমকে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামে মানুষের নতুন কিছু করার নেই। আবহমানকাল ধরে এখানে জীবন একই ভাবে চলে। এখানে সময় পালটায় না। 

খ) “এ গ্রামের পাশে….. বিদ্রোহ বুঝি করে।”

উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের কবিতাটিতে বর্ণিত লাজুক এই গ্রামটির পাশে রয়েছে এক মজা নদী, সারাবছর সেখানে জল থাকে না। সেই নদীতে বর্ষায় জলস্ফীতি ঘটে। চারিদিক ভাসিয়ে দেয়। এই হঠাৎ জলস্ফীতি ঘটিয়ে নদীর ভাসিয়ে দেওয়াকে কবি বিদ্রোহ করা বা ফুঁসে ওঠা বলেছেন। 

গ) “দুর্ভিক্ষের আঁচল…….. কাজ করে।”

উঃ ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত গ্রামে দুর্ভিক্ষ বহুদিনের সঙ্গী। তাই কবি বলেছেন গ্রামটিতে দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো। সেই সময়তেও মানুষ কাজ করে। দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ থেমে থাকে না। দুর্ভিক্ষ আসে যায়, মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে,,তারা চলে যায় দিকে দিকে। তার জায়গা নেয় অন্য মানুষজন। কিন্তু গ্রামে মানুষের কর্মজীবন সদা প্রবাহমান থাকে। 

ঘ) “সারাটা দুপুর…………বিচিত্র ধ্বনি ওঠে।”

উঃ ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত বৃষ্টিমুখর লাজুক গ্রামটিতে দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট সহ্য করেও মানুষ কাজ করে চলে। আগের মতোই আবার পাখির ডাকে এখানে সকালের শুরু হয়। মাঠে যখন সারাদিন ধরে চাষিরা কাজ করে তখন কাজ করতে করতে তারা নানা ভাষায় নানা সুরে গান গায়। তাদের এই গানের শব্দ একত্রিত হয়ে বিচিত্র ধ্বনির সঞ্চার করে। তাই কবি বলেছেন ‘বিচিত্র ধ্বনি ওঠে’। 

২৫) ‘আজো সব কাজ করে।’-কারা কী কাজ করে ?

উঃ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত চিরদিনের কবিতায় বর্ণিত গ্রামটির মানুষজন দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েও হেরে যায়নি। থেমে যায়নি তাদের চলমান জীবনধারা। তাই এই গ্রামের লোকজন আজও তাদের সব কাজই করে। কৃষক বন্ধুরা আজও ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে ধান ভানে। প্রতি ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে ওঠে। রাতে ঠাকুমা গল্প শোনায় তার নাতনিকে। গতবারের ফেলে আসা সেই আকালের গল্প। যেখানে বহু লোক দিশাহারা হয়ে দিকে দিকে চলে গেল। 

২৬) ‘এখানে সকাল ঘোষিত পাখির গানে’- এখানে কীভাবে সকাল থেকে দিন কাটে ? 

উঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আর পাঁচটা গ্রামের মতো এই গ্রামেও সকাল শুরু হয় পাখির ডাকে। কামার, কুমোর, তাঁতি ভাইয়েরা যে যার কাজে যাওয়া শুরু করে। সারা দুপুর খেতের চাষি কাজ করে আর সেখানে শোনা যায় তাদের কথা ও গানের বিচিত্র সব ধ্বনি। খেতে ফসল ফলে, আর সেই সবুজ ফসল গ্রামে সোনার দিনের আগমনের বার্তা বয়ে আনে। 

চিরদিনের কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

 

You cannot copy content of this page

Need Help?