“দ্বাদশ শ্রেণি বাংলাঃ বিভাব” নাটক থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
বিভাব নাটকের বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “অনেক ভেবেচিন্তে আমরা এক প্যাঁচ বের করেছি”- উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ করো। ৫
উৎসঃ
‘বহুরূপী’ নাট্যদলের প্রযোজনায় এবং ‘শম্ভু মিত্র’-এর পরিচালনায় ১৯৫১ খ্রিঃ “বিভাব” নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়। ১৯৫৬ খ্রিঃ ‘বহুরূপী’ নাট্যপত্রে ‘বিভাব’ নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রশ্নোক্ত অংশটি এই নাটকের অংশ।
উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থঃ
নাটকের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবেও নাটকের প্রতি প্রবল ভালোবাসাবশত শম্ভু মিত্র ও তার সহযোগীরা সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নাটক পরিবেশনের নিত্য নতুন পথের সন্ধান করতে করতে এক ‘প্যাঁচ’ বা বুদ্ধি বের করেছেন।
শম্ভু মিত্র দেখেছিলেন পুরোনো বাংলা নাটকে শুধু অভিনয়ের মাধ্যমে নাট্যঘটনাকে ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। যেমন, রাজার রথে আরোহণের ভঙ্গি দেখাবার জন্য লেখা হয়েছিল- “রাজা রথারোহণম নাটয়তি।” আবার তিনি ওড়িয়া যাত্রায় ঘোড়া চড়ার ভঙ্গি দেখাতে গিয়ে রাজার “তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি” নির্দেশে দূতের পায়ের ফাঁকে লাঠি গুঁজে অভিনয়ের বর্ণনা প্রদান করেছেন, যা দর্শকদের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল।
একবার শম্ভু মিত্র এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলেন এক চাষি জমিদারের কাছে কাকুতিমিনতি করে ব্যর্থ হয়ে মন্দিরে গেলে, সেই জমিদারই গোঁফ-দাড়ি এঁটে পুরোহিতের অভিনয় করলে তা দর্শকরা খোলা মনেই মেনে নেন।
এভাবেই দর্শকের অনুভূতি ও কল্পনার সাহায্যে অভাবের মাঝেও নাটক মঞ্চস্থ করার অনাড়ম্বর ও প্রয়োগকৌশলনির্ভর নাট্যরীতিকেই নাট্যকার শম্ভু মিত্র “বুদ্ধি” বা “প্যাঁচ” বলে অভিহিত করেছেন।
বিভাব নাটক থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোটপ্রশ্নের (MCQ & SAQ) উত্তরের আলোচনাঃ
“আমাদের এই নাটকের নাম দেওয়া উচিত-‘অভাব নাটক।”- অভাবের চিত্র ‘বিভাব’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো।
“আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম”– বক্তা মারাঠি তামাশায় কী দেখেছিলেন? বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে মারাঠি তামাশার কথা বলেছিলেন?
“সে আর্টিস্টিক মরা, একেবারে ইসথেটিক মরা”- কোন প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
“এই পড়ে বুকে ভরসা এলো – কী পড়ে বক্তা বুকে ভরসা পেয়েছিলেন? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ‘ভরসা’ পাওয়ার তাৎপর্য আলোচনা করো।
“আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত”- ‘বিভাব’ নাটক অবলম্বনে ‘লভ সিন’-এর দৃশ্যটি আলোচনা করো।
“এটা অন্য রকমের লভ সিন; প্রোগ্রেসিভ লভ সিন”- ‘প্রোগ্রেসিভ লভ সিন’-এর দৃশ্যটি নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
“এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না”- ‘জীবনকে উপলব্ধি’ করার জন্য বক্তা কী করেছিলেন? শেষে তাঁর কীরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল?
“নাঃ কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই।”-বক্তা কে? তিনি ‘কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই’ বলে মনে করেছেন কেন?
“বিভাব” নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ তা আলোচনা করো।
Sir H.S BENGALI NOTS NITE CHAI KIVABE PABO
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোটের সুবিধা পেতে https://sikkhalaya.in/index.php/paid-courses/ -এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করুন।