জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। ইতিপূর্বে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা, MCQ, SAQ ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর ।। দশম শ্রেণি বাংলাঃ 

১) ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল’- কোন কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ? ১+২ 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যে কথার কথা বলা হয়েছেঃ 

নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক- একথার কথা বলা হয়েছে। 

তপনের চোখ মার্বেল হবার কারণঃ

তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা অন্য জগতের মানুষ। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিলই নেই। তাই যখন সে জানতে পারে যে, তার ছোটো মেসোমশাই বই লেখেন, আর সেই বই ছাপাও হয়; তখন তার বিস্ময়ের সীমা থাকে না। এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল গোল হয়ে যায়। 

 

২) ‘সে সব বই নাকি ছাপাও হয়’- উক্তিটিতে যে বিস্ময় প্রকাশিত হয়েছে তা পরিস্ফুট করো।  

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

উক্তির বিস্ময়ঃ 

তপন তার ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তার মেসো যে একজন লেখক, এ কথা জেনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। লেখকেরা যে সাধারণ মানুষ এবং তার মেসোমশাই একজন লেখক, যাঁর বই ছাপা হয় -এ তথ্য তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। 

 

৩) ‘এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের’- তপনের কোন বিষয়ে কেন সন্দেহ ছিল ? ১+২ 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

তপনের সন্দেহের বিষয় ও তার কারণঃ 

তপন লেখকদেরকে এক অন্য জগতের বাসিন্দা বলে মনে করত। তাঁরাও যে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রোজকার জীবনযাপন করেন, তা ছিল তপনের কল্পনার বাইরে। সে আগে কোনোদিন কোনো লেখক কাছ থেকে দেখেনি; এমনকি লেখকদের যে দেখা পাওয়া যায় এ কথাও তার জানা ছিল না। তাই লেখকরা যে তার বাবা, কাকা, মামাদের মতোই সাধারণ মানুষ -এ ব্যাপারে তার সন্দেহ ছিল।  

 

৪) ‘নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের’- ‘জ্ঞানচক্ষু’ বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

জ্ঞানচক্ষু অর্থঃ 

জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে, যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে।

যেভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিলঃ 

একজন লেখক সম্পর্কে তপনের মনে যে ধারণা ছিল তা নতুন মেসোর সংস্পর্শে এসে ভেঙে যায়। লেখকরাও যে তার বাবা, মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে সেটা সে প্রত্যক্ষ করে। তাদের মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে খাবার তুলে দেন, পলিটিকাল তর্কও করেন -এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। 

 

৫) ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’- মন্তব্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

মন্তব্যের তাৎপর্যঃ 

‘জহর’ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন। এক্ষেত্রে ‘জহুরি’ বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে।

লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান। তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে, তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে। কারণ একজন জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে। 

 

৬) ‘তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়’- মাসি কেন হইচই করেছিলেন ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

মাসির হইচইয়ের কারণঃ

গরমের ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে তপনের মনে লেখক সম্পর্কে যেসব ধারণা ছিল তা ভেঙে যায়। জলজ্যান্ত লেখকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। আর তা মাসির হাতে পড়ায় মাসি হইচই শুরু করে দেয়। এতে লাজুক তপন অপ্রস্তুত হলেও মনে মনে পুলকিত হয়; কারণ তার লেখার প্রকৃত মূল্য কেউ বুঝলে তা নতুন মেসোই বুঝবে বলে সে মনে করে। 

৭) ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’- কোন কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

মেসোর উপযুক্ত কাজঃ 

লেখকরা যে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। তপন নতুন মেসোকে অহরহ কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে প্রিয় ছোটোমাসিকে দেখায়। গল্পটি নিয়ে ছোটোমাসি রীতিমতো হইচই শুরু করে।

শুধু তাই নয়, ছোটমাসি গল্পটি তার লেখক স্বামীকেও দেখান। গল্প দেখে তিনি সামান্য কারেকশন করে দিলে সেটা যে ছাপা যেতে পারে এ কথা বলেন। আর এ কথা শুনেই মাসি সেটা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে জানান। 

 

৮) ‘বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা’- কোন কথা উঠেছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যে কথা উঠেছিলঃ 

তপন লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লেখে। সেই গল্প ছোটোমাসির হাতে পড়লে তা নিয়ে লেখক-স্বামীকে দেখান। তাঁর স্বামী গল্প দেখে তপনকে ডেকে তার গল্পের প্রশংসা করেন এবং সামান্য কারেকশন করে দিলে তা ছাপার যোগ্য এ কথাও বলেন। মাসির অনুরোধে মেসো তপনকে কথা দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প ছাপিয়ে দেবেন। আর এ কথাটাই চায়ের টেবিলে উঠেছিল।  

 

৯) ‘তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে’- তপন কৃতার্থ হয়েছিল কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

তপনের কৃতার্থ হবার কারণঃ 

তপনের জীবনে প্রথম লেখা গল্পটি তার মাসি তপনের লেখক মেসোকে দেখালে তিনি গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ কথা শুনে তপনের মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে নিয়ে যান। আর এতেই তপন কৃতার্থ হয়েছিল। সেইসঙ্গে রোমাঞ্চিত হয়ে সে দুরুদুরু বুঝে গল্প প্রকাশের আশায় দিন গোনা শুরু করেছিল। 

 

১০) ‘যেন নেশায় পেয়েছে’- কাকে, কীসের নেশায় পেয়েছে ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যাকে নেশায় পেয়েছেঃ 

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনকে নেশায় পেয়েছে।

যে নেশায় পাওয়ার কথা বলা হয়েছেঃ

আগে তপন মনে করত গল্প লেখা ভারী কঠিন কাজ; সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। লেখকরা হয়তো অন্য গ্রহের মানুষ। কিন্তু লেখক ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন সাহস করে লিখে ফেলে আস্ত গল্প। ছোটোমাসির হাত ঘুরে সেই গল্প ছোটোমেসোর হাতে পড়ে। তিনি তপনকে উৎসাহ দিতে গল্পটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার কথা দেন। আর এতেই উৎসাহিত হয়ে তপন গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে

 

১১) ‘ওর লেখক মেসো ছাপিয়ে দিয়েছে’- ‘ও’ কে ? লেখক মেসোর কী ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?  

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

‘ও’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘ও’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বালক তপনের কথা বলা হয়েছে। 

যা ছাপিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছেঃ 

তপনের লেখক মেসো তাঁর পরিচয় ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। এই সত্য জানার পর তপনের কোনো কোনো আত্মীয় তার কৃতিত্বকে ছোট করে দেখিয়ে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন। 

 

১২) ‘আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম’- ‘আমাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

‘আমাদের’ বলতে যাদের বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশের বস্তুা তপনের মেজোকাকু ‘আমাদের’ বলতে তাদের পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়েছেন।

যে চেষ্টার কথা বলা হয়েছেঃ 

লেখক মেসোর সৌজন্যে তপনের অপটু হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বালক তপনকে উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন, সেকথাই ব্যক্ত করেছেন। 

 

১৩) ‘শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন’- দুঃখের মুহূর্তটি কী ? তপন কী সংকল্প করেছিল ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

দুঃখের মুহূর্তঃ  

তপনের প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে বুঝতে পারে যে, তার লেখক মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। আর এটাই তার দুঃখের মুহূর্ত। 

তপনের সংকল্পঃ 

এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয় তবে নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে। ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে , কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে।

 

১৪) ‘তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয়’- কী না শোনার কথা বলা হয়েছে ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যা না শোনার কথা বলা হয়েছেঃ 

আত্ম-অসম্মানে আহত তপন সংকল্প নেয় যে, পরবর্তীকালে লেখা ছাপতে দিলে সে নিজে দেবে। তবু এ কথা তাকে শুনতে যেন না হয় যে, অন্য কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে। 

 

১৫) ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের !’- ‘তার চেয়ে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

‘তার চেয়ে’ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘তার চেয়ে’ বলতে তপনের নিজের লেখা গল্প লেখক মেসোর দ্বারা আমূল পরিবর্তিত হওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়াটা তপনের কাছে গভীর দুঃখের ও অপমানের বলে মনে হয়েছিল। এই আত্মসম্মানবোধ থেকেই তপনের মনে প্রশ্নোক্ত মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। 

 

১৬) ‘আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন’- কার কথা বলা হয়েছে ? ‘আজ’ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যার কথা বলা হয়েছেঃ 

উদ্ধৃত অংশে গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে।

সবচেয়ে দুঃখের দিন হবার কারণঃ 

মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন। এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে; অথচ সে কোথাও নেই।

এই ঘটনা তপনকে বিষাদ্গ্রস্ত করে তোলে। লজ্জায়, অনুতাপে, আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাদের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে। আর তখনই দিনটিকে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়। 

 

১৭) ‘যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো তপন নিজে গিয়ে দেবে’- কোন লেখার কথা বলা হয়েছে ? সে লেখা তপন নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে কেন ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যে লেখার কথা বলা হয়েছেঃ  

উদ্ধৃতাংশে ‘লেখা’ বলতে তপনের গল্পের কথা বলা হয়েছে।

তপনের নিজে গিয়ে ছাপতে দেবার কারণঃ

তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিনটি মুহূর্তের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখের দিনে পর্যবসিত হয়। কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তপন পড়তে গিয়ে টের পায় সংশোধনের নামে লেখক-মেসো প্রায় সম্পূর্ণ গল্পটিই বদলে দিয়েছেন। এ ঘটনায় সে গভীরভাবে আহত হয়।

নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়া যে কতটা দুঃখ ও অসম্মানের তা তপন উপলব্ধি করে। তাই এমন দুঃখের দিনে সে গভীরভাবে সংকল্প করে যে, লেখা ছাপা হোক কিংবা নাই হোক, ভবিষ্যতে লেখা ছাপতে দিলে নিজে গিয়েই দেবে। 

 

১৮) ‘সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ’- তপনের জীবনে সুখের দিনটি কীভাবে এল ? গল্পের শেষে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিন হয়ে উঠল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

তপনের জীবনে সুখের দিনঃ 

লেখক-মেসোমশায়ের প্রভাবে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের গল্পটি প্রকাশিত হয়। ছাপার অক্ষরে তপনকুমার রায়ের গল্প প্রকাশ পাওয়ার এই দিনটি প্রাথমিকভাবে তার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন বলে মনে হয়েছিল। 

 

১৯) ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’- কোন ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলা হয়েছে ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

‘অলৌকিক’ ঘটনার পরিচয়ঃ 

‘অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার। লেখক ছোট মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্পটি মেসোর প্রভাবে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়। বালক তপনের কাছে তার গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক। তাই এই ঘটনাটিকে তার অলৌকিক বলে মনে হয়েছে। 

 

২০) ‘গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না’- কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও মনে আনন্দ নেই কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

যার গল্পের কথা বলা হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটির কথা বলা হয়েছে। 

মনে আনন্দ না থাকার কারণঃ 

লেখক মেসোর প্রভাবে তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয়। তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন। মেজোকাকু বলেন যে, এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন

এসব নানা কথায় তপন যেন ক্রমশ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। তাই গল্প ছাপা হওয়ার যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আর তা খুঁজে পায় না।  

জ্ঞানচক্ষু গল্পের আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class ten bengali note

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
100% Free SEO Tools - Tool Kits PRO

You cannot copy content of this page

Need Help?