বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান

দ্বাদশ শ্রেণি বাঙালির চিত্রকলা থেকে এখানে বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলোচনাটি প্রদান করা হলো। দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক দিতে চলা শিক্ষার্থীরা এই বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলোচনাটি পাঠ করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য বাঙালির চিত্রকলা থেকে MCQ ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে, যার লিঙ্ক এই আলোচনার শেষে প্রদান করা হয়েছে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান : 

১) বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলোচনা করো। ৫ 

ভূমিকাঃ

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ঠাকুরবাড়ির ‘বিচিত্রা স্টুডিও’ ও দক্ষিণের বারান্দার চিত্রচর্চা একসময় গোটা দেশকে শিল্পের পাঠ প্রদান করেছিল। ঠাকুরবাড়ির একাধিক সদস্য-সদস্যা চিত্রচর্চায় আপন কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। নিম্নে তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা প্রদান করা হলো-  

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ 

ঠাকুরবাড়ির কৃতি সন্তান অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আধুনিক চিত্রকলার তথা নব্য বঙ্গীয় চিত্ররীতির জনক। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য রীতির মিশ্রনে তাঁর চিত্রচর্চা ছিল স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। অবনীন্দ্রনাথের প্রধান দক্ষতা ছিল জাপানি ‘ওয়াশ’ পদ্ধতিতে চিত্রাঙ্কণ। তাঁর আঁকা ছবিকে তিনি বারবার ধুয়ে সম্পূর্ণ রূপ দিতেন। তাঁর কিছু বিখ্যাত চিত্র হলো ‘কচ ও দেবযানী’, ‘ভারতমাতা’, ‘কাজরী নৃত্য’ ইত্যাদি। 

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রবাদপ্রতিম ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন শিল্পী। তিনি ১৯০১ খ্রিঃ ‘টুয়েলভ ইঙ্ক স্কেচেস’ নামক বারোটি কাকের ছবির অ্যালবাম প্রকাশের মধ্যে দিয়ে চিত্রশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ইঙ্গ-বঙ্গ সমাজ, স্বদেশীয়ানার মতো বিষয় তাঁর কার্টুনে বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। তাঁর কিছু বিখ্যাত চিত্র হলো – ‘তরমুজ রসিক’, ‘খল ব্রাহ্মণ’ ইত্যাদি। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ

ঠাকুরবাড়ির কৃতি-সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর চিত্রচর্চা শুরু করেন জীবনের অন্তিম পর্যায়ে। ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থ রচনার সময় পান্ডুলিপি কাটাকুটি করতে করতে তাঁর চিত্র শিল্পের জগতে পদার্পণ। চিরাচরিত ধারার পরিবর্তে তাঁর ছবিতে ফুটে উঠেছিল আধুনিক চিত্রচর্চার সমান্তরাল একটি সাধনা। 

সুনয়নী দেবীঃ

রবীন্দ্রনাথের মতোই স্বশিক্ষিত ছিলেন ঠাকুরবাড়ির কন্যা সুনয়নি দেবী। তাঁর ছবিতে প্রকাশিত হয়েছে স্বদেশীয়ানা ও স্বজাত্যাভিমান। সুনয়নি দেবীর বিখ্যাত কিছু ছবি হল – ‘মা যশোদা’, ‘বাউল’, ‘নেপথ্য’ ইত্যাদি।   

এইরূপে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির মেধাবী সন্তানেরা তাদের হাতের জাদুতে ও শিল্পভাবনার কারুকার্যে বাংলা তথা বিশ্বের চিত্রশিল্প জগতকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। 

বাঙালির চিত্রকলা থেকে আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটিকে অনুসরণ করতে হবে 

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ সালের বাংলা সাজেশন দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

higher-secondary-bengali-suggestion-2025

দ্বাদশ শ্রেণি অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা নোট দেখতে নিম্নের লিঙ্কগুলি অনুসরণ করোঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?