সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা এই সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ
সিন্ধুতীরে কবিতার MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটির রচয়িতা- সৈয়দ আলাওল
২) ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের মূল গ্রন্থ ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের রচয়িতা- মালিক মুহম্মদ জায়সী
৩) ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত- পদ্মাবতী
৪) ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের যে খণ্ড থেকে ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি গৃহীত- পদ্মা সমুদ্র খণ্ড
৫) সৈয়দ আলাওল যে সময়কার কবি- সপ্তদশ শতক
৬) ‘দিব্য পুরী’ শব্দটির অর্থ হল- সুন্দর প্রাসাদ
৭) ‘দিব্য পুরী’ ছিল- সমুদ্র মাঝারে
৮) ‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ হলেন- পদ্মা
৯) ‘প্রত্যুষ’ শব্দের অর্থ হল- ভোর
১০) ‘তুরিত গমনে আসি’- তুরিত গমনে এসেছেন- পদ্মা
১১) ‘মধ্যেতে যে কন্যাখানি’ সে ছিল- সংজ্ঞাহীন
১২) ‘বিস্মিত হইল বালা’- ‘বালা’ শব্দের অর্থ হল- কন্যা
১৩) ‘অনুমান করে নিজ চিতে’- সে অনুমান করেছিল যে- মেয়েটি হল বিদ্যাধরি
১৪) বিদ্যাধরি স্বর্গভ্রষ্ট হতে পারত- ইন্দ্রের অভিশাপে
১৫) ‘ভাঙ্গিল প্রবল বাও’- ‘বাও’ শব্দের অর্থ হল- বায়ু
১৬) ‘আছয়’ শব্দের গদ্যরূপ হল- আছে
১৭) ‘চিকিৎসিমু’ শব্দের গদ্যরূপ হল- চিকিৎসা করব
১৮) ‘কৃপা কর’- পদ্মা যাঁর কৃপা চাইছেন- নিরঞ্জন
১৯) ‘সখী সবে আজ্ঞা দিল’- যে আজ্ঞা দিল- পদ্মা
২০) অচেতন কন্যাদের সংখ্যা ছিল- পাঁচ
২১) অচেতন পঞ্চকন্যাকে সারিয়ে তোলা হল- তন্ত্র-মন্ত্র-মহৌষধি দিয়ে
২২) ‘শ্ৰীযুত মাগন’ হলেন- আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
২৩) ‘হীন আলাওল সুরচন’- কাব্যের মধ্যে কবির আত্মপরিচয় দানের এই রীতিকে বলে- ভণিতা
২৪) ‘সিন্ধুতীরে রহিছে মাঞ্জস’- ‘মাঞ্জস’ শব্দটির অর্থ- ভেলা
২৫) ‘বিদ্যাধরি’ আসলে হলেন- ইন্দ্রের সভার গায়িকা
২৬) ‘বাহুরক কন্যার জীবন’- এক্ষেত্রে ‘কন্যা’ হলেন- পদ্মাবতী
২৭) সিন্ধুতীরের উপরের পর্বত ছিল- ফল ফুলে সজ্জিত
২৮) ‘অতি মনোহর দেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে- সমুদ্র পার্শ্ববর্তী পার্বত্য অঞ্চলকে
২৯) ‘তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি’- ‘টঙ্গি’ শব্দের অর্থ- প্রাসাদ
৩০) ‘কন্যারে ফেলিল যথা’- এই ‘কন্যা’ হলেন- রত্নসেনের কন্যা পদ্মাবতী
সিন্ধুতীরে কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “কন্যারে ফেলিল যথা…।”–কন্যাকে কোথায় ফেলা হয়েছিল?
উঃ কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে।
২) “অতি মনোহর দেশ…।”—কোন্ দেশকে ‘অতি মনোহর’ বলা হয়েছে?
উঃ সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে ‘অতিমনোহর দেশ’ বলা হয়েছে।
৩) “তার পাশে রচিল উদ্যান।।”—কার পাশে উদ্যান রচনা করা হয়েছিল?
উঃ সমুদ্রতীরে যে-দিব্যস্থান ছিল—তার ওপরে ফল-ফুলে সজ্জিত পর্বতের পাশে উদ্যান রচনা হয়েছিল।
৪) “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি”—কোথাই ‘বিচিত্র টঙ্গি’ ছিল?
উঃ সিন্ধুতীরে দিব্যস্থানে যে-সুন্দর উদ্যান—সেই উদ্যানেই ছিল বিচিত্র টঙ্গি।
৫) “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।”—উদ্ধৃতাংশে কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে ?
উঃ উদ্ধৃতাংশে রূপকথার সমুদ্রপুরীর সমুদ্রকন্যা সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে।
৬) “সিন্ধুতীরে রহিছে মাস।।” – উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ কী? তা কীসের জন্য রয়েছে?
উঃ উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার যাতায়াতের জন্য রয়েছে।
৭) “অনুমান করে নিজ চিতে।”—কে, কী অনুমান করে ?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের হৃদয়ে অনুমান করে যে, হয়তো কোনো স্বর্গীয় অপ্সরী দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে মর্তে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
৮) “দেখে চারি সখী চারিভিত।” – উদ্ধৃতাংশে কোন্ চার সখীর কথা বলা হয়েছে ?
উঃ উদ্ধৃতাংশে মূৰ্ছিতা পদ্মাবতীর চারদিকে যে চারজন সখী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।
৯) “বেকত দেখিয়ে আঁখি”— ‘বেকত’ কথাটির অর্থ কী?
উঃ ‘বেকত’ কথাটির অর্থ হল প্রকাশিত।
১০) “মোহিত পাইয়া সিন্দু-ক্লেশ।।”—কথাটির অর্থ কী?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা মূৰ্ছিত পদ্মাবতীকে দেখে অনুমান করেছেন যে, হয়তো সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে নৌকা ভেঙে সমুদ্র-ক্লেশে পীড়িত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে।
১১) “বাহুরক কন্যার জীবন।”–‘বাহুরক’কথাটির অর্থ কী? কোন কন্যার জীবন সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
উঃ ‘বাহুরক’কথাটির অর্থ হল ফিরে আসুক। অচৈতন্য কন্যা পদ্মাবতী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।
১২) “বিধি মোরে না কর নৈরাশ।।”—উক্তিটি কার? তার এরূপ উক্তির কারণ কী?
উঃ উক্তিটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার। সে স্নেহপ্রবণ মন থেকে অচৈতন্য পদ্মাবতীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার থেকে যেন সে বঞ্চিত না-হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনাটাই তার মুখ্য প্রত্যাশা। তাই সে এমন উক্তি করেছে।
১৩) “উদ্যানের মাঝে নিল/পঞজনে বসনে ঢাকিয়া।”- কে, কাদের উদ্যানের মাঝে নিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল।
১৪) “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”- পঞ্চকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে অচৈতন্য পঞ্চকন্যাদের বহু যত্নে সেবা শুশ্রুষা করে চেতনা ফিরিয়ে আনল।
১৫) “চিকিৎসিমু প্রাণপণ /কৃপা কর নিরঞ্জন”- এ আবেদন কার ?
উঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাংশে এ-আবেদন পদ্মার।
১৬) সখীরা অচৈতন্য কন্যার কতক্ষণ চিকিৎসা করেছিল ?
উঃ সখীরা অচৈতন্য কন্যার চারদণ্ড ধরে চিকিৎসা করেছিল।
১৭) ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে?
উঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কবি সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে।
১৮) কবি সৈয়দ আলাওল কোন সময়ের কবি ছিলেন?
উঃ সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতকের কবি ছিলেন।
১৯) ‘বাহুরক কন্যার জীবন’- কীভাবে পঞ্চকন্যা জীবন ফিরে পাবে বলে পদ্মার বিশ্বাস ছিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার বিশ্বাস এই যে, তার পিতার পুণ্যফলে এবং তার নিজের ভাগ্যের জোরে উক্ত পঞ্চকন্যা পুনরায় জীবন ফিরে পাবে।
২০) ‘অতি মনােহর দেশ’ – সেই দেশকে মনােহর বলা হয়েছে কেন?
উঃ সেই দেশ অর্থাৎ সমুদ্র-মধ্যবর্তী দিব্যপুরীকে ‘অতি মনোহর দেশ’ বলা হয়েছে কারণ সেখানে দুঃখ যন্ত্রণা ছিল না এবং সর্বদাই সত্য-ধর্ম-সদাচার বিরাজ করতো।
২১) ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’ – ‘কন্যা’ কোথায় থাকে?
উঃ ‘কন্যা’ অর্থাৎ সমুদ্রদুহিতা পদ্মা সমুদ্রতীরের পাশেই এক দিব্যস্থানে বহুরত্নশোভিত প্রাসাদে থাকত।
২২) ‘অচৈতন্য পড়িছে ভূমিতে।’ – কী কারণে অচৈতন্য হয়ে ভূমিতে পড়েছে?
উঃ সামুদ্রিক ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে চারসখী সহ পদ্মাবতী ভূমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল।
২৩) ‘বিধি মােরে না কর নৈরাশ।’ – বিধির কাছে এই প্রার্থনা কেন?
উঃ ‘চিত্রের পোতলি সমা’ পদ্মাবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাকে সুস্থ করে তুলতে চেয়েছিল। তাই বিধাতার কাছে সে এই প্রার্থনা করেছিল।
২৪) ‘পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।’ – কী ভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীদের সেবা এবং চিকিৎসায় পঞ্চকন্যা ‘চেতন’ ফিরে পেয়েছিল।
২৫) ‘শ্ৰীযুক্ত মাগন গুণী’- মাগন গুণীর পরিচয় দাও।
উঃ মাগন গুণী বা মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজ্যের প্রধান অমাত্য বা প্রধানমন্ত্রী।
সিন্ধুতীরে কবিতার সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘অতি মনােহর দেশ’- মনােহর কথার অর্থ লেখাে। এই প্রসঙ্গে মনােহর দেশটির বর্ণনা দাও।
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
মনােহর কথার অর্থঃ
মনােহর কথার সরলার্থ হলাে যা মনকে হরণ করে। এককথায় অতি সুন্দর।
মনােহর দেশটির বর্ণনাঃ
‘মনােহর দেশ’ বলতে কবি সমুদ্রতীরের এমন একটি স্থানের কথা বলেছেন, যেখানে পদ্মাবতী ও তার সখীরা অচৈতন্য অবস্থায় একটি মান্দাসে ভেসে এসেছিলেন। এখানেই সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা তারস্বর্ণে-রত্নে নির্মিত উজ্জ্বল টঙ্গিতে সর্বক্ষণ থাকেন। এই মনােহর দেশে কারও মনে কোনাে দুঃখ-ক্লেশ নেই। সততা, সদাচার এবং নাচরণের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে সবাই। স্থানটি ফুলে-ফলে পরিপূর্ণ এক দিব্যস্থানের মতাে। এখানকার পর্বতর্টিও সুন্দর সুন্দর সুগন্ধী ফুলে এবং নানান ফলে সমৃদ্ধ।
২) ‘তার পাশে রচিল উদ্যান’- কে, কীরূপ উদ্যান রচনা করেছিল ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যে উদ্যান রচনা করেছিলঃ
কবিতায় সমুদ্র রাজকন্যা পদ্মা উদ্যান রচনা করেছিলেন।
উদ্যানের পরিচয়ঃ
সমুদ্রতীরে এক সুন্দর স্থানে যেখানে ফল ও ফুলের প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এক পর্বত রয়েছে, তার পাশে পদ্মা একটি সুন্দর উদ্যান রচনা করেছিলেন। নানাবিধ সুগন্ধি পুষ্প ও ফল এবং সুলক্ষণ যুক্ত বৃক্ষ তার শােভা বর্ধন করত। তার মধ্যে স্বর্ণখচিত প্রাসাদে পদ্মা বাস করতেন।
৩) ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’- কন্যাটি কে ? তিনি কোথায় সর্বক্ষণ থাকেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
কন্যার পরিচয়ঃ
উধৃত অংশে যে কন্যাটির উল্লেখ আছে তিনি হলেন সমুদ্ররাজের গুণবতী কন্যা পদ্মা।
কন্যা যেখানে সর্বক্ষণ থাকেনঃ
পদ্মা সিন্ধুতীরে এক অতি মনােহর দেশে থাকেন। সেখানে কারও মনে কোনাে দুঃখ-ক্লেশ নেই। সততা,সদাচার এবং ধর্মাচরণের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে সবাই। এখানে এক দিব্যস্থান দেখে নিয়ে ফল-ফুলে পরিপূর্ণ এক পর্বতের পাশে পদ্মা উদ্যান নির্মাণ করেন। নানান মনােহর সুগন্ধিত পুষ্প এই উদ্যানটির শােভা বর্ধন করে। নানান ফলের বৃক্ষও আছে। হেমরত্নে উজ্জ্বল একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে পদ্মা সর্বক্ষণ তাতে থাকেন।
৪) ‘যদি হইল সময় প্রত্যুষ’- প্রত্যুষকালে কী হলাে ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
প্রত্যুষকালের বর্ণনাঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা পিতৃগৃহে নিশি যাপন করে প্রত্যুষকালে সখীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, রঙ্গরসিকতায় মেতে উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় তিনি সিন্ধুতীরে একটি মান্দাস দেখতে পান। তারা কৌতূহলবশত মান্দাসটির কাছে ছুটে যান, দেখেন চার সখী চারদিকে, মাঝে রূপবতী রম্ভার চেয়েও সুন্দরী এক নারী। সবাই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। আতঙ্কে বিস্ফারিত চোখ, এলােমেলাে বসন, আলুলায়িত কেশ-বেশ, সামান্য শ্বাসটুকু শুধু অবশিষ্ট ছিল।
৫) ‘দেখিয়া রূপের কলা / বিস্মিত হইল বালা / অনুমান করে নিজ চিতে’- কে নিজের চিত্তে কার রূপের কলা কখন অনুধাবন করেছিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যিনি রূপের কলা অনুধাবন করেছিলেনঃ
উদ্ধৃত অংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের চিত্তে সিঙ্ঘল রাজকন্যা, চিতোর রাজ রত্নসেন পত্নী পদ্মাবতীর রূপের কলা অনুধাবন করেছিলেন।
পদ্মাবতীর রূপের কলা অনুধাবনের সময়কালঃ
সমুদ্রের বুদ্রতাপে সিংহল থেকে চিতরে ফেরার সময় রত্নাসেন ও পত্নী পদ্মাবতী জীবন সংশয়ের মুখে পড়েন। পদ্মাবতী সিন্ধু তীরে তার চার সখীসহ অচেতন অবস্থায় এসে উপস্থিত হন। সমুদ্র তীরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সমুদ্রকন্যা পদ্মা। পদ্মাবতীর রূপ লাবণ্য দেখে সমুদ্রকন্যা অবাক হয়ে যান।
৬) ‘চিত্রের পোতলি সমা’- কাকে ‘চিত্রের পােতলি সমা’ বলা হয়েছে ? কেন বলা হয়েছে ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যাকে চিত্রের পোতলিসমা বলা হয়েছেঃ
প্রত্যুষকালে সমুদ্রকন্যা পদ্মা যখন তার সখীদের সাথে পর্বত-উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তখন তারা সমুদ্রতীরে অচেতন অবস্থায় পদ্মাবতী ও তার চার সখীকে দেখতে পান। পদ্মা অনুমান করেছিলেন, হয়তাে সমুদ্রের ঝড়ে ভেঙে যাওয়া নৌকো থেকে জলের ঢেউয়ে ভেসে এসেছে মনােরমা সেই নারী। তাকে দেখে পদ্মার চিত্রের পুতুলের মতোই অপরূপ সুন্দর বলে মনে হয়েছে।
৭) ‘চিকিৎসিমু প্রাণপণ’- কার চিকিৎসা করা হবে ? চিকিৎসার বিবরণ দাও।
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যার চিকিৎসা করার কথা বলা হয়েছেঃ
সিংহলরাজের কন্যা, চিতােররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া পত্নী পদ্মাবতী ও তার সখীদের চিকিৎসা করা হবে।
চিকিৎসার বিবরণঃ
সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের সহায়তায় পদ্মাবতী ও তার সখীদের চেতনা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন। ঈশ্বরের কৃপা প্রার্থনা করে অচেতন এই পঞ্চকন্যাকে বসনে ঢেকে উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নানাভাবে তাদের চিকিৎসা চলে। আগুন জ্বেলে কেউ গায়ে সেক দেয়, কেউ মাথায় সেঁক দেয়, কেউ বা সেঁক দেয় পায়ে। তান্ত্রিক মতে, মন্ত্রশক্তি ও মহৌষধি প্রয়ােগ করে চরদণ্ড ধরে প্রাণপণ চিকিৎসা করা হয়।
৮) ‘বহু যত্নে চিকিৎসিতে’- সখীগণসহ রাজকন্যা পদ্ম কীভাবে অচেতন কন্যার যত্ন নিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
অচেতন কন্যার যত্নঃ
সমুদ্র থেকে ভেসে আসা অচেতন পদ্মাবতী ও তার চার সখীর যত্ন নিয়েছেন সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীরা। পদ্মর আজ্ঞায় পাঁচজনে মিলে বস্ত্রে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তারা তন্ত্রে, মন্ত্রে, মহৌষধি দিয়ে মাথায় ও পায়ে সেক দিতে থাকেন। প্রায় চারদণ্ড মতাে সময় ধরে বহু যত্নে চিকিৎসা করার পরে তাদের চেতনা ফিরে আসে।
৯) ‘তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া’- কার জন্য এই পরিচর্যা ? কীভাবে, কারা এই পরিচর্যা করেছিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যার জন্য এই পরিচর্যাঃ
সিংহলরাজের কন্যা, চিতােররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া পত্নী পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখীদের জন্য এই পরিচর্যা।
যারা যেভাবে পরিচর্যা করেছিলেনঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্ম ও তাঁর সখীরা এই পরিচর্যা করেছিলেন। পদ্মর আদেশে তার সখীরা বসনে ঢেকে অচেতন পদ্মাবতী ও তার সখীদের উদ্যানে নিয়ে যান। আর সেখানেই নানাভাবে চলে তাদের পরিচর্যা। আগুন জ্বেলে কেউ গায়ে সেঁক দেয়, কেউ মাথায় সেঁক দেয়, কেউ বা সেঁক দেয় পায়ে। তান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়ােগ করে তাদের চিকিৎসা চলে। এমনকি মন্ত্রশক্তি ও মহৌষধিও প্রয়োেগ করা হয়। এইভাবে চারদণ্ড সময়কাল ধরে চলে তাদের পরিচর্যা। পরিশেষে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পান।
১০) ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’- পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতন পেয়েছিল ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
পঞ্চকন্যার চেতনাপ্রাপ্তিঃ
সমুদ্রকন্যা পদ্মা প্রথমে বিধাতার কাছে পদ্মাবতীর জন্য প্রার্থনা করেন। পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার সখীদের দেহ কাপড়ে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান। তারপর তন্ত্রমন্ত্ৰ, মহাঔষধের দ্বারা তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সেক দেওয়া হয়। এইভাবে চারদণ্ড চিকিৎসা করার পর চার সখীসহ পদ্মাবতী জ্ঞান ফিরে পান।
১১) ‘হীন আলাওল সুরচন৷’- আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলেছেন কেন ? তিনি কীভাবে তার কাব্যরচনা করলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
আলাওলের নিজেকে ‘হীন’ বলার কারণঃ
মধ্যযুগের জনপ্রিয় কবি আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলে তার বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করেছেন।
কাব্য রচনার বর্ণনাঃ
সপ্তদশ শতাব্দীর কবি আলাওল আরাকান রাজসভার কবি ছিলেন। সেখানে তিনি আরাকানের প্রধানমন্ত্রী মাগনঠাকুর এবং আরাকানরাজ শ্রীচন্দ্র সুধর্মার পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক কাব্যের সার্থক অনুবাদ করেন। আর তাই আমরা পাঠ্য কাব্যাংশের ভণিতায় শ্ৰীযুক্ত মাগনের নামে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের পরিচয় পেয়ে থাকি।
১২) ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার কী গুণের পরিচয় পাওয়া যায় ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
সমুদ্রকন্যা পদ্মার গুণের পরিচয়ঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্ম নানান গুণে গুণবতী। কবি স্বয়ং বলেছেন—“সমুদ্র নৃপতি সুতাপদ্মা নামে গুণযুতা’। প্রশংসনীয় পদ্মার সৌন্দর্য রুচি। তার ঈশ্বর বিশ্বাস, পিতৃভক্তি, সখীপ্রীতি তাকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। তবে যে গুণটি তাকে একেবারে অনন্যা করে তুলেছে তা হলাে অনুভূতিপ্রবণতা। সমুদ্রলাঞ্ছিতা পদ্মাবতী ও তার সখীদের মুমূর্ষ অবস্থা তাঁকে বড়াে ব্যাকুল করে তুলেছে। তাদের চেতনা ফেরানাের প্রচেষ্টায় তিনি ঈশ্বরকে স্মরণ করেছেন। সখীদের সহযােগিতায় তাদের নিজের উদ্যানে এনে চার দন্ড পরিচর্যার মাধমে তাদের চেতনা ফিরিয়ে এনেছেন।
সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন”- পঞ্চকন্যা কে? তারা কীভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল? ১+৪=৫
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে, যেখানে প্রশ্নোক্ত অংশটি ব্যবহৃত হয়েছে।
পঞ্চকন্যার পরিচয়ঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে ‘পঞ্চকন্যা’ বলতে সিংহল রাজকন্যা, চিতোরের রাজবধূ পদ্মাবতী ও তার সখী চন্দ্রকলা, বিজয়া, রোহিণী ও বিধুন্নলাকে বোঝানো হয়েছে।
চেতনা ফিরে পাওয়ার বর্ণনাঃ
চিতোরের রাজা রত্নসেন সিংহল রাজকন্যা পদ্মাবতীকে বিবাহ করে নিজ রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের সময় সামুদ্রিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলে অচেতন অবস্থায় পদ্মাবতী তার চার সখীদের সাথে ভাসতে ভাসতে এক দ্বীপভূমিতে উপস্থিত হন।
সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের সাথে প্রমোদ উদ্যানে যাত্রাকালে পদ্মাবতী ও তার সখীদের সমুদ্রপকূলে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরদুঃখকাতর সমুদ্রকন্যা পদ্মা পদ্মাবতীর রূপে মুগ্ধ হন এবং তার সখীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করেন ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
পদ্মা বিধাতার কাছে পদ্মাবতীর জন্য প্রার্থনা করে বলেন-
“পিতার পুণ্যের ফলে মোহর ভাগ্যের বলে
বাহুরক কন্যার জীবন।”
পঞ্চকন্যাকে বসন দ্বারা ঢেকে তারা তাদের প্রমোদ উদ্যানের মাঝে নিয়ে যায়। তাদের সিক্ত শরীরের স্বাভাবিক স্পন্দন ফেরানোর জন্য তারা-
“অগ্নি জ্বালি ছেকে গাও কেহ শিরে কেহ পাও
তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া।।”
‘চারদন্ড’ সময়কাল ধরে তন্ত্রমন্ত্র, মহৌষধির প্রয়োগে এবং সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পদ্মাবতী ও তার সখীরা চেতনা ফিরে পান।
সিন্ধুতীরে কবিতার আরো কিছু বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে পদ্মাবতীর রূপের বর্ণনা দাও।
পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে সমুদ্রকন্যা পদ্মার চরিত্র আলোচনা করো।
দশম শ্রেণি বাংলা নোটঃ
- জ্ঞানচক্ষু
- অসুখী একজন
- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
- আফ্রিকা
- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
- বহুরুপী
- সিরাজদ্দৌলা
- অভিষেক
- পথের দাবী
- প্রলয়োল্লাস
- সিন্ধুতীরে
- অদল বদল
- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান
- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান
- নদীর বিদ্রোহ
- কোনি
- বাংলা ব্যাকরণ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ