গাধার কান প্রশ্ন উত্তর

গাধার কান প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা গাধার কান প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই গাধার কান প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য গাধার কান গল্পটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

গাধার কান প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) “শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে”- এই সাড়া পড়ার কারণ কী ?

উঃ শহরের দুটি নামী স্কুল টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের কারণে সাড়া পড়ে গেছে।

২) “এই দুই স্কুলের ছেলেদের মধ্যে চিরকালের রেষারেষি”- কোন্ দুই স্কুলের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের কথা বলা হয়েছে। 

৩) ‘হিঃ হিঃ—তুক করা হল না’- বত্তা কে? কাকে সে এ কথা বলেছে ? কখন বলেছে ?

উঃ বক্তা হল টুনু। সে সমরেশকে এ কথা বলেছে। সমরেশ গাধা না-পেয়ে ফিরে এসে মাঠে নামবার সময় সে এই কথা বলেছে। 

৪) গল্পে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু শব্দঃ

উঃ হাফ ব্যাক, রাইট-ইন, গোল-কিপার, সেন্টার ফরোয়ার্ড, ব্যাক-এরিয়া, রেফারি, গোল, কর্নার, ফ্রিকিক, ফাউল, পেনাল্টি, অফসাইড, রেড কার্ড।  

৫) মূল শব্দ নির্ণয়ঃ 

ভুরু – ভ্রু। 

গাধা – গর্দভ।

দুপুর – দ্বিপ্রহর। 

চোখ – চক্ষু। 

বাঁশি– বংশী।

পাঁচ – পঞ্চম। 

৬) পদ-পরিবর্তন করোঃ 

সন্দেহ—সন্দেহজনক।

সজ্জিত—সজ্জা। 

সর্বনাশ—সর্বনাশা।

উপস্থিত—উপস্থিতি।

৭) বিপরীতার্থক শব্দ লেখোঃ 

রেষারেষি—মিটমাট। 

ক্ষীণ—স্থূল।

বিষণ্ণ—আনন্দিত।

বিষম—সুষম। 

উৎসাহ— নিরুৎসাহ।

৮) সন্ধি বিচ্ছেদঃ 

আশ্চর্য= আঃ + চর্য। 

দুশ্চিন্তা= দুঃ + চিন্তা। 

উপস্থিত= উপ + স্থিত।

৯) কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দঃ 

উঃ গুনগুন, কলকল। 

১০) একবচন থেকে বহুবচনঃ 

বই- বইগুলি।  

লোক- লোকজন।

জন- জনসমূহ।

ছাত্র- ছাত্রদল।

পর্বত- পর্বতশ্রেণি। 

১১) ‘আজকের খেলাটা যে খুব জমবে তাতে সন্দেহ নেই”- কোন বিশেষ দিনের কথা বলা হয়েছে ? সেদিনের সেই ‘খেলা’র মাঠের দৃশ্যটি নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উঃ সেদিন বলতে এখানে টাউন স্কুল এবং মিশন স্কুলের ফুটবল ম্যাচের বিশেষ দিনটির কথা বলা হয়েছে। সে দিন চারটে না বাজতে বাজতে সবাই মাঠের চারপাশে জমতে শুরু করে, মাঠের দুধারে কাতার দিয়ে দুটি দলের ছেলেরা দাঁড়ায়। দুপক্ষের খেলোয়াড়রা তখন মাঠে নামেনি, তারা সজ্জিত হচ্ছে। 

১২) ‘সমরেশদা কোথায় গেছে”- এই সমরেশদার পরিচয় দাও। সে কোথায় কোন্ উদ্দেশ্যে গিয়েছিল ? তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল কি ?  

উঃ সমরেশদা হল টাউন স্কুলের ফুটবল টিমের হাফ-ব্যাক। 

সমরেশ শহরে একটা গাধার কান মলতে গিয়েছিল। তার বিশ্বাস এটি একটি তুক। এটি করলে তাদের দল খেলায় জিততে পারবে।

না, তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সারা দুপুর ধরে ঘুরে বেড়িয়েও ঘাটে, মাঠে এমনকি ধোপার বাড়িতেও একটিও গাধা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

১৩) ‘এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল’ –‘রেফারি’টি কে ? তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা কীরূপ ছিল ? খেলার মাঠে তিনি কেমন ভূমিকা পালন করলেন ?

উঃ রেফারি হলেন দিব্যেন্দুবাবু। 

দিব্যেন্দুবাবু জিলিপি খেতে বড়ো ভালোবাসেন। তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা ,খেলা শুরুর আগে যে পক্ষ তাকে পেট ভরে জিলিপি খাওয়াবে তিনি তাদের জিতিয়ে দেবার চেষ্টা করেন।

খেলার মাঠে রেফারি দিব্যেন্দুবাবু মিশন স্কুলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।

একজন খেলোয়াড় টুনুর পায়ে বুটসুদ্ধ লাথি মারলেও দিব্যেন্দুবাবু পেনাল্টি দেওয়ার দলে টাউন স্কুলের বিরুদ্ধে অফসাইড দেন। 

১৪) খেলার যে ফলাফল হলো তাতে তুমি কি খুশি হলে ? তোমার উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও। 

উঃ হ্যাঁ, আমি খুশি হলাম। কারণ মিশন স্কুলের দল ছিল শক্তিশালী, তাদের অনেকেই বুট পরে খেলে। 

টুনুর আঙুল ভেঙে যায়, গিরীনের হাঁটুর নীচে কতবেলের মত ফুলে যায়। এইসব বাধা সত্ত্বেও টুনু এক অদ্ভুত খেলা খেলে গোল দেয় এবং টাউনস্কুলের ছেলেরা জয়ী হয়। 

১৫) গল্পে বলা হয়েছে ‘আজ টুনুই আমাদের হিরো।’—তোমার টুনু চরিত্রটি কেমন লাগল? সত্যিই কি নায়কের সমান তার প্রাপ্য?

উঃ টুনু চরিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারন গাধার কানমলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সে নিজে কানমলা খেয়েছে। তবুও মনের জোর নিয়ে সে বলেছে যে, কখনো তারা হারবে না। অবশ্যই তার নায়কের সম্মান প্রাপ্য। সে সাহসী, কুসংস্কারমুক্ত, দলের প্রতি অনুগত এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষায় অবিচল। মাঠে মার খেয়ে আঙুল ভেঙ্গে যাওয়া আর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে সে এক আশ্চর্য খেলা খেলেছে এবং টাইন স্কুলকে জয় উপহার দিয়েছে।

১৬) গিরীন কীভাবে খেলার মাঠে টুনুকে ক্রমাগত উৎসাহ আর সাহস জুগিয়েছিল তা আলোচনা করো।

উঃ গিরীন টুনুকে নিজের চোট দেখিয়ে তার চোটের কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া গিরীশ টুনুকে বলেছিল যে, টুনুকে পারতেই হবে। একমাত্র সে-ই পারবে। এইভাবে গিরীন খেলার মাঠে টুনুকে উৎসাহ জুগিয়েছিল।

১৭) ‘অন্ধ সংস্কারের প্রতি আনুগত্যের জোরে নয়, প্রবল প্রচেষ্টা আর মানসিক জোরেই জীবনে সাফল্য আসে। ‘গাধার কান’ গল্পটি অনুসরণে উদ্ধৃতিটির যথার্থতা প্রতিপন্ন করো।

উঃ “গাধার কান” গল্পে টাউন স্কুলের ছেলেরা খেলতে নামবার আগেই ধরে নিয়েছিল যে তারা হারবে কারণ তার গাধার কান মলতে পারেনি। সমরেশ সারা দুপুর খুঁজেও একটি গাধার সন্ধান পায়নি। একমাত্র টুনুরই এই সমস্ত  কুসংস্করের প্রতি বিশ্বাস ছিল না। সে ঘটনাটা শুনে হেসে ফেলেছিল এবং তার জন্য সে সমরেশ এর কাছে কানমলাও খেয়েছিল।তবু সে মনের জোর না হারিয়ে বলেছিল কখনো তারা হারবে না। সে তার কর্মে বিশ্বাসী ছিল এবং মাঠে চোট পাওয়ার পরেও ছোট্ট শরীর নিয়ে সে একাই এক অদ্ভুত খেলা খেলে এবং গোল। টাউন স্কুল ম্যাচটি জিতে যায়। 

গাধার কান গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

 

You cannot copy content of this page

Need Help?