ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা । বার্ষিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা । বার্ষিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর 

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে তাদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা । বার্ষিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সমাধানে এই প্রশ্নের উত্তরগুলি শিক্ষার্থীদের সহায়ক হয়ে উঠবে। 

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা । বার্ষিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর : 

১।নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

১.১ ভাদুলি ব্রত কখন উদযাপিত হয়?

উঃ গ্রামবাংলার মানুষেরা বর্ষার শেষে ভাদুলি ব্রত করে।

 

১.২ সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি কেমন?

উঃ সারাদিনের ব্যস্ততায় ভরা হাট সন্ধ্যাবেলায় অন্ধকারে ডুবে থাকে। সেখানে কেউ প্রদীপ জ্বালে না।হাটের দোচালার জীর্ণ বাঁশের ফাক দিয়ে বয়ে যায় বাতাস। কাকের ডাকে নিঝুম রাত নেমে আসে একলা পড়ে থাকা হাটে।

 

১.৩ কোন তিথিতে রাঢ় বাংলার কৃষিজীবি সমাজের প্রাচীন উৎসব গো– বন্দনা, অলক্ষী বিদায়, কাড়াখুটা, গোরুখুটা পালিত হয়?

উঃ রাঢ় বাংলার কৃষিজীবি সমাজের মানুষেরা প্রধানত কালীপূজা অর্থাৎ কার্তিকের অমাবস্যা তিথিতেই প্রাচীন উৎসব গো- বন্দনা, অলক্ষী বিদায়, কাড়াখুটা, গোরুখুটা পালন করে।

 

১.৪ কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা’- কবি কার চলার কথা বলেছেন?

উঃ কবি অমিয় চক্রবর্তী পিঁপড়েদের ব্যস্ত চলা দেখে মানুষের চলনের সাথে তাদের মিল খুঁজে পেয়েছেন। তাই কবির তাদের চলার ব্যপারে একথা বলেছেন।

 

১.৫ সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি’ – ‘ফাঁকি’ গল্পে গোপালবাবু কীভাবে তার বাড়ির ঠিকানা জানাতেন?

উঃ গোপালবাবুকে তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতেন যে কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশের ফাড়ির পশ্চিমে যে বাড়িটিতে পাঁচিলের মধ্যে একটি আমগাছ রয়েছে সেটি হল তাদের বাড়ি। আশে পাশে আর কোন আমগাছ না থাকায় এই ভাবেই আমগাছটি গোপালবাবুর বাড়ির নিশানা হয়ে উঠেছিল।

 

১.৬ ‘তুমি যে কাজের লোক ভাই! ওইতেই আসল’ – কে, কাকে ,কখন একথা বলেছিল?

উঃ পিঁপড়ে যখন ঘাসের পাতাকে বলেছিল যে দৌড়ানো, লাফানো ইত্যাদি জানলেও তাকে রোদে পুড়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে মরতে হয়, তখন ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে উল্লেখিত কথাটি বলেছিলো। 

 

২) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় দাওঃ  

২.১ ‘হঠাৎ একদিন ঝমঝম করে পড়ে বৃষ্টি’- তখন কৃষকেরা কীভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তা ‘মরশুমের দিনে’ অনুসরণে লেখ।

উঃ বর্ষাকালে যখন এক নাগাড়ে কয়েকদিন ব্যাপী বৃষ্টি পড়তে থাকে তখন চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি মাথাল নামক একরকম মাথা ও পিঠ ঢাকা টুপি পরে, গায়ে গামছা জড়িয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেই  তারা বেরিয়ে পড়ে মাঠের কাজে । সেই সময়ের মধ্যেই তারা ধান রয়া ও আল বাঁধার কাজ সেরে ফেলে। পাট চাষিদেরও এই সময় মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।

 

২.২ ‘শিশির বিমল প্রভাতের ফল/ শত হাতে সহি পরখের ছল/ বিকালবেলায় বিকায় হেলায়/ সহিয়া নীরব ব্যাথা’- উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

উঃ উদ্ধৃতাইংশটি কবি যতিন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘ হাট’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। সকালবেলা সদ্য গাছ থেকে পেড়ে আনা টাটকা ফলের পসরা সাজিয়ে  হাটে বসেন ব্যাপারী। সেই ফলের গায়ে তখন ভোরের শিশিরের স্নিগ্ধতা লেগে থাকে। কিন্তু বেলা যতই বাড়তে থাকে ততই নানা ক্রেতা ফলটিকে হাতে নিয়ে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে পরখ করে। এই ভাবে এক ক্রেতা থেকে অন্য ক্রেতার হাতে ঘুরতে ঘুরতে দিনের শেষে নিতান্ত দীন হীন অবস্থায় সে বিক্রি হয়। তখন ফলটির দেহে আর ভোরের পবিত্রতার কোনো চিহ্ন থাকে না।

 

২.৩ ‘… এমন অভুতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবি নি’- গল্পকথক কোন অবস্থায় পড়েছিলেন?

উঃ এক ভূতুড়ে কাণ্ড’ গল্পের কথক শিবরাম চক্রবর্তীর সাইকেলের  টায়ার এক  নির্জন  জায়গায়   ফেঁসে তিনি  চরম  বিপদে পড়েন।  প্রথমে  একটি  লরি  আসে  কিন্তু  সেটি  লেখককে  উদ্ধার  করে  না। তারপর  একটি  ধীর  গতির  বেবি  অস্টিন মোটরগাড়ি  আসে।  লেখক  মরিয়া  হয়ে  চলন্ত  গাড়িতেই  উঠে পড়েন।  গাড়িতে  উঠে  তিনি  দেখেন  যে,  গাড়ি  চলছে  কিন্তু তার  ড্রাইভার  নেই আর সাথে  ইঞ্জিনও  চালু  নেই।  এই  অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড দেখে কথকের গলা শুকিয়ে গেল ও চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইল। ভুতের ভয়ে কাপতে থাকা কথকের তাই মনে হয়েছিল যে তিনি এর আগে কখন এমন আজব অবস্থার সম্মুখীন হন নি।

 

২.৪ ‘বাঘ বাবা– মা বদলে নিলেন বাড়ি’ – তাদের বাড়ি বদলাতে হয়েছিল কেন?

উঃ বাবা-মায়ের  সঙ্গে  এক ছোট বাঘছানা  থাকত  পাখিরালয়ে।  সেখানে  শুধুই  পাখি  ছিল।  ছাগল,  ভেড়া, হরিণ  কিছুই  নেই। খিদের চোটে  মনে  রাগ  ও অসন্তোষ নিয়ে পাখি ধরতেই  সে  লাফ  দেয়। কিন্তু পাখিরা  উড়ে  পালায়।  এরপর খিদে  মেটানোর  জন্য  সে  নদীর  ধারে  যায়  কাঁকড়া  ধরতে।  বাঘছানা  গর্তে থাবা  ঢোকাতেই  কাঁকড়া  তার  দাঁড়া  দিয়ে  থাবা  চিমটে  ধরে।  যন্ত্রণায়  কেঁদে  ওঠে সে।  তার  বাবা  এসে  তাকে  বিপদ  থেকে মুক্ত  করে।  এরপর  সে  আবার  মাছ  ধরতে  যায়  জলকাদায়, কিন্ত তার এ কাজে লজ্জা পেয়ে তার মা বলেন তার ভোঁদড়ের মত মাছ ধরা উচিত নয়, কারন সে আসলে বাঘ। অবশেষে ছানার কষ্ট দেখে তার বাবা মা সজনেখোলায় বাড়ি বদলালেন এবং বাঘছানা ভুলেও আর পাখিরালয়ে যায় না।

 

৩) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। 

৩.১ শব্দজাত, অনুসর্গগুলিকে বাংলায় কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কি কি?

উঃ বাংলায় শব্দজাত অনুসর্গগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

(১) সংস্কৃত বা তৎসম অনুসর্গ

(২) বিবর্তিত, রূপান্তরিত বা তদ্ভব অনুসর্গ (+ দেশি অনুসর্গ)

(৩) বিদেশি অনুসর্গ

 

৩.২ উপসর্গের আরেক নাম ‘আদ্যপ্রত্যয়’ কেন?

উঃ উপসর্গ হল সেই সব বর্ণ বা বর্ণচিহ্ন যেগুলি শব্দের আগে সংযুক্ত হয়ে শব্দের অর্থকে আংশিকভাবে বা পুরোপুরি বদলে দিয়ে থাকে। যেমনঃ কু + নজর=কুনজর। শব্দের আদিতে বসে শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে বলে উপসর্গকে ‘আদ্যপ্রত্যয়’ বলে।

 

৩.৩ ‘ ধাতুবিভক্তি’ বলতে কি বোঝ?

উঃ ধাতুবিভক্তিঃ ধাতুর সঙ্গে যে বিভক্তি যুক্তহয় সেগুলিকে ধাতুবিভক্তি বলে। এইভাবে ক্রিয়াপদ তৈরী হয়।

 

৩.৪ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও : আশা / আসা, সর্গ/স্বর্গ।

উঃ    আশাঃ আকাঙ্ক্ষা

আসাঃ আগমন

সর্গঃ গ্রন্থের পরিচ্ছেদ

স্বর্গঃ দেবলোক

 

৩.৫ পদান্তর করো : জগৎ, জটিল

উঃ জগৎ– জাগতিক

জটিল– জটিলতা 

 

৩.৬) অনধিক ১০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা করো : বাংলার উৎসব 

 

 বাংলার উৎসব

উৎসব হলো আনন্দময় অনুষ্ঠান।আর আমরা বাঙালিরা উৎসব প্রিয়। ধর্মীয় উৎসব গুলি বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভাবনাকে কেন্দ্র করে পালিত হয়।হিন্দু মুসমান খ্রিস্টান বৌদ্ধ শিখ প্রতিটি ধর্মের নানান রকমের উৎসব সারা বছর ধরে একই ভাবে বাঙালি পালন যাদের মধ্যে অন্যতম দুর্গোৎসব। এই দুর্গোৎসব-ই হলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। শরৎ কাল এলেই বাংলার বুকে বেজে ওঠে ঢাকের বাদ্যি।দুর্গাপুজোর এই উৎসব দীর্ঘ চারপাঁচ দিন ধরে চলে অন্য যেকোনো অনুষ্ঠান উৎসবের চেয়ে এর আড়ম্বর অনেক বেশি।এছাড়াও মুসলমানদের রয়েছে ঈদ মহরম প্রভৃতি। খ্রিস্টানদের গুড ফ্রাইডে, বড়দিন। বৌদ্ধ ধর্মের বুদ্ধ পূর্ণিমা ও গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে শিখ সম্প্রদায় উৎসবাদি উৎযাপন করে। সর্বভারতীয় জাতীয় উৎসব গুলিতেও বাংলার বাঙালির আনন্দের ঘাটতি থাকেনা। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস ও সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য -রবীন্দ্র জয়ন্তী,নেতাজির জন্মদিন,গান্ধী জয়ন্তী, বিবেকানন্দের জন্মদিন ইত্যাদি। প্রতিদিনের গতানুগতিক জীবন থেকে মুক্তি পেতে কে না চায়, সকলেই চায় বৈচিত্রের স্বাদ।তাই জীবনে উৎসবের প্রয়োজন অপরিসীম।তাই বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। 

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

You cannot copy content of this page