দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা পাঠ্যের অন্তর্গত “রূপনারানের কূলে” কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো।
১) ‘রূপনারানের কূলে/জেগে উঠিলাম’- এই ‘জেগে ওঠার’ আলোকে কবিতাটির অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ করো।
উৎসঃ
বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “শেষ লেখা” কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা হলো “রূপনারানের কূলে”। কবিতাটি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মে শান্তিনিকেতনের ‘উদয়ন’ বাড়িতে রাত্রি ৩ টে ১৫ মিনিটে রচিত হয়েছিল।
অন্তর্নিহিত অর্থঃ
বাংলার একটি নদী হলো রূপনারায়ণ বা রূপনারান। ছোটনাগপুরে ধলেশ্বরী নামে উৎপন্ন হয়ে পরবর্তীতে শিলাই নদীর সাথে মিলিত হয়ে পরিশেষে রূপনারায়ণ হুগলি নদীর সাথে মিশেছে।
কবি ‘রূপনারান’ শব্দটিকে শুধুমাত্র একটি নদীর নাম স্বরূপ ব্যবহার করেন নি, পরিবর্তে তা হয়ে উঠেছে প্রবহমান পৃথিবীর উদ্ভাসিত রূপ। স্বপ্নময় আচ্ছন্নতার জগতকে অতিক্রম করে কবি হয়েছেন বাস্তব জীবনের সম্মুখীন-
“জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।”
দৈনন্দিন বেদনা-যন্ত্রণা-হতাশা-আঘাত ও দুঃখকে সঙ্গে নিয়েই বাস্তব জীবন পরিচালিত হয়। বাস্তব সত্য অনেক দুঃখ ও দাবি নিয়ে কঠিনভাবে আমাদের সম্মুখে ধরা দেয়। কবির কথায়-
“সত্য যে কঠিন”
কঠিন হলেও এই সত্য মানুষকে কখনোই প্রবঞ্চিত করে না বলেই কবির অভিমত-
“কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা”
অনুভূতির অস্পষ্ট অন্ধকার দূর করে মানবচেতনাকে জাগ্রত করার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা। বিচ্ছেদ-বেদনায় ও রক্তক্ষরণে আলোড়িত এ জীবনকে কবি দুঃখের তপস্যা বলেই অনুভব করেছেন-
“আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন”
আর এই জীবনের স্বাভাবিক গতি ও পরিপূর্ণতা ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ ব্যতীত কখনোই অর্জিত হয় না বলেই কবির বিশ্বাস। তাই জীবনের সমস্ত দেনা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিশোধ করবার পূর্বে আমাদের দুঃখের সমুদ্রে অবগাহন করেই আমাদের প্রকৃত সত্যরূপের সন্ধান করে নিতে হবে।
“রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ”- তাৎপর্য আলোচনা করো।
Bengali sob boro question and answer 2022 exam hs
উচ্চমাধ্যমিক ২০২২ এর গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন খুব শীঘ্রই প্রদান করা হবে।