বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনের এক অদ্ভুত জিনিস

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পথের পাচাঁলী উপন্যাস থেকে ‘বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনের এক অদ্ভুত জিনিস’ এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতিটির প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনের এক অদ্ভুত জিনিসঃ 

১) “বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনের এক অদ্ভুত জিনিস”—একথা বলার কারণ কী? সামান্য উপকরণ নিয়ে খেলার আনন্দ সম্পর্কে লেখো। 

উত্তরঃ

বাঁকা কঞ্চি অপুর কাছে এক অদ্ভুত আনন্দের জিনিস। কারণ এই ধরনের কঞ্চি হাতে নিলেই অপুর মনে অফুরান আনন্দ জেগে উঠত। মহাভারতের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার কল্পনায় ভরে যেত তার মন।

একটা শুকনো, হালকা, গোড়ার দিক মোটা, আগার দিক সরু—এমন ধরনের কঞ্চি হাতে নিয়ে অপু বিজয়ী বীরের গর্ব অনুভব করত। এমন একটা কঞ্চি হাতে নিয়ে সে কখনও বাঁশবাগানের পথে, কখনও নদীর ধারে ঘুরে বেড়ায়। বাঁশের কঞ্চি জিনিসটা খুবই সামান্য কিন্তু অপুর কাছে সেটা মহামূল্যবান বস্তু। শিশুমনে তুচ্ছ খেলার উপকরণ এভাবেই অমূল্য হয়ে যায়। গাছের শুকনো ডালকে অপু অর্জুনের তরবারি মনে করত। সেই তরবারি হাতে যখন তখন সে রামায়ণ মহাভারতের রাজ্যে ঘুরে বেড়াত। এই মানস ভ্রমণ সম্ভব ছিল বলেই তুচ্ছ একটা বাঁশের কঞ্চি আশ্চর্য আনন্দ এনে দিত অপুর মনে। 

আমাদের শৈশবে এমন অনেক জিনিস থাকে যা বড়োদের অতিতুচ্ছ উপকরণ মনে হলেও শিশুমনের কাছে তা মহার্ঘ মনে হয়। এক সময় এই অতিসাধারণ উপকরণ দিয়েই গড়ে উঠেছিল আমার খেলাঘর। ভাঙা বাক্স, রঙিন কাচের গুলি, মায়ের রান্নাঘরের ভাঙা হাতাখুন্তি, ফেলে দেওয়া বাটি এমন কত কী জমা করেছিলাম সেখানে। রোজ আমরা বন্ধুরা সেখানে ভোজের আয়োজন করতাম। ভাঙা হাতাখুক্তি বাটি নিয়ে রান্না করতে প্রস্তুত হতাম আমরা। গুলিগুলো হত রসগোল্লা, মাটির ঢেলা, ফেলে দেওয়া সবজির টুকরো দিয়ে তৈরি হত নানান পদ। সেই রান্না রান্না খেলার অনির্বচনীয় আনন্দে, স্বাদে ভরে উঠত আমাদের মন।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?