শিকার কবিতার প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিকার কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর তৈরি করলে আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ উপকৃত হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

শিকার কবিতার প্রশ্নের উত্তরঃ 

নিম্নে শিকার কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু SAQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলোঃ 

১) ‘শিকার’ কবিতায় প্রথমেই ‘ভোর’ শব্দটি কী অর্থ ফুটিয়ে তোলে?

উঃ ‘শিকার’ কবিতার শুরুতেই ‘ভোর’ শব্দটি আলোকিত আকাশ, অরণ্য ও নিসর্গের সৌন্দর্যের জাগরণের ইঙ্গিতকে ফুটিয়ে তোলে।

 

২) ভোরবেলার আকাশ এবং গাছপালা দেখে ‘শিকার’ কবিতায় কবির কী মনে হয়েছিল?

উঃ কবি জীবনানন্দের মনে হয়েছিল ভোরবেলার আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল এবং পেয়ারা-নোনার প্রভৃতি চারপাশের গাছের রং টিয়ার পালকের মতো সবুজ।

 

৩) আকাশের সঙ্গে ঘাসফড়িঙের দেহ কিংবা টিয়ার পালকের সঙ্গে গাছের রঙের তুলনা কবি করেছেন কেন?

উঃ কবি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রাণময়তা এবং গভীরতাকে ফুটিয়ে তুলতেই আকাশের সঙ্গে ঘাসফড়িঙের দেহের কোমল নীল আর গাছপালার সঙ্গে টিয়ার পালকের সবুজ রঙের তুলনা করেছেন।

 

8) ‘একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে:’ – কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উঃ পাঠ্য ‘শিকার’ কবিতায় কবি ভোরের আকাশে ফুটে থাকা একটিমাত্র তারার কথা বলেছেন।

 

৫) ‘সব চেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির মতো;’ –কবি কার সঙ্গে এমন তুলনা করেছেন?

উঃ কবি ভোরের আকাশে ফুটে থাকা তারাটির রূপময়তাকে পাড়াগাঁর বাসরঘরের সবচেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে তুলনা করেছেন।

 

৬) ‘একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে’ – ‘এখন’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

উঃ ভোরের আকাশ ক্রমশ আলোকিত হয়ে ওঠার কারণে কেবল একটি তারাই ফুটে আছে। এ-কথা ফুটিয়ে তুলতেই কবি ‘এখন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

 

৭) কবি আকাশের তারাটিকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন? 

উঃ কবি ভোরের আকাশে জেগে থাকা একটি মাত্র তারার সৌন্দর্যকে পাড়াগাঁর বাসরঘরের গোধূলিমদির মেয়েটি কিংবা হাজার হাজার বছর আগের মিশরীয় মানবীর বুকের মুক্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

 

৮) ‘টিয়ার পালকের মতো সবুজ।’ —কীসের সঙ্গে এমন তুলনা? 

উঃ ‘শিকার’ কবিতায় কবির ভোরবেলাকার পেয়ারা আর নোনা গাছকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ বলে মনে হয়েছে।

 

৯) শিকার কবিতায় ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল’- কী ছিল?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলার আকাশ ছিল ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল।

 

১০) ‘সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে— কারা আগুন জ্বেলেছে? 

উঃ হিম রাতে শরীরের ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে।

 

১১) ‘তার বুকের থেকে যে মুক্তা’ –বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে হাজার হাজার বছর আগে মিশরীয় মানবী বুক থেকে নিয়ে যে মুক্তা কথকের মদের গেলাসে রেখেছিল, ঠিক তেমনই ভোরের আকাশের তারাটির লাবণ্য।

 

১২) ‘তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও’ —‘এখনও’ শব্দটি প্রযুক্ত হওয়ার কারণ কী? 

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে হাজার হাজার বছর আগে মিশরীয় মানুষী বুক থেকে যে মুক্তো নিয়ে মদের গেলাসে রেখেছিল, ঠিক তেমনই এক তারা আজও ভোরের আকাশে জ্বলছে।

 

১৩) ‘সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে’— আগুন জ্বালার কারণ কী ছিল?  

উঃ দেশোয়ালিরা হিম রাতে শরীরের ‘উম্’ রাখবার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছিল।

 

১৪) ‘মোরগফুলের মতো লাল আগুন’ — এখানে কোন ‘আগুনের’ কথা বলা হয়েছে? 

উঃ দেশোয়ালিয়া হিম রাতে শরীরের ‘উম’ রাখবার জন্য সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বেলেছিল, ‘মোরগফুলের মতো লাল আগুন’ বলতে তার কথা বলা হয়েছে। 

 

১৫) ‘এখনও আগুন জ্বলছে তাদের’ —কীভাবে ‘এখনও আগুন জ্বলছে? 

উঃ ভোরবেলার আলোয় শুকনো অশ্বত্থ দুমড়ে, দেশোয়ালিদের জ্বালানো মাঠের আগুন জ্বলছে।

 

১৬) ‘লাল আগুন’ – আগুনটি কেমন ছিল? 

উঃ রাতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো মাঠের আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।

 

১৭) ‘এখনও আগুন জ্বলছে’ –এখনও ‘আগুন জ্বলছে কেন?

উঃ অশ্বত্থ পাতা পুড়ে ছাই না হওয়ায় দেশোয়ালিদের রাতে জ্বালানো আগুন ভোরবেলাতেও জ্বলছে।

 

১৮) ‘তার রং কুমকুমের মতো নেই আর’ —এখানে তার বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে?

উঃ এখানে ‘তার’ বলতে দেশোয়ালিদের সারারাত জ্বালানো আগুনের কথা বলা হয়েছে।


১৯) ‘তার রং কুসুমের মতো নেই আর’ —তার রং আর ‘কুসুমের মতো’ নেই কেন?

উঃ ভোরবেলায় সূর্যের আলোর উজ্জ্বলতার কারণে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং আর কুমকুমের মতো নেই।

 

২০) ‘তার রং কুমকুমের মতো নেই আর’ – এখন তার র কেমন হয়েছে? 

উঃ দেশোয়ালিদের জ্বালানো মাঠের আগুনের রং ভোরের সূর্যালোকে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো হয়ে গেছে।

 

২১) ‘হয়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো’ —কোন্ প্রসঙ্গে এমন উক্তি?

উঃ হিম রাতে শরীরের উম্ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা মাঠে যে আগুন জ্বালিয়েছিল, ভোরের সূর্যালোকে তার রং রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো হয়ে গেছে। 

 

২২) ‘ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে’ –কখন এমন ঘটেছিল?

উঃ চারদিকের বন ও আকাশ সকালের আলোয় টলমলে শিশিরে ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল।

 

২৩) শিকার কবিতায় ‘ভোর’ শব্দটি পুনর্বার ব্যবহারের কারণ কী? 

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘ভোর’ শব্দটি অপরূপ নৈসর্গিক পরিবেশের মাঝে নাটকীয় পট-পরিবর্তনকে সূচিত করছে পুনর্বার ব্যবহৃত হয়ে। 

 

২৪) ‘হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে’ – কে, কার হাত থেকে নিজেকে সারারাত বাঁচিয়েছিল?

উঃ ‘শিকার’ কবিতায়, সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে সুন্দর বাদামি হরিণ নিজেকে বাঁচিয়েছিল।
 

২৫) ‘নক্ষত্রহীন মেহগনির মতো অন্ধকার’ – কোথায় নেমে এসেছিল?

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে সুন্দরী আর অর্জুনের বনে যেখানে বাদামি হরিণটি ঘুরে বেড়িয়েছিল, সেখানে নক্ষত্রহীন মেহগনির মতো অন্ধকার নেমে এসেছিল।

 

২৬) ‘মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বনে’ – কী ঘটেছিল?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি মেহগনির মতো গাঢ় নিকষ অন্ধকারে ঘুরে ঘুরে ভোরের আলোর অপেক্ষা করছিল।

 

২৭) ‘সুন্দর বাদামি হরিণ’ চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন্ কোন্ বনে ঘুরেছিল?

উঃ ‘সুন্দর বাদামি হরিণ’ চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে ঘুরেছিল।

 

২৮) ‘এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল’ —কে অপেক্ষা করছিল?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।

 

২৯) ‘এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!’ –কেন?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে অন্ধকার বনে বনে ঘুরে সূর্যালোকের স্পষ্টতা এবং আশ্বস্ততার খোঁজে ভোরের আলোর জন্য অপেক্ষা করছিল।

 

৩০) ‘এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।’ –‘সে’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? 

উঃ এখানে ‘সে’ বলতে সুন্দর বাদামি হরিণটির কথা বলা হয়েছে।

 

৩১) ‘মেহগনির মতো অন্ধকারে’ –বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ রাত্রে সুন্দরী ও অর্জুন গাছের বনের অন্ধকারের গাঢ় গভীরতা বোঝাতে ‘মেহগনির মতো অন্ধকারে’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন।

 

৩২) ‘সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে’ –কার কথা বলা হয়েছে? 

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের আলোয় ‘সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে।

 

৩৩) ‘সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে’ –খাওয়ার কারণ কী বলে মনে হয়? 

উঃ সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অন্ধকার বনে বনে ঘুরে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত ছিল; ভোরের আলোয় সতেজ ঘাস খেয়ে তৃপ্ত হয়।

 

৩৪) ‘কচি বাতাবিলেবুর মতো’ –কার সঙ্গে এমন তুলনা? 

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় কচি বাতাবিলেবুর বঙ্গে সবুজ সুগন্ধি ঘাসের তুলনা করেছেন।

 

৩৫) ‘কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস’ – কবি এমন তুলনা করেছেন কেন? 

উঃ কচি বাতাবিলেবুর সঙ্গে ঘাসের তুলনার কারণ উভয়ের গাঢ় সবুজ রং, সজীবতা এবং সুগন্ধ।

 

৩৬) ‘সে নামল’ – এখানে ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে ‘সে’ বলতে সুন্দর বাদামি হরিণটির কথা বলা হয়েছে।

 

৩৭) ‘সে নামল’ – সে কোথায় নামল?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের আলোয় আশ্বস্ত হয়ে নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।

 

৩৮) ‘নদীর তীক্ষ্ণ ঢেউয়ে সে নামল’ –‘সে’ নেমেছিল কেন?

উঃ সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে বনে ঘুরে ঘুরে ঘুমহীন ক্লান্ত ও বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতন আবেশ দেওয়ার জন্য বাদামি হরিণটি নদীর জলে নেমেছিল।

 

৩৯) ‘নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে’ – ঢেউকে ‘তীক্ষ্ণ শীতল’ বলা হয়েছে কেন?

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে, নদীর জলের তীব্র গতিময় শীতলতাকে কবি ‘তীক্ষ্ণ শীতল’ শব্দবন্ধের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।

 

৪০) হরিণটিকে ‘ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল’ বলার কারণ কী?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সারারাত বনের অন্ধকারে ঘুরে ভোরবেলায় ক্লান্ত ও বিহ্বল হয়ে পড়েছিল।

 

৪১) ‘স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়া’ – বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উঃ সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাতের ঘুমহীনতার ক্লান্তি ও ভয়জনিত বিহ্বলতা দূর করার জন্য, শরীরটাকে স্রোতের মতো প্রাণময় ও গতিশীল একটা আবেশ দিতে নদীর তীক্ষ্ণ ঢেউয়ে নেমেছিল।

 

৪২) ‘অন্ধকারের হিম কুঞ্ঝিত জরায়ু ছিড়ে’ –কে বেরিয়ে আসে?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে অন্ধকার রাত্রের ‘হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে’ ভোরের সূর্যের রৌদ্র বেরিয়ে আসে।

 

৪৩) ‘একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য’ —‘বিস্তীর্ণ উল্লাস’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উঃ ভোরের আলোর প্রাণময় আশ্বস্ততা এবং রাত্রে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে আত্মরক্ষার আনন্দ ছিল সুন্দর বাদামি হরিণটির উল্লাসের প্রধান কারণ।

 

৪৪) ‘বিস্তীর্ণ উল্লাস’ পাবার জন্য হরিণটি কী করেছিল?

উঃ রাতজাগা ক্লান্ত ও বিহ্বল হরিণটি ভোরের আলোয় কচি বাতাবিলেবুর মতো সুগন্ধি ঘাস খেয়ে এবং নদীর প্রাণময় শীতল স্রোতে নেমে ‘বিস্তীর্ণ উল্লাস’ পেতে চেয়েছিল।

 

৪৫) ‘একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য’ —হরিণটির বিস্তীর্ণ উল্লাসকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উঃ অন্ধকারের হিম কুণ্ঠিত জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা ভোরের সূর্যালোকের সঙ্গে সুন্দর বাদামি হরিণের বিস্তীর্ণ উল্লাসের তুলনা করা হয়েছে।

 

৪৬) ‘এই নীল আকাশের নীচে’ –কী ঘটেছিল?

উঃ সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের অপরূপ নীল আকাশের নীচে সূর্যালোকের স্পর্শে জীবনীশক্তি ফিরে পেয়ে জেগে উঠেছিল।

 

৪৭) ‘সূর্যের সোনার বর্শার মতো জেগে’ ওঠা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উঃ সারারাতের সমস্ত ক্লান্তি, উদ্বিগ্গতা কাটিয়ে ভোরের আলোয় হরিণটির উজ্জ্বল সূর্যালোকের মতোই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠাকে বোঝাতেই কবি এই উপমা ব্যবহার করেছেন।

 

৪৮) ‘সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে’ হরিণটি কী করতে চেয়েছিল?

উঃ সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের সূর্যালোকে সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে ‘সাহসে-সাধে-সৌন্দর্যে’ হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।

 

৪৯) ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’ –এখানে ‘অদ্ভুত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কেন?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্দুকের গুলির ধাতব আওয়াজের বিসদৃশ ও নির্মম ব্যঞ্জনা সৃষ্টির জন্য কবি ‘অদ্ভুত’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

 

৫০) ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’ —শব্দটি কখন হয়েছিল?

উঃ ভোরের অপরূপ সূর্যালোকে সুন্দর বাদামি হরিণটি সাহসে, সাধে ও সৌন্দর্যে জেগে ওঠার সময়েই ‘অদ্ভুত’ শব্দটি হয়েছিল।

 

৫১) ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’- কীসের শব্দের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘অদ্ভুত’ শব্দটি হল বন্দুকের গুলির ধাতব আওয়াজের।

 

৫২) অদ্ভুত শব্দের পরে নদীর জলের রং কেমন হয়েছিল?

উঃ বন্দুকের গুলির ‘অদ্ভুত’ শব্দের পরেই নদীর জল মচকাফুলের মতো লাল হয়ে উঠেছিল।

 

৫৩) নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ হয়ে উঠেছিল কেন?

উঃ নিরীহ নিরপরাধ হরিণের দেহের রক্তে নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে উঠেছিল।

 

৫৪) ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ –কোন্ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য?

উঃ নৃশংস মানুষের বন্দুকের গুলিতে নিহত হরিণের রক্তে নদীর জল লাল হয়ে ওঠাকে, কবি জীবনানন্দ ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ বলে উপমায়িত করেছেন।

 

৫৫) ‘আগুন জ্বলল আবার’ –এর আগে কখন আগুন জ্বলেছিল?

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে হিম রাতে শরীর গরম রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালিয়েছিল।

 

৫৬) ‘আগুন জ্বলল আবার’ – এবার আগুন জ্বলেছিল কেন?

উঃ শিকারে মৃত হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলেছিল।
 

৫৭) উয় লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল।-কারা মাংস তৈরি করল? 

উঃ শিকারের নৃশংস আমোদ ও মত্ততায় অভ্যস্ত হৃদয়হীন নাগরিক মানুষ সুন্দর বাদামি হরিণটিকে হত্যা করে তার লাল মাংস তৈরি করেছিল।

 

৫৮) কোথায় ‘অনেক পুরানো শিশিরভেজা গল্প’ ঘটেছিল?

উঃ নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে, নির্মমঘাতক মানুষেরা অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প করেছিল।

 

৫৯) ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে’ – কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উঃ ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে ভোরবেলায় নিরীহ হরিণে হত্যালীলা সাঙ্গ করে মৃত হরিণের মাংস তৈরির সময় হত্যাকারী মানুষের দল নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসেছিল।

 

৬০) ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’—কারা বসে রয়েছে?

উঃ নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় টেরিকাটা মাথার শিকারি মানুষের দল বসেছিল।

 

৬১) ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ – কীসের ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় হৃদয়হীন ঘাতক মানুষের সিগারেটের ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে।

 

৬২) ‘টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা’ – এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় হৃদয়হীন হত্যাকারী মানুষের দলটির নাগরিক বেশভূষা ও অভ্যাসকে ফুটিয়ে তুলতে কবি ‘টেরিকাটা কয়েকটি মানুষের মাথা’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন।

 

৬৩) ‘এলোমেলো কয়েকটা বন্দুক’ –বলা হয়েছে কেন?

উঃ বন্দুকের মতো একটি ভয়াবহ মারণাস্ত্রের বিপজ্জনক বিভীষিকা এবং মানুষের সঙ্গে তার মনুষ্যত্বহীন সংলগ্নতাকে ফুটিয়ে তোলে প্রশ্নোদ্ধৃত শব্দবন্ধটি।

 

৬৪) ‘এলোমেলো কয়েকটা বন্দুক’ –বন্দুকগুলি দিয়ে কী করা হয়েছিল?

উঃ জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতা অনুসারে বন্দুকগুলি দিয়ে মানুষেরা হরিণ শিকার করেছিল।

 

৬৫) ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’—এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় নিরীহ হরিণের মৃত অবস্থাটিকে বর্ণনা করতে প্রশ্নোদৃত উক্তিটি করেছেন।

 

৬৬) ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’— ঘুমকে ‘নিস্পন্দ’ বলার কারণ কী?

উঃ সুন্দর বাদামি হরিণটির মৃত্যু চিরকালীন নিদ্রাকে ফুটিয়ে তোলে বলেই তার ঘুমকে ‘নিস্পন্দ’ বলা হয়েছে।

 

৬৭) ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’ —ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে কেন? 

উঃ নিষ্পাপ প্রকৃতির ভোরের আলোর মতোই সুন্দর বাদামি হরিণের ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে, কারণ তার মৃত্যুর জন্য সে নিজে দায়ী ছিলো না। 

শিকার কবিতার MCQ ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সব বিষয়ের নতুন সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?