দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ থেকে মহুয়ার দেশ কবিতা ও মহুয়ার দেশ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।  

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ- সমর সেনঃ 

মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে
অলস সূর্য দেয় এঁকে
গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ,
আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।
সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়
ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে
শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।
অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ,
সমস্তক্ষন সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে
দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য,
আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে।
আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল,
নামুক মহুয়ার গন্ধ।

এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে
মাঝে মাঝে শুনি
মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির
গভীর, বিশাল শব্দ,
আর শিশিরে-ভেজা সবুজ সকালে
অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়
কিসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।

“দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ কবিতা MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ- 
১) মহুয়ার দেশ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে- কয়েকটি কবিতা
২) মহুয়ার দেশ কবিতাটি রচিত হয়েছিল- ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে 
৩) কবিতায় যে অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে- সাঁওতাল পরগনা 
৪) কবিতায় স্তবক সংখ্যা- ২টি 
৫) উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ হল- গলিত সোনার মতো 
৬) অলস সূর্য আঁকে- উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ 
৭) আর আগুন লাগে- জলের অন্ধকারে ধুসর ফেনায় 
৮) ঘুরে ফিরে ঘরে আসে- ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস 
৯) বঙ্কিম শব্দের অর্থ হল- বাঁকা 
১০) মদির শব্দের অর্থ- মত্ত 
১১) মেঘমদির মহুয়ার দেশ রয়েছে- অনেক, অনেক দূরে 
১২) সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে- দেবদারু গাছ 
১৩) রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে- সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস 
১৪) ‘আমার ক্লান্তির উপর ঝরুক’- মহুয়া ফুল 
১৫) মহুয়ার দেশে মাঝে মাঝে কবি শুনতে পান- কয়লাখনির শব্দ 
১৬) সবুজ সকাল ভেজা- শিশিরে
১৭) ‘অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি’- ধুলার কলঙ্ক 
১৮) অবসন্ন মানুষদের ঘুমহীন চোখে হানা দেয়- ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন  
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ কবিতা SCQ প্রশ্নের উত্তরঃ-
১) ‘মহুয়া’ কথার অর্থ কী?
উঃ ‘মহুয়া’ কথার অর্থ হল মউল ফুল, যার রস দিয়ে মাদক তৈরি করা হয়। 
২) ‘অলস সূর্য দেয় এঁকে’- ‘অলস’ কথার অর্থ কী?
উঃ এখানে ‘অলস’ বলতে ক্লান্ত বোঝানো হয়েছে।
৩) ‘গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ পড়ন্ত বিকালের অস্তাচলগামী স্বর্নাভ রশ্মি সন্ধ্যার জলস্রোতে প্রতিফলিত হয়ে গলে যাওয়া সোনার মতো বর্ণ বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে। 
৪) ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কীভাবে কবির কাছে আসে?
উঃ  ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ ঘুরে ফিরে কবির কাছে আসে। 
৫) ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
উঃ ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে কবি শহরের যান্ত্রিকতা থেকে সৃষ্ট দূষণের যন্ত্রণার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। 
৬) মহুয়ার দেশ কীসের প্রতীক?
উঃ মহুয়ার দেশ সবুজ সভ্যতার প্রতীক। 
৭) কবি কোথায় মহুয়ার গন্ধ নিতে চেয়েছেন?
উঃ কবি তাঁর ক্লান্তির উপরে মহুয়ার গন্ধ নিতে চেয়েছেন। 
৮) ‘নামুক মহুয়ার গন্ধ’- কবির এই প্রার্থনা কেন?
উঃ নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতায় ক্লান্ত, অবসন্ন কবি নিবিড় প্রাকৃতিক সান্নিধ্যে মহুয়া ফুলের সুবাসে তাঁর দেহকে সুরভিত করে ক্লান্তি দূর করার আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন। 
৯) কবি নগর জীবনের কোন দিকটা থেকে তাঁর মনকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন? 
উঃ কবি নগর জীবনের দৈনন্দিন ব্যস্ততা ও একঘেয়েমি থেকে তাঁর মনকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। 
১০) ‘এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে/ মাঝে মাঝে শুনি’- কবি কী শুনতে পান? 
উঃ কবি মহুয়া বনের ধারে কয়লাখনির গভীর ও বিশাল শব্দ শুনতে পান। 
১১) ‘শিশিরে ভেজা সবুজ সকালে’ কবি কী দেখেন?
উঃ কবি অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখতে পান। 
১২) ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? 
উঃ ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি শ্রমজীবী মানুষদের উপেক্ষিত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত জীবনযাত্রার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন। 
১৩) ‘ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়’- কাদের চোখে কী হানা দেয়?
উঃ কয়লাখনির অবসন্ন শ্রমজীবী মানুষদের নিদ্রাহীন চোখে ক্লান্তির দুঃস্বপ্ন হানা দেয়। 
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ কবিতা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ-

“মহুয়ার দেশ” কবিতায় স্বপ্ন ও রূঢ় বাস্তবের অপূর্ব এক সহাবস্থান লক্ষ করা যায়- আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘমদির মহুয়ার দেশ”- কবির দেখা মহুয়ার দেশটি কেমন তা কবিতা অবলম্বনে বর্ণনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“এখানে অসহ্য নিবিড় অন্ধকারে”- ‘এখানে’ বলতে কোনখানের কথা বলা হয়েছে? এখানকার পরিবেশ কবির মনে কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“মহুয়ার দেশ” কবিতায় কবির আশা ও আশাভঙ্গের কাহিনি কীভাবে চিত্রিত হয়েছে তা দেখাও।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

‘অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক’- এখানে কোন মানুষের কথা বলা হয়েছে? তারা অবসন্ন কেনো? ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

‘ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/ কিসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন’- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের ঘুমহীন চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয় কেনো? 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

‘আমার ক্লান্তির উপর ঝরুক মহুয়া-ফুল/ নামুক মহুয়ার গন্ধ’- ‘আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এমন কামনার কারণ কী? 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?