সমাস ও তার শ্রেণিবিভাগ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাস ও তার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে বিষদ আলোচনা প্রদান করা হলো। আশাকরি এই আলোচনাগুলি শিক্ষার্থীদের সমাস বিষয়টিকে বুঝতে সহায়তা প্রদান করবে।
সমাসঃ
পরস্পর সন্নিহিত এবং পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের মিলনকে বলা হয় সমাস। শুধু পাশাপাশি থাকলেই হবে না, যে পদগুলির সমাস হবে তাদের মধ্যে অর্থসম্বন্ধ থাকতে হবে।
সন্ধি ও সমাসের পার্থক্যঃ
প্রথমত, সন্ধিতে বর্ণের সঙ্গে বর্ণের মিলন ঘটে কিন্তু, সমাসে পদের সঙ্গে পদের মিলন হয়।
দ্বিতীয়ত, সন্ধিতে অর্থ-সম্পর্ক বড় কথা নয় কিন্তু সমাসের ক্ষেত্রে অর্থ-সম্পর্কটাই আসল। পরস্পর সন্নিহিত দুটি পদের মধ্যে অর্থ সম্পর্ক না থাকলে সমাস হয় না।
তৃতীয়ত, সন্ধিতে সন্ধিবদ্ধ পদগুলির অর্থ অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু, সমাসের ক্ষেত্রে অর্থ পরিবর্তিত হতেও পারে।
চতুর্থত, সন্ধিতে পদের ক্রম বজায় থাকে কিন্তু, সমাসে কখনও কখনও পদের ক্রম পরিবর্তিত হয়।
সমাসের বিভিন্ন উপাদানঃ
সমাস বিষয়টি ভালো করে আয়ত্ত করতে গেলে এই জিনিসগুলো জানা প্রয়োজন-
১) সমস্যমান পদঃ
যে পদগুলি মিলিত হয়ে সমাসবদ্ধ পদটি গঠন করে তাদেরকে বলা হয় সমস্যমান পদ। সমাসে সাধারণত দুটি পদের মিলন ঘটে। এদের প্রথমটিকে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরেরটিকে বলে পরপদ বা উত্তরপদ। এই দুটি পদের মাঝখানে অতিরিক্ত কোনো পদ থাকলে তাকে বলে মধ্যপদ।
২) সমাসবদ্ধ পদ বা সমস্তপদঃ
সমস্যমান পদগুলি মিলিত হয়ে যে নতুন পদটি গঠন করে তাকে বলা হয় সমাসবদ্ধ পদ বা সমস্তপদ।
৩) ব্যাসবাক্যঃ
যে বাক্য দ্বারা সমাসবদ্ধ পদটিকে ব্যাখ্যা করা হয় তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে। একটি উদাহরণের সাহায্যে তিনটি বিষয় দেখানো যেতে পারে-
রাজপুত্র= রাজার পুত্র
সমাস থেকে সব আলোচনার লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলো-
দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সকল প্রকার নোটের জন্য ক্লিক/টাচ করো এই লেখাটিতে