একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মা

একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মা

একাদশ শ্রেণি বাংলা বিষয়ের অন্তর্গত একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মা গল্প থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ও আলোচনা প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মাঃ 

ডাকাতের মা গল্প থেকে MCQ ও SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ

১) ডাকাতের মা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল- যুগান্তর পত্রিকায়

২) ডাকাতের মা গল্পটি আমাদের পাঠ্যে গৃহীত হয়েছে যে গল্পগ্রন্থ থেকে- চকাচকি

৩) ডাকাতের মায়ের ছেলের নাম- সৌখী

৪) ডাকাতের মায়ের ঘুম হতে হয়- পাতলা 

৫) দুটোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে বুঝতে হবে- ডাকাত দলের লোক টাকা দিতে এসেছে

৬) ডাকাত দলের এক সদস্য পুলিশের কাছে কিছু বলে ফেলার ভয়ে যা করে- জিব কেটে ফেলে

৭) সোউখী জেলে গিয়েছে যত বছর আগে- ৫ বছর 

৮) সৌখীর মা ডাকাত দলের কাছে অর্থ সাহায্য পেয়েছে- প্রথম দুই বছর

৯) সৌখী এর আগে জেল খেটেছে- দুই বার

১০) সৌখীর আগের বউয়ের শরীরটা ছিল- ভালো

১১) সৌখীর এবারের বউয়ের চেহারাটা- রোগা-রোগা

১২) সৌখীর ছেলের বয়েস- চার-পাঁচ বছর

১৩) ‘যার বাপের নামে চৌকিদারসাহেব কাঁপে’- এখানে ‘যার’ বলতে বোঝানো হয়েছে- সৌখীর ছেলেকে 

১৪) সৌখীর মা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেঁচে আসে- খই-মুড়ি 

১৫) সোউখীর বউ যে বাড়ির মেয়ে- গয়লাবাড়ির 

১৬) সৌখীর শশুড়ের মোষ আছে- দুটি

১৭) সৌখী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বউকে মুড়ে দেবে- রুপোর গয়না দিয়ে

১৮) ‘একলসেঁড়ে’ শব্দটির অর্থ হল- স্বার্থপর 

১৯) যে ডাকাত দলের লোক টাকা দিতে আসতো সে ছিল- তালপাতার সেপাই

২০) ‘বাপের বেটা, তাই মেজাজ অমন_____’- কড়া 

২১) ‘একি কম দুঃখের কথা’- ‘দুঃখের কথা’টি হল- তাকে একটা বকুনি দেবার লোক পর্যন্ত নেই

২২) ‘গন্ধগোকূল’ হল- খট্টাশ জাতীয় প্রাণী 

২৩) এর আগেরবার সৌখী জেল থেকে এনেছিল- একটা কম্বল

২৪) ‘টকটক করে আবা দরজায়_______ টোকা পড়ল’- দুটো 

২৫) দরজা খোলার পূর্বে নিশ্বাস ফেলতে হবে- দশ বার 

২৬) সৌখীর মায়ের নাকে গন্ধ ভেসে আসছিল- বিড়ির 

২৭) জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন- লাটসাহেব

২৮) সৌখীকে জেলে রেমিশন দেওয়ার কারণ হলো- হেডজমাদার সাহেবকে টাকা খাওয়ানো 

২৯) সৌখী বাড়ি ফিরেছিল- রাত নয়টায়

৩০) ‘ওখান আমাকে দে’- ‘ওখান’ বলতে বোঝানো হয়েছে- কম্বল

৩১) সৌখী যা খেতে ভালোবাসতো- আলুচচ্চড়ি 

৩২) কাছারির ঘড়িতে বেজেছিল- রাত দুটো 

৩৩) পেশকার সাহেবের বাড়ির যে পাঁচিলটা গাঁথা হচ্ছিল- উত্তরের

৩৪) পাঁচিল গাঁথা হয়েছিল- হাত দুই-আড়াই 

৩৫) খোকার মা নাকে কেঁদে স্বামীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল- লোটা হল বাড়ির লক্ষ্মী 

৩৬) আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা ছিল- চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে

৩৭) পেশকার সাহেব যা সম্পর্কে খুঁতখুঁতে ছিলেন- লোটা 

৩৮) পেশকার সাহেবের লোটাটি ছিল- খুরো দেওয়া বড়ো সাইজের 

৩৯) দোকানদার লোটাটি বিক্রি করতে চেয়েছিল- আড়াই টাকায় 

৪০) পেশকার সাহেবের লোটার নীচে আঁকা ছিল- তারা 

৪১) দোকানদার সৌখীর মায়ের থেকে লোটাটি কিনেছিল- নগদ চোদ্দ আনায়

৪২) সৌখী ঘুমোতে চেয়েছিল- বেলা বারোটা পর্যন্ত

৪৩) পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ার লোক ছিল না- সৌখীর মা

৪৪) পাঁচ-সাত বছর আগে পুলিশ সৌখীদের বাড়ি ঘেরাও করেছিল- বন্দুকের খোঁজে 

৪৫) মরদের কাজ হল- ডাকাতি করা

৪৬) জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি ছিল- গুদামে 

৪৭) জেলের ঠিকাদারের থেকে সৌখী রোজগার করে এনেছিল- নব্বই টাকা 

৪৮) ডাকাতরা জেলে শুধুমাত্র আলাপ করে- লাইফারদের সঙ্গে 

৪৯) ‘কদুচর’ বলতে বোঝায়- ছিঁচকে চোর 

৫০) দারোগা সাহেব এসেছিলেন- সাইকেলে

ডাকাতের মা গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মা গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ডাকাতের মা গল্প অবলম্বনে মাতাদীন পেশকারের চরিত্র আলোচনা করো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ্য কথাকার “সতীনাথ ভাদুড়ী” রচিত “চকাচকী” গল্পগ্রন্থ থেকে সংকলিত “ডাকাতের মা” ছোটগল্পের স্বল্প পরিসরে যে চরিত্রটি তার স্বতন্ত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলী দ্বারা সমগ্র পাঠককুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি হলেন এই গল্পের অন্যতম সহায়ক চরিত্র মাতাদীন পেশকার সাহেব।

আদালতে বিচারপতির সম্মুখে কাগজপত্র দাখিল করা মাতাদীন পেশকা্রের যে সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় আমরা গল্পঘটনায় লাভ করি তা নিম্নে আলোচিত হলো-

শুচিবায়ুগ্রস্তঃ

মাতাদীন পেশকার ছিলেন শুচিবায়ুগ্রস্ত।তাই তার লোটাটি দিনে বেশ কয়েকবার মাজতে হতো,“দিনে বারকয়েক লোটা না মাজলে মাতাদিন পেশকারের হাত নিশপিশ করে।”

খুঁতখুঁতেঃ

লোটা বিষয়ে মাতাদীন পেশকার ছিলেন ভীষণ খুঁতখুঁতে স্বভাবের।তাই লোটা চুরি যাবার পর যখন তিনি নতুন লোটা কিনতে বাসনওয়ালার কাছে যান, তখন প্রথমে কোন লোটাই তার পছন্দ হচ্ছিল না,“পেশকার সাহেব বড়ো খুঁতখুঁতে লোটা সম্বন্ধে।”

আইনচঞ্চুঃ

মাতাদীন পেশকার ছিলেন আইন সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন।তাই লোটা চুরির পর যখন তার স্ত্রী তাকে নতুন লোটা কেনার জন্য মিনতি করছিলেন তখন তিনি তাকে আইন সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে জানান, “আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে যে, চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে; সে খব রাখো?”এমনকি তিনি বাসনওয়ালাকেও আইনের দোহাই দিয়ে জানান,“চোরাই মাল রাখবার ধারা জানিস?”

বদমেজাজিঃ

স্ত্রীর প্রতি বলা তার কথা,“বাজে বক বক কোরো না” কিম্বা বাসনওয়ালাকে বলা,“দিনে করিস দোকান্দারি-আর রাতে বার হস সিঁধকাঠি নিয়ে” বলার মধ্যে তার চরিত্রের বদমেজাজি মানসিকতার পরিচয় আমরা পাই।

এইরূপে লেখকের অনবদ্য লেখনীতে মাতাদীন পেশকার চরিত্রটি যেন আমাদের চিরচেনা রক্তমাংসের চরিত্রে পরিনত হয়েছে, যা তাকে সার্থকতা প্রদান করেছে।

একাদশ শ্রেণি বাংলা ডাকাতের মা গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ 

“ডাকাতের মা” গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তর 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“ডাকাতের মা” গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নের উত্তর 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে”—কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? ‘কলঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“এতক্ষণে সৌখী বোঝে ব্যাপারটা”- কোন্‌ ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

ডাকাতের মা গল্প অবলম্বনে ডাকাতের মা চরিত্র আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

ডাকাতের মা গল্প অবলম্বনে সৌখি চরিত্র আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট নিয়মিত লাভ করতে নিম্নের ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবেঃ

You cannot copy content of this page

Need Help?