কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর

কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মাধ্যমে পাঠ্য গল্পটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভে সমর্থ হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য বাংলা ভাষায় কী ধরনের লেখালেখির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন ?

উঃ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

২) তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উঃ ‘বাংলার মাকড়সা’।

৩) কুমোরে-পোকার চেহারাটি কেমন ?

উঃ কুমোরে পোকার চেহারাটি লিকলিকে। গায়ের রং আগাগোড়া মিশমিশে কালো এবং শরীরের মধ্যস্থলের বোঁটার মতো সরু অংশটি হলদে। 

৪) কুমোরে-পোকা কী দিয়ে বাসা বানায় ?

উঃ কুমোরে-পোকা ভিজা নরম কাদা মাটি দিয়ে বাসা বানায়। 

৫) কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে- তা কীভাবে বোঝা যায় ?

উঃ কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধে তখন তীক্ষ্ণস্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে। তা থেকেই বোঝা যায় কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে। 

৬) মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা কী করে ?

উঃ কোনোরকমে মাকড়সাকে একবার চোখে দেখলে কুমোরে-পোকা ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। শরীরে হুল ফুটিয়ে তার শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাকড়সাকে অসাড় করে দেয়।

৭) পদপরিবর্তনঃ              

লম্বা– লম্বাটে

স্থান– স্থানীয়

নির্বাচন– নির্বাচিত 

৮) প্রতিশব্দঃ 

নির্মাণ– তৈরি 

সন্ধান– খোঁজ

উপযোগী– উপযুক্ত

ভরতি– পূর্ণ

ক্ষান্ত– নিরস্ত  

৯) অনুসর্গ নির্ণয়ঃ

ক) বাসা তৈরির জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।

উঃ অনুসর্গ- জন্য। 

খ) সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে রাস্তা চিনে নেয়।

উঃ অনুসর্গ- থেকে। 

গ) সেই স্থানে কাদামাটি চাপা দিয়ে দেখেছি।

উঃ অনুসর্গ- দিয়ে। 

১০) বাক্যের প্রকারভেদঃ

ক) ইতিমধ্যে মাটি শুকিয়ে বাসা শক্ত হয়ে গেছে।

উঃ সরল বাক্য।

খ) একবার হুল ফুটিয়ে নিরস্ত হয় না।

উঃ সরল বাক্য। 

গ) কাজেই এ থেকে মনে হয় যে, কুমোরে-পোকা ইচ্ছামতো ডিম পাড়বার সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

উঃ জটিল বাক্য। 

ঘ) ভিজা মাটির উপর বসে এবং লেজ নাচাতে নাচাতে এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে দেখে।

উঃ যৌগিক বাক্য।

১১) কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে কেমন?

উঃ কুমোরে পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে অনেকটা লম্বাটে ধরনের, প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা।

১২) কুমোরে-পোকা বাসা বানানোর প্রস্তুতি কীভাবে নেয় ?

উঃ কুমোরে-পোকার ডিম পাড়ার সময় হলে  উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে। তারপর পঞ্চাশ গজ ব্যবধানের মধ্যে নরম কাদামাটির সন্ধান করতে থাকে। সাধারণত কাদামাটির সন্ধান পেলেই ভালো করে রাস্তা চিনে নেয়। তারপর ওই নরম কাদামাটি মুখে করে নিয়ে এসে কুমোরে পোকা বাসা বাঁধে।

১৩) কুমোরে-পোকার বাসা বানানোর প্রক্রিয়াটি নিজের ভাষায় লেখো।

উঃ বাসা নির্মাণের জন্য মাটি সংগ্রহ করবার সময় উড়ে গিয়ে ভিজা মাটির উপর বসে এবং লেজ নাচাতে নাচাতে এদিক-ওদিক ঘুরেফিরে দেখে। উপযুক্ত মনে হলেই সেখান থেকে ভিজা মাটি তুলে নিয়ে চোয়ালের সাহয্যে খুব ছোট্ট এক ডেলা মাটি মটরদানার মতো গোল করে মুখে করে উড়ে যায়। মাটি খুঁড়ে তোলবার সময় অতি তীক্ষ্ণ স্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে। মুখ দিয়ে চেপে চেপে মাটির ডেলাটিকে দেয়ালের গায়ে অর্ধ-চক্রাকারে বসিয়ে দেয়। মাটির ডেলাটিকে লম্বা করে চেপে বসাবার সময়ও তীক্ষ্ণস্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে। কোনো অদৃশ্য স্থানে বাসা বাঁধবার সময়ও এই গুনগুন শব্দ শুনেই বুঝতে পারা যায়, কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে।

পুকুর ধারে কাদামাটির উপর মাছির মতো একপ্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকা ঘুরে ঘুরে আহার সংগ্রহ করে। এরূপ স্থলে মাটি তোলবার সময় ওইরূপ কোনো পোকা তার কাছে এসে পড়লে মাটি তোলা বন্ধ রেখে তাকে ছুটে গিয়ে তাড়া করে। বারবার এরূপ এক-এক ডেলা মাটি এনে ভিতরের দিকে ফাঁকা রেখে ক্রমশ উপরের দিকে বাসা গেঁথে তুলতে থাকে। প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা হলেই গাঁথুনি ক্ষান্ত করে। এরূপ একটি কুঠুরি তৈরি করতে প্রায় দু-দিন সময় লেগে যায়। ইতিমধ্যে মাটি শুকিয়ে বাসা শক্ত হয়ে যায়। কুমোরে-পোকা তখন কুঠুরির ভিতরে প্রবেশ করে মুখ থেকে একপ্রকার লালা নিঃসৃত করে তার সাহায্যে কুঠুরির ভিতরের দেয়ালে প্রলেপ মাখিয়ে দেয়।

১৪) ‘এইসব অসুবিধার জন্য অবশ্য বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।’- কোন অসুবিধাগুলির কথা এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে ?

উঃ কুমোরে পোকা মাটির সন্ধান পেলেই বাসা নির্মাণের জন্য সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে। রাস্তা চিনে নেয়। সাধারণত আশেপাশে চল্লিশ-পঞ্চাশ গজ ব্যবধান থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু অত কাছাকাছি বাসা নির্মাণের উপযোগী মাটি না পেলে সময় সময় দেড়-দুশো গজ দূর থেকেও মাটি সংগ্রহ করে থাকে।

কাছাকাছি কোনো স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাসার একটা কুঠুরি নির্মাণ প্রায় শেষ করে এনেছে, এমন সময় সেই স্থানে কাদামাটি চাপা দিয়ে বা বাসাটা লেখক যতবার সরিয়ে ফেলেন, ততবার সংস্কারবশেই হোক আর বৃদ্ধি করেই হোক, কুমোরে-পোকাটা বাসার সন্ধান না পেয়ে কোনো একটা জলাশয়ের পাড়ে উড়ে গিয়ে সেখান থেকে ভিজা মাটি সংগ্রহ করে পূর্বের জায়গায় নতুন করে বাসা তৈরি শুরু করেছে। যতবারই এরূপ করেছেন, ততবারই দেখেছেন- পুকুর বা নালা, ডোবা যত দূরেই থাকুক না কেন, সেখান থেকেই ভিজা মাটি এনে বাসা তৈরি করেছে।

এইসব অসুবিধার জন্য অবশ্য বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।   

১৫) কুমোরে-পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো। শিকারকে সে কীভাবে সংগ্রহ করে ?

উঃ কুমোরে পোকা বেছে বেছে এরূপ ভ্রমণকারী মাকড়সা শিকার করে থাকে। কোনোরকমে মাকড়সা একবার চোখে পড়লেই হলো, ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। কিন্তু কামড়ে ধরলেও একেবারে মেরে ফেলে না। শরীরে হুল ফুটিয়ে একরকম বিষ ঢেলে দেয়। একবার হুল ফুটিয়ে নিরস্ত হয় না। কোনো কোনো মাকড়সাকে পাঁচ-সাতবার পর্যন্ত হুল ফুটিয়ে থাকে। এর ফলে মাকড়সাটার মৃত্যু হয় না বটে, কিন্তু একেবারে অসাড়ভাবে পড়ে থাকে।

এরপর কুমোরে পোকা অসাড় মাকড়সাকে মুখে করে নবনির্মিত কুঠুরির মধ্যে উপস্থিত হয়। কুঠুরির নিম্নদেশে মাকড়সাটাকে চিত করে রেখে তার উদরদেশের এক পাশে লম্বাটে ধরনের একটি ডিম পাড়ে। ডিম পেড়েই আবার নতুন শিকারের সন্ধানে বের হয়। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে দশ-পনেরোটা মাকড়সা সংগ্রহ করে সেই কুঠুরির মধ্যে জমা করে আবার দু-তিন ডেলা মাটি এনে কুঠুরির মুখ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। 

কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

প্রথম ইউনিট টেষ্ট বাংলা সাজেশন দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

sikkhalaya click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?