সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক বাংলা সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা এই সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য নাট্যাংশটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে এবং তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তরঃ
১) “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত”- বক্তা কে? তাঁর এই লজ্জার কারণ কী? ১+৩
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন এই নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র, স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দোউলা। তিনি ফরাসি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র মঁসিয়ে লা-কে উদ্দেশ্য করে এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন।
লজ্জার কারণঃ
ঔপনিবেশিক বাণিজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারতবর্ষে নানা ইউরোপীয় জাতির আগমন ঘটে। তাদের মধ্যে প্রধান ছিল ফরাসি ও ইংরেজরা। ফরাসিরা বাংলায় বাণিজ্য করবার জন্য পালনীয় সকল শর্ত অত্যন্ত সতর্কতার সাথেই মেনে চলতো এবং নবাবকে সর্বদা খুশি রেখেই তাদের বাণিজ্য পরিচালনা করতো।
কিন্তু ইংরেজরা আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে নবাবের অনুমতির পরোয়া না করেই ফরাসিদের বাণিজ্য ঘঁটি চন্দননগর অভিযান করে সেখান থেকে ফরাসিদের বিতাড়িত করতে সচেষ্ট হয়।
ফরাসীরা তাদের এই ঘোর সংকটকালে নবাব সিরাজদ্দৌলার সাহায্য প্রার্থনা করে, যার পরিচয় আমরা মঁসিয়ে লা-র উক্তিতে পাই- “We have always sought for your protection, Your Excellency.”
কিন্তু এই সময়কালে নবাব কলকাতা জয় করায় এবং পূর্ণিয়ার শওকতজঙ্গের সঙ্গে সংগ্রামে অনেক লোকক্ষয় ও অর্থব্যয় করে ফেলায় তিনি ইংরেজদের সাথে সরাসরি সংগ্রামে জড়াতে সম্মত ছিলেন না। তাই তিনি ফরাসীদের সাহায্য করতে না পারার হতাশা থেকেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
২) “কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা”- কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের থেকে গৃহীত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে এই তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তা ও শ্রোতাঃ
উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন স্বাধীন বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা। তিনি কথাগুলি বলেছেন তার সভায় উপস্থিত ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে।
মন্তব্যের কারণঃ
বণিকের মানদন্ড রাজদন্ডে পরিণত করে ইংরেজরা বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের শাসনজ্বাল বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে। তাদের এহেন আগ্রাসী মানসিকতায় বীতশ্রদ্ধ নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা অভিযান করে ইংরেজদের বিতাড়িত করে তার নাম আলিনগর রাখেন। এর পরবর্তিতে ইংরেজদের সাথে তার আলিনগরের সন্ধি হয় এবং সেই সন্ধির শর্ত অনুসারে ওয়াটস কোম্পানির দূত রূপে তার সভায় স্থান লাভ করেন।
সিরাজদ্দৌলা ইংরেজদের গোপন চক্রান্তের প্রমাণ স্বরূপ অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের ওয়াটসকে লেখা পত্রের সন্ধান পান; যেখানে লেখা ছিল, “বাংলায় আমি এমন আগুন জ্বালাইব, যাহা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়াও নিভানো যাইবে না।” এর পরবর্তিতে ওয়াটসের প্রত্যুত্তরের পত্রও সভায় পাঠ করা হলে সিরাজদ্দৌলা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তার সভায় থেকে ওয়াটস তারই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় এবং তার অন্যান্য সভাসদদের প্ররোচিত করায় সিরাজদ্দৌলা ইংরেজদের স্পর্ধা, ঔদ্ধত্য ও দুরভিসন্ধিতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
৩) “বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্বরকমে আমাকে সাহায্য করুন”- সিরাজ কাদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন? কেন তিনি এই সাহায্যের প্রত্যাশী হয়েছেন? ১+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
সাহায্য প্রার্থনাঃ
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা তার সভাসদ ও রাজকর্মচারী মীরজাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ প্রমুখের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সাহায্য প্রার্থনার কারণঃ
বণিকের মানদন্ডধারী ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় রাজদন্ড ধারণে প্রয়াসী হয়ে উঠলে তারা সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন ঘসেটি বেগমসহ সিরাজের সভাসদদের একাংশ। নবাবের সিপাহসলার মীরজাফর, মীরকাশিমদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন হলেও সিরাজদ্দৌলা আশা করেছিলেন তার সভাসদেরা বাংলার এই ঘোর দুর্দিনে তার পাশে এসে দাঁড়াবেন। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যতীত যে বাংলার স্বধীনতার সূর্যের অস্তাগমন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তা নবাব উপলব্ধি করতে পেরে বলেছেন- “বাংলার এই দুর্দিনে আমাকে ত্যাগ করবেন না।”
আর তাই নবাব সিরাজদ্দৌলা তাদের সকল অপরাধকে ক্ষমা করে তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
৪) ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজের দেশপ্রেমের পরিচয় দাও। ৪
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৫) ‘এইবার হয় তো শেষ যুদ্ধ’- কোন যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে? বক্তা এই যুদ্ধকে শেষ যুদ্ধ বলেছেন কেন? ১+৩
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৬) সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌলার চরিত্র আলোচনা করো। ৫
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৭) ‘মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন’- কে, কাকে পত্র লিখেছিলেন ? এই পত্রে কী লেখা ছিল ? এর প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল? ১+১+১+১
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৮) ‘ওখানে কী দেখচ মুর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো!’- বক্তা কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার কী মনোভাব লক্ষ করা যায় ? ১+৩
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৯) ‘আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না, একথা তাদের মনে রাখা উচিত’- বক্তা কে? ‘আমরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? একথা বলার কারণ কী ? ১+১+২
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১০) ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা’- বক্তা কে ? কোন দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে ? ১+৩
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১১) “সিরাজের নবাবির এই পরিণাম” – বক্তা কে ? প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করাে। ১+৩
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১২) “আজ বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন” – বক্তা কে? কার প্রতি তিনি এই উক্তি করেন? বক্তার এই উক্তির কারণ উল্লেখ করাে। ১+১+২
উঃ উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
সম্পূর্ণ নাট্যাংশটি পড়তে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
নিম্নে সিরাজদ্দৌলা নাটকের আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
“তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত”- বক্তা কে? তাঁর এই লজ্জার কারণ কী? ১+৩
“জাতির সৌভাগ্য-সূর্য আজ অস্তাচলগামী”- বক্তার এই উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৪
“বাংলার এই দুর্দিনে আমাকে ত্যাগ করবেন না”- কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলা হয়েছে? কোন্ দুর্দিনের জন্য তাঁর এই আবেদন? ১+৩=৪
“বাংলা শুধু হিন্দুর নয়, বাংলা শুধু মুসলমানের নয়- মিলিত হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা।”- কাদের উদ্দেশ করে এ কথা বলা হয়েছে? এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার কী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে? ১+৩=৪
“জানি না আজ কার রক্ত সে চায়। পলাশি, রাক্ষসী পলাশি!”- এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মানসিক ভাবনার পরিস্ফুটন ঘটেছে, তা আলোচনা করো।
‘ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত এই বাক্যজ্বালা আমি আর সইতে পারি না লুৎফা”- লুৎফা কে? বক্তার কথায় ঘরে-বাইরের কী ধরণের বাক্যজ্বালার প্রসঙ্গ নির্দেশিত হয়েছে? ১+৩=৪
“দুর্দিন না সুদিন?”- কে, কাকে বলেছে? ‘দুর্দিন’ ও ‘সুদিন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ১+৩=৪
সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজের চরিত্র আলোচনা করো। ৫
‘সিরাজদ্দোউলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে ঘসেটি বেগম চরিত্রের পরিচয় দাও।
‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে লুৎফা চরিত্রের পরিচয় দাও। ৫
“বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্বরকমে আমাকে সাহায্য করুন”- সিরাজ কাদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন? কেন তিনি এই সাহায্যের প্রত্যাশী হয়েছেন? ১+৩=৫
“মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? এই মন্তব্যে বক্তার যে মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, তা আলোচনা করো।
দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে সহায়তা লাভ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ